somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রমজান, ইফতার, সপিং, উপহার ও তাহাদের জন্য

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এমনিতে আমি খুব বেশী ধার্মিক নই তবে রোজা রাখাটা কেনো যেনো সেই ছেলেবেলা থেকেই অভ্যাসে পরিনত হয়ে গিয়েছে। মনে পড়ে সেই ছেলেবেলার রমজানের সন্ধ্যাগুলো। ছেলেবেলা থেকে যতই অঘটনঘটন পটিয়সী হইনা কেনো সবকিছুতেই উৎসাহ উদ্দিপনার আমার কোনো ঘাটতি ছিলোনা তাই বাড়ীর কাজের মানুষগুলোর সাথে সাথে মাও যখন ব্যাস্ত হয়ে উঠতেন ইফতার তৈরীতে তখন আমিও সকল কাজের কাজী, তার চাইতে শতগুন ব্যাস্ত হয়ে উঠতাম নানা রকম কর্মকান্ডে।
কাঁচা ছোলা ছিলে শাস বের করে দেওয়া, শশাগুলো ছিলাচাকু দিয়ে ঝটপট কেটে ফেলা তাতে কাঁটাচামচ দাবিয়ে নক্সাদার স্লাইস বের করা এসব তো সেই ছেলেবেলা থেকেই আমার কাছে নস্যি। এমনকি টম্যাটো গোলাপ বা টম্যাটো টিউলিপ বানিয়ে ছোলার ঘুগনীর মাঝে বসিয়ে দেওয়া সেও আমার কাছে একি রকম মজাদার স্মৃতি হয়েই রয়েছে।আজো মিস করি আমি সেইসব দিনগুলোকে।
তবে মোটেও বসে থাকিনা শুধুই স্মৃতি নিয়ে।আমার আর ফুপির সংসারটা দুজন মানুষের হলেও লোকসংখ্যা নেহায়েত কম নয়। বুয়া, তার পিচ্চি ছেলে, দারোয়ান, ড্রাইভার সব মিলে জনা দশেক মানুষের ইফতার। এছাড়া তো আছেই প্রায় রোজ ই কোনো না কোনো গেস্ট শহুরে অথবা গ্রাম থেকে আগত। যাইহোক সবাইকে নিয়ে ও সব কিছু নিয়েই ইফতারীটা ছেলেবেলা থেকে খুব একটা কম আকর্ষনী্য নয় আমার কাছে।
এবারেও আমি ইফতারীতে নিত্যদিন নিত্য নতুন একটা কিছু স্পেশাল আইটেম রাখার চেষ্টা চালিয়েছি।



চিরাচরিত পেয়াজু, বেগুনী আর ছোলা আর এসবের সাথেই ছিলো একেকদিন একেক স্পেশাল আইটেম, যেমন

চিকেন কেজুনাট সালাদ বা

স্রিম্প ককটেইল


আমার প্রিয় ফ্রায়েড চিকেন ও ফ্রেনচ ফ্রাইস এসব অবশ্য আমি বানাইনি।


চিকেন স্যাটে ও ফ্রুট ভেজিটেবল সালাড । এসব কিন্তু আমার কারিগরি:P


স্যুপ ও প্রন বলস। স্যুপটা বাসায় বানানো আর প্রনবল গুলো ফ্রোজেন প্যাকের।



মুড়ি , শরবৎ আর জিলাপী এসব ছাড়া কি ইফতারী হয়???
আজকের শরবৎটা ছিলো আনারসের।
এছাড়া হালিম, কাবাব ও চাওমিনের ছবি তোলা হয়নি হালিম ও কাবাবটা দোকানের কাজেই ছবি দেবার কোনো দরকারও নেই।তবে চাওমিনটা আমার বানানো তাই ছবি তুলতে ভুলে যাওয়ায়/:)/:)/:)

এসব তো গেলো রমজান ও ইফতারের আনন্দ তবে আমি ঈদ উপলক্ষ্যে সবসময় আমার প্রিয়জনদেরকেও উপহার দিতে ভালোবাসি। রমজানে তাই আমার আরো একটা কাজ থাকে নিজে হাতে বানানো উপহার ।সব সময় নিজে হাতেসবার জন্য সব কিছু বানানো সম্ভব হয়ে ওঠেনা তবে যতদূর পারি চেষ্টা চালিয়ে যাই। এবছরে এক গ্রুপের জন্য তো পরের বছরে আরেক গ্রুপের জন্য।এবারে কাজিন বোনদের জন্য বানিয়েছি তাঁত খাদির কাপড়ে নিজে হাতে হান্ড পেইন্ট ও স্টিচ দিয়ে নক্সাদার দেশাল স্টাইল সেলোয়ার কামিজ।

নীলা আপুর জন্য নীল নীল জামাটা।

এটা ছোটবোনটার জন্য

এই ছাইরঙা জামাটা আমার সবচেয়ে বড় কাজিন আপুটার জন্য।

পিংকী আপু আমার মামাত বোন( ব্লগের পিংকী না কিন্তু) জন্য তার নামের সাথে মিলিয়ে বানালাম পিংক জামাটা

এটা আমার বেস্ট ফ্রেন্ড অতসীর জন্য

এটা বানালাম নিজের জন্যই:P



মজার মজার ইফতারী খেয়ে পেট ভরিয়ে আর কাজিনদের জন্য জামা বানিয়েই কিন্তু আমি ভুলে যাইনি তাহাদের কথা। আমাদের বাসায় বুয়ার যে পিচকি বাবুটা আছে তার জন্য আর আমাদের ড্রাইভারের একি বয়সী ছেলেটার জন্য কিনেছি এই দুটো জামা

আর বুয়ার নতুন শাড়ীটাতেও নিজে হাতে একে দিতে চাই আমার ভালোবাসার উপহার।

ঈদের আনন্দটা নাহয় সবার সাথেই ভাগ করে নিলাম। আমার আশেপাশে যারা রয়েছে তাদের সবার মুখেই একটু হাসি ফোটাবার চেষ্টা তো করতে পারি।

সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৩৬
১৩২টি মন্তব্য ১৪৮টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×