***সতর্কতা: এটি লেমন জ্যুস, তবে লেবু কচলানি নয়***
ফ্যাবিয়ানো ওটা "হ্যান্ডলিং দ্যা বল" (ইচ্ছাকৃত) হয়েছে কিনা সেটা বিচারের সম্পূর্ণ দায়িত্ব ছিলো রেফারীর - যদি তিনি সেটা দেখে থাকেন। আমি রেফারীকে হাসতে হাসতে ইশারাও করতে দেখেছি টিভিতে হ্যান্ডবলের ব্যাপারটা.....তাই ধারণা করেছি তিনি জানতেন। জেনেও তিনি কেন এমনটা করলেন সেটা বলা অবশ্য মুশকিল। আমার মনে হয় যারা ফুটবল দেখেন তাদের সবাই জানেন রেফারীরা কতোটা খামখেয়ালী হন। (জামার্নী-সার্বিয়ার ম্যাচটা মনে করেন - রেফারী ৯টা হলুদ কার্ড দেখাইসে পুরা ম্যাচে আর ক্লোজাকে দুইটা দেখিয়ে বের করে দিসে......) বিশ্বকাপের ইতিহাসে মজার ঘটনাগুলোর অধিকাংশটা জুড়েই রেফারীদের গল্প। "হ্যান্ড অফ গড" বলে কিছু নেই, কিছু যদি থাকে তবে সেটা হলো রেফারীর ভুল সিদ্ধান্ত বা স্পট করার অক্ষমতা। আজ পর্যন্ত কোন ফুটবলারকে দেখেনি রেফারীকে গিয়ে বলতে - "ভাই বলটা আমার হাতে লেগেছে, গোলটা ক্যান্সেল করেন".......Why should this be any different? তবে এ ধরনের গোলের সৌন্দর্য্যটা কেড়ে নেয় ঐ হাতটাই। এক্ষেত্রে তো তাও বলটা জালে যাওয়ার আগে পায়ের ছোঁয়া পাইসিলো।
তবে একটা কথা অবশ্যই বলা প্রয়োজন - আর তা হলো যদি ফ্যাবিয়ানো অনিচ্ছাকৃতভাবে বলে হাত লাগিয়ে থাকেন তাহলে এটি অবৈধ হওয়ার প্রশ্নই আসে না। আর রেফারী যে পরে "হাত দেখিয়ে ইশারা করেছেন" সেটি হতে পারে যে তিনি বুঝিয়েছেন - বল হাতে লাগার বিষয়টি তিনি জানেন। সেক্ষেত্রে জানা সত্ত্বেও যেহেতু তিনি গোল বাতিল করেননি, তাই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছা সম্ভব যে তিনি এটিকে ইচ্ছাকৃত হ্যান্ডলিং দ্যা বল মনে করেননি।
***একটা ছোট কথা উল্লেখ করে রাখি। ধরেন ফ্যাবিয়ানো/হেনরী/মেসি রেফারীর কাছে গিয়ে স্বীকার করতো যে তারা হাত দিয়ে গোল দিসে। তাতে কি কোন লাভ হতো?
ফিফার অফিশিয়াল ল' বুকের রুল ৫ বলছে:
The decisions of the referee regarding facts connected with play, including whether or not a goal is scored and the result of the match, are final.
The referee may only change a decision on realising that it is incorrect or, at his discretion, on the advice of an assistant referee or the fourth official, provided that he has not restarted play or terminated the match.
অনুবাদ: খেলা সংক্রান্ত যে কোন সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে রেফারীর সিদ্ধান্তই শেষ সিদ্ধান্ত - সেটি গোল হওয়া বা না হওয়ার সিদ্ধান্ত বা খেলার ফলাফল নির্ধারণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন।
রেফারী শুধুমাত্র তখনই তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন যখন তাঁর মনে হবে যে সিদ্ধান্তটি ভুল অথবা তার ইচ্ছানুযায়ী অথবা সহকারী রেফারীর পরামর্শ অনুযায়ী অথবা চতুর্থ অফিশিয়ালের পরামর্শ অনুযায়ী। তবে শর্ত থাকে যে তিনি খেলা নতুন করে শুরু করতে পারবেন না বা ম্যাচ বাতিল করতে পারবেন না।
সুতরাং কোন লাভই হতো না ঐ সততা দেখালেও। রেফারী তার মত পাল্টাতে পারতেন না ফিফার নিজস্ব আইন অনুযায়ীই। ফিফার ল' বুকটি ডাউনলোড করতে পারেন এখান থেকে: View this link
ঠিক তেমনি খামখেয়ালিপণা চোখে পড়েছে কাকার সিদ্ধান্তেও। কাকাকে দেখানো দ্বিতীয় হলুদ কার্ডটা মোটেও জাস্টিফাইড না। পুরো ম্যাচে আইভরি কোস্ট ফাউল করে ফেলেছে - আফ্রিকান ফুটবলের আসল ডার্ক সাইড এটাই। স্পেশালি এলানোকে ওরা যেভাবে মাঠছাড়া করলো তাতে আমি মর্মাহত! তবে আমার বারবার মনে হচ্ছিলো কাকাকে দুঙ্গার আরো আগেই সাবস্টিটিউট করা উচিৎ ছিলো। তবে অনেকদিন পর কাকা ফিট থাকায় তিনি হয়তো চেয়েছিলেন তাকে পুরো ৯০ মিনিট খেলাতে। মাঠ থেকে বের হওয়ার সময় কাকার হাসিটা ভালো লেগেছে - অনেক কিছু বলে দেয় হাসিটা।
প্রাসঙ্গিকতায় রিভাল্ডোর কথা উঠে এসেছে - এবং কথাটা সত্য। ২০০২ এ রিভাল্ডোও ঐরকম (নাকি এর চাইতেও বেশি?) ওভারএ্যাক্টিং করে তুরস্কের এক প্লেয়ারকে রেড কার্ড পাইয়িছিলেন।
ফিফার কাছে আপিল করে কোন লাভ হবে না - মোটামুটি শিউর। এর চাইতে ব্রাজিলের এখন পরবর্তী মিশনের দিকে নজর দেয়া উচিৎ। সেটা হলো কাকাকে ছাড়া ম্যাচ জেতার মিশন। সেটা খুব একটা কঠিন হবে বলে মনে হয় না।
আপততঃ কাকার চেয়ে ব্রাজিলের বেশি ভাবা উচিৎ কি করে কোন গোল না খেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় সেটা নিয়ে। ব্রাজিলের খেলার এই একটা দিকই ভালো লাগছে না এবার। এমনিতে আমার কোন অভিযোগ নাই অন্ততঃ এই দুই ম্যাচের পরিপ্রেক্ষিতে। কালকের খেলায় প্রথম গোলটা আমার অসাধারণ লেগেছে।
ব্লগের অবস্থা এখন - "শালা তুই মরলে আমি বাঁচি"......এই টাইপ.......আর কয়েক বছর পর বাংলাদেশের ফুটবল সমর্থকদেরকে নিম্নশ্রেনীর মানসিকতার লোক বলে অভিহিত করলেও অবাক হবো না.......
সমর্থক হওয়ার পাশাপাশি দর্শক হওয়াটাও জরুরী.......
নিজের দলের দোষ আর গুণ দু'টোই স্বীকার করে নেয়ার মানসিকতা থাকা উচিৎ.......
খালি দেখি আর হাসি........
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:২৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



