somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

অবনি মণি
অনেক বছর হলো ; তবুও নিঃসঙ্গ বৃক্ষের মতো নির্জন নিস্তব্ধ মৌন পাহাড়ের মতোই একা পড়ে আছি আজও। একাই আছি এই দীর্ঘশ্বাসের মতো! তোমারও কি শুধু দীর্ঘশ্বাস,গ্রীলে বিষন্ন গোধূলী?

ভালবাসার মৃত্যু যখন সন্নিকটে

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ আর কোন কল্প-কাহিনি লিখতে বসিনি । আজ আমি তাঁকে নিয়েই লিখব যাকে আমি পৃথিবীর সবথেকে বেশী ভালবাসি । এখনো এ পৃথিবীতে আমার বাবা-মা বেঁচে আছেন সুস্থভাবে তবু কেউ যদি আমাকে জিজ্ঞেশ করে ‘তুমি কাকে সব থেকে বেশি ভালোবাসো ’? নির্দ্বিধায় বলবো আন্টি কে ।

আন্টি হল আমার মায়ের ছোট বোন আমার ছোট খালা , জন্মলগ্ন থেকেই যার কাছে ছিলাম এখনো আছি । আম্মু কেবল আমাদের জন্মই দিয়েছেন কিন্তু আমরা কিভাবে আজ এতো বড় হলাম তা হয়তো আম্মু নিজেও সঠিকভাবে বলতে পারবেননা । আমদেরকে তিলে তিলে কোলেপিঠে করে বড় করেছেন আমাদের দুই খালা ।

আমরা পাঁচ ভাইবোন আর মামাতো ভাইকে নিয়ে আন্টির সংসার। আম্মু-আব্বু গ্রামের বাড়িতেই থাকতেন চাকরির সুবাদে ; কখনো সপ্তাহে আসতেন ; কখনোবা মাসে । এ নিয়ে আমাদের কোন চিন্তা ছিলোনা । ঐ সময়গুলোতে আমি কখনো এক মুহূর্তের জন্য আমার আন্টিকে ছাড়া থেকেছি কি না আমার মনে নেই । আন্টি এ ঘর থেকে ও ঘরে পা দিলেই আমরা পাঁচজন লেজ হয়ে থাকতাম । আন্টি বাহিরে যাবার নাম করলেই আমি আগেই রেডি হয়ে গেইটে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম অথবা যদি কোনোভাবে জানতে পারি কোথায় যাবেন তবে আগেই ঐ জায়গাতে গিয়ে উপস্থিত হয়ে যেতাম । দুরের কোন জায়গা হলে চোখের জলের কোন অভাব ছিলোনা । মুহূর্তেই বন্যা বয়ে দিতাম অতএব আন্টির কোন ক্ষমতা ছিলোনা আমাকে রেখে যাবার ।

আমি আমার আন্টিকে হাসতে দেখেছি খুব কম । সবসময়ই গোমরা মুখে বসে থাকতেন ; কোনোদিন কোন আনন্দের উৎসবে যেতে দেখিনি ! বিয়ের প্রস্তাব আসলে অঝোরে শুধুই কাঁদতেন ,পারলে যে প্রস্তাব নিয়ে আসতো তাকে ধমক লাগাতেন । জানতাম না ; কেন এরকম করতেন । যতো ভালো জায়গা থেকেই প্রস্তাব আসুক আর যতো ভালো ছেলেই হোক না কেন তাঁর চোখে জল ছাড়া আমি কখনো দেখিনি । ছোট ছিলাম তাই কোন কৌতূহল ও ছিলোনা কেন এত কাঁদতেন আমার আন্টি । এটাই মনে করতাম বিয়ে হলে সবাইকে ছেড়ে চলে যেতে হবে তাইজন্য হয়তো কাঁদতেন । বিয়ের প্রস্তাব গুলো ফিরিয়ে দিলেও তাঁর বিরুদ্ধে কাউকে কোন অভিযোগ করতেও দেখিনি । আব্বু-আম্মু ,মামারা ,নানাভাই কেউ ই কিছু বলতনা ; ভাবতাম সবার ছোট এবং সবার অনেক আদরের তাই হয়তো কেউ কিছুই বলেনা । কিন্তু বয়স তো আর বসে নেই ,বাড়তেই আছে । সেই সময় আমরাই ছিলাম তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ ।

