somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নতুন নকিব
আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

আসুন, জেনে নিই পবিত্র কুরআনের মজার পরিসংখ্যান- ১

০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পারাঃ 'পারা' শব্দের অর্থ হচ্ছে অধ্যায় বা চ্যাপ্টার। পবিত্র কুরআনে মোট ৩০ টি পারা বা অধ্যায় রয়েছে। এই পারাগুলোর মাধ্যমে ১১৪ টি সূরাহকে ভাগ করে দেয়া হয়েছে। সূরাহগুলো বিভিন্ন আকারের হলেও কুরআনের পারাগুলো প্রায় সমান আকারের। কুরআন হিফজ করণের ক্ষেত্রে সাধারণত পারা অনুযায়ী শেখানো হয়।


এছাড়া ৩০ দিনে কুরআন খতমের সুবিধার্থে, অর্থাৎ প্রতি দিন ১ পারা করে পড়ে যাতে ৩০ দিনে ৩০ পারা পড়ে শেষ করে প্রতি মাসে পূর্ন কুরআন একবার করে তিলাওয়াত করা যায়, পারা হিসেবে ভাগ করার সেটিও একটি অন্যতম কারন।

বিভিন্ন বিষয়ক আয়াতের একটি ক্ষুদ্র পরিসংখ্যান
আদেশ মূলক আয়াত= ১০০০
নিষেধ সংক্রান্ত আয়াত= ১০০০
ভীতি মূলক আয়াত= ১০০০
প্রতিজ্ঞা সূচক আয়াত= ১০০০
দৃষ্টান্ত বিষয়ক আয়াত=১০০০
ইতিহাস বিষয়ক আয়াত= ১০০০
প্রশংসা মূলক আয়াত= ২৫০
পুর্ণতা মূলক আয়াত=১০০
উদ্দেশ্য বিষয়ক আয়াত=২৫০
অন্যান্য বিষয়ক আয়াত= ৬৬
মোট আয়াত সংখ্যা= ৬৬৬৬

কিছু সূরাহ ও আয়াতের বিশেষ নাম
সূরাহ আর রহমান = কুরআনের মুকুট
সূরাহ আল বাক্বারা = কুরআনের সিংহাসন
সূরাহ ইয়াসিন = কুরআনের মন
সূরাহ ফাতিহা = কুরআনের জননী
আয়াতুল কুরসী =কুরআনের বন্ধু


আল কুরআনের অনুপম বিভাজন: হিজ্‌ব বা মানজিল
হিজ্‌ব বা মানজিল হচ্ছে কুরআনের প্রথম সূরাহ (সূরাহ ফাতিহা) ব্যতিত অন্য সূরাহগুলো নিয়ে করা একটি বিশেষ শ্রেনিবিন্যাস। তৃতীয় খলিফাহ হযরত উসমান (রা) প্রতি সোমবারে কুরআন পড়া শুরু করে রোববারে শেষ করতেন। এক দিনে তিনি যতটুকু পড়তেন, ততটুকুকে এক মানজিল বলা হয়। মানজিলগুলো হচ্ছে:
মানজিল ১ = ৩ টি সূরাহ, যথা, ২—৪
মানজিল ২ = ৫ টি সূরাহ, যথা, ৫—৯
মানজিল ৩ = ৭ টি সূরাহ, যথা, ১০—১৬
মানজিল ৪ = ৯ টি সূরাহ, যথা, ১৭—২৫
মানজিল ৫ = ১১ টি সূরাহ, যথা, ২৬—৩৬
মানজিল ৬ = ১৩ টি সূরাহ, যথা, ৩৭—৪৯
মানজিল ৭ = ৬৫ টি সূরাহ, যথা, ৫০—১১৪

