এটা আমার গাঁয়ের পথে যাবার বেলায়... আমার গ্রামটি কুমিল্লা জেলায় গোমতী নদীর ধারে। নৌকায় করে যাওয়ার সময় ছবিটি তোলা।
বেলাশেষের ক্লান্ত পথিক যখন বাড়ি ফিরছিলেন তখন এই ছবিটি তোলা। সন্ধ্যাবেলার ক্ষণকালের মোহনীয় আলোয় কলাতলী সৈকতের এই ছবিটি তুলতে বেশ ঝক্কি পোহাতে হইছিল। ওনাকে বললাম, "চাচা, আপনার একটা ছবি তুলবো?" উনি সম্মতি দেওয়ার পর যেই ক্যামেরায় ক্লিক করতে যাবো অমনি উনি দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলেন। উহু, হচ্ছে না কিছুতেই... ওনাকে যতই বলি যে, এভাবে দাঁড়িয়ে গেলে তো হবে না। কিন্তু কে শোনে কার কথা। এদিকে চারপাশ দ্রুত অন্ধকার হয়ে আসছিল। এক পর্যায়ে আমি বললাম, "চাচা মিয়াঁ, আপনে আপনার মতো হেঁটে চলে যান। আপনার অন্য কোন চিন্তা করা লাগবে না।" উনি এই কথা শুনে যেই না হাঁটা ধরলেন অমনি দিলাম একটা ক্লিক। অবশ্য এর পরে আবার তিনি দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু তা ছিল আমার আরাধ্য ক্লিকের পরে...
আমার ব্যাগে সবসময়েই একটা ক্যামেরা থাকে। সাইবার শট অবশ্য কিন্তু যখন কোন কাজ থাকে না তখন এই ডিভাইসটাই আমার সবচেয়ে বড় সঙ্গী হয়ে ওঠে। ছবিটা আমার ডিপার্টমেন্টের গ্যালারী রুমে তোলা।
আমি একজন আনাড়ি ফটোগ্রাফার; কিন্তু তারপরও যে অতি অল্প কিছু ছবি আমি তুলে নিজেকে নিজেই অনেক খুশি করতে পেরেছি তার মধ্যে এটি অন্যতম।
স্টুডেন্ট পড়িয়ে টিউশনি শেষে আপন ডেরায় ফিরছিলাম। পথে একটা ওভারব্রিজ পড়ে যেখান থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন দেখা যায়। সেই ফিরতি পথেরই কোন এক অজানা সন্ধ্যায় এই ছবিটি তোলা।
কাজিনদের সাথে ফারুকীর "টেলিভিশন" মুভিটা দেখার জন্য সিনেপ্লেক্সে গিয়েছিলাম আর কোন কারণ ছাড়াই ছবিটা তুলেছিলাম।
ক্যামেরা নিয়ে ঘুরাঘুরি করার যে স্বভাব তারই কারণে কোন এক সময় এখানে আসা। বাউনিয়ার এই জায়গাটা থেকে বিমানের উড্ডয়ন আর অবতরণ সবচেয়ে ভালো দেখা যায়। সেদিনের আকাশটা ছবির মতোই বেগুনি (!) রঙের ছিল কিন্তু...
এটা কোন এক মেঘাচ্ছন্ন ঈদের সকালে জাতীয় ঈদগাহ থেকে নামাজ পড়ে বের হবার পর তোলা।
এই গেলো ঈদ-উল ফিতরে যে ইত্যাদিটা হল আমি সেটার শুটিং দেখতে মিরপুরের ইনডোর স্টেডিয়ামে গিয়েছিলাম। যে সময় এই ছবিটা তুলেছিলাম তখন শুরুতে থাকা ৩, ০০০ দর্শকের (স্বেচ্ছাসেবকদের ভাষ্যমতে) মাঝে ছিল জনা ত্রিশেক মাত্র। আর একেবারে শেষ এক ঘণ্টার মতো সময় আমি একাই ছিলাম, দাওয়াত পাওয়া পিউর দর্শকদের মধ্যে। শুটিং শেষ করে যখন আমি রাস্তায় নামলাম তখন রাত বাজে ৩টা। ব্রাজিলের খেলা ছিল সেদিন; তাই বোধহয় অনেকে আগে ভাগেই চলে গিয়েছিল।
আলেখারচরের যুদ্ধজয়; '৭১ এর ভাস্কর্য। বিকাল বেলায় তোলা এই ছবিটা আরো সুন্দর হতে পারতো যদি ক্যামেরার পিছনে আমি না থেকে আরো প্রতিভাবান, ঝানু কেউ থাকতো...
আফতাব নগরে কোন এক শরৎ সন্ধ্যায়...
গত বছর (২০১৩ সালে) অলিম্পিক ডে রানে অংশ নিয়েছিলাম। শেষ হয়েছিল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে... তখন তোলা ছবিটা।
ফ্লাডলাইট... সাথে নীল আকাশের নীচে সাদা মেঘের ভেলা।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি টুরিস্ট সোসাইটির সাথে লামার আলীকদম গুহায় যাওয়ার সময় বাস বিরতির ফাঁকে ছবিটা তোলা। সবাই নেমেছিল প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে আর আমি আগেই অন্য আরেক জায়গায় সাড়া দিয়ে ফেলেছিলাম বিধায় তখন আমি প্রকৃতির অন্য ডাকে সাড়া দিচ্ছিলাম।
তিন নেতার মাজার... আমার ডিপার্টমেন্টের পাশেই এই মাজারটি। চা খেতে যখন নিচে নামি তখন রাস্তার ওপাশেই চোখে পড়ে এটি। "নীল আকাশের নিচে আমি রাস্তা চলেছি একা"র কোন এক সময় হয়তো তুলেছিলাম, ঠিক খেয়াল নাই...
♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣
চলতে ফিরতে যেসব ছবি ইচ্ছা করে বা মনের অজান্তেই তুলে ফেলি সেগুলোর কয়েকটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আমি কিন্তু একজন ডিএসএলআরবিহীন আনাড়ি ফটোগ্রাফার। ব্যাগে করে একটা সাইবার শট নিয়ে ঘুরি আর ভালো লাগলে ক্লিক মেরে দিই। সামনে একটা ডিজিটাল এসএলআর কেনার খুব ইচ্ছা আছে। ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফটোগ্রাফিক সোসাইটি থেকে বেসিক কোর্স করা আছে কিন্তু কোর্সের বিদ্যাশিক্ষা ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারছি কই! সবাই দোয়া রাইখেন... পারলে একটু আইডিয়া দিয়েন কোথা থেকে কেনা যায়
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৩৬