এমনি চলছে আন্টির সাথে আমাদের অনেক সুখের সংসার । অনেক সময় না বুঝে আন্টিকে অনেক কষ্ট দিতাম ,মান-অভিমান তো আছেই । মাঝে মাঝে আমরা আন্টি কে না বুঝে কষ্ট দিলে আন্টি বলতেন আজই আমি তোদেরকে ছেড়ে চলে যাবো । এ কথা উচ্চারন করতে দেরি হতো আন্টির কিন্তু কান্না শুরু করতে দেরি হতোনা আমাদের । পাঁচ ভাইবোনের একসাথে গলা ছেড়ে কান্না শুরু ; বলতাম তুমি আমাদের ছেড়ে যেওনা ; আমরা আর এরকম করবনা । আম্মু-আব্বু মাসের পর মাস না এলেও আমাদের কোন অভিযোগ ছিলোনা ; কখনো ইচ্ছে প্রকাশ ও করতাম না যে তাঁরা আসছেন না কেন ।

যাই হোক যাচ্ছে দিন আসছে রাত ! তখন ২০০২ সাল ; এমন একটা সুখের দিনে বাসায় একজন মেহমানের আগমন ; যাকে ঘরের সবাই চিনে আমি ছাড়া । সেদিন আম্মু ও উপস্থিত ছিলেন ঘরে ,আম্মু ও চিনেন । সবাই বেশ খুশগল্পে মেতে উঠেছে দেখে ভাবলাম একটু উঁকি মেরে দেখে আসি কে মানুষটা ; নাহ ! চেহারা দেখে আমি চিনলামনা । তবে আমার জীবনে এই প্রথম আমার আন্টিকে মন উজাড় করে হাসতে দেখেছি ,গল্প করতে দেখেছি ,আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে তাঁর মনে ঐ মুহূর্তে । খুব অবাক হলাম তখন । আপুদের জিজ্ঞেস করলাম কে উনি ; ওরা বলে তুমি চিনবেনা । বললাম তাহলে উনি আমাকে চিনে কিভাবে ? আপুরা বলল , উনি তোমাকে ছোট বেলা অনেক দেখেছে তো তাই চিনে । আমার মনে প্রশ্ন জাগে তবে আমি চিনিনা কেন ?

সেইদিনের পরে আন্টি কে হাসতে দেখেছি , সবার সাথে হেসে হেসে কথা বলতে দেখেছি । যাই হোক আমি তো ছেড়ে দেবার পাত্রি নই । একটা আপুকে অক্টোপাসের মতো ঘিরে ধরেছি যে ,ইনি কে আমাকে বলতেই হবে । আমার হাত থেকে আপু আর রক্ষা পেলনা ; বলতে বাধ্য হল । শুনলাম আমার আন্টির করুন কাহিনী ।

