somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার শৈশবের স্মৃতিময় দিনগুলো

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


জীবন এত সুন্দর হয় মধুময় হয় পৃথিবী কততা সুন্দর তা সুধু শৈশবে বুঝা যায় ।এখন হয়ত বড় হয়েগেছি তাই বলে কি শৈশবের কথা কখন ভুলা যায় ।শৈশবের সময় প্রতিতা সময় প্রতিতা মুহুর্ত মনে হয় জীবনের রং বদলের পালা থাকে আর ঐ সময় শুধু মনে হয় জীবনের সব কিছু কত সুন্দর । আর একবার বয়স হয়ে গেলে একটু শৈশব কালের স্মৃতিতে হাত বুলালে বোঝা যায় ।


জীবনের যত সুন্দর আছে ও যত সুখ আছে সবই শুধু শৈশবের সময় লুকিয়ে থাকা স্মৃতির ভিতরে । একেক বার মাঝে মাঝে শৈশবের জানালায় উঁকি দিতেই মনে মনে ভাবি কেন ফিরে যেতে পারি না শৈশবের দিন গুলিতে। শৈশব কালে কত গাছে গাছে ঝুলেছি ।



মুগ্ধ হওয়ার মত অনেক স্মৃতি জরিয়ে থাকে শুধু শৈশব কালে ।
মনে পড়ে জোনাক জ্বলারাতে বাঁশবাগানে মাথার উপর কাজলা দিদির কথা । মনে পড়ে মায়ের হাতে ভাত মাখিয়ে খোকনকে ডাক পারার কথা । মনে পড়ে চাঁদ মামা কপালে টিপ দিয়ে যাওয়ার কথা
আর কত শত শৈশবের মধুময় স্মতির কথা।

শৈশবে ছিল মায়ের মুখে শোনা সুয়োরানী-দুয়োরানী,পাতালপুরীর রাজকন্যা,,আর কতশত রুপ কথার গল্প মালা।জীবন আর সময় দুটোয় কেউ থেমে নেই এগিয়ে চলছে বয়সের সাথে পাল্ল দিয়ে সময় ।

আমিও থেমে নাই বয়সের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে উঠেছি । আজ অনেক বড় হয়ে গেছি ঘর সাংসার হয়ে গেছে তার পড়েও শৈশবের কথা কিছুতেই ভুলা গেলো না । মাঝে মাঝে প্রায় সময় এখন শৈশবের কথা মনে পড়ে আর শৈশব কালের সেই মধুময় স্মৃতির কথা গুলো মনে পড়তেই থমকে দাঁড়াই। অনেক সময় শৈশবের কথা মনে পড়তে দুই নয়ন আমার অশ্রুতে ভিজে উঠে ।
মনে পড়ে শৈশবে সেই লাটিম গুরানো নাটাই সূতা দিয়ে ঘুড়ি ওড়ানোর কথা।

আমি শৈশব-কৈশর কালে বেশ কিছু দিন গ্রামে কাটিয়েছি আমার সাথে আমার মা থাকতেন দাদি ছিলো চাচা ফুফু ছিলো বাবা চাকরি করায় তাকে শহরে থাকতে হয় । আত্মীয়স্বজন সকলের কলকাকলিতে আমাদের বাড়িটি ছিল মুখর-ময় । আমাদের বাড়ির পিছনে বাগান ছিল আর বাগানে আম,কাঠাল,জাম,পেয়ারা,পেপে,আর কতশত ফল আর সে ফল গাছ থেকে পেরে খাওয়ার আনন্দ লাগে তা শুধু শৈশবের কথা মনে পড়লে বোঝা যায় ।

আমাদের পরিবারে আমি ছিলাম সকলের আদরের ভিশেষ করে আমার দাদি আমাকে রাতে ঘুম পাড়াতেন নানান ধরনের রাজপুত্র দের গল্প শুনিয়ে আর আমি সেই গল্পকে বাস্তব মনে করে ঘুমের ঘরে কল্পনায় কত যে রাজ পালংকে শুয়েছি,,ময়ূরপঙ্কখিরাজে উঠে বেড়িয়ছি তা বোলে শেষ করা যাবে না ।


বাড়ির পাশ্বে ছিল স্কুল আর শৈশবের কত সময় কেটে গেছে স্কুলের মাঠে,,গোল্লাছুট,,কানামাছি,,বউচি,,ফুলটোকা,,সাত চারা ,,আর কত শত খেলা ।



বাড়ির পাশ্ব দিয়ে চলে গেছে রেল লাইন আমরা বিকেল বেলা যেতাম সেই রেল লাইনের ধারে বেরাতে আর রেল লাইনের দুইপাশ্বে ছিল অনেক বরই গাছ আমরা কত যে সে বরই গাছ থেকে বরই খেয়েছি তাও নাই জানা।

খালের পানিতে ভেসে থাকত কত কচরিপানা আর যখন সে কচরিপানাতে বেগুনী রংঙ্গের ফুল ফুটতো তা চেয়ে চেয়ে অনুভব করতাম পৃথিবী কতই না সুন্দর আর তারাও আমাকে বেশ আকর্ষন করতো।
কত ছোট ছোট তুচ্ছ জিনিস গুলোকে মনে হোতো পৃথিবীর সব থেকে মহামূল্যবান জিনিস ।

একবার আমি মার কাছ থেকে আবদার করে একটি টিনে বাক্স চেয়ে নিলাম আর তাতে অনেক যত্ন করে তুলে রাখলাম আমাদের
পুরোনো দিনের ভাংঙ্গা রেডিও ,,আমার বাবার হাতের সিকোফাইব সে ঘড়ি টা,, এবং আমার একটি কলম আর কতশক জিনিস।
কে ফিরিয়ে দিবে আমাকে সে শৈশবের স্মৃতিময় দিন গুলি ।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৪
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×