somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নিরাশ পরশ
প্রচলিত প্রবাদে আছে, "দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো", এই পৃথিবীতে কারো কাছে আমি সেই 'দুষ্ট গরু' ! আবার ওপর এক প্রবাদে আছে, "নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো", কারো কাছে আ­মি সেই 'কানা মামা' ! ফেসবুক: নিরাশ পরশ

"মলীন ডায়েরীর একটি ছেড়াঁ পাতার অবশিষ্ট্য কিছু কথা......"

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মিথ্যা আর সত্যের মাঝে আসলেই এই পৃথিবীর সবকিছুই জড়িঁয়ে পেচিঁয়ে থাকে। হয় সত্য দিয়ে সবকিছু শুরু হয়, না হয় তো মিথ্যা দিয়ে সবকিছু শুরু হয়। আর শুরু যখন হয় তখন তো অবশ্যই শেষটাও বিদ্যমান থাকতে হবে। তাই অবধারিতভাবে, হয় সত্য দিয়েই সব শেষ হবে, নতুবা মিথ্যা দিয়েই সবকিছুর ইতি ঘটবে, হতে পারে সেটা সময়ে অথবা অসময়ে......অথচ এই ইতিবৃওের ইতিহাস আমাদের আশেপাশের ছড়িঁয়ে থাকা আপন অনেক মানুষেরা কখনোই তা সঠিকভাবে জানতেও পারবে না !! কারন সব ডায়রীর সব পাতা সবসময় প্রকাশিত হয়ে ওঠে না.............।

সকলকিছুর মাঝে সত্য আর মিথ্যার চাহিদা একটি সরলরেখার দুই প্রান্তের ন্যায় বিপরীতমুখী হয়ে থাকলেও একটিই রেখায় আছে বলেই আমরা প্রত্যকটি মানুষই কখনো না কখনো নিজের ফেলে আসা অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ অবস্থার কথা মনটা লাগিয়ে ভাবতে থাকি । আর সেটা হয়তো হয়ে থাকে ঘুমতে যাওয়ার আগে, না হয়তো বিকেলের কোন এক অবসাদে। আর যাহারা আমরা মনটা লাগিয়ে ভাবতে ভাবতে প্রচন্ড ক্লান্ত হয়ে পড়ি, তখন তাহারা আমরা আমাদের চোখ জোড়াঁ দিয়ে বহুল আলোচিত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, ফেসবুকে অথবা নতুন নতুন মুভির প্লটে নতুন ধাচেঁর মানবিক আশ্রয় খুজেঁ খুজেঁ আবারো সেই ক্লান্তই হয়ে থাকি, আর এসবকিছুই ঘটে যায় আমার এবং আমাদের সবারই নিজস্ব স্বাধীনতার একান্ত ব্যক্তিগত নামক মনের জগতে !! এই হলো আমাদের বেশিরভাগ মানুষের ক্লান্তির ভারে নুয়ে পড়া মনের আপেক্ষিক দশা ।
আর অপর দিকে, প্রকৃত সত্য আর মিথ্যা নির্ধারনের এখনো কোন প্রকৃত পরিমাপক যন্ত্র আবিষ্কার হয়নি বললেই চলে, আর তাই আমরা অনেকেই নিশ্চিন্তে নির্ভীঘ্নে বুক ফুলিয়েঁ-মুখ রাঙ্গিয়ে-কোমড় দুলিয়েঁ এই সমাজে একপ্রকার বেহায়াভাবেই কেউ ক্যাটওয়াক, কেউবা আবার লায়­নওয়াক, আবার কেউ টাইগারওয়াক ছাড়াও আরো কত ধরনেরই ওয়াক করে চলি......বিন্দুমাএ অন্তদহ হয়না !!!
আহা !! তারমানে কি শান্তি, তাই না? কিন্তু, না । সকলেরই একদিন সকল মিথ্যার হিসেব বুঝে নেবার সময় আসে । না চাইলেও বুঝে নিতে হবে ।
আসলে আমরা এই ধরনের ঘৃণিত কাজ করি এটা ভেবে যে, আমাদের বিপরীত দিক কেউ তো বুঝতে পারে না, কেউ আমাদের মনের প্রকৃত সত্য-মিথ্যা জানতে পারে না, কেউ না........এমনকি স্বয়ং কাছে থাকা ভালোবাসার মানুষটিও না !!
বিজ্ঞানের আবিষ্কারকেরা নিবীড়ভাবে মনে করে থাকেন যে, এই পৃথিবীটা একটি এিমাএিক সূএ দ্বারা গঠিত । আর সেই সূএটির উপাদানসমূহ হলো স্থান, কাল ও পাএ । তাদের মতে, এই তিনটি উপাদানের যে কোন একটিকে মানুষ যদি অতিক্রম করতে পারে, তাহলে সে পুরো পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় জিইয়ে রাখতে পারবে।
এখন কথা হলো, আমরা সাধারন মানুষ হয়ত এই সকল উচ্চবর্গীয় উপাদান অর্জনে কখনোই প্রতিষ্ঠিত হবো না। কিন্তু এই তিনটি উপাদানকে যদি স্মরণ রেখে খেয়াল করে আমরা আমাদের প্রত্যকটি মুহূর্ত সাজাই এবং একটু প্রকৃতভাবে সজাগ থাকি, তাহলে খুব সহজেই আমরা আমাদের আশেপাশের সেইসকল মানুষগুলোর ইতিবাচক মনোভাবের পাশাপাশি তাদের প্রতারনা করার , মাএাতিক স্বার্থপরতার, হিংসাত্মক ধরনের কাজের, সর্বাত্মক ধোকাঁ দেবার এবং মুখে এক, মনে আরেক এই ধরনের মনোভাব গুলোকে অবধারিতভাবে বুঝতে পারবো। এর জন্য আয়োজন করে অতি পন্ডিত অথবা পীড় দরবেশ হবার প্রয়োজন নেই।
পরিশেষে একটা কথা বলতে খুব ইচ্ছে করছে, এরপরও 'সত্য' কে তুচ্ছতাচ্ছিন্ন করে যদি আপনার নিজ চোখ-কান- নাক-মুখ বুজেঁ আশেপাশের মানুষটিকে ভালোবেসে যেতে চান? আমি তখন একটি কথাই বলবো, কোনই সমস্যা নেই তাতে.........।
তবে মনে রাখবেন, এতে একসময় অবশ্যই মিথ্যে দিয়ে ঘেরা আপনার আশপাশটাই আপনারই দম বন্ধ হবার উপক্রম হয়ে আসতে পারে, কারন আপনার বিবেকের সবকিছুই যে প্রকৃতভাবেই বুজাঁনো....!!!!

সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৫
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×