somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নতুন নকিব
আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

কোনো আলেমকে 'হুজুর' বলে ডাকা যাবে কি? এটা কি অপরাধ? কোনো ব্যক্তিকে 'মাওলানা' বললে কি ঈমান চলে যাবে? 'হুজুর', 'মাওলানা' শব্দ দু'টির ব্যাখ্যা ও হুকুম কি?

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



'হুজুর' শব্দটি আরবী। এটি এসেছে حا ضر তথা 'হাজির' থেকে। যার অর্থ হল 'উপস্থিত'। আর 'হুজুর' বলা হয়, যার সামনে মানুষ উপস্থিত হয়।

যিনি সম্মানিত ব্যক্তি তার কাছে মানুষ আসে। উপস্থিত হয়। এ কারণে সম্মানিত ব্যক্তিদের হুজুর বলা হয়।

বাংলায় আমরা যেমন 'জনাব' শব্দটি ব্যবহার করি। তেমনি আমরা আরবীতে “হুজুর” শব্দটি সম্মানার্থে ব্যবহার করে থাকি।

এ শব্দটি ব্যবহারে শরয়ী কোন বিধিনিষেধ নেই।

যারা এটি ব্যবহারে আপত্তি তোলেন এটা তারা অজ্ঞতা কিংবা বিদ্বেষের কারণে করে থাকেন। নতুবা এ শব্দটি আলেমদের জন্য বা কোন সম্মানিত ব্যক্তিদের জন্য ব্যবহারে শরীয়তে কোন নিষেধাজ্ঞা আসেনি।

তাই আলেম উলামাগণের সম্মানে এ শব্দটি ব্যবহারে কোন সমস্যা নেই।

একইভাবে 'মাওলানা' শব্দটি আরবি 'ওলিয়্যুন' শব্দমূল থেকে এসেছে। অর্থ বন্ধু, অভিভাবক, প্রভূ। যেমন, কুরআনে এসেছে, 'অলিয়্যুন হামিম', মানে, 'অন্তরঙ্গ বন্ধু'। আর 'মাওলানা' লিখতে 'মাওলা' শব্দটির সাথে 'না' জমির বা অব্যয় যুক্ত হয়েছে, যার অর্থ 'আমাদের বন্ধু' বা 'আমাদের অভিভাবক'।

আলেমগন যেহেতু উম্মতের সাধারন মানুষের প্রকৃত শুভাকাঙ্খী বন্ধু এবং জান্নাতের পথের রাহবার এবং উত্তম অভিভাবক, সুতরাং কোনো আলেমকে মাওলানা বললে ঈমান চলে যাওয়ার কিছু ঘটার সম্ভাবনা আদৌ নেই। বরং এই শব্দের ব্যবহার একজন আলেমের প্রতি মুহাব্বতের বহি:প্রকাশ মাত্র। ইসলামে এই ধরনের সম্বোধন করা যাবে না, এমন কোনো নির্দেশনা আদৌ নেই। কোনো আলেমকে কেউ কখনো 'প্রভূ' মনে করেন না। কিংবা 'আমাদের প্রভূ' মনে করে ডাকেনওনা। এটাও কোনো কোনো ইজমে বিশ্বাসীগনের অতি সাধু সাজার অপচেষ্টা। এই ধরনের অপপ্রচারকারীগন হতে পারেন অজ্ঞ, অথবা উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে তারা ফিতনা সৃষ্টির পায়তারায় লিপ্ত।

আল্লাহ পাক এসব অজ্ঞতা এবং মূর্খতা থেকে আমাদের মুক্ত রাখুন।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:৩৩
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×