somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চলতে ফিরতে ফটোগ্রাফি :):):) কিংবা আনাড়ি হাতের ক্লিক :((:((:((

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


এটা আমার গাঁয়ের পথে যাবার বেলায়... আমার গ্রামটি কুমিল্লা জেলায় গোমতী নদীর ধারে। নৌকায় করে যাওয়ার সময় ছবিটি তোলা।


বেলাশেষের ক্লান্ত পথিক যখন বাড়ি ফিরছিলেন তখন এই ছবিটি তোলা। সন্ধ্যাবেলার ক্ষণকালের মোহনীয় আলোয় কলাতলী সৈকতের এই ছবিটি তুলতে বেশ ঝক্কি পোহাতে হইছিল। ওনাকে বললাম, "চাচা, আপনার একটা ছবি তুলবো?" উনি সম্মতি দেওয়ার পর যেই ক্যামেরায় ক্লিক করতে যাবো অমনি উনি দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলেন। উহু, হচ্ছে না কিছুতেই... ওনাকে যতই বলি যে, এভাবে দাঁড়িয়ে গেলে তো হবে না। কিন্তু কে শোনে কার কথা। এদিকে চারপাশ দ্রুত অন্ধকার হয়ে আসছিল। এক পর্যায়ে আমি বললাম, "চাচা মিয়াঁ, আপনে আপনার মতো হেঁটে চলে যান। আপনার অন্য কোন চিন্তা করা লাগবে না।" উনি এই কথা শুনে যেই না হাঁটা ধরলেন অমনি দিলাম একটা ক্লিক। ;) :D অবশ্য এর পরে আবার তিনি দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন। :P কিন্তু তা ছিল আমার আরাধ্য ক্লিকের পরে... :)


আমার ব্যাগে সবসময়েই একটা ক্যামেরা থাকে। সাইবার শট অবশ্য :P কিন্তু যখন কোন কাজ থাকে না তখন এই ডিভাইসটাই আমার সবচেয়ে বড় সঙ্গী হয়ে ওঠে। ছবিটা আমার ডিপার্টমেন্টের গ্যালারী রুমে তোলা।


আমি একজন আনাড়ি ফটোগ্রাফার; কিন্তু তারপরও যে অতি অল্প কিছু ছবি আমি তুলে নিজেকে নিজেই অনেক খুশি করতে পেরেছি তার মধ্যে এটি অন্যতম। :)


স্টুডেন্ট পড়িয়ে টিউশনি শেষে আপন ডেরায় ফিরছিলাম। পথে একটা ওভারব্রিজ পড়ে যেখান থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন দেখা যায়। সেই ফিরতি পথেরই কোন এক অজানা সন্ধ্যায় এই ছবিটি তোলা।


কাজিনদের সাথে ফারুকীর "টেলিভিশন" মুভিটা দেখার জন্য সিনেপ্লেক্সে গিয়েছিলাম আর কোন কারণ ছাড়াই ছবিটা তুলেছিলাম।


ক্যামেরা নিয়ে ঘুরাঘুরি করার যে স্বভাব তারই কারণে কোন এক সময় এখানে আসা। বাউনিয়ার এই জায়গাটা থেকে বিমানের উড্ডয়ন আর অবতরণ সবচেয়ে ভালো দেখা যায়। সেদিনের আকাশটা ছবির মতোই বেগুনি (!) রঙের ছিল কিন্তু...


এটা কোন এক মেঘাচ্ছন্ন ঈদের সকালে জাতীয় ঈদগাহ থেকে নামাজ পড়ে বের হবার পর তোলা।


এই গেলো ঈদ-উল ফিতরে যে ইত্যাদিটা হল আমি সেটার শুটিং দেখতে মিরপুরের ইনডোর স্টেডিয়ামে গিয়েছিলাম। যে সময় এই ছবিটা তুলেছিলাম তখন শুরুতে থাকা ৩, ০০০ দর্শকের (স্বেচ্ছাসেবকদের ভাষ্যমতে) মাঝে ছিল জনা ত্রিশেক মাত্র। :| আর একেবারে শেষ এক ঘণ্টার মতো সময় আমি একাই ছিলাম, দাওয়াত পাওয়া পিউর দর্শকদের মধ্যে। :-* শুটিং শেষ করে যখন আমি রাস্তায় নামলাম তখন রাত বাজে ৩টা। ব্রাজিলের খেলা ছিল সেদিন; তাই বোধহয় অনেকে আগে ভাগেই চলে গিয়েছিল। :)


