somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তারাবাতি

২০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দুর্গাপুজোর শুরু হতে এখনও তিনদিন বাকি।রায়বাড়ি আজকে থেকেই আলোয় ডুবে আছে। ফটকের নোলকে লাল আলো।পাঁচিলের কাঁধে ঝিকমিক করছে নীলচে আলো।মাঝখানের দ্বিতল বিল্ডিংটা যেন,শত শত জোনাক পোকার নিকুঞ্জ। দুরের নক্ষত্ররাজির মতো মিটিমিটি জ্বলছে আর নিভছে। জানালার ক্ষয়া শিকে মাথা রেখে রাবু এতক্ষন তাই দেখছিল। লেখাপড়ার তেমন চাপ নেই। ঈদের পরই পুজো পড়ায় স্কুলে লম্বা ছুটি। যদিও ওই কাজে তার বয়েই গেছে। তার চেয়ে ডাইয়ের ডিমের টোপ দিয়ে ছিপ ফেলে মাছ ধরতেই রাবু বেশি স্বচ্ছন্দবোধ করে। মাঝে-মধ্যে ঘুড়ি ওড়ায়। ফুটবল পেটাতেও তার মন চায়,কিন্তু মা যেতে দিলে তো। মা খালি বলে,মেয়ে-ছেলের ওসব খেলতে হয় না। ছেলে আর মেয়ের পার্থক্যটা রাবু বোঝে,কিন্তু মেয়ে-ছেলে কি জিনিষ‌, তার মাথায় ঢোকেনা। তাই বলে মা'কে প্রশ্ন করা যাবেনা। এ জগতে রাবুর পিঠে যখন-তখন দমাদম দুই ঘা বসিয়ে দেয়ার অধিকার,শুধু তার মায়েরই আছে। বাবাকে জিজ্ঞেস করার উপায় নেই। সকালে সে ঘুমে থাকতেই তার বাবা টিয়া পাখি হাতে বেরিয়ে যায়। রাতে কোনদিনই তাড়াতারি ফেরেনা। মাঝে-মধ্যে রাবু ঘুমের মধ্যে টের পায় বাবা তার গায়ে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু চোখে এত ঘুম লেগে থাকে যে টেনেও খুলতে পারেনা। রাবু শুনতে পায় বাবা বকুনি খাচ্ছে। আচ্ছা,বাবাও কি মাকে ভয় পায় ?
‌‌
মা ডাকছে, শুনতে পেয়েই রাবু ঘর থেকে পড়িমড়ি করে দৌড় দেয়। দুইবারের বেশি ডাকলেই পিঠে পড়বে। সেদিন খড়িগুলো ধরার জন্য তার মা ডাকছিল,ঘুড়িটা লুকিয়ে রাবু্র যেতে একটু হয়। ব্যস,ওমনি গালে বসিয়ে দিল।তাই ভয়ে ভয়ে রান্নাঘরে মায়ের কাছে গিয়ে রাবু দাঁড়ায়।
-দুপুর থেকে তো ওই বাড়িতেই ছিলে। রাতটাও কাটিয়ে দিতে পারলে মন্দ হতো না। তা যাওনা,কাথা-বালিশ নিয়ে ও বাড়িতেই থাক ?
রাবু নিশ্চুপ। তার হাতে টাকা গুঁজে মা দাত-মুখ খিঁচিয়ে বলে-'বড় ভাল মানুষের মতো মুখ করে দাঁড়িয়ে আছ যে ? মোড়ের দোকান থেকে তোমার দু সের চাল নিয়ে এসো। তোমার বা্বার তো গরজ নেই। ঘরে ফুটো পয়সা নেই,অথচ উনি বেরোলেন হাত দেখতে। ওরে আমার জোতিষী রে ! উনার কাছে হাত দেখাতে কতজন বায়না দিয়ে বসে আছে।'

রাবু মুখে কপাটি মেরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। বাবাকে কিছু বললে রাবুর ভাল লাগেনা। মানুষটা তো বসে থাকেনা। এই করছে, সেই করছে। তবুও সংসারে প্রতিদিন কেন হাড়ি চড়েনা, তা রাবু বুঝে পায় না। যদিও তার পেট ভরাই থাকে। রাবুর ছোটচাচা শাহীন হকারি করে যা কামায়,তার প্রায় সবটাই সংসারে ছেড়ে দেয়। মা বলে কাকা না থাকলে রাবু এতদিন না খেয়েই মরে যেত। মা কি ঠিক বলে ?

