somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি কেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা চাইনা (১/২)।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এসএসসি পরীক্ষার পর জুনিয়রদের কাছ থেকে রবীন্দ্রনাথের গল্পগুচ্ছ উপহার পেয়েছিলাম, এটা এখন পর্যন্ত আমার সবচেয়ে প্রিয় উপহার! হয়ত সময়টাই এমন ছিল যে সুন্দর বাঁধানো কাভারে পীর রবীন্দ্রনাথের দরবেশের মত লম্বা দাড়ি আর আলখাল্লা পড়া ছবি দেখে আর এরকম একটা বইয়ের মালিক হতে পেরে নিজেকে বড় হয়ে গিয়েছি মনে হত। সেখানেই কোন একটা গল্পে "ফিলিস্টিন" শব্দটা পড়েছিলাম। এ. টি. দেবের ডিকশনারী ছিল, সেখানে যতদুর মনে পড়ে পেয়েছিলাম ফিলিস্টিন শব্দটার অর্থ, যারা গ্রাম্য-অভব্য আর সভ্যতার আচার-আচরন জানেনা, (মানে অন্তরে যা বাইরেও তা), সাহিত্য বুঝেনা, শিল্পকলার থোড়াই কেয়ার করে, এরকম লোককে ফিলিস্টিন (philistine) বলা হয়। সভ্যতা আমার পছন্দ না, সব সভ্যতাই ডাকাতি আর লুটপাটের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত এবং টিকেও থাকে ভন্ডামি আর ডাকাতির মাধ্যমে। সভ্যদের আরো পছন্দ না, সভ্য মানেই ভন্ড, ভিতরে একরূপ বাইরে আরেকরূপ, সামনে গুডমর্নিং, পিছনে যা শালা! প্যালেস্টাইন বা ফিলিস্তিন শব্দের সাথে ফিলিস্টিন শব্দের এত সাযুজ্য থাকাতে আমার সবসময় টিভিতে ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলি বোমাহামলা, ট্যাংক চলা আর আরাফাতের চেহারা টিভিতে দেখলেই "ফিলিস্টিন" শব্দটার কথা মনে পড়ত। তবে এ দুটা শব্দ যে সম্পর্কিত সেটা তখন জানতাম না। সেটা জেনেছি বছর কয়েক আগে, মনে হয় নওম চমস্কি বা জিমি কার্টার, এদেরই কারো একটা বইয়ে জেনেছি। ফিলিস্টিন বলা হয় ফিলিস্টিয়া নামক বাইবেলে উল্লেখিত একটা রাষ্ঠ্রের জনসাধারণকে। উইকিপিডিয়ায় দেখলাম আনুমানিক খ্রীস্টপূর্ব ১২০০ সালে পাঁচটা শহর-রাষ্ঠ্র নিয়ে এই ফিলিস্টিয়া রাষ্ঠ্রটি গঠিত ছিল। গাজা এর মধ্যে একটি, বাকিগুলো এখন ইসরায়েলের দখলে। বাইবেলমতে এই ফিলিস্টিনরা সেসময়ও ইসরায়েলের চরম শত্রু ছিল। এখনও আমেরিকার গীর্জাগুলোতে খ্রীস্টান জায়নিস্টরা বাইবেলের এই রেফারেন্স দিয়ে ফিলিস্টিনিরা যে সবসময়ই ইসরায়েলের শত্রু ছিল সেটা বুঝিয়ে দেয়, জনগন শত্রু ছাড়া বাঁচতে পারেনা, তাই তারাও এটা বেশ পছন্দ করে। এম্নিতেই উন্নত দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ঠ্রের জনগনই সবচেয়ে মৌলবাদী। বিশেষ করে যখন দেখে যে এখনকার ফিলিস্টিনরা খ্রিস্টিয়ানিটির হাজার বছরের শত্রু মুহাম্মদের অনুসারীরাই, তাদের বিরুদ্ধে জয় মানে খারাপের বিরুদ্ধে ভালর জয়। প্রায় ১২০০-১৩০০ বছর খারাপের প্রতিনিধিত্বকারী মুহাম্মদের অনুসারীরা ভালর প্রতিনিধিত্বকারী জিসাসের অনুসারীদের উপরেছড়ি ঘুরালেও, শেষ পর্যন্ত যে সত্যের জয় হয়, ভালত্বের জিত হয়, সেটাই অনেক জায়নিস্ট খ্রীস্টান পাদ্রী গীর্জায় খোৎবা দেওয়ার সময় বেশ বাগ্মীতার সাথেই বুঝিয়ে দেয়। আমেরিকানরা যে ফিলিস্তিনি জনগনের অধিকার আদায়ের বিপক্ষেই থাকে সবসময়, তার একটা বড়কারন এটা। বাইবেল মতে ইজরাইলিরা "চুজেন পিপল", লিটারেলিস্ট এবং মৌলবাদী ক্রীস্টানদের (ফেইথফ্রিডম এরাই চালায়) বিশ্বাস জিসাস-এর পূণরাগমনের জন্য সকল ইহুদীদেরকে খ্রিস্টান হতে হবে আর সেটা হবে তাদের পিতৃপুরুষের দেশ, ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে সব ইহুদী যদি একত্রিত হয় তখনই। তাই তারা জ্যোসের সাথে ইজরাইল রাষ্ঠ্রের পক্ষে থাকে সবসময়। আবার এইপ্যাক (AIPAC) এবং এডিএল (ADL) এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে মিডিয়া, মুভি ইত্যাদিতে সংঘবদ্ধভাবে মিথ্যাচরন করা, হলিউড, সিএনএন, ফক্স, নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, টাইম, নিউজউইক, ইকনমিস্ট ইত্যাদি মাধ্যমে গোয়েবলসীয় কায়দায় প্রচারনা করা। আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ হচ্ছে এমেরিকান জনগন রেড-ইন্ডিয়ানদের এক্সটারমিনেইট করাজনিত কারনে প্রায়শ্চিত্ত-মনোভাবের হওয়া, নিজেরা ইমিগ্র্যান্ট হওয়া এবং ওপনিবেশবাদী ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা পাওয়া, এসব কারনে সবসময়, যদি সঠিক তথ্য জানে, তাহলে সবসময় অত্যাচারিতের পক্ষে থাকে। কিন্তু ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে সেটা দেখা যায়না। কারনটা উপরেই বলেছি।

