somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঈদ ও আমার শিল্পচর্চা (নুশেরা আপু, সাজি আপু,সুরভিছায়া,আইরিন আপু, শিরোনামহীন,তাজিন আপু, কাঁকন তোমরা অবশ্যই আমার এ পোস্ট পড়বে)

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঈদ সন্নিকট।আমার মার্কেট ঘুরাঘুরি, কেনাকাটিও শেষের পর্যায়ে। আমি আগেই বলেছি যত না কিনি তার চাইতে ঘুরি বেশী। তাই বলে একেবারেই যে কিনিনা তা কিন্তু নয়।
আর আমার সবচাইতে ভালো লাগে আত্নীয়স্বজন, বন্ধু বান্ধব, কাছের মানুষ জনগুলোর সাথে সাথে বাসার কাজের মানুষ গুলোর জন্য হলেও কিছু না কিছু কিনতে।আমার আশে পাশে যারা আছে তাদেরকে কিছুনা কিছু উপহার দিতে। সে যত স্বল্প মূল্যেরই হোকনা কেনো। ঈদের আনন্দ সবার সাথেই ভাগ করে নিতে ইচ্ছে হয়।
আমি ছোটো থেকেই আবার শিল্প চর্চায় মহা-অনুরাগী। চোখের সামনে যা দেখবো একটু ভালো লাগলেই তাই আমার ট্রাই করা চাই ই চাই। পারি না পারি আমাকে ট্রাই করতেই হবে। কেউ ভালো বলুক না বলুক তাও কিছু যায় আসেনা। কিন্তু আমার সেটা করে দেখতেই হবে। এই কারণে নাচ গান আবৃত্তি, ছবি আঁকা কিনা ট্রাই করেছি জীবনে তার ইয়ত্তা নেই।
বছর খানেক আগে একজনকে দেখলাম নিজে হাতে ফেব্রিক পেইন্ট দিয়ে নিজের কামিজে একেছে। ব্যাস ! এমনিতেই আঁকা আঁকির অভ্যাস ছিলো। এক বক্স ফেব্রিক পেইন্ট কিনে লেগে গেলাম কামিজে আঁকতে।
আমার নিজের জন্য আঁকা কামিজ গুলো আবার আমার পরিচিত মহলে খুবি বাহবা পেলো। তখনই সিদ্ধান্ত নিলাম এই ঈদে আমি আমার প্রিয়জনদেরকে নিজের হাতে আঁকা কাপড় উপহার দেবো।
কাজেই রোযার শুরুতে বাংলার মেলা থেকে এক রং সুতী দুটি শাড়ী কিনলাম মাকে আর মাতৃসমা ফুপিকে নিজে হাতে একে উপহার দেবো বলে।
আরো যারা কাজিন আছে তাদের পিচ্চি পাচ্চাগুলোকেও নিজে হাতে একেই উপহার দেবো ঠিক করে ফেললাম।

সেই প্রয়াসেই বানালাম নিজে হাতে আঁকা দুটি শাড়ী ও পিচ্চিপাচ্চিদের জন্য কয়েকটি জামা ও পান্জাবী।
শাড়ী দুটি ও পিচ্চিপাচ্চিদের জামার দু একটি ছবি এইখানে দিলাম। পঁচা হয়েছে কি ভালো হয়েছে জানিনা, তবু আমি নিজেই খুশী নিজের হাতে কিছু করে দিতে পেরে।

আমার এই লেখা নুশেরা আপু, সাজি আপু,সুরভিছায়া,আইরিন আপু, তাজিন আপু, কাঁকন, প্রিটী সোনিয়া, চিটি, সুমাইয়া মুনিরা,খুশবু, নিলা তোমরা অবশ্যই পড়বে আর জানাবে আমার শিল্পচর্চা কেমন হয়েছে। যেহেতু শাড়ী তাই মেয়েদেরকে অগ্রাধিকার দিলাম মতামতের জন্য।


সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩৮
৭৬টি মন্তব্য ৭৩টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছায়ানটের ‘বটমূল’ নামকরণ নিয়ে মৌলবাদীদের ব্যঙ্গোক্তি

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



পহেলা বৈশাখ পালনের বিরোধীতাকারী কূপমণ্ডুক মৌলবাদীগোষ্ঠী তাদের ফেইসবুক পেইজগুলোতে এই ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ব্যঙ্গোক্তি, হাসাহাসি করছে। কেন করছে? এতদিনে তারা উদঘাটন করতে পেরেছে রমনার যে বৃক্ষতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কটের সাথে ধর্মের সম্পর্কে নাই, আছে সম্পর্ক ব্যবসার।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫০


ভারতীয় প্রোডাক্ট বয়কটটা আসলে মুখ্য না, তারা চায় সব প্রোডাক্ট বয়কট করে শুধু তাদের নতুন প্রোডাক্ট দিয়ে বাজার দখলে নিতে। তাই তারা দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ড্রিংককেও বয়কট করছে। কোকাকোলা, সেভেন আপ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×