অসম্পূর্ন পৃথিবী
-------মতিয়ার রহমান দিপু
যখন জানালার পাশে বসে থাকি একা
অদূর মাঠের শেষে দেখা যাই,
একটি গ্রাম।
সেখানের সব পাখি
আসে আমার কাছে,
বলে এক গুন প্রিয়তার কথা।
তাই আমি বসে থাকি জানালার দ্বারে
দেখি দূর প্রান্তরে,মাঠের শেষে
যেখানে প্রিয়োতার বাড়ি।
সাদা বকের বেশে এসেছিলো এক স্বপ্নের রাতে
চাঁদের জোৎস্না হাতে নি্য়ে,
নক্ষত্রের একটা টিপ কপালে একে
জনাকির পাল্কিতে চড়ে।
সেই স্বপ্নের রাতে,বলেছিলে আমার কানে কানে
তুমি কি আমাই ভালোবেসে ছিলে?
পূর্বের কন জন্মান্তরে।
সেই সব জোৎস্না আজো
বৃষ্টির মত ঝরে পৃথিবীর বুকে,
নক্ষত্রের তারা গুলো আজো লেগে আছে
টিপ হয়ে আকাশের বুকে।
সেই অদূর প্রান্তরের গ্রামে
জনাকিরা আজো আলো জালে।
আজ তারা অপরূপ সাজ নিয়ে নাচে
সেই এগারো বছ্র ধরে আমি আজো,
জানালার দ্বা্র খুলে একা থাকি বসে।
সব কিছু আসে আজ পৃথিবীর পরে
আজো পাখি দেকে আনে
ভোরের সূর্যের হাসি,
নদীতে ভেসে চলে কত শত নৌকা-তরী
আজো শোনা যাই অদূর মাঠের কোনে বসে,
কোন এক রাখাল বাঁজাই প্রেমের বাঁশি,মেষের পিঠে চড়ে।
আজো বুনো শালিকের ঝগড়া হয়
গাংচিল,মাছরাঙা,পানকৌড়ি উড়ে চলে
নদীর উপর|
সব কিছু আসে আজ পৃথিবীর পরে
নেই শুধু সাদা বকের মত
আমার জানালার পাশের,
মাঠের শেষে দূর প্রান্তরে সেই গ্রামের
একটি মেয়ে|
আজ আর নেই সে পৃথিবীর পূর্ণতার মাঝে
তাইতো পৃথিবীর সব কিছুর মাঝে,
আজ এক বিশাল অস্মপূর্নতা রয়ে গেছে।