মায়ের কাছে চাল দিয়ে গালটা ডলতে ডলতে রাবু আবারও জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। রায়বাড়ির ছাদে কয়েকটা ছেলে জলন্ত তারাবাতি নিয়ে ছোটাছুটি করছে। তারাবাতিটা পট পট করে পুড়ছে,আর আলোর রোশনাই ফুলকির মতো ছুটে বের হচ্ছে। এসব দেখার জন্যই সে তখন জানালার ঠায় দাঁড়িয়ে ছিল। তারাবাতি রাবুর খুব পছন্দ। ঈদে কিনতে পারেনি। কাকার ব্যবসাটা নাকি ভাল যাচ্ছে না। কাকাই তো ওকে সব বাজি কিনে দেয়। তারাবাতিটা খুব কমই পায়। মায়ের কাছে পয়সা চাইবে,সে জো নেই।বাবা তো জিজ্ঞাসার আগেই নেই।অথচ,রায়বাড়িতে এবার কত তারাবাতি এসেছে।দুপুরে ওরা ছাদে রোদে দেয়ার সময় রাবু দেখেছে।

******

লাউশাকের ঘন্ট একনাগাড়ে কতদিন খাওয়া যায় ? রাবেয়ার আর সহ্য হয়না। সংসারে বাজার বলে যে একটা বিষয় আছে তা এ বাড়ির পুরুষ মানুষগুলো ভুলে থাকতে পারলেই, যেন বাঁচে। তরকারি দেখে মেয়েটা তার ‌'খাবো না' বলে মুখ ফুলিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে।সন্ধ্যে না হতেই ঘুমে লুতুপুতু। সারাদিন খালি খেলা আর খেলা। তবে মাথাটা বেশ ভাল। কাছে নিয়ে বসিয়ে পড়াতে পারলে ফলাফলটা রেজাল্টেই মেলে। কিন্তু বসবে কে ? তার পেটে বড়জোর আদর্শলিপির অক্ষরগুলো আছে। তাই দিয়ে কি চলে ? রাবুর বাবার অবশ্য বেশ বিদ্যের দৌড় আছে। কিন্তু মানুষটা সারাদিন চরকিবাজির মতো ঘুরে বেড়ায়। সময় পাবে কই ? কোন কাজেই সে থিতু নয়। শখের হাত দেখায় কি আর পেট ভরে ? রাবুর বড় চাচা ঈদে তাদের কাপড়-চোপর দেয়ার সময় কত কথাই না বললো। লজ্জায় রাবেয়ার মরে যেতে ইচ্ছে হচ্ছিল। জীবন নিয়ে তার ঘেন্না ধরে গেছে। অথচ ঘর-বংশ ভালই।

''রাবু, মা রাবু''আলতো সুরে ডাক দেয় রাবেয়া। ডিমভাজির গন্ধেই হোক আর মায়ের ভয়ে হোক রাবু ধড়মড় করে উঠে পড়ে। পাতে চারটে ভাত বেড়ে রাবুকে টেনে নিয়ে সে তার কোলে শুইয়ে দেয়। মেয়েটার চোখজুড়ে ঘুম। ডিমভাজির সঙ্গে ভাতের ছোট ছোট দলা পাকিয়ে রাবেয়া তার মেয়ের মুখে পুরে দেয়।রায়বাড়ির পুকুরের মজা পাশটায় পাঁতিহাস ডিম পেড়ে রেখেছিল। গোসল করতে গিয়ে রাবেয়ার নজরে পড়ে। তুলে নিতে সে ভুল করেনি। নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর সংসারে যোগটাই আগে। নীতির প্রশ্ন পরে।

মেয়েটা ঘুমের ঘোরে খাবার চিবিয়ে যাচ্ছে। রাবেয়ার কাছে জীবনটাকেও এখন অনিচ্ছাস্বত্তে চিবিয়ে যাওয়া বলে মনে হচ্ছে। সকালে চাল কিনে এনে মেয়েটা দুই টাকা ফেরত দেয়ার সময় চোখে রাজ্যের ভয় নিয়ে থেমে থেমে শুধু বলেছিল-''মা,টাকাটা দেবে।নকুল দানা খাবো'।
আর ওমনি ঠাঁটিয়ে রাবুর গালে একটা চড় বসিয়ে দিয়েছিল রাবেয়া। মেয়ের আহলাদে রাগান্বিত হয়ে নয়, নিজের অক্ষমতার জন্য। তার বোকা মেয়েটা জানেনা দুই টাকায় আজকাল কিছুই হয়না। নকুল দানা তো পাঁচ-দশটাকার ব্যাপার। এখন সবকিছুর দাম বাড়ছে। শুধু মানুষের দাম কমছে। এবার রাবুর ছোট কাকা কোন জায়গা থেকে বাকি তুলতে পারেনি। তাই ঈদে রাবুর তারাবাতি কেনা হয়নি।বছরকার দিনে মেয়েটা তার বাজি পোড়াতে পারেনি। রাবেয়ার মনটা গলে চোখের কোণটা্ চিকচিক করে ওঠে। আঁচল দিয়ে সে চোখ মুছে ফেলে।