প্রথম আলোতে দেখলাম ফিলিস্তিনকে ঠেকাতে তত্পর পশ্চিমারা এই নামে একটা সংবাদ পরিবেশন করেছে। ধারণা দেওয়া হচ্ছে ইসরায়েল এবং তার বন্ধুরা ফিলিস্তিনি রাষ্ঠ্রের জাতিসংঘে রাষ্ঠ্র স্বীকৃতি দেওয়াটা যেকোন উপায়ে ঠেকাবে, অন্তত যুক্তরাষ্ঠ্র সবসময়ের মতই ফিলিস্তিনিদের ন্যায়সংগত অধিকারের বিরুদ্ধে তার ভেটো পাওয়ার প্রয়োগ করবে। উল্লেখ্য ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ একতরফাভাবে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ঠ্র ঘোষণা করার পক্ষে বিল আনবে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ না বলে দালাল মাহমুদ আব্বাসের সরকারের কথাই বলি। গাজায় পিএলও-র কর্তৃত্ব নাই। পশ্চীমতীরে পিএলও-র কর্তৃত্ব থাকলেও জনপ্রিয়তা নিতান্তই কম। মূলকারন পিএলও-র পশ্চিমাতোষণ, ইসরাইলি মোসাদের সহচর হিসেবে কাজ করা, ফিলিস্তিনি অধিকার নিয়ে সোচ্চার না হওয়া এবং পা থেকে মাথা পর্যন্ত আপাদমস্তক দুর্নীতিতে নিমজ্জিত থাকা। ফেইসবুকে নরমান ফিংকলস্টাইনের পেইজে পড়লাম জাতিসংঘের এই ভোটের আগে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের জন্য টিয়ার গ্যাস, গ্রেনেইড ইত্যাদি মন্জুর করেছে। যদি জাতিসংঘের এই ভোটের সময় ফিলিস্তিনে অভ্যন্তরে চরম প্রতিবাদ-মিছিল-মিটিং দেখা যায়, তাহলে দালাল মাহমুদ আব্বাস ইসরায়েলের পক্ষ হয়ে সেসব প্রতিরোধ করবে। উল্লেখ্য এর আগেও কয়েকবার গাজা অবরোধের সময় আব্বাসের সরকার পশ্চিমতীরে যাতে কোন প্রতিবাদ নাহয় সেজন্য ব্যবস্থা নিয়েছিল, কারন হামাসের জনপ্রিয়তা পিএলও-র জনপ্রিয়তা ছাড়িয়ে যাচ্ছিল, যেহেতু হামাস সৎ, ফিলিস্তিনের জেনুইন স্বার্থের পক্ষে এবং ইসলামিক-রুটস থাকলেও মৌলবাদী না, প্রগতিশীল এবং আধুনিক চিন্তাধারার অধিকারী। তাদের উর্ধ্বতন সাংঘটনিক কাঠামোয় প্রচুর মহিলা আছে এবং তারা গাজায় প্রচুর স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় চালায়। তবে আব্বাসের পিএলও, হুসনি মোবারকের ইজিপ্ট, দালাল জর্ডান এবং অন্যান্য স্বৈরাচারী আরব সরকার, মোসাদ এবং আইডিএফ মিলে হামাসকে বিভিন্নভাবে চরম অসহায় করতে সমর্থ হয়েছে। গাজা এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড়, নির্মম এবং খারাপ রিফিউজি ক্যাম্প। এখানে মানুষ যে এখনও আশা নিয়ে বেঁচে আছে সেটা সৃষ্টিকর্তার বড় মিরাকল ব্যতিত কিছুই না।