আন্টি যখন ইন্টার এ পরতেন তখন এই মানুষটা নানু বাড়িতে লজিং থাকতেন যে কোন কারনে । ঐ সময় পরিচয় । পরিবারের সব মানুষের সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠে ; আমি খুব ছোট ছিলাম তাই আমার মনে নেই । নানাভাই ও খুব পছন্দ করতেন । কিন্তু তিনি তখন প্রতিষ্ঠিত ছিলেননা তাই নানাভাই সময় দিয়েছিলেন তাঁকে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার । আন্টি এই মানুষ টাকে ভীষণ ভালবাসতেন । লজিং থেকে চলে যাবার পরও বাড়িতে নিয়মিত আসা যাওয়া করতেন । বাড়ির দূরত্ব খুব বেশী ছিলোনা তবু কোন সপ্তাহে না এলে চিঠি পাঠাতেন সবার কাছে । এলাকার সবাই ও তাকে খুব পছন্দ করতো । তখনো তিনি কোন কাজ করছেননা তবু নানাভাই হঠাৎ ই মত বদলালেন ; বিয়ের কথা পাকা করে ফেললেন ; সেই মুহূর্তে তাঁর দেশের বাইরে যাবার একটা প্রস্তাব এলো । চলে যাবার আগে নানভাইকে কথা দিয়ে গিয়েছেন যে ফিরে এসে তিনি আন্টিকে বিয়ে করবেন । শুরু হল আমার আন্টির অপেক্ষার দিনগুনা ! সপ্তাহে একটা করে চিঠি আসতো সবার উদ্দেশ্যে । চিঠিতে একজন একজন করে প্রত্যেকের নাম উল্লেখ থাকতো । চিঠি আসতো নানাভাইর নামে । পরে সপ্তাহে না এসে মাসে একটা আসতো । তবু চিঠি আসা মিস হতোনা তাঁর । ধীরে ধীরে চিঠি আসা কমে গেলো । দুই বছর নিয়মিত চিঠি এসেছিল অতঃপর বন্ধ হয়ে গেলো বহুল প্রতিক্ষিত চিঠি গুলি । তাঁর বাড়িতে খোঁজ নেয়া হল ; জানা গেলো তিনি তাঁর বাড়িতে ও চিঠি দেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন । অবশেষে তাঁর কোন খোঁজ খবর পাওয়া যাচ্ছিলোনা । বছরের পর বছর কেটে যাচ্ছে কিন্তু তাঁর আর কোন খোঁজ মিলল না । এদিকে আন্টির প্রতিক্ষার শেষ নেই । আন্টির বিশ্বাস তাঁর মনের মানুষ তাঁর কাছে একদিন ফিরে আসবেই সেই বিশ্বাসে বিশ্বাসে ১০ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন কিন্তু তাঁর ফেরার নাম গন্ধ নেই । প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে বিয়ে করবেননা ; তাই বিয়েতে কোন ভাবে রাজি হননি।

অবশেষে তাঁর প্রতীক্ষার দিনের অবসান হল । দীর্ঘ ১০ বছর পর বিদেশে থেকে ফিরে এলেন তাঁর বহুল প্রতিক্ষিত মানুষ টি । আর আমাদের মধ্যে ও আনন্দের শেষ নেই ; আমাদের আন্টি আজ হাসছেন , নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া করছেন যা এর আগে তিনি করেননি । নতুন ঐ মানুষটির আনাগুনা চলছে বাসায় । ঘরের ল্যান্ড ফোনে নিয়মিত কথা , আন্টিও বলতেন আমরা ও বলতাম । সবাই মিলে হৈ-হূল্লোড় আর আনন্দের শেষ ছিলোনা শুধুমাত্র আন্টির আনন্দে পরিবারের সবকটা মানুষের মনে খুশির বন্যা বয়ে যাচ্ছে !

২০০৩ সালের অগাস্ট মাস ! আন্টির কাবিন হয়ে গেলো তাঁর বহুল প্রতীক্ষিত মানুষটির সঙ্গে ! আঙ্কেল (খালু) এর বড় ভাই তখনো বিয়ে করেননি তাই আন্টিকে শ্বশুর বাড়িতে পার করা হয়নি অতএব আন্টি তখনো আমাদের সাথে ! আমাদের বাসায় আঙ্কেলের আনাগুনা দিন দিন বাড়তেই থাকলো ! আমাদের পরিবারের একজন সদস্য বেড়ে গেলো ।

