somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অযৌক্তিক ভ্রমণ

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঘুরাঘুরির অভ্যাসটা শুরু হয়েছিল ক্লাস টেনে যখন থেকে ক্লাস পালানো শুরু করেছিলাম তখন থেকে । তখন আমাদের মনে হত ,"মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়"-এর একটা বড় মাপের ঐতিহ্য ক্লাস পালানো । আর স্কুলের সিনিয়র ছাত্র হিসেবে এই ঐতিহ্য ধরে রাখাটাকে আমরা আমাদের দায়িত্ব বলেই মনে করেছিলাম । মনে পড়ে , একদিন যথারীতি দায়িত্বের ভার মাথায় তুলে নিয়ে ক্লাস পালিয়ে কমলাপুর চলে গেলাম আমি আর আমার দুইটা ফ্রেন্ড । গিয়ে ঢুকলাম শহরতলী প্লাটফর্মে । তারপর ত্রিশ টাকায় তিনটা টিকিট কিনে চলে গিয়েছিলাম নারায়ণগঞ্জ । এটা ছিল আমাদের তিনজনেরই আম্মু আব্বু ছাড়া ট্রেনে প্রথম জার্নি । ঐদিনের পরে আরও অনেকবার ঐ একই জায়গায় গিয়েছি আমরা । ট্রেনে কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ যাওয়া , স্টেশন থেকে বের হয়ে নৌকায় করে শীতলক্ষ্যার ওপারে যাওয়া , আবার ষ্টেশনে ফিরে ট্রেন ধরে কমলাপুর আসা এভাবেই চলছিল বেশ কিছুদিন । যদিও খারাপ ছিলনা , তবুও এক জায়গাতে আর কত ! এই ভেবে নারায়ণগঞ্জ যাওয়া বন্ধ করেছিলাম , কিন্তু ঘুরাঘুরি বন্ধ থাকেনি । স্কুল পালিয়ে এই জার্নিগুলো থেকেই "জার্নি" শব্দটা মনের অগোচরেই এঁটে গেছে আমার সাথে দৃঢ়ভাবে । জার্নি এখন আমার নেশা হয়ে গেছে ।
আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগার একটা জার্নির কথা শেয়ার করছি । এই জার্নিটা করা হয়েছিল শব-ই বরাতের রাতে । যে রাতে সবাই নামাজ পড়ে সেই রাতে । আগেরই প্লান ছিল আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে শব-ই বরাতের রাতটা কাজে লাগাবো । রাতের বেলায় জার্নির এরকম সুযোগ একদমই আসেনা । তাই এই সুযোগ কাজে লাগাতেই হবে । আমরা ছিলাম মোট ৫ জন । আমি , ফাহিম , প্রিন্স , সাইমুম আর রুশাদ । রাত এগারটায় আমরা একত্রিত হলাম টি এন্ড টি কলোনিতে । তখনও আমরা জানিনা আমরা কোথায় যাব বা দূরে কোথাও যাব কিনা । আমাদের মধ্যে কথা হচ্ছিলো অন্য একটা টপিক নিয়ে , তাই "কোথায় যাব?" এই বিষয় তোলাটাও সম্ভব হচ্ছিলো না । আমরা কথা বলতে বলতেই হাঁটা শুরু করলাম । হাঁটতে হাঁটতে কমলাপুর রেইলওয়ে ষ্টেশনে ঢুকলাম । তখনও আমাদের মধ্যে ঐ টপিক নিয়েই কথাবার্তা চলছিল । হঠাত ট্রেনের "পঅঅঅঅঅঅঅ" ডাক সামনে থেকে ভেসে আসলো । সামনে চোখ পড়তেই দেখলাম কিছু লোক ঐ ট্রেনটার দিকে দৌড়াচ্ছে । বোঝা যাচ্ছে ট্রেনটা এখনি ছাড়বে । আমি তখন বললাম - " দোস্ত দৌড়া , ঐ ট্রেনটা এখনি ছাড়বে ।"
