কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ তার পরিবার ও ভক্তিবৃন্দের মায়া কাটিয়েছেন বেশ ক'দিন হলো। কিন্তু তার মায়া কি আমরা কাটাতে পেরেছি? অথবা আদৌ কি তা সম্ভব? সেই বাউন্ডুলে ভ্যাগাবন্ড হলুদ পাঞ্জাবি পরা ছেলেটি কি এখনো হেটে বেড়ায় ব্যাস্ত ঢাকার রাজপথে? পকেটের প্রয়োজন নেই তার, নাই কোন স্থিরতা-ধিরতা। অথচ কত সাবলীল! অবাক লাগে খুব, কি করে রুপার মত মায়াবী একটা মেয়ের মায়া আগ্রাহ্য করে কেউ মহামানব হওয়ার ব্রত পালন করে যাচ্ছে দিনের পর দিন! যে মানুষ ভালোবাসা আগ্রাহ্য করতে পারে, তার কাছে ক্ষুধা,তৃষ্ণা কোন ছাড়? প্রশ্ন জাগে মনে, হুমায়ন সাহেব তো নেই এখন। তো হিমু কি করছে এখন? আগের মতই আছে? নাকি ঘর বেধেছে রুপার সাথে?
আর ওই বুড়ো পাগল প্রফেসর! নাই কাজ খই ভাজ। যত আজগুবি কাহিনী গুলোর কি বাস্তবিক সমাধান খুজে বের করতো পাগলা প্রফেসর। প্যারানরমাল সাইকোলজির রহস্য খুজতে গিয়ে যে কত খাটতে হতো এই নিঃসঙ্গ মানুষটিকে, আর কি প্রবল জ্ঞান পিপাসু একটা মানুষ, সব জানা চাই তার। জগৎ এর রহস্য, জীবনের রহস্য তো আছেই, ঈশ্বরের রহস্য জানার জন্য কত ছুটোছুটি করতো বুড়ো অসুস্থ শরীর নিয়ে। প্রায়ই অসুস্থতাজনিত কারণ হাসপাতালে ভর্তি হতো, কেমন আছেন তিনি? বেচে আছেন তো এখনো? থাকলে নিশ্চয় নতুন কোন রহস্য নিয়ে ঘেমে নেয়ে অস্থির হচ্ছেন।
সহজ সরল বড় মনের চশমা পড়া ছেলেটার চোখের সমস্যা কোন পর্যায়ে এখন? সেকি অন্ধ হয়ে গেছে? বাবার তো অনেক টাকা, চোখ কি ভালো হবার নয়? অন্যের পাশে সব সময় দাড়াতে নেই এই সহজ কথাটি বুঝবে না ছেলেটি। লোকের মুখে এক চিলতে হাসি দেখতে পেলেই খুব খুশি। এখনো কি তেমনই আছে? নাকি সব কিছুর মত পাল্টে গেছে তারাও?
মাঝে মাঝে মনে হয়, তাদের যিনি জন্ম দিয়েছেন মানে কাগজ আর কলমের সাহায্যে, তিনি তাদের নিয়ে গেছেন সাথে করে। আবার ভাবি, তিনি তো আসলে এখনো আছেন সেই চরিত্র গুলোতে, থাকবেন আরো বহু বছর।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:২৭