অবশেষে এলো আমদের একটা করুন দিন ! ২০০৪ এর ফেব্রুয়ারী মাস ! আন্টিকে শ্বশুর বাড়িতে পার করার দিন ! এটা আমাদের জন্যে যতটা সুখের ছিল ঠিক ততোটা দুঃখের ও মুহূর্ত ছিল ! আন্টির দুঃখের দিনের অবসান হবে তাই অনেক আনন্দিত থাকলেও আন্টি আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন এটা ছিল নিঃসন্দেহে একটা করুন কাহিনী আমাদের জন্যে ! সারাদিন সবাই খুব আনন্দের সাথে কাটালাম ,বিদায়ের সময় শুরু হল কান্না পর্ব যা একটা বিয়েতে কমন একটা দৃশ্য ! আমাদের বাসা থেকে আঙ্কেলের বাসার দূরত্ব মাত্র দুই কিলো হবে ! তাই সন্ধ্যা পরে আমরা সব কাজিনরা , আন্টির বান্ধবীর বাচ্চারা , বান্ধবীর বোনের ছেলেরা এবং তাদের বেশ কিছু বন্ধুরা মিলে প্রায় ৩০ জনের মতো চলে গেলাম আন্টির শ্বশুর বাড়িতে তাঁকে দেখতে ! ২/৩ ঘণ্টা বেশ জমজমাট আড্ডা শেষে আমরা ফিরে এলাম আমাদের ঘরে ! তখনো ততোটা খারাপ লাগেনি যে আন্টি আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছেন ভেবে! নিয়মমতো পরদিন আন্টি আসলেন আঙ্কেল কে নিয়ে আমাদের বাসায় ! দুদিন থাকার পর চলে যাবার দিন এলো! ঐ মুহূর্তে সম্বিত ফিরে পেলাম ; সব আনন্দ মাটি হয়ে গেলো ! মনে হচ্ছিল পায়ের নিচ থেকে সব মাটি সরে যাচ্ছে , আমাদের মাথার উপর থেকে এতো বড় ছাতাটা কেউ ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ! না ; এ শোক আর ধরে রাখতে পারলাম না ! কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছিলো একেকজনের ! মনের অজান্তেই বুক ফেটে কান্না আসলো ; আবেগ ধরে রাখতে পারছিলাম না কেউ ই ! শুধু আমরা ভাইবোন রা ই না ,আরও কিছু মানুষ ছিল যারা কিনা শুধু আন্টি কে কেন্দ্র আমাদের বাসায় নিয়মিত আসা-যাওয়া করতো ; তারা কেউই কম কষ্ট পায়নি ! ঐ দিনের মতো বুক ফাটা কান্না এর আগে কখনো কাঁদিনি !

শুরু হল আমাদের অনেক কষ্টের জীবন আন্টিকে ছাড়া । একটা দিন ও আমাদের ভালো যাচ্ছেনা ! কে কাকে সান্ত্বনা দেবে ; সবাই এক তালে কেঁদেই যাচ্ছে ! আন্টিও ভীষণ কষ্ট পাচ্ছিলো আমাদের ছাড়া । তাই আমরা সকাল বিকাল কেউ না কেউ একবার আন্টির বাসাতে ঢুঁ মারি ! যাইহোক ; এমনিভাবে চলছিল আমাদের নতুন জীবন ! এক-দুদিন পর পর আন্টি আসতেন আমাদের বাসায় ,সাথে আঙ্কেল থাকতেনই ! আঙ্কেল কে ছাড়া আন্টি কখনো আসলেও আঙ্কেল অফিস শেষে আমাদের এখানেই আসতেন । আন্টির সাথে ইচ্ছেমত খুশ গল্প করা ,আড্ডা মারার দিন শেষ । আন্টি আমাদের বাসায় আসলেও যেহেতু আঙ্কেল সাথে ই আসেন তাই আমাদের সাথে আর তাঁর বসে থাকা হয়না । আঙ্কেল কে ই সময় দিতে হয় । আন্টি যদি আমাদের সাথে পাঁচ মিনিট বসে আড্ডা দেন আঙ্কেল ততক্ষণে ১০ তা মিস কল দিবে সেলফোনে । অতএব আন্টি যেকোনো একটা মজার আড্ডা থেকে উঠে চলে যায় আঙ্কেলের পাশে ! যখনই আন্টি আসে আমাদের বাসায় এমনি ঘটে প্রত্যেকটাদিন । প্রতিটা মুহূর্তে এমন হওয়াতে আমরা ভাইবোনেরা কিছুটা বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলাম আঙ্কেলের উপর কারন আমরা আর আমাদের আন্টিকে কাছে পাচ্ছিনা আমাদের মতো করে । মাঝে মাঝেই আন্টির সাথে রাগারাগি করতাম যে তুমি আঙ্কেল কে নিয়ে আসো কেন সবসময় ! যাইহোক ; তবু আমরা আমাদের আন্টির কাছাকাছি থাকতে চাইতাম । একসাথে দু’দিন আন্টিকে না দেখে থাকিনি । একদিন আন্টি আমাদের বাসায় না আসলে পরদিন আমি চলে যেতাম আন্টির বাসায় । তারপর আবার আন্টিকে নিয়ে আসতাম আমাদের বাসায় । সাথে আঙ্কেল তো আছেন ই । আঙ্কেল একটা মুহূর্তও আন্টিকে ছাড়া থাকতে চাননা আর আমরাও না ।

