somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হতে শুধু দুইপা ফেলিয়া...........

১১ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ২:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ঘুরে এলাম উত্তরবঙ্গ।এমনিতে ছোট বেলা হতেই বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়িয়েছিলাম, স্কুল ছুটি হলেই বেরিয়ে পড়তাম আমরা। সে অভ্যাসটাই ঝালাই করে নিতে ভুলিনা এখনও। তাই তো চলে গেলাম অনেক অনেক বার দেখা সত্বেও আবারও
কোন পুরাতন প্রাণের টানে......
বগুড়া শহরে পৌছেই পর্যটন মোটেলে খানাপিনা সেরেই একটু রেস্ট নিয়েই দৌড়ালাম মহাস্থান গড়ের উদ্দেশ্যে। এই মোটেলটার নবনির্মিত সাগর নীল বারান্দাটাও আমার মন কম জুড়ালোনা!!!

মহাস্থান গড়ের আগে গিয়েছিলাম ভাসুবিহার।ভাসুবিহারের পূরাকীর্তি আর মনোরম বাতাসে মন ভরালাম, প্রান জুড়ালাম।


মহাস্থানগড়ের যাদুঘরের সামনের বাগানের শিবলিঙ্গ।

এরপর গেলাম গোকুলমেধ, বেহুলার বাসরঘর। আগেও এসেছিলাম এবারও আসলাম তবে প্রাচীন এই পুরাকীর্তির সাথে সাথে নিয়ে আসলাম একটি বাক প্রতিবন্ধী শিশু ইউনুসের স্মৃতি। ছেলেটার বাবা মারা গেছে। এখন সে সৎ বাবার সংসারে থাকে। একটা বেহুলা লক্ষীন্দররে বই বিক্রি করতে পারলে দুই টাকা, ৪ টা করলে ১২ টাকা। আমি যখন ওকে একটা স্নিকার আর ২০০ টাকা দিয়ে বললাম, তোমার যা খেতে ইচ্ছে করে তাই কিছু কিনে খেও তখন তার অনাবিল হাসিটা ঐ পূরাকীর্তি দর্শনের ভালোলাগার অনুভুতির চাইতে কোনো অংশেই কম ছিলোনা।


ইউনুস ও পিছে বেহুলার বাসর ঘর।
মহাস্থান গড়ের বিখ্যাত কটকটি

সুলতান শাহ মাহমুদ মাজার

মাজারের সিড়ি

রাতে ফিরে বগুড়ার বিখ্যাত রাজ হাসের মাংস ও ভাত তারপর এক ঘুমে রাত পেরিয়ে পরদিন আবার ছোটা। গিয়েছিলাম আদমদিঘী, একবন্ধুর বাড়ী সেখানে। তার বিশাল বাড়ী, হাসমুরগী, গরু ছাগল, পুকুর ভরা মাছ দেখে ছিপ দিয়ে ও তিনকোনা জাল দিয়ে মাছ ধরে, পুকুরে ডুবসাতারে ভালোই কাটলো দিনটা। আমাদের ধরা বড় বড় পুটিমাছ ভাজা দিয়ে ভাতও খেলাম সেদিন।:P

এরপর গিয়েছিলাম পুঠিয়ার রাজবাড়ী যা এখন লস্কর ডিগ্রীকলেজে রুপান্তরিত হয়েছে। এই ভাঙাচুরা বাড়িটায় নাকি ছেলেমেয়েরা ক্লাস করে।

এর সামনে দেখলাম রথের গাড়ী।

এর পরে ওখানেই ভুবনেশ্বর শুভ মন্দির দর্শন। বিশ্বনাথ গাইড তার ঋজু ভঙ্গিমা কথা বলার স্টাইলে আমি যথারিতী মুগ্ধ!এত সুন্দর করে সবকিছু বিশ্লেষন করে যাচ্ছিলো সে।ওর কাছেই প্রথম জানলাম, পন্চরত্ন মন্দির মানে পাঁচগম্বুজ মন্দির।এ মন্দিরের নাম ভুবনেশ্বর শুভ মন্দির।পাশেই জগন্নাথ দেবের মন্দির।আরো জেনেছিলাম দোল পুর্নিমায় দোল মন্চে দোলনায় দুলানো হয় শ্রীকৃষ্ণ ও রাঁধা দেবীকে।

এরপর নাটোরের রাণীভবানীর রাণীমহল দর্শন

রাজবাড়িরই মনোমোহিনী শীতলজল পুকুর


তারেকেশ্বর মন্দির। তিন দেবতার তিন শক্তি মানেই তারেকেশ্বর, এটাই সেই মন্দির সাধুবাবার ভাস্য হতে সেদিনই জেনেছিলাম।
সাধুবাবার দেওয়া চরণামৃত খেতে রাজী হইনি কিন্তু সাধুবাবা তাতে একটুও রাগ না করে আমাকে একটা আপেল দিয়েছিলেন। মাথায় ছিটিয়ে দিলেন পবিত্র জল।
এসব ছাড়াও বগুড়ার মোঃ আলী নবাব বাড়ী ও কারুপল্লী স্টুডিও ও আমার খুব ভালো লেগেছিলো
নবাব বাড়ির গেট


জলদেব ও জলকুমারী ভাস্কর্য্য

কারুপল্লীর তিন সুশিক্ষিত বাঁদরের এক বাঁদরের ছবি
খারাপ কিছু দেখবেনা, খারাপ কিছু বলবেনা আর খারাপ কিছু শুনবে না যে শপথ করেছে

খুব খুব ভালো লেগেছে ওদেরকে আমার। আমরাও যদি ওদের মত হতে পারতাম!

সব ভালো লাগার স্মৃতিগুলো নিয়ে ফিরে এলাম ঢাকা। মনে পড়ছিলো সৌম্য আর টিংকু ট্রাভেলারকে।




সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৪:২৩
১২০টি মন্তব্য ১২৮টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×