কথাটা বলতে বলতেই আমি দৌড় দিলাম । আমরা ট্রেনের অনেক পেছনে ছিলাম । আমি দৌড়ে ট্রেনের কাছাকাছি যেতেই ট্রেন ধীরগতিতে চলতে শুরু করলো । পেছনে তাকালাম , দেখলাম ওরা ট্রেনের দিকে দৌড়িয়ে আসছে । আমি ট্রেনে উঠে পরলাম । প্রায় সাথে সাথে একে একে প্রিন্স , ফাহিম , সাইমুম আর রুশাদও ট্রেনে উঠল । আমরা সবাই ট্রেনের একদম শেষ বগীতে । বগীর পেছন দিকটায় তাকাতেই খুশি হয়ে গেলাম । কারণ পেছন দিকে এই ট্রেনটার কোন দেয়াল নেই । মানে এই বগীর পেছন দিকের দরজার জায়গাটাতে কোন দরজা নেই । আর যেহেতু এটা ট্রেনের একদম পেছনের বগী , তাই পেছন দিকে যা যা ফেলে আসছি সবই দেখা যাচ্ছে । ফাহিম গিয়ে ট্রেনের পেছন দিকের বাড়তি অংশটায় দাঁড়ালো । দেখাদেখি আমিও ওখানে দাঁড়ালাম । সাইমুম আমাদের পেছনে দাঁড়িয়ে ছিল , প্রিন্স আর রুশাদ ট্রেনের দরজাতে বসে ছিল । ট্রেনের পেছন থেকে রেললাইনের দিকে তাকালে অদ্ভুত এক অনুভূতি হয় । রেললাইনের সমান্তরালভাবে পেছন দিকে যাওয়ার দিকে একনজরে তাকিয়ে থাকলে মনে হয় আমি এখন টাইমমেশিনে আছি । আর প্রচন্ড গতিতে সবকিছুকে পেছনে ফেলে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি ।
আমাদের পেছনেই দুইজন অল্প বয়স্ক টিটি দাঁড়িয়ে ছিল । এই ট্রেন কোথায় যাবে জিজ্ঞেস করে জানলাম এটা ময়মনসিংহ যাবে । আর একটা কথা বলা হয়নি । আমাদের কাছে কখনোই ট্রেনের টিকিট কাটবার মত টাকা থাকেনা । আর স্টুডেন্ট পরিচয়ে আমরা অনেক জায়গাতেই বিনা ভাঁড়ায় ভ্রমণ করি । মাঝে মাঝে অবশ্য কিছু টাকা টিটি আঙ্কেলদের দিতে হয় । বরাবরের মত সেদিনও আমরা টাকা এবং টিকিট ছাড়াই ট্রেনে উঠেছিলাম । আমি ভাবলাম , বিমানবন্দর পর্যন্ত বিনা ভাঁড়ায় সহজেই যেতে পারব । কারণ বিমানবন্দর যাবার আগে টিকিট চেক হবেনা । তাছাড়া টিকিট চেক হলেও বিমানবন্দরে স্টুডেন্টরা বিনা ভাঁড়াতেই যেতে পারে । কিন্তু বিমানবন্দরের পর টিকিট চেক হবে । ফাহিমকে ডেকে বললাম , বিমানবন্দর গিয়ে আমরা এখান থেকে নেমে যাব । নেমে গিয়ে ইঞ্জিনে উঠবো । ইঞ্জিনে যাবার অভিজ্ঞতা আমাদের অনেক । আমাদের বেশিরভাগ জার্নিই হয় ইঞ্জিনে করে , ভাঁড়া থেকে সহজে বাঁচা যায় বলে । সাইমুম , প্রিন্স আর রুশাদকেও জানিয়ে দিলাম এই কথা ।
ট্রেন বিমানবন্দর থামল । আমি আর ফাহিম ট্রেনের পেছন দিক দিয়েই লাফ দিয়ে নেমে দরজার কাছে গেলাম । বাকিরা দরজা দিয়ে নামলো । তারপর ট্রেনের ইঞ্জিনের উদ্দেশ্যে পাশের রেললাইন ধরে দৌড় শুরু করলাম আমরা । আগেই বলেছি , আমরা ছিলাম একদম শেষ বগীতে । আর ট্রেনটা যে এতো বড় ছিল তা আমরা আগে জানলে হয়তো ইঞ্জিনে উঠবার জন্য ওখান থেকে নামতাম না । মধ্যপথে ভয় হল যদি ইঞ্জিনে উঠবার আগেই ট্রেন ছেড়ে দেয় ? এই চিন্তা মাথায় আসতেই দৌড়ের গতি বেড়ে গেল । ট্রেন ছাড়ার কিছুটা আগেই আমরা ঠিকমত ইঞ্জিনে উঠে বসলাম । ফাহিম বসলো ইঞ্জিনের একপাশের একটা সিড়িতে , আমি আমার পা ইঞ্জিনের ঠিক পেছনের বগীটার একটা লোহার অংশে রেখে বসলাম ইঞ্জিনের পেছন দিকে , আর সাইমুম , রুশাদ আর প্রিন্স বসলো ইঞ্জিনের আরেক পাশে । ট্রেন চলতে শুরু করলো । আমি আর ফাহিম যেই পাশটায় বসেছি সেখান থেকে চাঁদ দেখা যাচ্ছিলো । ইঞ্জিনের উত্তাপে গরম বাতাস লাগছিল আমাদের গায়ে । তুরাগ নদী , টঙ্গি পার হয়ে ট্রেন চলছে । উত্তরবঙ্গের লাইনে ঢুকেছে আমাদের ট্রেন । আমরা প্রথমে ঠিক করলাম জয়দেবপুর নেমে যাব । ট্রেন জয়দেবপুরের আগের কোন ষ্টেশনে আর থামবে না । কিন্তু হঠাত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দেখার ইচ্ছা চেপে বসলো । ফাহিম বলল , নাহ , জয়দেবপুর নামবো না । আজকে ময়মনসিংহ যাব । প্রিন্সও রাজি হল । কিন্তু বাকি দুইজন রাজি হলনা । ওদের সকালের মধ্যেই নাকি ঢাকা ফিরতে হবে । ফাহিম বলল , তাহলে ওরা চলে যাক । আমরা থাকব । ময়মনসিংহ যেতেই হবে আজকে । আমিও বললাম , হুম । এমন সুযোগ আর পাবনা । আজ যাবই । ওরা গেলে চলে যাক । ট্রেন জয়দেবপুর থামল । সাইমুম , প্রিন্স , রুশাদ তিনজনই নেমে গেল । ওদের অনেক বললাম , আয় তোরা , এসে পড় । এমন সুযোগ আর পাবনা । কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দেখতে পারব , আয় । কে শোনে কার কথা । উল্টো রুশাদ আমাকে উদ্দেশ্য করে বলল , দেখ বিজন , নেমে যা বলতেসি । আমি কিন্তু তোর আম্মুকে ফোন করে বাসায় জানিয়ে দেব । আমি বুঝলাম , রুশাদ ছেলেটা কলেজে পড়লেও এখনও অনেক ছোট । যে ছেলেটা রাত ১ টায় ট্রেনের ইঞ্জিনে বসে ময়মনসিংহ যাবার প্লান করে তাকে ও ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে বাসায় জানিয়ে দিবে একথা বলে ! আমার তখন অনেক হাসি পাচ্ছিলো । আমি হেসেও দিয়েছিলাম আসলে ।
ট্রেন ছেড়ে দিল । আমি আর ফাহিম ট্রেনের ইঞ্জিনে আগের জায়গাতেই বসে আছি । রুশাদ , প্রিন্স আর সাইমুম আমাদের কথা শুনেনি । ওরা জয়দেবপুরেই বসে থাকবে চারটা পর্যন্ত । তারপর চারটার ট্রেন ধরে আবার ঢাকা চলে যাবে ।
আমি আর ফাহিম এই জার্নিটা খুব উপভোগ করছিলাম । ইঞ্জিনে আরও তিনজন ছিল । একজন বুড়ো ,আর দুইজনই ছোট ছেলে । দেখে বোঝা যাচ্ছে বাড়ি ফিরছে ওরা । ছেড়া পোশাক । ঐ দুইটা ছেলের একজনের সাথে কথা হয়েছিল । ঢাকায় কাজ করে ছেলেটা , ওর বাড়ি গফরগাঁও । ওর কাছ থেকেই জানলাম ট্রেন ময়মনসিংহ যাবার আগে আর একটা জায়গায় থামবে । সেই জায়গার নাম গফরগাঁও । আমি আমার জায়গাতেই দাঁড়ালাম । অনেক বাতাস ছিল । মনে হয় আমাকে উড়িয়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছে । দাড়িয়ে হাতের বামে তাকাতেই সবকিছু অদ্ভুত সুন্দর মনে হল । রাতের ধানক্ষেত , রাতের বাগান , রাতের বড় বড় গাছপালা , রাতের ঘরবাড়ি সবকিছুই চাঁদের আলোতে অদ্ভুত সুন্দর । এর আগে কখনও এতো সৌন্দর্য আমি দেখিনি । চারপাশের সৌন্দর্যের সাথে বাতাস যুক্ত হয়ে দিচ্ছে এক স্বর্গীয় অনুভূতি । ফাহিমও নিজের মত করে সবকিছু উপভোগ করছিল । আমরা দুইজন স্থান বদল করলাম । তারপর চিৎকার করে গান গাইলাম আমরা । অনেক গান গাইলাম । মনে হচ্ছিলো , প্রকৃতি আমাদের নিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কনসার্টের