এরই মধ্যে আন্টির একটা বেবি নষ্ট হয়েছে ,একটা বেবি জন্মের তের দিনের দিন মারা গেছে ,তারও পরে আরও দু’দুটা বেবি নষ্ট হয়েছে । সুখের দিনের মধ্যে কিছু দুঃখ যোগ হল আবার আন্টির জীবনে ! চিকিৎসা চলছে নিয়মিত ! তবু বার বার ই এমন ঘটছে ! বিয়ের আটটি বছর কেটে গেলো ; আন্টি আর সন্তানের মুখ দেখেননি তখনো । তবু তাদের সুখের সংসারে কোনরূপ ঘুণে ধরেনি ; কোন অশান্তি নেই । আঙ্কেল তাঁর সাধ্য মতো চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন, কোন ধরনের ত্রুটি করছেননা এ বিষয়ে । যে যা পরামর্শ দিচ্ছে সে অনুযায়ী তাঁর কাছেই যাচ্ছেন । ২০১২ এর দিকে পরিকল্পনা করছিলেন মাদ্রাজ যাবেন চিকিৎসার জন্যে ।

তখনো যাওয়া হয়নি ! অক্টোবর মাস ! ২০১২ ! এমনি এক আনন্দঘন দিনে আঙ্কেল হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতাল এ ভর্তি । মাথা ঘুরে পরে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ! সিটিস্ক্যান রিপোর্ট বলল ব্রেইন টিউমার ! সার্জারি লাগবে , তৎক্ষণাৎ ঢাকা রেফার করা হল ; দুদিন পর সার্জারি হল । Histopathology রিপোর্ট বলল “Consistent with anaplastic ependymoma WHO grade III” !

থেমে গেলো আমার আন্টির সুখের সংসারের সব হাসি আনন্দ ! ক্যান্সার নামক মরনব্যাধি কেড়ে নিল আমার আন্টির বহুল প্রতীক্ষিত সুখ-শান্তি ! রেডিয়েশন দেয়ার পর শরীর টা আরও দুর্বল হতে থাকলো ! শুরু হল আন্টির আরেক সংগ্রামী জীবন ; সবকিছু ঠিক থাকলেও আঙ্কেল আর স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছেন না । ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সংসারের সবকিছু দেখা শুনা করতে হয় আন্টিকে । আঙ্কেলের টয়লেট করানো , গোসল করানো , খাওয়ানো , শেইভ করানো সবই আন্টি নিজ হাতে করে যাচ্ছেন ; ক্লান্তির কোন ছাপ নেই তাঁর চোখে –মুখে ! সব কিছুর শেষে আঙ্কেলের মাথায় আবার হাত বুলিয়ে ই যাচ্ছেন একটু ঘুম পাড়ানোর আশায় । দিন রাত নামাজ পরে আল্লাহর কাছে অনবরত কেঁদেই যাচ্ছেন ! আর আঙ্কেল কাঁদছেন আন্টির একটু মানসিক শক্তির জন্যে । প্রতিটা রাতেই আঙ্কেলের মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে তাঁর পাশে বসে কোরআন পড়েন আর কাঁদেন । একটা রাতও আর নিশ্চিন্তে ঘুমাননা আন্টি । দিন হলেই দিনের নিয়মিত কাজ আর রাত হলে শুধু আল্লাহর কাছে একটাই রোদন তাঁর ; তাঁর ভালবাসার মানুষটিকে যেন তাঁর থেকে আলাদা না করেন ।

দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মোহিতে ! তাই বলে সুখের শেষে আবার এমন একটা দুঃখের ঘনঘটা ছুয়ে যাবে কারো জীবনে এটা কেউ ই কামনা করেনা । কিন্তু আমার আন্টির সুখের জীবনে এমন একটা ঘনঘটা নামলেও কিছুতে তাঁর ভালবাসার মানুষ টিকে কেড়ে নিতে পারেনি তাঁর থেকে ! আস্তে আস্তে আঙ্কেল কিছুটা সুস্থতা ফীল করলেও বাইক, ল্যাপটপ আর মোবাইল এই তিনটার ব্যাবহার পুরোপুরি নিষেধ ছিল তাঁর । তবু মাঝে মাঝে এগুলো ব্যবহার করার আবদার করতেন আন্টির কাছে । মাঝে মাঝে তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোতে বসতে পারতেন তবে আন্টি পৌঁছে দিতেন আবার গিয়ে নিয়ে আসতেন । চলাফেরা কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও আঙ্কেলের আচরন পুরোটা ই শিশুসুলভ ! ব্রাশে পেস্ট লাগিয়ে দিলে ব্রাশ করছেন তা না হলে ব্রাশ টা হাতে নিয়ে বসেই থাকবেন কিন্তু পেস্ট লাগাতে হবে তারপর ব্রাশ করতে হবে এটা তাঁর ব্রেইন আর বলে দিচ্ছেনা । খাবার সামনে নিয়ে বসেই থাকেন ; খাইতে না বলা পর্যন্ত বসেই থাকেন । নিজ হাতে খেতে পারলেও আন্টি পুরোটা সময় বসে না থাকলে তাঁর আর খাওয়া শেষ হতোনা । শার্ট এর বাম হাত ঢুকান ডান হাতে আর অমনি যখন দেখেন আন্টি, তখনই ঠিক করে পরিয়ে দিয়ে বোতাম লাগাতে বললে সেখানেও ওলটপালট ঘটাবেন ই । এগুলো ছিল আঙ্কেলের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা আর আন্টির নিত্যনৈমিত্তিক কাজ ! এভাবেই চলছে আমার আন্টির অনাকাঙ্খিত দিনগুলি । একটা মুহূর্তের জন্যে আন্টি চোখের আড়াল হলেই সাথে সাথে ডাক শুরু ; অন্য কেউ জবাব দিলে হয়না । সেই কাজ টা অন্য কেউ করে দিতে চাইলেও হবেনা , আন্টিকে ডাকতেই হবে । তা না হলে দুর্বল ঐ শরীর নিয়ে উঠে খোঁজা শুরু করে দিবেন ।

সবকিছুর পরেও আল্লাহর কাছে অনেক শূকরিয়া আন্টির যে , আঙ্কেল ভালভাবে হাটতে পারছেন ,কথা বলতে পারছে ,খেতে পারছেন । দেড় বছর চলে গেলো এমনি করে ; আবার শুরু হল একটু একটু মাথা ব্যাথা , চোখে ঝাপসা দেখা আর বমি বমি ভাব ! মাঝে মাঝে ব্যাথার কারণে একেবারে বিছানা থেকে উঠতে পারতেন না । মাঝে মাঝেই আবার ভালো । মাঝে মাঝে দু’চারদিন যায় একেবারে জ্ঞানহীন , আবার সুস্থ হয়ে উঠা । এই বছরের অক্টোবর মাসে আবার ডাক্তারের শরণাপন্ন হলেন ; সিটিস্ক্যান রিপোর্ট আবারো বলল আগে যে জায়গাতে সার্জারি হয়েছিল তার পাশেই আরেকটা টিউমার Grow করছে ; আবারো সার্জারি লাগতে পারে তবে যদি সার্জন পরামর্শ দেন ; ঢাকা রেফার করা হল আগের সার্জন এর কাছেই । কিন্তু যতদূর শুনেছি এসব টিউমার দ্বিতীয়বার সার্জারি করাটা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ । প্রথমবার ই ডাক্তার বলেছিল ছয় থেকে সাত মাস বাঁচতে পারেন তাছাড়া আয়ু দানকারি একমাত্র আল্লাহ । সেই অবস্থা থেকে পুরো দুই বছর আল্লাহ অনেক ভালোভাবে দিন কাটানোর তৌফীক দিয়েছেন । কিন্তু দ্বিতীয়বার সার্জারির ব্যপারে কেউ তখনো কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারছেনা তেমনি একদিন ঘুম থেকে জাগার পর থেকেই হাত পা গুলাতে কোন অনুভুতি পাচ্ছিলেননা । এমনি দিন যেতে যেতে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হতে হতে হঠাৎ ই জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন । সারাদিন কোন খাওয়া দাওয়া নাই ; শরীর টা একেবারেই নিস্তেজ হয়ে গেলো । কথা বার্তা নাই ; চোখ বন্ধ , একটা শব্দও বের হচ্ছেনা । অমনি তিনদিন আন্টি পাশে বসে কালিমা শুনাচ্ছেন আর আমরা ক’জন বসে কুরআন পড়ছি । তিনদিন পর চোখ খোললেন , কখনো খুলেন আবার কখনো বন্ধ । ডাক দিলে শুধু জবাব দিতে পারছেন কিন্তু শরীরের সংবেদন ফেরেনি , প্রস্রাব করছেন বিছানায় ।

