somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শিয়া-doctrine-এর ফাঁদে পা দেবার আগে নিজের দ্বীনকে জানুন-৩

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ

আস সালামু আলাইকুম!

বাতিল ফিরক্বার লোকজন সব সময় সাধারণের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে থাকে এবং ‍"ঘোলা পানিতে মাছ শিকার" করে থাকে। সেজন্য আমাদের উচিত নিজের দ্বীনকে ভালো ভাবে জানা। আপনি যদি জানেন সত্য কোনটা, তাহলে আপনাকে মিথ্যা দিয়ে কেউ বিভ্রান্ত করতে পারবে না। এ সংক্রান্ত আগের পোস্টগুলোর ধারাবাহিকতায় আসুন আমরা কুর'আন সম্বন্ধে একটু details জানি। ব্যাপারটাকে বলা হয় "কুর'আনিক সাইন্স" বা 'Uloomul Qur'an। ইংরেজীতে, চাইলেই, হাতের কাছে 'Uloomul Qur'an-এর ৩টি বই পাবেন - Yasir Qathi, Ahmad Von Denfer এবং Dr. Hasanuddin Ahmed লেখা। আমরা এর একটির রেফারেন্স দেবো ইনশা'আল্লাহ্, যেটির লিংক আপনাদের দেয়া যাবে, যাতে আপনারা চাইলে সরাসরি দেখতে পারেন।

কুর'আনে আল্লাহ্ নিজেকে "আল্লাহ্" ছাড়াও, "আর রহমান", "আর রহীম",
"আল মালিক", "আস সামাদ" ইত্যাদি অপূর্ব সুন্দর সব নাম ও গুণাবলীতে প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এর অর্থ কি এই যে "আর রহমান" বললে আল্লাহ্ ছাড়া আর কাউকে বোঝায়? কোন নাম সর্বস্ব মুসলিমও, উন্মাদ না হলে যেমন এহেন সম্ভাবনার কথা বলবে না - তেমনি কুর'আন নিয়ে সামান্য পড়াশোনা করা কোন কাফির মুশরিকও এধরনের কথা বলবে না। বরং আমি দেখেছি আল্লাহর ৯৯ নাম নিয়ে বিধর্মীদের মাঝেও একধরনের বিস্ময় মিশ্রিত সমীহ ও শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে [উদাহরণ স্বরূপ The Prophet Muhammad বইয়ের লেখক Barnaby Rogerson আল্লাহর নামগুলোতে এতই অভিভূত হয়েছেন যে, রাসূল(সা.)-এঁর জীবনীর বইয়ের শেষে, কিছুটা অপ্রাসঙ্গিক ভাবেই তিনি আল্লাহর ৯৯ নামের মাহাত্ম্য বর্ণনা করে একটা অধ্যায় সংযোজন করেছেন। ]

একইভাবে আল্লাহর কালাম বা speech কুর'আনকে, আল্লাহ্ নিজে কুর'আনে বিভিন্ন নামে আখ্যায়িত করেছেন যার সংখ্যা ৫৫টির কম নয়। এগুলোর কয়েকটি হচ্ছে:

# আল ফুরক্বান (২৫:১ আয়াতে উল্লিখিত)

# আল যিকির (১৫:৯ আয়াতে উল্লিখিত)

# আল তানযিল (২৬:১৯২ আয়তে উল্লিখিত)

# আল মাজিদ (৫০:১ আয়াতে উল্লিখিত)

# আল কারিম (৮০:১৩ আয়াতে উল্লিখিত)

# আল হাকিম (৩১:২ আয়াতে উল্লিখিত)

# আল কিতাব (২১:১০ আয়াতে উল্লিখিত)

# আল কিতাব মুবিন (৫:১৫ আয়াতে উল্লিখিত)

# আল কিতাব মুবারাকা (৬:১৫৫ আয়াতে উল্লিখিত)

# আল ক্বাউল ফায়সাল (৮৬:১৩ আয়াতে উল্লিখিত)

"কুর'আন" ছাড়া বাকী নামগুলো কুর'আনের সিফাত বা গুণ ব্যক্ত করে - ঠিক যেমন "আল্লাহ্" ছাড়া বাকী নামগুলো আল্লাহর গুণ ব্যক্ত করে। কুর'আনে অন্তত ১৪০ স্থানে কুর'আনকে ঐ সব গুণবাচক নাম দিয়ে উল্লেখে করা হয়েছে। আমার গোটা জীবনে আমি কোথাও কাউকে বিন্দুমাত্র সন্দেহ প্রকাশ করতে দেখিনি যে, উপরোক্ত আয়াতগুলোতে "আল ফুরক্বান" বা "আল যিকির" বলতে কুর'আন ছাড়া অন্য কিছু বোঝানো হয়েছে।

এসবই আপনাদের জানা উচিত। কারণ এই ব্লগে একজন‍ "বাঙ্গালী শিয়া" [মেঘে মেঘে কত বেলা হয়ে গিয়েছে যে, আমরা এখন "বাঙ্গালী শিয়াদের" মুখোমুখি হচ্ছি] তথা শিয়া-doctrine-এর প্রচারক এই বলে পানি ঘোলা করতে চেয়েছেন যে, ১৫:৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ্ তো যিকিরের কথা বলেছেন, কুর'আনের কথা বলেন নি - আর এই বলে তিনি ইঙ্গিত দিতে চেয়েছেন যে, কুর'আন পরিবর্তন করা যেতে পারে (নাউযুবিল্লাহ্)। এধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা "যিন্দিক"দের কাজ - যারা মুসলিম সেজে ভিতর থেকে ইসলামকে ধ্বংস করার কাজে আত্মনিয়োগ করে - পরস্পর বিরোধী যুক্তি দিয়ে যারা মানুষকে confused করে কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে হালকা বা অর্থহীন করে তোলে, সাহিত্যের ভাষায় যেটাকে বলা হয় deconstruction! আল্লাহ্ আমাদেরকে ঈমান সহকারে মৃত্যুবরণের তৌফিক্ব দান করুন। আমীন!

বিস্তারিত ও সরাসরি দেখতে চাইলে ক্লিক করুন:

Click This Link

ফি আমানিল্লাহ্!

[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:০৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×