somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইসরাইল ভক্তি পশ্চিমা বিশ্ব ও মোড়লদের ভাবনা।

২৪ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্মঃ
ইসরাইলিদের বলা হয় ইহুদী জাতী যারা আব্রহামের উওরসুরী। ইসরাইল শব্দটির নামকরন করেন জেকব যার ১২ জন পুএ মিলে ইহুদী জাতীর গোড়াপওন করেন। ১৯১৭ সালে ব্রিটিশ সরকার বেলফোর ঘোষণায় ফিলিস্তিনে ‘ইহুদিদের একটি জাতীয় বাসস্থান’ প্রতিষ্ঠায় সমর্থন জানায়। বিশ শতকের শুরুর দিকে অটোমান সাম্রাজ্যের পতন হলে ফিলিস্তিনির ম্যানডেট পায় ব্রিটিশরা। ফিলিস্তিনে দলে দলে অভিবাসী ইহুদি আসতে থাকে। বিরোধিতা সত্ত্বেও সেখানে তাঁরা বসতি গড়ে তোলে।১৯৩৩ সালে অ্যাডলফ হিটলার জার্মানির ক্ষমতায় এলে ইহুদিদের ওপর নিপীড়ন শুরু হয়। সেখানকার ইহুদিরা পালিয়ে ফিলিস্তিনে আসে। ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইহুদিদের তত্পরতা আরও বেড়ে যায় এবং ব্রিটিশ শাসন ও ইহুদি দখলদারির বিরুদ্ধে ১৯৩৬-১৯৩৯ সালে সংঘটিত হয় আরব বিদ্রোহ।ওই বিদ্রোহ দমন করা হয়।আবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফিলিস্তিন নিয়ে আরব ও ইহুদিদের মধ্যে বৈরিতা বেড়ে যায়। ফিলিস্তিনের ওপর ম্যানডেট ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটিশ সরকার। একই সঙ্গে এই ভূ-ভাগ্য নির্ধারণে সদ্যগঠিত জাতিসংঘকে অনুরোধ জানানো হয়। ১৯৪৭ সালের ২৯ নভেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ফিলিস্তিনিকে দ্বিখণ্ডিত করে পৃথক ইহুদি ও আরব রাষ্ট্রের পক্ষে ভোট দেয়। আরবদের বিরোধিতা সত্ত্বেও পরিকল্পনাটি এগিয়ে যায়। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের নীলনকশায় ইহুদিদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত হয়।১৯৪৮ সালের ১৪ মে ব্রিটিশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনির ম্যানডেট ছেড়ে দেয়। ওই দিনই ইহুদি নেতারা ইসরায়েল রাষ্ট্রের ঘোষণা দেন। ফিলিস্তিনকে ইহুদীদের কাছে বিক্রি করেছিলো সউদী রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা সুলতান আব্দুল আজিজ বিন আব্দুল রহমান আল সাউদ আল-ফয়সাল। ১৯২৬ সালে সউদী আরব প্রতিষ্ঠার পর পরই তৎকালীন সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশদের সাথে আব্দুল আজিজ লিখিত চুক্তিপত্রে সই করে প্যালেস্টাইন বিক্রি করে দেয়। অনেকেই বলেছিলো, সে সময় ইহুদীদের থেকে এর জন্য সউদী বাদশাহ প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার গ্রহণ করেছিলো। গত ২০১১ সালের ২রা নভেম্বর প্রেস টিভি সেই গোপন চুক্তিপত্র নিয়ে একটি রিপোর্ট করে।

ইসরাইলের প্রধান শক্তিঃ
আজকের যুগের পরিনত ইসরাইল গোটা বিশ্বকে বুদ করে রেখেছে কোকাকোলার মত কোমল পানিয় দিয়ে। মোবিল, ফোর্ড, লোরেল, নাইক, লেভিস, পেপসি, হেইন্জ, ডেনোনের মত প্রভাবশালী এবং দাপুটেসব কোম্পানীর মালিক হল আজকের ইসরাইল। । তবে ইসরাইলিদের মুল শক্তি হল তাদের প্রযুক্তি। আশ্চর্যজনকভাবে তারা ষাটের দশকে পারমানবিক শক্তির অধিকারী হয়ে উঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষনা থেকে শুরূ করে বণিজ্যিক এবং দৈনন্দিন জীবনে তাদের সর্বোওই প্রযুক্তির আনাগোনা। আর এই ইসরাইলকে কোনঠাসা করার একমাএ হাতিয়ার হল তাদের প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রন করা।

আমেরিকার লাভ-ক্ষতির হিসাবঃ
মধ্যপ্রাচ্যকে নিয়ন্ত্রন করার জন্য আমেরিকার প্রধান ট্রার্ম কার্ড হল ইসরাইল।মধ্যপ্রচ্য কে ধর্মের নামে জঙ্গী প্রচারনা আমেরিকার নাটকের প্রধান অংশ। যেমনটি তারা করেছে ইরাকের বেলায় তেল চুরির জন্য। জঙ্গীসংগঠন গুলোর জন্মদাতাও ওই আমেরিকা। যার প্রমান সারাবিশ্ব দেখেছে নাটক সাজানো টুইনটাওয়ার হামলার মাধ্যমে। আমেরিকা ইসরাইলকে তাদের গনতন্ত্রের একটি অংশ হিসাবে মানে। কারন আমেরিকা জানে মধ্যপ্রচ্যকে নিয়ন্ত্রন করতে পারলেই তাদের পুজীবাদের গোড়াপওীর দাস সকলেই।আর এই হিসাব-নিকাশের বেড়াজালে সমগ্র পৃথীবির ফাটল ধরলেও আমেরিকা-ইসরাইল এক ও অবিচ্ছিন্ন। তাই তো আমাদের মত উন্নয়নীল দেশগুলোতে নাকি চুনের খোসা পড়লেই তারা বিশ্ব সোরগরম করে। আর আমরা বোকার মত জনগন কে ভুলে তাদের কাছে ধন্না দেই, এতে তারা নিজের ফায়দার জন্য এই পূর্ণ সুযোগটি গ্রহন করে।

বিশ্ব মোড়লদের ভাবনাঃ
এত লাশ, এত রক্ত। কিন্তু কেন যেন কারো মাথা ব্যথ্যা নেই।কেন নেই কারন শুধু ইসরাইল নয় পেছনে ক্ষমতাধর আমেরিকার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদ। গোটা পৃথীবিজুড়েই আমেরিকার বেতন ভুক্ত কিছু চাটুকার রয়েছে যারা নির্দিষ্ট কিছু পেইড এমাউন্টে আমেরিকার সাফাই গায়। যেমন আমরা দেখি বিশ্বের নামিদামি কিছু পএিকার প্রধান শিরোনাম হয়েছে ইসরাইলের ২ জন সৈন্য নিহতের ঘটনায়, আর নিচে ছোট করে হেডিং লেখা হয়েছে ফিলিস্তানে রকেট হামলা। জাতীসংঘ এবং হিউমেন রাইটস্ বেচারাদের আর কী করার, তারা মন্তব্যও করে খুর সতর্কতার সাথে। তা না হলে বেচারাদর চাকরী থাকবে না বৈ কী।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×