somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছবি ব্লগ "ভ্রমণ" _____১

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এখন পর্যন্ত যেসব জায়গায় ভ্রমণ করেছি এবং নিজের হাতের তোলা কিছু ছবি আজ পোস্ট করলাম।
ছবিগুলো আমার পছন্দের এবং প্রিয় মোবাইল হ্যান্ডসেট দিয়ে তোলা!
অন্যের ছবি কিংবা প্রকৃতির ছবি তোলার কিছুটা নেশা আছে বটে!


রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট২০১৬,সিলেট(আমার নিজ জেলা) ।
সারা পৃথিবীতে ফ্রেশওয়াটার সোয়াম্প ফরেস্ট বা স্বাদুপানির জলাবন আছে মাত্র ২২টি। ভারতীয় উপমহাদেশে আছে এর দুইটি। তার একটি শ্রীলংকায় আর আরেকটি আমাদের বাংলাদেশের সিলেটের গোয়াইনঘাটে। স্থানীয় মানুষ জনের কাছে এইটা “সুন্দরবন” নামেই বেশি পরিচিত, আবার অনেকেই বলে "বাংলাদেশের আমাজান"।
রাতারগুল জলাবন বা রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট (Ratargul Swamp Forest) বাংলাদেশের একমাত্র জলাবন বা সোয়াম্প ফরেস্ট এবং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। বনের আয়তন ৩,৩২৫.৬১ একর, আর এর মধ্যে ৫০৪ একর বনকে ১৯৭৩ সালে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
বর্ষাকালে এই বনে অথৈ জল থাকে চার মাস। তারপর ছোট ছোট খালগুলো হয়ে যায় পায়ে চলা পথ। আর তখন পানির আশ্রয় হয় বন বিভাগের খোঁড়া বিল গুলোতে। সেখানেই আশ্রয় নেয় জলজ প্রাণী।
উপকূলীয় এলাকার বাইরে অন্যান্য জায়গার সোয়াম্প ফরেস্ট গুলো সব সময় জলে প্লাবিত থাকে না। কেবল বর্ষায় এই বনের গাছগুলো আংশিক জলে ডুবে থাকে। আমাদের বাংলাদেশের এমন একটি সোয়াম্প ফরেস্ট এই রাতারগুল জলাবন। দেশের স্বীকৃত একমাত্র এই সোয়াম্প ফরেস্টটি সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। এটাকে রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট বলা হয়। দেখলে মনে হবে সুন্দরবন। এটি দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের মানুষের কাছে সিলেটের সুন্দরবন নামেই পরিচিত।
বি: দ্র: কেউ যেতে চাইলে ভালোভাবে জেনে যাবেন। নৌকার ঘাট আছে কয়েকটা। সব ঘাট থেকে নৌকা নিলে সব জায়গা ভালোভাবে দেখা যাবেনা। মটরঘাট,রাতারগুল ঘাট আর আরেকটার নাম ঠিক জানা নেই।রাতারগুল ঘাট দিয়ে গেলে গাড়ি রেখে ঠিক ঐজায়গা থেকেই নৌকা নেয়া যাবে। নৌকা দিয়ে ওয়াচ টাওয়ার পর্যন্ত যাওয়া যাবে।



