২৫টি দলের মধ্যে ২৩টি দল কমপক্ষে একটি করে সমস্যার সমাধান করেছে। তার মানে এ নয় যে, পিকলু বাহিনী প্রশ্ন সোজা করেছে। আসলে সবাই চেষ্টা করেছে। ৮তারিখ রাতে আমি আর কায়কোবাদ স্যার যখন চাটগাঁতে পৌছাই তখন রাত ১০টা। প্রিয়াংকার কাছ থেকে জানলাম মকে কেহ কোন সমস্যার সমাধান করতে পারিনি। আমরা একটু ভয় পেয়েছি।
স্যারকে বললাম দুইটি সহজ সমস্যা তৈরি করতে যেন সকালে পরিস্তিতি খারাপ হলে দেওয়া যায়!!!
চট্টগ্রামের একেবারে গ্রামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। থাকতেই পারে। কারণ আমাদের অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ই গ্রামে। তবে, এখানে বিস্ময়ের কারণ হলো এটি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়! আইন, ইংরেজী, ব্যবসা প্রশাসন আর কম্পিউটার বিজ্ঞান নিয়ে এর প্রায় ৩০০০ শিক্ষার্থী এখন। এটি সম্ভবদ দেশের সবচেয়ে কম খরচের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি। আশেপাশের গ্রামের ছেলেমেয়েরা যাতে পড়াশোনায় আগ্রহী হয় সেজন্য ভার্সিটির বাস আছে। খুবই স্বল্পমূল্যে তাতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা যায়। এবার গিয়ে শুনলাম ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বাসটি বিনাখরচে করে দেওয়ার কথা বলেছেন!
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর রশীদুন নবী স্যার এটার কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগটি সাজানোর দায়িত্বে। প্রথম দিকে এখানে শিক্ষার্থী ভর্তি হতো ৮/১০। এখন ৩০ জন হয়। ক্লাশে ঢুকে হাত তুলতে বলায় দেখা যায় আশেপাশের প্রামের অনেকেই আছে। যদিও শহরের শিক্ষার্থীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ!
চট্টগ্রাম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে, চট্টগ্রাম কক্সবাজার সড়কের পাশে, চন্দনাইশ উপজেলায় বিজিসিট্রাস্টের এই বিশ্ববিদ্যালয়। ট্রাস্টের এই কমপাউন্ডটির নাম বিদ্যানগরী। এখানে আছে একটা স্কুল ও কলেজ, একটি মেডিকেল কলেজ, একটি নার্সিং কলেজ আর একটি বিশ্ববিদ্যালয়। এই ট্রাস্ট্রের চেয়ারম্যান অলটেক্স প্রুপের ইঞ্জিনিয়ার আবসার উদ্দিন আহমেদ। তার গুরুজন গুল চেমন আরার নামে এই ট্রাস্ট। ট্রাস্টের অধীনে এর সকল সম্পত্তি।
শিক্ষার্থীদের বেতন কম বলে মনে করার কারণ নেই যে সেখানে পড়া লেখা হয় না!!! এই বিশ্ববিদ্যালয়টি কেবল টাকা কামানোর জন্য গড়া হয়নি। ফলে, সেখানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয় ভাল এবং যথেষ্ঠ শিক্ষক রাখার। রশীদ স্যার সহ সিএসইতে এখন ১৪ জন শিক্ষক আছেন। সবাই কমবয়সী এবং প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর। এর মধ্যে মিনহাজ হোসাইন আমার পাড়ার ছেলে যদিও আমি তার ছোটবেলার কথা মনে করতে পারিনি। প্রিয়াংকাকে মনে হয় ওর সাস্টের আমল থেকে আমি চিনি। কাল সরোয়ার আর নিম্মির কাছে জানলাম ওরা যখন চট্টগ্রাম ভার্সিটির শিক্ষার্থী তখন ওদের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। দুপুরে ভিসির কাছে জানলাম গত ২ বছরে তাঁরা ৭ জন নতুন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। ইন্টারনেটের সমস্যা, যাতায়াতের সমস্যা এবং সর্বোপরি টিউশন ফি কম বলে অনেকের পছন্দের তালিকায় বিশ্ববিদ্যালটি নেই। কিন্ত যারা সেখানে পড়তে আসে তার শেষমেষ ঠিকই এর প্রেমে পড়ে।
ঢাকা বা বুয়েটের শিক্ষার্থীরা দেশ সেরা। তাদেরকে তৈরি করতে তেমন বেগ পেতে হয় না। কিন্তু আজকে ট্রাস্টের একটি দল তৃতীয় হয়েছে যেখানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আর চুয়েটের ১১টি দল ছিল!!! আইআইইউসিও ছিল। কাজে বোঝা যায় কতোটা দরদ দিয়ে তারা নিজেদের তৈরি করছে।
কায়কোবাদ স্যার আজকে কথা দিয়ে এসেছেন তিনি একদিন সেখানে ক্লাশ নিতে যাবেন। আমার দুইবার হয়ে গেছে। তারপরও ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের আত্মপ্রকাশের দিন যাবো। এবং পারলে সেখানে রাতে থাকবো।
বিজিটি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর সকলের সেকেন্ড ডিফারেন্সিয়াল নেগেটিভ হোক।
সংশোধনী : বিজিসিট্রাস্টের দলটি চতুর্থ হয়েছে, তৃতীয় নয়। কাল রাতে স্মৃতি থেকে লিখতে গিয়ে মনে হয় সমস্যা হয়ছে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:২০