নামের বাংলা অর্থসহ আল কুরআনের সূরাহসমূহের তালিকা
মহাগ্রন্থ আল কুরআনে ১১৪টি সূরা রয়েছে। এগুলো হলো:
১. আল ফাতিহা (সূচনা)
২. আল বাক্কারাহ (বকনা-বাছুর)
৩. আল ইমরান (ইমরানের পরিবার)
৪. আন নিসা (নারী)
৫. আল মায়িদাহ (খাদ্য পরিবেশিত টেবিল)
৬. আল আনআম (গৃহপালিত পশু)
৭. আল আ'রাফ (উচু স্থানসমূহ),
৮. আল আনফাল (যুদ্ধে-লব্ধ ধনসম্পদ),
৯. আত তাওবাহ্ (অনুশোচনা),
১০. ইউনুস (ইউনুস আ:),
১১. হুদ (হুদ আ:),
১২. ইউসুফ (ইউসুফ আ:),
১৩. আর রা'দ (বজ্রপাত),
১৪. ইব্রাহীম (ইব্রাহিম আ:),
১৫. আল হিজর (পাথুরে পাহাড়),
১৬. আন নাহল (মৌমাছি),
১৭. বনী-ইসরাঈল (ইয়া'কুব আ: এর বংশধর/ ইহুদী জাতি),
১৮. আল কাহফ (গুহা),
১৯. মারইয়াম (মারইয়াম, ঈসা আ: এর মাতা)
২০. ত্বোয়া-হা (ত্বোয়া-হা),
২১. আল আম্বিয়া (নবীগণ আ:),
২২. আল হাজ্জ্ব (হজ্জ),
২৩. আল মু'মিনূন (মুমিনগণ),
২৪. আন নূর (আলো),
২৫. আল ফুরকান (সত্য মিথ্যার পার্থক্য নির্ধারণকারী গ্রম্থ),
২৬. আশ শুআরা (কবিগণ),
২৭. আন নম্‌ল (পিপীলিকা),
২৮. আল কাসাস (কাহিনী),
২৯. আল আনকাবূত (মাকড়শা),
৩০. আর রুম (রোমান জাতি),
৩১. লোক্‌মান (একজন জ্ঞানী ব্যক্তি),
৩২. আস সেজদাহ্ (সিজদাহ),
৩৩. আল আহ্‌যাব (জোট),
৩৪. সাবা (রানী সাবা/ শেবা),
৩৫. ফাতির (আদি স্রষ্টা),
৩৬. ইয়াসীন (ইয়াসীন),
৩৭. আস ছাফ্‌ফাত (সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো),
৩৮. ছোয়াদ ('ছোয়াদ' আরবি একটি বর্ণ),
৩৯. আয্‌-যুমার (দলবদ্ধ জনতা),
৪০. আল মু'মিন (বিশ্বাসী)
৪১. হা-মীম সেজদাহ্ (সুস্পষ্ট বিবরণ),
৪২. আশ্‌-শূরা (পরামর্শ),
৪৩. আয্‌-যুখরুফ (সোনাদানা),
৪৪. আদ-দোখান (ধোঁয়া),
৪৫. আল জাসিয়াহ (নতজানু),
৪৬. আল আহ্‌ক্বাফ (বালুর পাহাড়),
৪৭. মুহাম্মদ (মুহাম্মদ, সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম),
৪৮. আল ফাত্‌হ (বিজয়, মক্কা বিজয়),
৪৯. আল হুজুরাত (বাসগৃহসমুহ),
৫০. ক্বাফ ('ক্বাফ' আরবি একটি বর্ণ),
৫১. আয-যারিয়াত (বিক্ষেপকারী বাতাস),
৫২. আত্ব তূর (একটি পাহাড়ের নাম),
৫৩. আন-নাজম (তারা),
৫৪. আল ক্বামার (চন্দ্র)
৫৫. আর রাহমান (পরম করুণাময়)
৫৬. আল ওয়াক্বিয়াহ্‌ (নিশ্চিত ঘটনা)
৫৭. আল হাদীদ (লোহা)
৫৮. আল মুজাদালাহ্ (অনুযোগকারিণী),
৫৯. আল হাশ্‌র (সমাবেশ),
৬০. আল মুম্‌তাহিনাহ্ (নারী, যাকে পরীক্ষা করা হবে),
৬১. আস সাফ (সারবন্দী সৈন্যদল),
৬২. আল জুমুআহ (সম্মেলন/শুক্রবার),
৬৩. আল মুনাফিকূন (কপট বিশ্বাসীগণ),
৬৪. আত তাগাবুন (মোহ অপসারণ),
৬৫. আত ত্বালাক (তালাক),
৬৬. আত তাহ্‌রীম (নিষিদ্ধকরণ),
৬৭. আল মুল্‌ক (সার্বভৌম কতৃত্ব),
৬৮. আল ক্বলম (কলম),
৬৯. আল হাক্কাহ (নিশ্চিত সত্য),
৭০. আল মাআরিজ (উন্নয়নের সোপান),
৭১. নূহ (নবী নূহ)
৭২. আল জ্বিন (জ্বিন সম্প্রদায়)
৭৩. আল মুয্‌যাম্মিল (বস্ত্রাচ্ছাদনকারী)
৭৪. আল মুদ্দাস্‌সির (পোশাক পরিহিত),
৭৫. আল ক্বিয়ামাহ্ (পুনরু্ত্তান),
৭৬. আদ দাহ্‌র (মানুষ),
৭৭. আল মুরসালাত (প্রেরিত পুরুষগণ),
৭৮. আন্‌ নাবা (মহাসংবাদ),
৭৯. আন নাযিয়াত (প্রচেষ্টাকারী),
৮০. আবাসা (তিনি ভ্রুকুটি করলেন),
৮১. আত তাক্‌ভীর (অন্ধকারাচ্ছন্ন),
৮২. আল ইন্‌ফিতার (বিদীর্ণ করা),
৮৩. আত মুত্বাফ্‌ফিফীন (প্রতারণা করা),
৮৪. আল ইন্‌শিকাক (খন্ড-বিখন্ড করণ),
৮৫. আল বুরুজ (নক্ষত্রপুন্জ),
৮৬. আত তারিক্ব (রাতের আগন্তুক),
৮৭. আল আ'লা (সর্বোন্নত),
৮৮. আল গাশিয়াহ্‌ (বিহ্বলকর ঘটনা),
৮৯. আল ফাজ্‌র (ভোরবেলা),
৯০. আল বালাদ (নগর),
৯১. আশ শামস (সূর্য),
৯২. আল লাইল (রাত্রি),
৯৩. আদ দুহা (পূর্বান্হের সুর্যকিরণ),
৯৪. আল ইনশিরাহ (বক্ষ প্রশস্তকরণ),
৯৫. আত ত্বীন (ডুমুর),
৯৬. আল আলাক (রক্তপিন্ড),
৯৭. আল ক্বাদর (মহিমান্বিত),
৯৮. আল বাইয়্যিনাহ (সুস্পষ্ট প্রমাণ),
৯৯. আল যিল্‌যাল (ভূমিকম্প),
১০০. আল আদিয়াত (অভিযানকারী),
১০১. আল ক্বারিয়াহ (মহাসংকট),
১০২. আত তাকাসুর (প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা),
১০৩. আল আছর (সময়),
১০৪. আল হুমাযাহ (পরনিন্দাকারী),
১০৫. আল ফীল (হাতি),
১০৬. কুরাইশ (কুরাইশ গোত্র),
১০৭. আল মাউন (সাহায্য-সহায়তা),
১০৮. আল কাওসার (প্রাচুর্য),
১০৯. আল কাফিরুন (অবিশ্বাসী গোষ্ঠী),
১১০. আন নাসর (স্বর্গীয় সাহায্য),
১১১. আল লাহাব (জ্বলন্ত অংগার),
১১২. আল ইখলাস (একত্ব)
১১৩. আল ফালাক (নিশিভোর)
১১৪. আন নাস (মানবজাতি)

