somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের পর্যটন ব্যবস্থা ও পর্যটকদের নিরাপত্তা

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার এই পোস্টটি পর্যটন কে নিরুৎসাহিত করার জন্য নয়। এই পোস্টটি পর্যটকদের সতর্ক করার জন্য যাতে তারা ভেবে-চিন্তে নিরাপত্তা সহকারে ভ্রমণ করতে পারে।

বলা হয়ে থাকে বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পের জন্য একটি সম্ভাবনাময় দেশ। আমিও ব্যক্তিগত ভাব তাই মনে করি। কৃত্তিম ভাবে তৈরি নয় বরং প্রাকৃতিক ভাবেই বাংলাদেশ অনেক সুন্দর একটি দেশ। পর্যটন একটি দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হতে পারে, কিন্তু এর জন্য চাই দক্ষ ব্যবস্থাপনা, গ্লোবাল ব্র্যান্ডিং ও পর্যটকদের নিরাপত্তা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো- আমাদের এই তিনটির একটিও নেই। বিশ্বরের অনেক দেশই আজ পর্যটন শিল্পের মাধ্যমে নিজের অর্থনীতিকে একটি শক্ত অবস্থানে নিয়েছে গেছে। এই সকল দেশ গুলোর মধ্যে অন্যতম উদাহরণ হলো- ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড। মাহাথির মোহাম্মদ যখন মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রভার গ্রহণ করেন তখন তিনি দেখেন যে তার দেশ কৃষি ও শিল্পে এতোটা উন্নত নয় যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে টেক্কা দিবে, তিনি আবিষ্কার করলেন তার দেশের প্রকৃতিক সৌন্দর্য্যের কথা, এবং এর উপর ভিত্তি করেই এক রূপ রেখা প্রণয়ন করলেন এবং এটাই তাকে সবচাইতে বেশি সফলতা এনে দিয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো আমাদের দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিগণ বাংলাদেশের সৌন্দর্য সম্পর্কে সচেতন নয়। তাই তারা এই বিষয়টিতে তেমন মনোযোগীও নয়।

আমাদের দেশে যে কয়টি পর্যটন স্থান রয়েছে সেগুলোর অবস্থাও খুব একটা ভাল নয়। এই সকল পর্যটন স্থানগুলোতে পর্যটকগণ প্রতিনিয়তই নিরাপত্তা হীনতায় ভোগে। এমনকি পর্যটকদের নিরাপত্তা দেয়ার ব্যপারে রাষ্ট্রও খুব একটা সচেতন নয়।

আমি মনে করি আপনারা সবাই আমার সাথে একটি বিষয়ে এক মত হবেন যে- রাষ্ট্রের অধীনে থাকা সবকটি জাতীয় উদ্যান বা পার্ক গুলো এখন ছিনতাইকারী ও মাদকাসক্তদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে। এই স্থানগুলোতে কেউ যদি বেড়াতে যায় তবে তার নিজের দ্বায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে। ঠিক এমনই একটি বিষয় পড়ে ছিলাম গত কয়েক দিন আগে কালের কণ্ঠ পত্রিকায়। সেখানে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান সম্পর্কে বলা হয়েছে। বর্তমানে এই স্থানটি ভাসমান দেহ ব্যবসায়ী, ছিন্তাইকারী ও মাদকাসক্তদের আড্ডা খানায় পরিণত হয়েছে। এক কথায় এই স্থানটি এখন আর দর্শনার্থীদের জন্য উপযুক্ত নয়। এরা এতো বেশি সংঘবদ্ধ যে প্রশাসনও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারছে না!!!! উপরন্তু সেখানে একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে - সাবধান বিপদ জনক এলাকা, ভিতরে প্রবেশ নিষেধ। এখন বলুন এই সাইবোর্ডের মানে কি???



জাতীয় উদ্যানকে বন বিভাগই বলছে বিপজ্জনক এলাকা। এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে

এটাকি আমাদের দেশের প্রশাসনের দূর্বলতা প্রকাশ করে না??? আর করলেই কি সেখান থেকে যদি প্রশাসন কিছু টাকা পয়সা পায় তবে আয়টা তো আর খারপ হয় না!!!! আমি আপনাদের সাথে কালের কণ্ঠের লিংক শেয়ার করলাম। এখানে দেখুন: কালের কণ্ঠ:-শ্রীপুর জাতীয় উদ্যান বিপজ্জনক এলাকা!