আয়োজন করেছে । সেই কনসার্টে গান গাচ্ছি আমরা । আর সাড়া দিচ্ছে বাতাস , গাছপালা , দূরের ঘরবাড়ি , এমন কি দূর আকাশের ঐ চাঁদটাও । গফরগাঁওয়ে যখন ট্রেন থামল তখন ইঞ্জিনের ভেতর থেকে নেভি ব্লু শার্ট পড়া একজন বেড়িয়ে আসলেন । উনি ট্রেনের ড্রাইভার । এসে ফাহিমকে বললেন , কোথায় যাবা ? ফাহিম ময়মনসিংহ বলতেই উনি বললেন টিকিট কই ? ফাহিম বলল , টিকিট তো নাই আঙ্কেল । উনি বললেন , তাহলে ভাঁড়া দাও । ফাহিম তখন আমার দিকে তাকাল । সেই সাথে ড্রাইভার আঙ্কেলও আমার দিকে তাকালেন । আমি হেসে বললাম , আঙ্কেল , টাকা তো নেই । দেখি আঙ্কেলও আমার দেখাদেখি হাসলেন । বললেন , কোথা থেকে এসেছ ? বললাম , ঢাকা থেকে । তারপর আঙ্কেল আর কিছু না বলে হেসে চলে গেলেন । আমি আর ফাহিম পরে ভাবলাম , সম্ভবত শব-ই বরাতের রাত হওয়ায় উনি এতো সহজে আমাদের ছেড়ে দিয়েছেন । ট্রেন আবার চলতে লাগলো , সাথে আমরাও । এতো ভালো লাগা ছিল আমাদের ঐ জার্নিটায় তা বলে প্রকাশ করার মত না । যখন ঐ জার্নিটার কথা আমি ভাবি , আমার সন্দেহ হয় , আসলেই কি ঐ রাতটা বাস্তব , নাকি শুধুই কল্পনা ? আমি জানি , সেটা বাস্তব । তবু কল্পনা ভাবতেই যেন ভালো লাগে । শান্তি পাই , অনেক সুখও পাই । এতো সুখ বাস্তব সাধারণত আমাদেরকে দিতে পারেনা বলেই হয়তো আমার মনে হয় এটা কল্পনা ছিল ।
আমরা ভোর চারটায় ময়মনসিংহ ষ্টেশনে নামলাম । তারপর ফ্রেশ হয়ে খাবার হোটেলে ঢুকলাম আমরা । হালকা নাস্তা করে ভোর বেলায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যাবার জন্য অটোতে উঠলাম । অনেকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে । ক্যাম্পাসটা যে এতো বড় তা আমার আগে জানা ছিলনা । অনেক মনোরম পরিবেশ , অনেক গাছপালা চারপাশে । আর যথেষ্ট পরিস্কার পরিচ্ছন্ন । কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই ব্রহ্মপুত্র নদ । কিছুক্ষণ ব্রম্মপুত্রের পাড়ে বসলাম । এটা আমার কোন নদীর পাড়ে দ্বিতীয় সকাল । প্রথম নদী পাড়ের সকালটা ছিল শীতলক্ষ্যায় । তারপর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে আবার ষ্টেশনে ফিরে আসলাম । অনেকক্ষণ ষ্টেশনে ঘুরাঘুরির পর ঢাকা যাবার ট্রেন আসলো । উঠে পড়লাম আমরা । কিন্তু এই ট্রেনে গফরগাঁও পর্যন্ত এসে আমাদের নামতে হল ।কারণ টিটি আঙ্কেল বিনা ভাঁড়ায় গফরগাঁও এর বেশি আমাদেরকে নিয়ে যেতে পারবেন না । আমরা গফরগাঁও নেমে হাত মুখ ধুতে পুকুরে নামলাম । কিছুক্ষণ পরই ঢাকাগামী আরেকটা ট্রেন এল । ঐটাতে করেই আমরা ঢাকা পর্যন্ত এসেছিলাম । তবে এবার আর বিনা ভাঁড়ায় আসতে পারিনি । টিটি আঙ্কেল চল্লিশ টাকা খেয়েছেন আমাদের কাছ থেকে । তবুও পুরো জার্নিটা ছিল অনেক বেশি উপভোগ্য । বিশেষ করে রাতটা ছিল অসাধারণ , অতুলনীয় ।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩০
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×