সংখ্যাগত কিছু পরিসংখ্যান
'পবিত্র কুরআন সম্পর্কিত তথ্যাবলী'

১ মোট "পারা" ৩০ টি
২ মোট "সূরাহ" ১১৪ টি
৩ মোট "সিজদা" ১৪ টি
৪ মোট "রুকু" ৫৪০ টি
৫ মোট "ওয়াক্ফ ১,০৫,৬৪৮ টি
৬ মোট "তাশদীদ ১,২৫২ টি
৭ মোট "মদ্ ১,৭৭১ টি
৮ মোট "নুক্তা ১,০৬,১৮৮ টি
৯ মোট "পেশ ৮,৮০৪ টি
১০ মোট "জের ৩৯,৫৮২ টি
১১ মোট "যবর ৫৩,২৪২ টি
১২ মোট "আয়াত ৬,৬৬৬ টি
১৩ মোট "হরফ ৩,৫০,১২৭ টি
১৪ মোট "আলীফ ৪৮,৮৭২ টি
১৫ মোট "বা ১১,১২৮ টি
১৬ মোট "তা" ১,১৯৯ টি
১৭ মোট "ছা" ১,২৭৬ টি
১৮ মোট "জ্বীম" ৩,২৭৩ টি
১৯ মোট "হা" ৭৭৩ টি
২০ মোট "খা" ২,৪১৬ টি
২১ মোট "দাল" ৫,৬৪২ টি
২২ মোট "জাল ৪,৬৯৭ টি
২৩ মোট "রা" ১,২৮৯ টি
২৪ মোট "যোয়া" ১,৫৯০ টি
২৫ মোট "ছীন" ৫,৮৯০ টি
২৬ মোট "শীন" ২,২৫৩ টি
২৭ মোট "ছোয়াদ ২,০১৩ টি
২৮ মোট "দোয়াত"১,৬০৭ টি
২৯ মোট "তোয়া" ১,২৭৪ টি
৩০ মোট "জোয়া" ৮৪৬ টি
৩১ মোট "আইন" ৯২,২০০ টি
৩২ মোট "গাইন" ২,২০৮ টি
৩৩ মোট "ফা" ৮,৪৯৯ টি
৩৪ মোট "ক্কাফ" ৬,৮১৩ টি
৩৫ মোট "কাফ" ৯,৫১২ টি
৩৬ মোট "লাম" ৩,৪৩২ টি
৩৭ মোট "মীম" ২৬,৫৩৫ টি
৩৮ মোট "নূন" ২৬,৫৫০ টি
৩৯ মোট "ওয়াও" ২৫,৫৩৬ টি
৪০ মোট "হা" ১৯,০৬০ টি
৪১ মোট "লাম-আলীফ" ৩,৭২০ টি
৪২ মোট "হামজা" ৪,১১৫ টি
৪৩ মোট "ইয়া" ২৫,৯১৯ টি