এছাড়াও এখানে বেড়াতে এসে অনেকই বিব্রতক অবস্থায় পড়ে। ভাওয়াল উদ্যানের ভিতরে চলা বিভিন্ন অবৈধ কাজ পরিবারের সদস্যদের বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দেয় লিংক এখানে

ঠিক এই রকম ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে ডুলাহাজরা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কেও ঘটেছিল কিছু দিন আগে। এখানে যে শুধু ছিনতাই হয় তা নয়, ছিনতায়ের সাথে সাথে পর্যটকদের মারধরও করা হয়। বিস্তারিত এই লিংকে:- বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে পর্যটক ছিনতাইয়ের শিকার

বাংলাদেশে বিকাশমান পর্যটন শিল্পের বহিঃবিশ্বে জনপ্রিয়তা একদম তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। যেখান অন্যান্য দেশ এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে আমাদের দেশে পিছিয়ে যাচ্ছে। আর এই পছিয়ে পড়ার মূল কারণ হলো পর্যটকদের নিরাপত্তা।


কান্ট্রি ব্রান্ড র‌্যাংকিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬০তম

কেউ যদি আমাদের দেশে বেড়াতে এসে সবকিছু হারিয়ে যায়, তবে অবশ্যই ঐ লোক পুনরায় এই দেশে আর বেড়াতে আসবে না। ঠিক এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে কক্সবাজার পর্যটন এলাকায়। এক অস্ট্রেলীয় দম্পতি তাদের সব কিছু হারিয়েছে আমাদের এই দেশে বেড়াতে এসে। আর এই কাজটি করেছে এজন পুলিশ কর্মকর্তা!!! ভাবতেই অবাক লাগে যাদের নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে থাকার কথা তারা সেটা না করে নিজেরাই এই ধরণের অপকর্ম করে যাচ্ছে।

পর্যটন এলাকায় একটি ভয়ের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে পুলিশ- তারা দেশী-বিদেশী সকলের জন্যই ভংকর। এমন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন অনেক লোকই পাওয়া যাবে এই ব্লগে যারা বেড়াতে গিয়ে কম-বেশি পুলিশের হয়রানির শিকার হয়েছে। আমাদের দেশে চোর-পুশিল পরস্পর বিপরীত মূখী নয় বরং একই ধারার ভিন্ন রূপ। পুলিশ ও চোরের মধ্যে সম্পর্ক অত্যান্ত সুদৃঢ় তাই চোর যাই করে তা থেকে পুলিশ তাকে মুক্তি দেয় অথবা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে না। পুলিশের অপকর্ম জানতে ক্লিক করুণ কক্সবাজারে বেপরোয়া পুলিশ, অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকের মালামাল লুট।

পর্যটন শিল্পের বিকাশের ক্ষেত্রে দক্ষ লোকবল দরকার। দক্ষ গাইড না থাকলে পর্যটন শিল্প যথাযথ ভাবে বিকশিত হবে না। ট্যুর গাইড়ের আচার আচারণ হবে ভদ্র-শিষ্ট কিন্তু কিছুদিন আগে মৌলভীবাজার জেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ইব্রাহীম নামে এক ট্যুর গাইডের হাতে তিন জন সাংবাদিক লাঞ্ছিত হন। এরা ছিলেন কালের কণ্ঠ ও বাংলা নিউজ পত্রিকার সাংবাদিক। এই ট্যুর গাইডের মাধ্যমে দর্শনার্থী লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা আরো অনেক আছে। এমনকি এই ট্যুর গাইডরা ছিনতাইয়ের সাথেও জাড়িত থাকে। অনেক সময় তাদের তত্ত্বাবধানে অনেক ছিনতায় হয়। ট্যুর গাইডের অপকর্মের কথা জানুন- লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ৩ সাংবাদিক লাঞ্ছিত।