এমনি অবস্থায় ৯ নভেম্বর ঢাকায় নিয়ে আসলাম আঙ্কেল কে । ডাক্তার অবাক হল এখনো তিনি বেঁচে আছেন দেখে ! যাইহোক ভর্তি করিয়ে নিলাম ; MRI রিপোর্ট দেখে ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ বললেন সার্জারি করানো যাবে কোন সমস্যা নাই । যেহেতু উনি একবার সার্জারির পর হাঁটাচলা করতে পেরেছেন অতএব এবারও পারবেন ইনশাআল্লাহ ! আমরাও আর দেরি করিনি ; সাথে সাথেই জানিয়ে দিলাম আমরা সার্জারি করাতে রাজি আছি । ১৫ তারিখে সফলভাবে সার্জারি হল এবং সময়মত জ্ঞান ও ফিরে আসলো । পুরো শরীরের সংবেদন একজন সুস্থ মানুষের মতো ই আবার ফিরে আসলো । দুদিনের মাথায়ই নিজ পায়ে হেটে বাথরুমে যেতে পারছেন । কিন্তু Histopathology রিপোর্ট আগের মতো ই বলছে ক্যান্সার Grade III তে আছে অতএব তাঁর বেঁচে থাকার পুরোটাই আয়ুর উপর নির্ভর করছে ।

