খন্ড কবিতাঃ মাধবী
১।
গুটি গুটি পায়ে হেঁটে যায় মাধবী;
এই মধ্য লগণে আবার সে শিশু হয়ে গেছে
অথচ সাহসে প্রীতিলতা!
ভালবেসে আবার বাড়িয়েছো হাত
দরজার অর্গল হয়ে আছে মেহগনি কাঠ,
তাতে তুমি প্রতিদিন তেল দাও
ফার্নিস ওয়েলের রঙ মাখো হাতে,
দরজাটা খুলে দাও মাধবী!
এখনও দেখ সোনা ঝরা রোদ্দুরে
ভরে আছে বিদায়ী বিকেল আকাশ।
২।
'কিছু নেই, কিছু নেই'
সময় নিয়েছে পিছু
মাধবীর বাঁক খাওয়া শরীরের ভাজে;
খালি চোখে অতটা স্বচ্ছতা নেই আর
সেই নিপাট তারুণ্যের;
তবু হাতের তালুতে স্পর্শ শিহরণ
মাধবীর হাতের আঙুলের।
আমি এ চোখে কত পরিষ্কার দেখি!
'তেইশের সেই প্রথম মাধবী' হেঁটে যায়
বুকের জমিনের
এক রাশ ঘাসফুল মাড়িয়ে।
৩।
কেউ নেই, কেউ নেই।
তবু কেউ হোক!
প্রতিদিন রঙতুলি আঁচড়ে
কতকি রঙিন ব্যঞ্জনায় সাজানো প্রাতরাশ টেবিলে।
এত কি চাই?
ব্যত্যয় হোক কিছু প্রথাগত চাওয়ার,
কিংবা বাহুল্যতা বাড়ুক কিছু যাপিত স্বপ্নের!
মাধবী কসম তোমার ফিরে এস
ঐ অকাট, মাকাল জীবন ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে;
কি এমন লাভ
ঐ রঙিন গ্লাসের ঘরে জেলিফিস হয়ে থেকে?
এখনও দরজা ভেজাইনি আঁধারের ভয়ে,
তুমি আসলেই সাত সহস্র প্রদীপ জ্বলে দেব।
১২ই জুন ২০১৭
যুক্তরাজ্য।