অবিশ্বাসের পাল্লাটা বিশ্বাসকে ছাড়িয়ে গেছে সেই কবে...এখন আর কেউ কাউকে বিশ্বাসই করতে চায় না...এমনকি স্বামী স্ত্রীতেও এমনটি ঘটছে অহরহ...যাহোক বেশ কিছুদিন আগে ফেসবুকে একটি রিকুয়েস্ট পেয়ে অ্যাকসেপ্ট করলাম জলদিই...বিপরীত লিঙ্গের কিনা!!!...ও ক্ষেত্রে ‘লাভের’ সমূহ সম্ভাবনাই লক্ষ্য করা যায়...
তিনি নিজে উপযুক্তা না হলেও তার স্বজন কিংবা পরিচিত জন দিয়েও তো নিজের ব্যাচেলরপনা ঘুচানো যেতে পারে বৈ কি!
তাই হালকা বার্তার আদান-প্রদান হলো...বাংলা অভিধানে আর একটা যে নতুন শব্দ যোগ হবে...তা হলো ‘চ্যাট’ যদিও আঞ্চলিক অভিধান খুললে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হবে...ওদিকে না যাওয়াই মঙ্গল...চ্যাটে বুঝলাম বয়সটা বেশ হবে...নির্ঘাত আমার মতো পোলাপান না...
তারপরও আইডিটা ফেক কি না বিশ্বাস হয় না!...তবে তখন উনি স্ট্যাটাসে কবিতা লিখতেন না...কিছু ছবি যাতে কিছু ‘ভালো কথা’ লেখা আছে তা শেয়ার করতেন কেবল...মনে মনে সন্দেহটা রয়েই গেলো...ফেসবুক কতিপয় ফাঁকিবাজদের জায়গা বৈ কি...যাহোক ওনাকে ফোন দেয়ার জন্য বললাম...আর আমি যেহেতু এখনো সেই আদিমকালের মোবাইল ব্যবহার করি...তাই ভাইবার হোয়াটস অ্যাপ এ উনি কল দিতে চেয়েও পারেন নি...
ভাবনার অবিশ্বাসটা আরো শক্ত হলো...একটা অবিবাহিত অসহায় মানুষকে নিশ্চয়ই পরিচিত কেউ বোকা বানাচ্ছে...সন্দেহের তির কয়েকজনের দিকে...তবে ওনার কবিতার ভাষা সব সত্য প্রকাশ করে দিলো...যখন থেকে উনি স্ট্যাটাসে কবিতা দিতে শুরু করলেন তখন থেকে বুঝতে শুরু করলাম; না ফেক আইডি না...
তারপরও প্রমাণ হিসেবে যখন তিনি আমার এই অ্যানালগ ফোনেই ফোন দিলেন...তখনই বুঝলাম...তিনি প্রবাসী এক আপু...অনেক সিনিয়র...আসলে বাস্তবতা হলো উনি একজন কবি...লেখনিতেই মানুষের মনের ছবি প্রকাশিত হয়...সত্যিই কবিকে চেনালো কবিতাই...মন থেকে তার জন্য শুভকামনা...
ওনার একটা কবিতা :
আমি চলে গেলে কেউ খুঁজবেনা,
কারো ভাঙ্গবেনা বুক…
আমি ব্যাথা পেলে কেউ কাঁদবেনা,
কেউ মুছবেনা চোখ…
আমি একা একা কেঁদে কেঁদে সব ছেড়ে যাবো চলে,
কারো ডাকে আমি আর ফিরবনা…
দিন যায় দিন গুনে কষ্টের জাল বুনে,
জানবেনা কেউ কোন দিন…
আমার স্বপ্ন গুলো হয়ে গেলো এলোমেলো,
জীবনটা বর্ণ বিহীন...
[স্ট্যাটাস থেকে নেয়া]