সাধারণ জ্ঞান
প্রশ্ন : কুরআন শব্দের অর্থ কি?
উত্তর : পঠিত, জমা করা, মিলিত।

প্রশ্ন : আল কুরআনের আলোচ্য বিষয় ও উদ্দেশ্য কি?
উত্তর : আলোচ্য বিষয় সরল সঠিক পথ এবং উদ্দেশ্য হেদায়াত।

প্রশ্ন : আল কুরআন কোথায় সংরক্ষিত আছে?
উত্তর : লৌহে মাহফুজে সংরক্ষিত আছে।

প্রশ্ন : সর্ব প্রথম আল কুরআন কোথায় কখন অবতীর্ণ হয়?
উত্তর : হেরা গুহায় ৬ আগস্ট ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে।

প্রশ্ন : জামিউল কুরআন কাকে বলা হয়?
উত্তর : হযরত উসমান গনী রা.কে।

প্রশ্ন : সর্ব প্রথম আল কুরআনের পূর্ণাঙ্গ কোন সূরাহ নাযিল হয়?
উত্তর : সূরায়ে ফাতিহা।

প্রশ্ন : আল কুরআনের সর্ব প্রথম হাফিজ কে?
উত্তর : মহানবী হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

প্রশ্ন : কুরআন নাযিল হতে কতটুকু সময় লেগেছে?
উত্তর : ২২ বছর ৫ মাস ১৪ দিন।

প্রশ্ন : আল কুরআনের সর্বমোট আয়াত সংখ্যা কত?
উত্তর : ৬ হাজার ৬শত ৬৬ আয়াত।

এই ৬ হাজার ৬শত ৬৬ আয়াত এর পরিসংখ্যানটি আমার নিকট প্রমানিত নয়। এটি কম বেশি হতে পারে। যদি কারও সঠিক তথ্য জানা থাকে শেআর করলে খুশি হব।

প্রশ্ন : মক্কায় সর্ব প্রথম কোন সূরা নাযিল হয়?
উত্তর : সূরায়ে আলাকের প্রথম পাঁচ আয়াত।

প্রশ্ন : মক্কায় সর্বশেষ কোন সূরাহ নাযিল হয়?
উত্তর : সূরায়ে আনকাবুত।

প্রশ্ন : মদিনায় সর্ব প্রথম ও সর্বশেষে কোন সূরাহ নাযিল হয়?
উত্তর : সর্ব প্রথম সূরায়ে বাকারা, সর্বশেষ সূরায়ে মায়েদা।

প্রশ্ন : আল কুরআনের সর্ব প্রথম কোন ভাষায় কে অনুবাদ করেন?
উত্তর : ল্যাটিন ভাষায়, রর্বার্ট ক্যাটেনেনিছা।

প্রশ্ন : আল কুরআনের সর্ব প্রথম বাংলায় অনুবাদ করেন কে?
উত্তর : মাওলানা আমীর উ্‌দদীন বশুনিয়া। ১৮০৮ সালে।

আল কুরআনের সর্ব প্রথম বাংলায় অনুবাদকারী হিসেবে যারা গিরিশ চন্দ্র সেনের নাম বলেন, ধারনা করা যায়, হয়তো অজ্ঞতার কারনেই তারা এটা করে থাকেন।

প্রশ্ন : সর্ব প্রথম পুস্তুক আকারে বাংলায় কুরআনের অনুবাদ করেন কে?
উত্তর : গিরিশ চন্দ্র সেন ১৮৮৬ সালে।