পর্যটন এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এতটাই দূর্বল যে এখানে ছনতাই-রাহাজানির সাথে ধর্ষনের মতো খারপ বিষয় গুলোও ঘটে। কিছু দিন আগে কুয়াকাটা বেড়াতে গিয়ে এক তরুনী ধর্ষনের শিকার হন!!! এখন বুঝুন বিষয়টি কতটা বিপদ জনক আমাদের জন্য। বিস্তারিত লিংক : কুয়াকাটায় পর্যটক তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ: গ্রেফতার ০১

এই তো দুই-তিন আগে জাহাঙ্গীরনর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল ছাত্র-ছাত্রী গিয়েছিল বঙ্গবন্ধু সাফিারী পার্কে শিক্ষা সফরে। সেখানে তাদের শিক্ষক সহ সকলকেই লাঞ্ছিত করে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। জাবি শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা এখানে । স্থানীয় সন্ত্রাসী বললে ভুল হবে - বলা উচিত পার্ক কতৃপক্ষের পালিত সন্ত্রাসীরা। ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান ও সাফারী পার্ক খুবই কাছা কাছি। এই সাফারী পার্কে কোন রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা রক্ষী নেই। এই পার্কটির ইজারার মাধ্যমে চলে এবং এই পার্কটি ইজারা নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী আওমীলীগের এক নেতা। আর এই সন্ত্রাসীরা হলো তারই পোষ্য লোক। এই ধরণের দর্শনার্থী লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা এখানে প্রায় সময়ই হয়ে থাকে। জাবির শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত করার আগে একই দিনে আরো তিনটি ঘটনা ঘটে এখানে। এর দুই দিন আগেও এখানে একদল স্কুল শিক্ষার্থী লাঞ্ছিত হয়। স্থানীয় এক লোককে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে- এই ধরণের ঘটনা এখানে প্রায়ই ঘটে থাকে। মজার বিষয় হলো এখানে কোন পুলিশ থাকে না তাই স্থানীয় নেতার পালিত সন্ত্রাসীরাই পুলিশের ভূমিকা পালন করে। এই বিষয়টি নিয়ে জাবির শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়েছে যাতে অচিরেই এই ধরণের ঘটনার বিচার হয়। জাবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কর্মসূচি জানতে ক্লিক করুণ এখানে।

সাফারি পার্কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এতটাই খারপ যে- এখানে যদি কাউকে লাঞ্ছিত করা হয় সে কখনো বিচার পাবে না। এটাতো গেল বড় ধরণের দলকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা। এমন অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘটনাও আছে লাঞ্ছিত হওয়ার যা হয়তো কখনোই প্রকাশ পাবে না।


লাঠি হতে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কের ইজারাদারে পালিত সন্ত্রীদের একজন।


বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চল- বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশের অন্যতম একটি জায়গা হতে পারে। এখানে অনেক দেশি-বিদেশী পর্যটক আসতে পারে। কিন্তু এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খুব বেশি সুখকর নয়। আমারা সাধারণত পাবর্ত্য অঞ্চলের সুনির্দিষ্ট কয়েকটি স্থান ঘুরে বেড়াতে অভ্যস্ত কিন্তু এই গুটিকয়েক জায়গা ছাড়াও এই অঞ্চলে আরো অনেক সুন্দর জায়গা আছে ঘুরে বেড়ানোর জন্য। আমরা কেউ সেখানে যেতে পারি না নিরাপত্তার কারণে। নিরাপত্তা রক্ষীদের এই সকল জায়গা সম্পর্কে বললে তারা উত্তর দেয়- এখানে আপনাকে নিজ দ্বায়িত্বে যেতে হবে, নিরাপত্তা রক্ষীরা কোন প্রকার দ্বায়িত্ব নিতে রাজী নয়। এখন বলুন কে নিজ দ্বায়িতে জীবনের ঝুকি নিয়ে এই সকল স্থান পরিদর্শনে যাবে??? তাছাড়া পার্বত্য অঞ্চল গুলোতে প্রায়ই অপহরণের ঘটনা ঘটে থাকে যা দর্শনার্থীদের মনে একটি বিরুপ প্রতিক্রিয়া বা ভয়ের সৃষ্টি করে, ফলে তারা এই সকল অঞ্চল বেড়াতে যাওয়ার আগে বেশ কয়েক বার চিন্তা করে। আর যদি বেড়াতে যায়ও তবে তারা মাত্র কয়েকটি স্থান ঘুরে চলে আসে।