তার কপালটাই মন্দ। লোকটার যে গুন নেই তা একেবারে নয়। উদয়াস্ত খাটতে পারে।কিন্তু কেন যে অভাব যায় না,তা রাবেয়া বুঝে উঠতে পারেনা। বিয়ের সময় চেহারায় কি দ্যূতি ছিল লোকটার। সবাই প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কিন্তু তারপর ? দীর্ঘশ্বাস ফেলে রাবেয়া। মেয়েটা খেতে খেতেই ঘুমিয়ে গেছে। রাবুর মাথাটা সে আলতো করে বালিশের ওপর ছেড়ে দেয়।

******

''শখের পেছনে ছুটেই আমার জীবনটাকে একেবারে দোজখ বানিয়ে ছাড়লে''-ছিটকে আসা কথাগুলোয় শাহজাহান ফুটো বেলুনের মতো চুপসে যায়। মাঝে-মধ্যে নিজেকে তার খুব অপদার্থ বলে মনে হয়। বউ-ছেলেমেয়েকে যে রোজ দুবেলা খাবার দিতে পারেনা, তার জীবনটা ফুটো বেলুন ছাড়া আর কিইবা। নাহ,আত্নহত্যার কথা শাহজাহান ভাবতে পারেনা।জীবন থেকে পালানো যায়না। আর,পালাতে পারলেও তাকে বাঁচা বলেনা।

কয়েকদিন ধরে রোজগারপাতি নেই। সোজা কথায় হয়নি। মফস্বল শহরে তো্বড়ানো একটা আঁতসী কাঁচ আর হাতে আঁকানো কিছু পেন্সিল স্কেচ দিয়ে কতটুকু জোতিষী হওয়ায় যায় ? তার সাতদিনের না কামানো দাঁড়ি দেখে লোকজন আরও আকৃষ্ট হয়না। দু-একজন ভিড়লেও তারা ভবঘুরে। পয়সা নেই। শাহজাহানের বেশিরভাগ সময় তাই কবিতা লিখে কেটে যায়। ঝালমুড়ির ঠোঙায় চিলতে করে ছিঁড়ে সে লিখে চলে রাশি রাশি অণুকবিতা। মাঝেমধ্যে সে ভুলে যায় এই গ্রহে আরও দুটো প্রাণী আছে যাদের বেঁচে থাকা তার ওপর নির্ভর করে।কতদিন সে রাতে ফিরতে ভুলে গেছে। আর ওদিকে রাবেয়ার নির্ঘুম রাত্রি কেটেছে।

মেয়েটা সকালে কুড়িটাকা চেয়েছিল। দিতে পারেনি।তার মেয়েটা এমনিতে কখনো কিছু চায়না। কিন্তু আজ কেন জানি কিছু মানছে না। মুখটা ফুলিয়ে চলে গেল। শাহজাহানের মর্মমূল ধ্বসে যায়। ঘরে কিছুই নেই। রাবেয়ার গহনা একটা একটা করে চলে গেছে। মায়ের গড়ে দেয়া হাতের বালা দুখানিই এখন সম্বল।

শাহজাহান কিছুক্ষন ছটফট করে বেরিয়ে পড়ে। ঘাড়ে টিয়াপাখি। হাতে ভাঙ্গা ব্রিফকেস।যদি আজ কিছু রোজগার হয়।মেয়েটার জন্য সে কয়েকটা তারাবাতি কিনে আনবে। না হয় সংসারে একটু টান পড়বে। বড়জোর একবেলা উপোস থাকতে হবে। তবুও তো তার জীবনের তারবাতিটা একটু হেসে উঠবে।