প্রশ্ন : সর্ব প্রথম কোন ভাষায়, কত সালে কুরআনের অনুবাদ করা হয়।
উত্তর : ১১৪৬ সালে। ল্যাটিন ভাষায়।

প্রশ্ন : আল কুরআনে সবচেয়ে বেশি বার কোন নবীর নাম এসেছে?
উত্তর : হযরত মুসা আ.।

প্রশ্ন : আল কুরআনে কত জন নবীর নাম উল্লেখ আছে?
উত্তর : ২৫ জন মতান্তরে ২৮ জন নবীর নাম।

প্রশ্ন : আল কুরআনে কোন কোন ফিরিশতার নাম উল্লেখ আছে?
উত্তর : (১) জিব্রাঈল (২) মিকাইল (৩) হারুত (৪) মারুত।

প্রশ্ন : কুরআনে মুহাম্মাদ 'সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম' নামটি কতবার এসেছে?
উত্তর : ৪বার (এবং আহমাদ নামটি ১বার এসেছে)।

প্রশ্ন : আল কুরআনে প্রকাশ্যে একমাত্র কোন রমনীর নাম এসেছে?
উত্তর : ঈসা আ. এর মাতা হযরত মারইয়াম আ.।

প্রশ্ন : আল কুরআনে একমাত্র কোন সাহাবীর নাম উল্লেখ আছে?
উত্তর : রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পোষ্যপুত্র হযরত যায়েদ ইবনে হারিছ রা. ।

প্রশ্ন : আল কুরআনে কোন কোন কাফিরের নাম উল্লেখ আছে?
উত্তর : ফিরআউন, হামান, আবু লাহাব, কারুণ, ছারেমী, আজর এবং ইবলিস।

প্রশ্ন : আল কুরআনে কোন কোন মূর্তির নাম আছে?
উত্তর : লাত, উজ্জা, মানাত, ওয়াদ, ছয়া, ইয়াগুছ, ইয়াউক এবং নাছরা।

প্রশ্ন : আল কুরআনে কতটি সম্প্রদায়ের নাম আছে?
উত্তর : ১৪টি সম্প্রদায়ের।

প্রশ্ন : আল কুরআনে কোন কোন মসজিদের নাম উল্লেখ আছে?
উত্তর : মসজিদে হারাম, মসজিদে নববী, মসজিদে কুবা, মসজিদে আকসা, মসজিদে জিরার।

প্রশ্ন : আল কুরআনে কোন কোন পাহাড়ের নাম আছে?
উত্তর : তুর পাহাড়, সাফা, মারওয়া, আরাফাত, জুদি পাহাড়।

প্রশ্ন : আল কুরআনে কোন কোন কীট প্রতঙ্গের নাম আছে?
উত্তর : মৌমাছি, পিপিলিকা, মাকড়শা।

প্রশ্ন : কোন সূরায় মীম এবং কোন সূরায় বা বর্ণ নেই?
উত্তর : সূরায়ে কাওছারে 'মীম' নেই। সূরায়ে এখলাছে 'বা' নেই।

প্রশ্ন : একমাত্র কোন সূরাহ যার মধ্যে 'বিসমিল্লাহ' দু'বার এসেছে?
উত্তর : সূরায়ে আন নামল -এ।

প্রশ্ন : কোন সূরাহকে কুরআনের জননী বলা হয়?
উত্তর : সূরায়ে ফাতিহাকে।

প্রশ্ন : আল কুরআনের হারকাত এবং নুকতার প্রচলন কে কখন করেন?
উত্তর : হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ। ৭৫ হিজরীতে।

প্রশ্ন : আল কুরআনকে ৩০ পারায় বিভক্ত করেন কে?
উত্তর : হযরত উসমান রা.।

প্রশ্ন : আল কুরআনের নাম কি কি?
উত্তর : (১) আল কুরআন, (২) আল ফুরকান, (৪) আত তানযীল (৪) আযযিকর।

প্রশ্ন : আল কুরআনের অবতরণ সমাপ্ত হয় কখন?
উত্তর : ১০ হিজরীর সফর মাসে।

সম্মানিত ব্লগার বন্ধুদের কাছে বিনীত অনুরোধ, উপস্থাপিত তথ্যে কোন ভুল পরিলক্ষিত হলে দয়া করে জানালে কৃতজ্ঞতা থাকবে। আল্লাহ পাক আমাদের সকল নেক আমল কবুল করুন। আমীন।

নোট: প্রতিবেদন প্রনয়নে সহযোগিতা নেয়ায় কৃতজ্ঞতা ইসলাম ধর্ম ব্লগ এর প্রতি।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:২৫
২৯টি মন্তব্য ৩০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×