আমার দেখা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও টেকনাফের সমুদ্র সৈকতের মাঝে টেকনাফেরটা অনেক সুন্দর। এই জায়গাটি অনেক শান্ত কোলাহল মুক্ত, সমুদ্রের পানি নীল এছাড়া পাহাড় সমুদ্র আর নাফ নদীর এক অপূর্ব প্রকৃতিক সৌন্দর্যের নীলাভূমি। কিন্তু এখানে পর্যটন শিল্পের বিকাশ খুব একটা হয় নি। এর এটা না হওয়ার পিছনে সবচাইতে বড় কারণ হলো নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আমার দেখা রাত ১০টার পরই এই এলাকা একদম নীরব হয়ে যায়, এবং এর পরপরই শুরু হয় চোরাচালন। পার্শ্ববর্তী মায়ানমার থেকে আসা মদ-ইয়াবা সহ অন্যান্য জিনিস পত্রের নৌকা থেকে অনলোড করার কাজ। পুলিশ প্রশাসন এখানে থাকলেও তারা এই নিয়ে কিছু বলে না। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বড় ভাই এখানে পুলিশের এস অই। তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন- ধরে কোন লাভ নাই, পরের দিনই ছেড়ে দিতে হয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের চাপের কারণে। মজার বিষয় হলো এখানে যারা প্রশাসনে আছে তারাও এই চোরকারবারীদের ভয় পায়। যেখানে পুলিশই তাদের ভয় পায় সেখানে কি ভাবে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে???

সুন্দরবন অঞ্চলেও একই অবস্থা । যারা সুন্দরবনে বেড়াতে গিয়েছেন তারা হয়তো বা জানবেন মাত্র কয়েকটি ছোট ছোট নৌ-পথেই পর্যটকরা ঘুরে বেড়াতে পারেন। কখনো বনের গভীরে যাওয়া হয় না । এখানেও নিরাপত্তা অন্যতম কারণ। বনের গভীরে জলদস্যুদের বসবাস। তারা ছিনতাই-হত্যা ও অপহরণের সাথে জড়িত।

প্রশাসন বা আইনের কথা আর কি বলব!!! আমাদের দেশে যেখান থেকে আইন প্রণয়ন করা হয় সেই জায়গাটির আশে পাশেই তো নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুব একটা ভাল না। সংসদ ভবন ও জিয়া উদ্যানের কথা একবার চিন্তা করুন। এর আশে পাশে প্রচুর ছিনাতাই কারী-হিরোইন খোর-গাঞ্জা খোরদের আ্ড্ডা আর রাত নামলেই চলে রমণী ব্যবসা। নিরাপত্তা এখানেও নেই।

এরপর বোটানিক্যাল গার্ডেনর কথায় আসা যাক- যারা ঢাকা শহরে থাকেন তারা আমার চাইতে ভাল বলতে পারবেন বোটানিক্যাল গার্ডেনের কথা। এখানে দিনে দুপুরেই ছিনতাই সহ চলে দেহ ব্যবসা।
বোটানিক্যাল গার্ডেনের অবস্থা জানতে ক্লিক করুণ:-

প্রথম আলো: আতঙ্কের নাম বোটানিক্যাল গার্ডেন

বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে ককটেল ও গান পাউডার উদ্ধার

ভাড়ায় প্রেম:
সর্বশেষ লিংটি যার উপর ভিত্তি করে লেখা সেটি আমি নিজে পড়েছি কিন্তু এখানে দেয়া লিংকটি ঠিক মতো কাজ করছে না।

রাষ্ট্র যতক্ষণ না পর্যন্ত পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে পারবে ততক্ষণ পর্যন্ত এই দেশে পর্যটন শিল্প বিকাশ লাভ করবে না। তাই কোথাও বেড়াতে যাওয়র আগে নিজের নিরাপত্তা নিজেরই নিশ্চিত করে যাওয়া উচিত কেননা মানুষ বেড়াতে যায় একটু অনন্দ করার জন্য কিন্তু সেই আনন্দ যদি বিষাদে পরিণত হয় তাহলে নিশ্চয় কেউ আর বেড়াতে যেতে চাইবে না।
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×