আস্থিক বনাম নাস্থিক, ধর্ম বনাম ধর্ম !
জগৎ জুড়ে এ যেন এক অঘোষিত আত্মসম্মান বোধের যুদ্ধ !
ব্যক্তিগত পর্যালোচনায় দেখা যাক আস্থিক কে ? - আস্থা থেকেই আস্থিক্য বা আস্থিক ! অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তা বলতে কোনো এক অদৃশ্য শক্তি আছেন এবং তিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী ! এরূপ বিশ্বাস বা উপলব্ধি থেকেই অন্তরে স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস বা আস্থার জন্ম নেয় ! এই আস্থা বা বিশ্বাসকে ধরে রাখার ক্ষেত্রে মত/মতবাদের আধিক্য প্রবল যা আমরা ধর্ম জ্ঞানে মানি অতঃপর সেই মতানুযায়ী সৃষ্ট পথের অনুসারী হই ! জীবনের কোনো এক সময় এসে কোনো কারণে অনুসৃত পথে বিভ্রাট ঘটে যায় অনেকের ! হতে পারে সেটা কারো না কারো প্রভাবে কিংবা মনোবেদনা, কষ্ট অথবা আলসেমি ! এখানে আলস্যতা শব্দটা প্রথম সারিতে আনার কারণ হলো- ধর্ম পালন হচ্ছে ঈশ্বরের নৈকট্য লাভের প্রয়াসে একটি ত্যাগ ও সাধনার পথ ! এ জন্য প্রত্যেক ধর্মই হচ্ছে ত্যাগের পথ ! এই ত্যাগ সাধনা হচ্ছে জৈবিক লোভ-লালসা, কামনা-বাসনা, হিংসা-অহমিকা, মিথ্যা, ক্রোধ ইত্যাদি ইত্যাদি ! এরপর রয়েছে কঠিন কর্ম সাধনা যেমন- নামাজ, রোজা, হালাল রুজি আহরণ-ভক্ষণ, অন্যের অনিষ্ট না করা, জিবের সেবা ইত্যাদি ইত্যাদি ! অলস ব্যক্তিবর্গ এই সব ত্যাগ-কর্ম সাধনা করতে স্বীকার করে না বলেই ফাঁকফোকর তালাশে ব্যাস্ত থাকে ! কারণ শীতের ভোরে লেপ-কম্বল অথবা মধ্য রাতে প্রিয় ঘুম ত্যাগ করে কোনো কর্মব্রত পালন অলসদের পক্ষে অসম্ভব ! হ্যা অলসেরা কর্মঠ বা পরিশ্রমী হয় তবে সেটা আরাম-আয়েশ, ভোগ-বিলাসিতার জন্য ! এখানে উল্যেখ্য যে, ঈশ্বরকে প্রাপ্তি বা নৈকট্য লাভের একমাত্র পথ যেহেতু সরল পথ সেহেতু ত্যাগ এবং পরিশ্রম বা সাধনা ব্যাতিত নৈকট্য লাভ অসম্ভব ! এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধর্মের মূল সারাংশ হচ্ছে ত্যাগ ও পরিশ্রম !
এখন ঠান্ডার ভয়ে যারা পানি/জলের ধারে কাছে না গিয়ে পারফিউম মেখে ঘোরে আর অপবিত্র মদ দ্বারা শরীর গরম সতেজ করে এমন ব্যক্তিরা যদি প্রকৃতিবাদ সৃষ্টি করে বানর তত্ত্ব উপস্থাপন করে তবে তো সেটা অলসদের কাছে যুক্তিযুক্ত হবেই !! (চলবে)
বিঃ দ্রঃ পক্ষে বিপক্ষে মতামত/যুক্তি উপস্থাপনের পথ খোলা রইলো কিন্তু..........!
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২