লোভাছড়া (লোভানদী ঝুলন্ত ব্রীজ,ইন্ডিয়ার বর্ডার),কানাইঘাট,সিলেট২০১৬।
দেশের উত্তর-পূর্ব সীমন্তে কানাইঘাট উপজেলায় (সিলেট) ব্রিটিশ আমলে চালু হওয়া চা বাগান এবং নানা দর্শনীয় স্থান ঘিরেই লোভাছড়ার অবস্থান। ছোট-বড় পাহাড়-টিলা, নদী-নালা ও খাল-বিল পরিবেষ্টিত প্রাকৃতিক ও নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরপুর এক দর্শনীয় স্থান লোভাছড়া। প্রায় ৫০ বছর আগে নির্মিত টিলাবাবু আর ম্যানেজারের আকর্ষণীয় বাংলো আজো পর্যটকদের বিমোহিত করে।
এই চা বাগানের সৌন্দর্যের প্রতি মুগ্ধতা অন্যদিকে রয়েছে তার প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যের প্রতি লালসা। লোভাছড়ার পাশ দিয়ে ভারত সীমান্তে হারিয়ে গেছে ‘নুনগাঙ’। ‘নুনগাঙ’ প্রায় নদীর মতো হলেও এটি আসলে ঘোলা পানির একটি খাল যা লোভাছড়া নদী থেকে উৎপন্ন হয়েছে। খালের ওপর বেশ পুরনো, তবে এখনো মজবুত স্টিলের তৈরি একটি ব্রিজ রয়েছে। এখানকার সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থাপনার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ঝুলন্ত সেতু। সড়ক পথে লোভাছড়ায় আসার পথে পাওয়া যায় ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই ঝুলন্ত সেতু, স্থানীয়ভাবে যা ‘লটকনির পুল’ নামে পরিচিত। জানা যায়, ১৯২৫ সালে ইংরেজরা লোভাছড়ায় যাতায়াতের জন্য সেতুটি নির্মাণ করে। আকর্ষণীয় এই সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে লোভাছড়ার অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করা সত্যিই অসাধারণ। লোভাছড়ার দক্ষিণ পাশে সুরমা নদী তীরবর্তী মূলাগুল বাজারের পূর্ব পাশে অবস্থিত একটি টিলার ওপর রয়েছে হযরত শাহজালাল(র.)-এর সঙ্গী ৩৬০ আউলিয়ার মধ্যে অন্যতম ওলি হযরত মীরাপিং শাহ (র.)-এর মাজার। মাজারটি দেখার জন্য এখানে প্রতিদিন অনেক ভক্ত এসে ভিড় জমান। ভক্তদের ভালোবাসার শুভ্রতা ছড়িয়ে পড়ে মাজার সংলগ্ন এলাকায়।


রাতের বীচ ক্যাফে,সুগন্ধ্যা বীচ, কক্সবাজার !

সন্ধ্যার লাবণী বীচ,কক্সবাজার ২০১৬ ।





ভাটিয়ারি, চট্রগ্রাম,২০১৫।
চট্রগ্রাম শহর সিটি গেইট থেকে মাত্র ২০ মিনিটের দূরত্বে ভাটিয়ারীতে রয়েছে অসাধারণ প্রাকৃতিক রূপে বৈচিত্র্য। এখানে আপনি সব কিছুই পাবেন, পাহাড়, কাক চক্ষুর মত স্বচ্ছ লেকের পানি, সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত গলফ কোর্স। সম্পূর্ণ অঞ্চলটি সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত এবং একই যায়গায় চট্রগ্রাম সেনানিবাস অবস্থিত বলে এখানে নিরাপত্তা নিয়ে আপনাকে চিন্তিত হতে হবে হবেনা। বর্ষা কালে ভাটিয়ারী লেকের উপচে পড়া পানি আপনাকে শিহরিত করবে একই সাথে পাহাড় এবং পাহাড়ের গায়ে সূর্যাস্ত আপনার মনকে ভরিয়ে দিতে যথেষ্ট। আপনি চাইলে লেকে নৌকা চড়তে পারবেন এবং নির্দিষ্ট টাকা দিয়ে লেকের পানিতে ছিপ দিয়ে মাচ শিকার করতে পারবেন। মোট কথা শহরের খুব কাছেই আপনার সময়টি অসাধারণ কাটবে। এছাড়া এখান থেকে আপনি চলে যেতে পারবেন ভাটিয়ারী সান সেট পয়েন্টে। সেখানে সূর্যাস্ত দেখার অসাধারণ সুবিধা রয়েছে।

সারি নদী, লালাখাল,সিলেট।

ভাটিয়ারি যাবার পথে।

পাখি তার নীড়ে ।




সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ।


বিছনাকান্দি,সিলেট ।


সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪
১৮টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×