somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

" দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ ১১"

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সায়েম দাঁড়িয়েছিল রিমার সামনে। কিন্তু রিমা ওর ভালোবাসার মূল্য দিতে পারেনি। "সায়েম, আমার বাবা-মা কখনও তোকে মেনে নিবে না। ওরা জানলে খুব কষ্ট পাবে। আমি তোকে শুধুই বন্ধু হিসেবেই চাই।" রিমার এই কথাগুলোই যথেষ্ট ছিল সায়েমের ভিতরের সবটুকু ভেংগে দিতে। ও পারেনি সহ্য করতে। নিজেকে কিছুতেই সামলাতে পারেনি ও। মিতুর সাথে তখনই ওর যোগাযোগটা আরো বেড়ে যায়। মিতুকে আঁকড়ে একটু নিজের জগতটা ভুলতে চায় সায়েম। কিন্তু হয়তো ভাগ্য সহায় ছিল না মিতুর। রিমা ফিরে আসে। আর পাল্টে যায় সায়েমের জগতটাও। বুঝেই পায় না কি করবে ও?? কি করবে?? এখন মিতুকে কি বলবে? দু একবার বলার চেষ্টা করে ও। তারপর হাল ছেড়ে দেয় ও। মিতুকে কোনো কথা বলার প্রয়োজনীয়তা মনে করে না ও। চলে যায় নিশ্চুপে ওর ভালোবাসার কাছে।
হঠাৎ করেই সায়েমের সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় মিতুর। ওর মোবাইলটা মাঝে মাঝে একটা বোঝা লাগে ওর। যার জন্য বাসায় এতটা ফাইট করে ও মোবাইল নিয়েছে সেই মানুষটাই তার কোনো খোঁজ নেয় না। এমন মানুষকে আর কি বলবে ও?? নিজেকে বুঝাতে পারে না কি এমন করেছিল সে যে এতটা কষ্ট পেল ও? কাকে বলবে? কি বলবে?
সায়েম কি আর ফিরেছিল মিতুর কাছে?? হ্যা, ফিরেছিল। ছয় মাস পরে ফিরেছিল তো ও। রিমার বাসায় জানাজানি হয়ে গিয়েছিল ওদের ভালোবাসার কথাটা। রিমার ভাই রিমাকে আর ওকে ডেকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিল এটা ওরা কখনও মেনে নিবে না। রিমার সাথে ওর ভালোবাসার মৃত্যু ওখানেই। হতাশাগ্রস্ত এক যুবক নেশার ঘোরে আর সিগারেটের ধুয়ায় হঠাৎ খুঁজে পেল একটা নাম্বার। বড় পরিচিত একটা নাম্বার। মায়াবতী একটা মেয়ের নাম্বার। তার মায়ায় বেঁধে রাখতে পারেনি একটা হতভাগা ছেলেকে। হ্যা, মিতু। মিতুই তো ......
৮টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭



আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে লেখাটি সে বিষয়ে। এখানে এক শিম্পাঞ্জির কথা উদাহরণ হিসেবে টেনেছি মাত্র।

ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×