'হুজুর' শব্দটি আরবী। এটি এসেছে حا ضر তথা 'হাজির' থেকে। যার অর্থ হল 'উপস্থিত'। আর 'হুজুর' বলা হয়, যার সামনে মানুষ উপস্থিত হয়।
যিনি সম্মানিত ব্যক্তি তার কাছে মানুষ আসে। উপস্থিত হয়। এ কারণে সম্মানিত ব্যক্তিদের হুজুর বলা হয়।
বাংলায় আমরা যেমন 'জনাব' শব্দটি ব্যবহার করি। তেমনি আমরা আরবীতে “হুজুর” শব্দটি সম্মানার্থে ব্যবহার করে থাকি।
এ শব্দটি ব্যবহারে শরয়ী কোন বিধিনিষেধ নেই।
যারা এটি ব্যবহারে আপত্তি তোলেন এটা তারা অজ্ঞতা কিংবা বিদ্বেষের কারণে করে থাকেন। নতুবা এ শব্দটি আলেমদের জন্য বা কোন সম্মানিত ব্যক্তিদের জন্য ব্যবহারে শরীয়তে কোন নিষেধাজ্ঞা আসেনি।
তাই আলেম উলামাগণের সম্মানে এ শব্দটি ব্যবহারে কোন সমস্যা নেই।
একইভাবে 'মাওলানা' শব্দটি আরবি 'ওলিয়্যুন' শব্দমূল থেকে এসেছে। অর্থ বন্ধু, অভিভাবক, প্রভূ। যেমন, কুরআনে এসেছে, 'অলিয়্যুন হামিম', মানে, 'অন্তরঙ্গ বন্ধু'। আর 'মাওলানা' লিখতে 'মাওলা' শব্দটির সাথে 'না' জমির বা অব্যয় যুক্ত হয়েছে, যার অর্থ 'আমাদের বন্ধু' বা 'আমাদের অভিভাবক'।
আলেমগন যেহেতু উম্মতের সাধারন মানুষের প্রকৃত শুভাকাঙ্খী বন্ধু এবং জান্নাতের পথের রাহবার এবং উত্তম অভিভাবক, সুতরাং কোনো আলেমকে মাওলানা বললে ঈমান চলে যাওয়ার কিছু ঘটার সম্ভাবনা আদৌ নেই। বরং এই শব্দের ব্যবহার একজন আলেমের প্রতি মুহাব্বতের বহি:প্রকাশ মাত্র। ইসলামে এই ধরনের সম্বোধন করা যাবে না, এমন কোনো নির্দেশনা আদৌ নেই। কোনো আলেমকে কেউ কখনো 'প্রভূ' মনে করেন না। কিংবা 'আমাদের প্রভূ' মনে করে ডাকেনওনা। এটাও কোনো কোনো ইজমে বিশ্বাসীগনের অতি সাধু সাজার অপচেষ্টা। এই ধরনের অপপ্রচারকারীগন হতে পারেন অজ্ঞ, অথবা উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে তারা ফিতনা সৃষ্টির পায়তারায় লিপ্ত।
আল্লাহ পাক এসব অজ্ঞতা এবং মূর্খতা থেকে আমাদের মুক্ত রাখুন।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:৩৩