একদিকে বলা হচ্ছে ইজরায়েল এবং যুক্তরাষ্ঠ্র আব্বাসের একতরফাভাবে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি স্বাধীনরাষ্ঠ্রের বিল ঠেকাবে, অন্যদিকে এরকম বিল উথ্থাপন করলে ফিলিস্তিনে যে চরম প্রতিবাদ সম্মেলন হবে তা ঠেকানোর জন্য ইজরায়েলই আব্বাসকে অস্ত্রশস্ত্র দিচ্ছে। কাহিনী ঠিক মিলছেনা! বুঝা যাচ্ছে ফিলিস্তিনি জনগনের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ আব্বাসের এই পদক্ষেপের বিরোধী। তাছাড়া আব্বাস সকল ফিলিস্তিনি জনগনকে প্রতিনিধিত্ব করেনা। ইজরায়েলের মোসাদের এবং আইডিএফের একটা বড় অংশ চায় এই বিল পাশ হোক। তবে আমেরিকায় জায়নবাদী এইপ্যাক, এডিএল এরা এখনও চায়না এই বিল পাশ হোক। আমেরিকার মধ্যপ্রাচ্যের পলিসি ঠিক করে দেয় এইপ্যাক এবং এডিএল। আবার সবসময় এইপ্যাক এবং এডিএল ইজরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার কথায় বরাবর শুনেছে। এবারই দেখা যাচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থার একটা উল্লেখযোগ্য অংশ আর এইপ্যাক, এডিএলের মতামতে কিছুটা অমিল ধরা পড়ছে।