আলেখারচরের যুদ্ধজয়; '৭১ এর ভাস্কর্য। বিকাল বেলায় তোলা এই ছবিটা আরো সুন্দর হতে পারতো যদি ক্যামেরার পিছনে আমি না থেকে আরো প্রতিভাবান, ঝানু কেউ থাকতো... /:) :((


আফতাব নগরে কোন এক শরৎ সন্ধ্যায়...


গত বছর (২০১৩ সালে) অলিম্পিক ডে রানে অংশ নিয়েছিলাম। :) শেষ হয়েছিল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে... তখন তোলা ছবিটা।


ফ্লাডলাইট... সাথে নীল আকাশের নীচে সাদা মেঘের ভেলা।


ঢাকা ইউনিভার্সিটি টুরিস্ট সোসাইটির সাথে লামার আলীকদম গুহায় যাওয়ার সময় বাস বিরতির ফাঁকে ছবিটা তোলা। সবাই নেমেছিল প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে :P আর আমি আগেই অন্য আরেক জায়গায় সাড়া দিয়ে ফেলেছিলাম বিধায় তখন আমি প্রকৃতির অন্য ডাকে সাড়া দিচ্ছিলাম। :)


তিন নেতার মাজার... আমার ডিপার্টমেন্টের পাশেই এই মাজারটি। চা খেতে যখন নিচে নামি তখন রাস্তার ওপাশেই চোখে পড়ে এটি। "নীল আকাশের নিচে আমি রাস্তা চলেছি একা"র কোন এক সময় হয়তো তুলেছিলাম, ঠিক খেয়াল নাই... /:)

♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣
চলতে ফিরতে যেসব ছবি ইচ্ছা করে বা মনের অজান্তেই তুলে ফেলি সেগুলোর কয়েকটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আমি কিন্তু একজন ডিএসএলআরবিহীন :((:((:(( আনাড়ি ফটোগ্রাফার। ব্যাগে করে একটা সাইবার শট নিয়ে ঘুরি আর ভালো লাগলে ক্লিক মেরে দিই। সামনে একটা ডিজিটাল এসএলআর কেনার খুব ইচ্ছা আছে। ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফটোগ্রাফিক সোসাইটি থেকে বেসিক কোর্স করা আছে কিন্তু কোর্সের বিদ্যাশিক্ষা ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারছি কই! /:) সবাই দোয়া রাইখেন... পারলে একটু আইডিয়া দিয়েন কোথা থেকে কেনা যায় :):):)
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৩৬
২২টি মন্তব্য ২২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিসের সনদের মান নির্ধারণ করা শয়তানী কাজ

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪০



সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০১। মরুবাসীদের মধ্যে যারা তোমাদের আশেপাশে আছে তাদের কেউ কেউ মুনাফিক। মদীনাবাসীদের মধ্যেও কেউ কেউ মোনাফেকী রোগে আক্রান্ত। তুমি তাদের সম্পর্কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছায়ানটের ‘বটমূল’ নামকরণ নিয়ে মৌলবাদীদের ব্যঙ্গোক্তি

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



পহেলা বৈশাখ পালনের বিরোধীতাকারী কূপমণ্ডুক মৌলবাদীগোষ্ঠী তাদের ফেইসবুক পেইজগুলোতে এই ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ব্যঙ্গোক্তি, হাসাহাসি করছে। কেন করছে? এতদিনে তারা উদঘাটন করতে পেরেছে রমনার যে বৃক্ষতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কটের সাথে ধর্মের সম্পর্কে নাই, আছে সম্পর্ক ব্যবসার।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫০


ভারতীয় প্রোডাক্ট বয়কটটা আসলে মুখ্য না, তারা চায় সব প্রোডাক্ট বয়কট করে শুধু তাদের নতুন প্রোডাক্ট দিয়ে বাজার দখলে নিতে। তাই তারা দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ড্রিংককেও বয়কট করছে। কোকাকোলা, সেভেন আপ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×