আপনাদের সহযোগিতায় এই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।আপনারাই দুধ-কলা দিয়ে এই কালসাপ পুষেছেন। এখনও পুষে যাচ্ছেন। আপনাদের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে ফুলে ফেপে উঠেছে যুদ্ধাপরাধী এই দলটির সম্পদের পরিমাণ। আজ তারা পত্রিকা-টিভি,ব্যাংক, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টার প্রভৃতির মালিক আপনাদের সহায়তায়।
আপনারা মুখে মুখে বলে থাকেন, আপনারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল। কিন্তু কাজে তো প্রমাণ পাওয়া যায় না। বরং আপনারা সব সময়ই স্বাধীনতা বিরোধী এই শক্তিটিকে সহায়তা করে এসেছেন।
০১) আপনারাই প্রথম নিষিদ্ধ ঘোষিত জামাতকে রাজনীতি করার অনুমতি দিয়েছেন।
০২) দালাল আইনের অধীনে বন্দী ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধীকে আপনারা মুক্ত করেছেন।
০৩) জামাতের মুল হোতা কুখ্যাত রাজাকার নেতা গোলাম আজমকে আপনারা নাগরিকত্ব দিয়েছেন।
০৪) যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম গণআদালত করেন। আপনারা গণআদালত করার দায়ে শহীদ জননীসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা করেছিলেন আপনারা। আপনারা যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য তৎপর ছিলেন সব সময়ই।
০৫) সহায়তা করে আপনাদের মন ভরছিল না। আপনারা তাদের সঙ্গে জোট গঠন করেছেন।
০৫) আপনাদের নেতা মহান জিয়াউর রহমান শাহ আজিজুর রহমান নামে এক কুখ্যাত রাজাকারকে তার মন্ত্রীসভায় প্রধান মন্ত্রী পদে বসিয়েছিলেন।
০৬) আপনাদের নেত্রী খালেদা জিয়া আবদুর রহমান বিশ্বাস নামে এক রাজাকারকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করে আমাদের কলংকিত করেছেন।
০৭) রাজাকার নেতা ও যুদ্ধাপরাধী মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদকে আপনাদের নেত্রী খালেদা জিয়া মন্ত্রী বানিয়েছিলেন।
০৮) জামাত শিবিরের কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীদের বাচানোর জন্য আপনারা ট্রাইবুন্যালকে বার বার বিতর্কিত করার চেষ্টা করে গেছেন। আপনারা বার বার উল্টাপাল্টা কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।
০৯) যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে যখন কাদের মোল্লার ফাসির দাবিতে সারা দেশ উত্তাল, আপনারা চুপ মেরে বসে আছেন। আপনারা এখনও জামাত শিবিরের পক্ষ নিয়ে বসে আছেন।
১০) আপনাদের আচরণ দেখে মনে হয়, দেশ নয়, আপনাদের কাছে জামাত শিবির বড়। জামাত-শিবিরকে রক্ষা করাই আপনাদের মিশন। জামাত-শিবিরকে প্রতিপালন করে শক্তিশালী করা আপনাদের দায়িত্ব। আপনারা সেই দায়িত্ব পালনে আপনারা জামাত-শিবিরের কাছে বিক্রি হয়ে গেছেন।
এক দিকে মুখে বলছেন আপনারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল। আপনাদের মহান নেতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা। অথচ প্রকাশ্যে আপনারা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে মদদ দিয়ে যাচ্ছেন। আপনাদের এই দু’মুখো নীতি আমাদের হতাশ করে, ক্ষুব্ধ করে, আপনাদের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।আপনারা কার পক্ষের লোক আমাদের পরিষ্কার করে জানান।
জামাত-শিবিরকে জোটভুক্ত করে আর রাজনৈতিক ফায়দা লোটা যাবে না। বরং যত বেশি আপনারা ওদের আঁকড়ে ধরে থাকবেন, জনগণ আপনাদের ছুঁড়ে ফেলে দেবে। নতুন প্রজন্ম জামাত শিবিরকে চরমভাবে ঘৃণা করে। সুতরাং সময় থাকতেই জামাত-শিবিরকে ছুঁড়ে ফেলে দিন। নইলে জনগণের সঙ্গে ধাপ্পাবাজির জন্য আপনারাই আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন।