অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।
চট্রগ্রামে গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশের বিরুদ্ধে পাল্টা সমাবেশ ও হরতালের হুমকি, গণজাগরণ সমাবেশের ব্লগারদের নাস্তিক আখ্যা দিয়ে প্রতিরোধের ডাক দেওয়া “হেফাজতে ইসলাম” মূলত জামায়াত-শিবিরের একটি অংশ।
এর নেপথ্যে রয়েছেন জামায়াত-শিবিরের পাঁচ নেতা। যাদের অনেকেই হেফাজতের মূল কমিটিতে না থেকে নেপথ্যে সমস্ত কলকাঠি নাড়ছেন।
এই পাঁচ নেতার মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে জঙ্গী কানেকশনেরও অভিযোগ রয়েছে। যুদ্ধাপরাধের মামলায় আটক সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবার থেকে ধর্ম ভিত্তিক এই দলটি এখন অর্থের যোগান পাচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
হঠাৎ করেই হেফাজতে ইসলামের উত্থান ও অর্থের উৎস নিয়ে গোয়েন্দাদের চলমান অনুসন্ধানে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
গোয়েন্দাদের চলমান অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, চট্রগ্রামে গণজাগরণের সমাবেশের বিরুদ্ধে হরতাল ঘোষণা করে আলোচনায় আসে হেফাজতে ইসলাম। শুধু তাই নয় চট্রগ্রামে সমাবেশের বাধা দেওয়ার ঘোষণায় প্রশাসন সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করতে বাধ্য হয়।
চট্রগ্রামের উদ্দ্যেশ্যে রওনা হওয়ার পরও শুধু সহিংসতা বন্ধ করতে গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ডা. ইমরান এইচ সরকারকে ফেনী থেকে ফেরত পাঠায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এদিকে, শুক্রবারের রাজধানীর উপকণ্ঠ আশুলিয়াতেও সমাবেশ পণ্ড করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।
হেফাজতে ইসলামের হঠাৎ করে এই শক্তির উৎস খুঁজতে তৎপরতা শুরু করে সরকারের কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা।
গোয়েন্দা সংস্থা সদস্যরা জানতে পারে হেফাজতে ইসলামের আড়ালে আসলে সব কিছুই হচ্ছে জামায়াত-শিবিরের এজেন্ডা মোতাবেক। জামায়াত-শিবিরের দেওয়া এজেন্ডাগুলো বাস্তবায়ন করতেই হেফাজতে ইসলাম কাজ করে যাচ্ছে। বিনিময়ে জামায়াত ও সাকা চৌধুরীর পরিবার আর্থিক সহায়তা দিচ্ছেন হেফাজতে ইসলামকে।
গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন হেফাজত ইসলাম পরিচালিত হচ্ছে জামায়াত-শিবিরের পাঁচ নেতার ইশারা ইঙ্গিতে।
আল্লামা শাহ আহমদ শফী হেফাজতে ইসলামের আমির হলেও মূলত ওই পাঁচ ব্যক্তির কমান্ডেই চলছে তারা।
এদের একজন হলেন, নেজামী ইসলামী নামে আরেকটি ধর্মভিত্তিক দলের চট্রগ্রাম নগরের সভাপতি আব্দুর রহমান চৌধুরী। আব্দুর রহমান কারাগারে আটক সাকা চৌধুরীর নিকটাত্মীয় বলে প্রচার রয়েছে। সাকা চৌধুরীর ছেলে দাদার নামে নাম রাখা ফজলুল কাদের চৌধুরী ফায়াজ এবং মেয়ে ফারদিন এই ব্যক্তির মাধ্যমে অর্থের যোগান দিয়ে যাচ্ছেন।
দ্বিতীয়জন চট্রগ্রাম আনোয়ারা থানার সাবেক ছাত্র শিবিরের সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী। মিজানুর রহমানের পিতা সৈয়দুর রহমান মুন্সি একজন কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি পাকিস্থান প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী জিন্নার বডিগার্ড ছিলেন।
অন্যরা হলেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও সাকা মুক্তি পরিষদের অন্যতম নেতা এমএ হাশেম খান, রাঙ্গামাটি শিবিরের সাবেক নেতা ও বর্তমানে কৃষক দলের কেদ্রীয় কমিটির সদস্য মাহমুদুল হাসান নিজামী এবং জঙ্গী সম্পৃক্ততার অভিযোগে আটক নেজামী ইসলামের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুফতি এজেহারের ছেলে হারুন এজাহার। পিতা-পুত্র দু’জনকেই জঙ্গী সংগঠন হরকাতুল জিহাদের সঙ্গে সম্পৃক্তার অভিযোগে আটক করে ছিল আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এদিকে, গোয়েন্দা সংস্থা চলমান অনুসন্ধানে এই সকল নেতাদের নজরদারীর মধ্যেও রেখেছেন বলে জানা যায়।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে কয়েকজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘আমরা এই সগঠনটির কাঠামোসহ অন্যান্য বিষয় জানার চেষ্টা করছি। এই সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা বা কি করণীয় এ সম্পর্কে পরবর্তীতে জানানো হবে।
এটা একটা কপি/পেস্ট পোস্ট। মূল লেখা এখানে : Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১০
