তিনি ভালোবেসেছিলেন এই দেশের মাটিকে, মানুষকে আর সংস্কৃতিকে। তিনি বাংলায় একেছেন বাংলার সুরের ছবি। জাগতিক সুখ না খুজে বিলিয়েছেন অন্যের তরে অকাতরে। আব্দুর রফ ফকির। যার মধুমাখা কন্ঠে মুহিত হয়েছে হাজারো শ্রোতা। এই তো কিছুদিন আগে 'ঢাকা ফোক ফেস্ট' মাতিয়েছিলেন।
আমরা কজন চিনিতাম এই জাদুকরী স্বসংস্কৃতি প্রেমী শিল্পীকে? সকল মায়া কাটিয়ে সুরের মূর্ছনা থামিয়ে আজ তিনি চলে গেছেন না ফেরার দেশে।
দুঃখজনক ভাবে অকালেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাউল আব্দুর রফ ফকির। তিনি তার সারা জীবন মানুষের সুখ দুঃখ আর হাসি আনন্দের গান গেয়ে গেছেন। ফকির লালনের গান গুলো তোলেছে স্পস্ট ভাবে যা ছিলো বর্তমান সময়ে বিরল উদাহারণ।
ভক্তি আর ভালোবাসার দীক্ষা দিয়েছেন জীবনভর অকৃপণ ভাবে, নিঃস্বার্থভাবে।
ওস্তাদ আব্দুর রহিম বয়াতির প্রতি গুরু ভক্তি অপরিসীম। কিশোর রব বাবার পকেট থেকে লুকিয়ে পয়সা নিয়ে গানের পিছনে ব্যয় করতেন। তাঁর বাবার মতোই সেও এখন কুষ্টিয়ার জগতি চিনির মিলে সামান্য চাকুরী করতেন। রব যার কাছে দীক্ষা নেন তাঁর নামও রব ফকির পুরো নাম আব্দুর রব ফকির, যিনি বয়সে প্রবীণ, খলিসাকুন্ডিতে তাঁর একটি নিজস্ব আস্তানা আছে। রাশ ভারি স্বভাবের এই গুরু তাঁর ইচ্ছামতোই তৈরি করেছেন তাঁর শিষ্যকে।
লালনের তত্ত্বজ্ঞান, নিগুর কথা তিনি তাঁর কাছ থেকেই শ্রবণ করেন। রব ফকির দেশের সর্বত্র গান করে বেড়ান। আনুশেহ, শাহানাজ বেলীসহ অনেককেই গান শিখিয়েছেন হাতেকলমে।
আজ ২৩শে শ্রাবণ ১৪২৩; ৭ই আগস্ট ২০১৬ খ্রিঃ রবিবার রাত ১টায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২