ফিলিস্তিনের ইতিহাস বলা সম্ভব না, অনেক লম্বা কহিনী। ১৯৪৮ সালে ইজরায়েল যখন পরিপূর্ণভাবে ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখল করল, যা এর আগের প্রায় অর্ধ-শতকের জায়নবাদী সন্ত্রাসবাদ, সুইসাইড-বম্বিং এবং নির্বিচারে প্রায় নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদেরকে হত্যা, ডিস্প্লেসমেন্ট এবং ব্রিটিশ বিশ্বাঘাতকতার মাধ্যমে সম্ভব হয়েছিল, তখন মিশর গাজা এবং জর্ডান পশ্চিম তীর দখল করল। ৬৭ সালের ছয়দিনের যুদ্ধে ইজরায়েল পশ্চিমতীর এবং গাজা পূনর্দখল করে নিল। এখানে উল্লেখ্য যে ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আমরা মুসলমানরা সাধারণত ইজরায়েল এবং এমেরিকাকে মূল ভিলেইন মনে করি। সত্যি বলতে কি ইজরায়েল মূল শত্রু হলেও মধ্যপ্রাচ্যের স্বৈরাচারী রাজা/সেনাশাসক নিয়ন্ত্রিত জর্ডান, মিশর, অন্যান্য আরবরাষ্ঠ্র সমানভাবে দায়ী। প্রকৃতপক্ষে ফিলিস্তিনিদের প্রতি অবিচারের জন্য সারাবিশ্ববাসীই কোন না কোনভাবে কমবেশী দায়ী, যদিও মূল অপরাধী জায়নিস্টরা, ব্রিটিশ ওপনিবেশবাদীরা এবং আরব রাজারা। ইজরায়েল রাষ্ঠ্রের প্রতিষ্ঠা, ফিলিস্তিন রাষ্ঠ্রের এবং জনগনের উপর অত্যাচার এবং যুক্তিসংগত, ন্যায়দাবির প্রতি নগ্নভাবে, প্রকাশ্য দিনের আলোয় বিশ্ববাসী - বিশেষ করে পশ্চীমাদের - বৃদ্ধাংগুলি প্রদর্শন আধুনিক বিশ্বের বা বিংশ শতকের সবচেয়ে বড় অনাচার। এই সংগ্রামের ইতিহাস দেখলে একটা প্রশ্ন মনে উদয় হয় শুধু - "এটা কিভাবে সম্ভব, এই বিংশ শতকে?"।
বিশ্ববাসীর নাকের ডগায় বসে, সবার চোখের সামনে, এতবড় অনাচার কিভাবে হয়ে গেল, এই তথাকথিত সভ্য জামানায়?

বর্তমানে পশ্চিমতীর এবং গাজা নিয়ে ফিলিস্তিনি রাষ্ঠ্র গঠনের কথা বিশ্ববাসী, যুক্তরাষ্ঠ্র এবং ইজরায়েল(?) মেনে নিয়েছে। পূর্ব জেরুজালেম নিয়ে কিছুটা রিজার্ভেশান আছে। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এবং জনগন পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনিদের অধিকার মনে করে, শুধু ইজরায়েল, যুক্তরাষ্ঠ্র এবং মাঝে মাঝে কিছু ইইউ ডিপ্লোমেটরা পূর্ব জেরুজালেমের উপর ফিলিস্তিনি সার্বভৌমত্ব মানতে রাজিনা। দুই-রাষ্ঠ্র সমাধানের ধ্বজাধারীরা কিভাবে এরকম একটা রাষ্ঠ্র গঠন হবে সেটা নিয়ে কোন চিন্তা করেছে বলে মনে হয়না, করলেও সেটা কিভাবে বাস্তবায়ন হবে সেটাও পরিষ্কার না। অবাক লাগে সারাবিশ্বের মানুষ কিভাবে দু-রাষ্ঠ্র সমাধানের কথা মেনে নিয়েছে? ইজরায়েলের রক্ষণশীল অংশ এবং জায়নিস্টরা চায় সমস্ত পশ্চিম তীর, গাজা, পূর্ব জেরুজালেম, গোলান হাইটস সবকিছুই ইহুদী রাষ্ঠ্রের অধিকারে যাক, কারন বাইবেলে ইয়হুয়া (গড) তাদেরকে এই অধিকার দিয়েছে, তারা তিনহাজার বছর ধরে এই অধিকার পাওয়ার জন্য স্বপ্ন দেখেছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। এখন যখন তাদের পূর্বপুরুষের স্বপ্ন অনেকটাই সত্যি হল, তখন বাকি স্বপ্ন পূরণ না করে খেমা দেওয়া হলে সেটা গডের পরিকল্পনার বিরোধী হবে। ফিলিস্তিনিরা পদ্ধতিগতভাবে পালিয়ে যাক অন্যান্য দেশে অথবা ক্রমান্বয়ে বিপন্ন প্রজাতি হয়ে যাক। তাইঈজরাইলি রক্ষণশীলরা দু-রাষ্ঠ্র সমাধান কোনদিনই করতে দিবেনা। ইজরায়েলে এরকম চিন্তাধারার অধিকারী মানুষের সংখ্যা অর্ধেকের কাছাকাছি, তাই কোন সরকারই সাহস করে কোনদিনই দু-রাষ্ঠ্র সমাধানে কার্যত পদক্ষেপ নিবেনা জনপ্রিয়তা হারানোর ভয়ে। এম্নিতেই ইজরায়েলের নির্বাচনে কোন দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়না, অদূর ভবিষ্যতে পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই। তিনচারটা দল মিলে সরকার গঠন হয়, যাদের আদর্শে তেমন মিল নেই। বামপন্থি যেসব পত্রিকা (যেমন হারেজ) ফিলিস্তিনিদের অধিকারের কথা বলে তারা ফ্রিন্জ এলিমেন্ট। তাছাড়া ইজরায়েল ক্রমাগতভাবে সেটলমেন্ট গড়েই তুলছে সমস্ত জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক, এমনকি যুক্তরাষ্ঠ্রের, মতামত তোয়াক্কা না করে। অর্ধমিলিয়নেরও বেশি ইহুদী সেটলার গাজা এবং পশ্চিমতীরে বাস করছে ইজরায়েলি সেনার প্রত্যক্ষ ছায়ায়। গাজায় সেটলমেন্ট কমানোর পর ওয়েস্টব্যাংকে দ্বিগুন উৎসাহে অনেকগুন বেশি হারে সেটলমেন্ট প্রতিষ্থাপন করা শুরু করেছে। কারন পশ্চিমতীর আকারে বড়, তাই এখান থেকে বানরের রুটি খাওয়ার মত একটু একটু করে নিয়ে নিলে সেটা কম ধরা পড়বে। পূর্ব জেরুজালমের সার্বভৌমত্ব কার হাতে থাকবে এ সমস্যাও কোনদিনই সমাধান হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এ পরিস্থিতিতে দু-রাষ্ঠ্র সমাধান শুধুই দিবাস্বপ্ন।