******

পা টিপে অতি সন্তর্পনে রাবু চোরের মতো ঘরে ঢোকে। তার হাতে কয়েকখানা লুচি। মা দেখলে মেরেই ফেলবে।কিন্তু ক'খানা লুচি লুকিয়ে সে কোথায় রাখবে ? মা ঠিক টের পেয়ে যাবে। মল্লিকাদির মা দিয়েছেন। কিন্তু মা ভাববে রাবু চেয়েছে তাই মল্লিকাদির মা দিয়েছে।রাবু কিন্তু সত্যি চায়নি। বাবা-মা আর ছোটকাকা ছাড়া সে কারো কিছু চাইতে পারেনা। কিন্ত মা তো মানবে না। রাবু ফ্রকের ভেতর লুচি লুকিয়ে চৌকাঠ মারাতেই মায়ের কাছে ধরা পড়ে যায়।
-ফ্রকের ভেতর কি ?
প্রশ্নের তোড়েই রাবুর হাত থেকে লুচিগুলো খসে পড়ে মাটিতে। মাথা নীচু করে সে দাঁড়িয়ে থাকে।
-ভিক্ষে কে দিল ? রাবু উত্তর দেয়না।
পিঠের ওপর দুম করে রাবেয়ার কনুইটা পড়তেই রাবু আর্তনাদ করে ওঠে।দুচোখ বেয়ে নামে জলের ধারা।মা আবারও প্রশ্ন করে-কে দিয়েছে ? রাবু এবার নিচু গলায় বলে-রায়বাড়ির মল্লিকাদির মা।
রাবেয়া আর কিছু বলেনা।হিন্দু পরিবারটি তাদের খুব ভালবাসে। এটা ওটা দেয়। কোন হীনমন্যতা নেই। কিন্তু নেয়ার মধ্যে আছে। গোটা দুনিয়াটাই তো দেয়া আর নেয়ার কারসাজি। কিন্তু ভারী পাল্লাটি অপেক্ষাকৃত হালকা পাল্লা থেকে নেয়ার সময় হীনমণ্যতার সংকটই তো সৃষ্টি হবে।
রাবুর চোখ শুকিয়ে গেছে। ফোপানোটা আছে। দেখে রাবেয়ার খুব মায়া হয়।মেয়েটাকে সে বুকে টেনে নেয়।চোখ মুছিয়ে দেয়। মেয়েটা তারমতোই জেদি।আজ সারাদিন কথা বলবেনা।ঘরের এক কোনে বসে থাকবে। বিনা কারণে মার খেলে রাবু এমনই করে।রাবেয়া কি আর সাধ করে মারে ! কেন যে সে নিজেকে সংবরন করতে পারেনা। সংসারের ওপর সমস্ত রাগ-অভিমানের প্রকাশ সে মেয়েটার ওপর করে যাচ্ছে। মান ভাঙ্গাতে কিছু রান্না করে খাওয়াবে,সে সক্ষমতাটুকু পর্যন্ত রাবেয়ার নেই। ঘরে চাল-ডাল-তেল কিছুই নেই। মেয়েটা হয়তো অন্যকোন বাড়িতে খেয়ে নেবে। কিন্তু একে কি জীবন বলে ?

*******

রোজগার যা হয়েছে তা দিয়ে অনায়াসে দুই-তিনদিন চলে যেত। কিন্তু এবার তারাবাতির যে দাম ! সঙ্গে কিছু তিলেগজা আর কদমা কিনতেই শাহজাহান প্রায় ফতুর হয়ে গেল। তবুও সে খুশি। মেয়েটাকে জন্ম দেয়া অবধি সে কিছু দিতে পারেনি।সেই খেদটা তো আজ মিটছে।
সন্ধ্যার মধ্যেই শাহজাহান বাড়ির পথ ধরে। রায়বাড়ির ফটকটা পার হতেই সে দেখে,তার বাড়িতে মানুষ গমগম করছে। শাহজাহানের মনে কু ডেকে ওঠে। সে দৌড় দেয়।ঘরের দরজায় পা রাখতেই শাহজাহানের দুনিয়াটা ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যায়।
অর্ধেকটা বেগুনপোড়া ছোট্ট একটা নিষ্পন্দ শরীর। পাশে অঝোরে কেঁদে চলছে রাবেয়া। চারপাশে জমায়েত মানুষের মধ্যে থেকে আওয়াজ আসছে-ছাদ থেকে কেউ একটা তারাবাতি ছুঁড়ে মেরেছিল,আর তা গিয়ে পড়ে ফটকে পেঁচানো বৈদ্যুতিক তারের ওপর। রাবু ঠিক ওখানটাতেই দাঁড়িয়ে বুঁদ হয়ে ছাদের ওপর তারাবাতির খেলা দেখছিল। ব্যস,ঝলসে গেছে !
সবকিছু ঠাহর করে উঠতে শাহজাহানের একটু সময় লাগে। বুকের মধ্যে মোচড় দিতেই সে মেঝেতে লুটিয়ে পডলো-'রাবু,মা আমার। দেখ,তোর জন্য আমি কত তারাবাতি নিয়ে এসেছি । আলো জ্বালবি না ?' রাবু সাড়া দেয়না। শাহজাহান ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে।
তার জীবনের সবেধন নীলমনি তারাবাতিটি স্রষ্ঠার এক ফুৎকারে নিভে গেছে।


























সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৪৬
১৬টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×