গত দুই বছর ধরে সিলেটে গেলেই আঙ্কলের জন্যে তাদের বাসায়ই থাকা হয় আমার । সিলেট গেলে আর আব্বু,আম্মু,আপুদের সাথে থাকা হয়না । সবাই ই যে যার মতই নিজেকে নিয়ে ব্যতিব্যাস্ত থাকাতে আমি আমার সময়টা আমার অসুস্থ আঙ্কেলের সাথে কাটানোর চেষ্টা করেছি তাই খুব কাছে থেকে আমার আন্টির কষ্টের দিনগুলো দেখার সুযোগ হয়েছে । আন্টির পাশে থাকলে তিনিও কিছুটা স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলেন ।আঙ্কেলের পাশে কিছুটা সময় আমি পাশে বসে থাকলে আন্টি তাঁর জরুরি কাজ গুলো নিশ্চিন্তে করতে পারেন । আঙ্কেল ও ভীষণ ভালবাসেন আমাদের ; এমন করে কোন খালু ভালবাসতে পারে এটা আমার খালুদের না দেখলে বিশ্বাস করতে পারতাম না । আঙ্কেল আমাকে ‘রঞ্জন’ বলে ডাকেন । একটু এদিক সেদিক হলেই শুরু করেন রঞ্জন কোথায় ? বাসায় যে ই আসুক তাঁর সাথে গল্প করবেন রঞ্জন টা বাসায় আসলে কিছুটা ভালো থাকি ; একটু ভরসা পাই ; ও যেন আমার একটা ছেলে । জানিনা কি দিয়েছি আঙ্কেল কে তবু কেন যেন আমাকে নিয়ে তাঁর অনেক গর্ব । শুয়ে শুয়ে সারাক্ষণ ই দুয়া করবেন আমার রঞ্জন কে তুমি অনেক বড় করে দিও আল্লাহ ! একটু যদি উচ্চারণ করি যে বাসায় যাবো তবে সাথে সাথেই আঙ্কেল বলে বসবে যাও, তবে দুই তিন ঘণ্টা পর চলে এসো । সিলেট গিয়েছি আর এমন যদি কখনো হয়েছে যে আমার বাসায় উঠেছি প্রথমে তবে আন্টি সাথে সাথে ই ফোন দিয়ে বলবেন তুই ওখানে কেন গেছিস ? ঐ বাসায় তোর কি? কখনো বলতে পারিনি যে এখানে তো আমার আব্বু–আম্মু,ভাই–বোন সবাই থাকে । আম্মু সাথে সাথে পাঠিয়ে দিতেন ; যা চলে যা ! তোর আন্টিকে কখনো কষ্ট দিবিনা । এমন ও অনেক হয়েছে সিলেট গিয়েছি কিন্তু আব্বু–আম্মুর সাথে দেখা করতে যেতেই পারিনি আন্টির বাসায় থেকে আবার চলে এসেছি । জানিনা দায়িত্ববোধ থেকেই কিনা ভালবাসা থেকে আন্টির জন্যে সর্বোচ্চ করার চেষ্টা করেছি এবং করবোও । এখনো ব্যাক্তিগত কোন অর্থ–সম্পদের মালিক না হওয়াতে সেই সহযোগিতা ছাড়া আমার সময় আর শ্রম দিয়ে ক্লাস ,পরীক্ষা বাদ দিয়ে আমার আন্টির পাশে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি । ক্যারিয়ার থেকে আমার আন্টির পাশে থাকাটা যে আমার অনেক মুল্যবান কাজ । আমার এই আমি হওয়াতে যার অবদান সব থেকে বেশী তাঁর পাশে ই যদি থাকতে না পারি তবে এই আমার আমি কে দিয়ে কি আর হবে ! যাদের দুয়া আমার অনেক দরকার তাদের দুয়া পাওয়ার জন্যেও তাদের পাশে থাকাটা আমার জরুরি । তাই জীবনের অন্য অনেক কিছু বাদ দিয়ে আমার আন্টি পাশে থাকতে চাই সব সময় । আল্লাহ যেন আমারে এতোটুকু সহযোগিতা করে তাদের পাশে থাকার মতো সুস্থতা দান করে !


আমার আন্টির এতোটুকু চাওয়া ছিল আল্লাহর কাছে যেন আঙ্কেল তাঁর নিজ পায়ে হাটতে পারেন আর দুহাত তুলে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে পারেন আর আল্লাহ সেইটুকু ফিরিয়েও দিয়েছেন । আঙ্কলে কে ছাড়া আমার আন্টির বেঁচে থাকার আর কিইবা অবলম্বন থাকতে পারে । বিয়ের দশ বছর পার হল ! সন্তান হীন জীবন টাকে হয়তো কখনো ঐভাবে অনুভব করেননি আঙ্কেল পাশে থাকাতে , কিন্তু যখন তাঁর এই শেষ অবলম্বন টুকু থাকবেনা তখন কি নিয়ে বাঁচবেন আমার আন্টি ! কি করে এই যাতনা সহ্য করবেন ! তিলে তিলে যত্ন করে গত পঁচিশটি বছর ধরে যাকে ভালবেসে আসছেন কি করে কাটাবেন একটা সেকেন্ড তাঁকে ছাড়া । গত দশটা বছর ধরে যে মানুষ টাকে ছাড়া একটা রাত ও কাটাননি কি করে থাকবেন তাঁকে ছাড়া প্রতিটা রাত !

ভালবাসার মৃত্যু যখন সন্নিকটে তখন আমার আন্টির একেকটা রাত যেন ফিরে পাওয়া একেকটা বছর , একেকটা যুগ । এখন তাঁর প্রতিটা রাতই যেন একেকটা যুদ্ধের রাত । সকাল হলেই তাঁর ঠোটে যুদ্ধে জয়ী কোন সৈনিকের মতো একটা মৃদু হাসি ই আঙ্কেলের বেঁচে থাকার মনসিক শক্তি ! আমার আন্টিও হয়তো আজ এই প্রবাদে বিশ্বাস করে বেঁচে আছেন “জীবনের চেয়ে মৃত্যু ই সত্য ; কারন কারো মৃত্যু ঘটলে সে আর জন্মগ্রহণ করেনা” ।


সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২৭
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×