somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

" দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ ১৫ "

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দেখতে দেখতেই এইচএসসি পরীক্ষা চলে আসল। মিতু আর তনুর আর কারো দিকে তাকানোরই সময় ছিল না। মাঝে মাঝে পড়া নিয়ে দুজনের ফোনে কথা হলেও কেউই কাউকে জানতে দেয়নি আসলে কি হয়েছে এই কয়টা দিনে ওদের জীবনে। দুজনই ভেবেছে এসব বলার সময় এটা না। একবার পরীক্ষাটা হয়ে যাক। অনেক কথা বলার সময় পাবে। এটা বলা যতটা শজ, করা কিন্তু ততটাই কঠিন। মনের মাঝে যখন ঝড় চলে তখন বাইরের দুনিয়ার কোনো একটা মানুষের বড় প্রয়োজন হয় সে ঝড় থামানোর জন্য। মনের ভিতরে কথা পুষে রাখার মত বড় কষ্ট আর কিছুই নেই। মিতু তাও শ্রাবণের সাথে কথা বলে একটু হালকা হতো।কিন্তু মেয়েদের একটা বড় সমস্যা আছে । একটা মেয়ে যেভাবে আরেকটা মেয়েকে বুঝে হয়তো কেউই সেভাবে তাকে বুঝে না।
পরীক্ষাটা শেষ হলো অবশেষে। কিন্তু মিতুর সাথে তনুর দূরত্ব ঘুচল না। দুজনই এক জায়গায় ভর্তি হল কোচিং করার জন্য কিন্তু আলাদা ব্যাচে। এরই মাঝে একদিন কোচিং এর একটা ছোটো বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে বড় একটা ঝগড়া হয়ে গেলো। আসলে ঝগড়াটা হয়তো হত না, কিন্তু ঐ যে কারো রাগ অন্য কারো উপর ঢেলে দেওয়া বলে না!! দুইজনই সেই কাজটা করল। মনের সব রাগ ঝাড়লো একজন আরেকজনের উপর। কথা বন্ধ হয়ে গেলো দুজনের। হ্যা, ঐটাই ছিল শেষ কথা ওদের। তারপর আসলে কেটে গেছে ৩টা বছর। কিভাবে যে কেটে গেছে নিজেরাই জানেনা ওরা। মাঝেখানে ফেসবুকে একটু যোগাযোগ ছিল। কিন্তু তারপর ওটাও ছুটে গিয়েছিল। অনেক অভিমান ছিল দুজনেরই দুজনের উপর। আজ মুখোমুখি বসে ওদের মনে অনেক প্রশ্ন। চুপ করে থাকার মধ্যেও অনেক জিজ্ঞাসা।
তনুই মুখ খুলল," মনে আছে তোর? এইচএসসি পরীক্ষার আগে ১৪ই ফেব্রুয়ারীতে আমরা দুজন রিকশা নিয়ে ঢাকা ভার্সিটিতে ঘুরেছিলাম।" "হুমম। আর রিকশা থামানোর পর দুজন যখন হাটছিলাম সামনের ঐ রাস্তাটায় তখন তোর একটা স্যান্ডেল ছিঁড়ে গেলো। তারপর তুই খালি পায়ে ঢুকলি ফালুদা খেতে । সবাই আমাদের দিকে তাকাচ্ছিল। আর আমরা একটা ফালুদা শেয়ার করে খাচ্ছিলাম।",বলতে লাগলো মিতু। "হুমম, আর খাওয়া শেষে তুই বললি আমার একটা স্যান্ডেল তুই পড় আর একটা আমি পড়ি। দুজনেরই এক পায়ে জুতা থাকবে। আমরা এভাবে হাঁটছিলাম আর রাস্তায় সবাই আমাদের দিকে তাকিয়েছিল। পাগল ভাবতেছিল দুইজনকে", বলেই হাসতে থাকল তনু। দুজনের হাসির শব্দে আশেপাশের প্রেমিক প্রেমিকের জোড়াদের প্রেম কিছুটা কমে গেলো। কিন্তু দুজনের হাসি থামলো না। ঠিক আগের মতই দুজন আশেপাশের সব মানুষের বুড়ো আংগুল দেখিয়ে হা হা হি হি করতে লাগল। অনেকদিন পর রাস্তার সব মানুষকে নিয়ে দুষ্টুমী করল, কয়েকটা জুটিকে ডিস্টার্ব করল, সামনের রিকশা দিয়ে যাওয়া যাত্রীদের সালাম দিয়ে ভড়কে দিল। বিকেলটা কিভাবে জানি কেটে গেলো স্বপ্নের মত করে। খুব ভালো সময় কাটলো ওদের। ঠিক হলো পরদিন আবারো বের হবে। অনেক কথা বলবে দুজন।
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×