(পরের পর্বে সমাপ্য।)
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:৪৫
২১টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাগতম ইরান

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৩

ইরানকে ধন্যবাদ। ইসরায়েলকে দাত ভাঙ্গা জবাব দেওয়ার জন্য।

হ্যাঁ, ইরানকে হয়তো এর জন্য মাসুল দেওয়া লাগবে। তবে, কোন দেশ অন্য দেশের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপে করবে আর সেদেশ বসে থাকবে এটা কখনোই সুখকর... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৯




আমরা পৃথিবীর একমাত্র জাতী যারা নিজেদের স্বাধীনতার জন্য, নিজস্ব ভাষায় কথা বলার জন্য প্রাণ দিয়েছি। এখানে মুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান চাকমা মারমা তথা উপজাতীরা সুখে শান্তিতে বসবাস করে। উপমহাদেশের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্যা লাস্ট ডিফেন্ডারস অফ পলিগ্যামি

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০


পুরুষদের ক্ষেত্রে পলিগ্যামি স্বাভাবিক এবং পুরুষরা একাধিক যৌনসঙ্গী ডিজার্ভ করে, এই মতবাদের পক্ষে ইদানিং বেশ শোর উঠেছে। খুবই ভালো একটা প্রস্তাব। পুরুষের না কি ৫০ এও ভরা যৌবন থাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রিয় কাকুর দেশে (ছবি ব্লগ) :#gt

লিখেছেন জুন, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৩



অনেক অনেক দিন পর ব্লগ লিখতে বসলাম। গতকাল আমার প্রিয় কাকুর দেশে এসে পৌছালাম। এখন আছি নিউইয়র্কে। এরপরের গন্তব্য ন্যাশভিল তারপর টরেন্টো তারপর সাস্কাচুয়ান, তারপর ইনশাআল্লাহ ঢাকা। এত লম্বা... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেরত

লিখেছেন রাসেল রুশো, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:০৬

এবারও তো হবে ইদ তোমাদের ছাড়া
অথচ আমার কানে বাজছে না নসিহত
কীভাবে কোন পথে গেলে নমাজ হবে পরিপাটি
কোন পায়ে বের হলে ফেরেশতা করবে সালাম
আমার নামতার খাতায় লিখে রেখেছি পুরোনো তালিম
দেখে দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×