somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এক দেশে ছিলো এক রাজামশাই- যে রাজামশাই চলে গেছেন এক অজানার দেশে-

২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বেশ কিছুদিন যাবৎ আমি ভালো নেই। এই কথাটা শুনলে মনে হয় না কেউ সেটা বিশ্বাস করবে। কারন আমি ভালো থাকি বা খারাপ থাকি আমি কাউকে কখনও বুঝতে দেইনা। সব সময় একই রকম থাকার চেষ্টা করি আর সেটা ভালো থাকার চেষ্টা। আমার ভালো থাকাটা বেশ
গাঢ় রঙের । সহজেই চোখে পড়ে সেটা। কিন্তু মানুষের সব দিন সমান যায়না, তাই আমাকেও ইদানিং বেশ খারাপ থাকতে হচ্ছে। নিজেকে অনেক রেগুলার এ্যাকটিভিটি থেকে বিরত রাখতে হচ্ছে। তাই আগের মত নাচ, গান বা লেখালিখি থেকে একটু দূরে ছিলাম এবং আছিও। সে যাই হোক বেশ কিছুদিন আগে আমি একটা পোস্ট লিখেছিলাম, Click This Link

যদিও আমি নিজেই এখন অনেকটা অনিয়মিত হয়ে পড়েছি তবুও একটু হলেও ঢু দেই আজও এখানে বা সবার ব্লগই পড়বার চেষ্টা করি এখনও এবং সুযোগ পেলে লিখিও কিন্তু আমার চাইতেও যারা অনিয়মিত বা একেবারেই হারিয়ে যাওয়া ভাইয়া আপুনিরা তাদের কথা স্মরণ করেই লিখেছিলাম এই পোস্টটা। অনেকের সাড়া পেয়েছিলাম আবার অনেকের পাইনি। আজও সেই পোস্টে হারিয়ে যাওয়া অনেকেরই দেখা পাই। আজ হঠাৎ একটু আগে ঐ পোস্টে মেহবুবা আপুনির কমেন্ট দেখতে গিয়ে আমি থমকে গেলাম। বেশ কিছুক্ষন মাথাই ঢুকছিলোনা আপু কি বলতে চেয়েছেন। আপু লিখেছেন-

১৩৯. ২৬ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:২২ ০
মেহবুবা বলেছেন: "২৭.রাজামশাই-এই রাজামশাই নিয়ে আমি রীতিমত রিসার্চ করেছিলাম । হা হা এবং শেষ পর্যন্ত পুস্পপ্রেমী এই ভাইয়া রিসার্চে সফলও হয়েছিলাম আমি। ভাইয়া যদি কখনও আমার এই কথাগুলি পড়ে নিশ্চয় মনে মনে ক্ষেপতে থাকবে। যদিও ভাইয়াটাকে কখনও রাগ করতে দেখিনি আমি। কোথায় গেলো ভাইয়াটা সব ফুলগুলি নিয়ে ?
http://www.somewhereinblog.net/blog/mohdfiendblog


সব ফুল দিয়ে চিরদিনের জন্য চলে গেছে।
ছুটে গেলাম ভাইয়ার পোস্টে । তার লাস্ট পোস্টে কেনো যেন আমার যাওয়া হয়নি।
http://www.somewhereinblog.net/blog/mohdfiendblog/29960634#c1097647

সেখানে দেখলাম গিয়াসভাইয়া লিখেছেন-
১০. ১৫ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৫১ ০
গিয়াসলিটন বলেছেন: এই মাত্র জানতে পারলাম এই পোস্ট দাতা ব্লগার রাজা মশাই ইন্তেকাল করেছেন । ইন্নানিল্লাহি অয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন ।

ভাইয়া গত ১৫ই জুন ছেড়ে গেছেন চিরতরে আমাদেরকে সেকথা আমি আজ জানতে পেলাম। ভীষন মনটা খারাপ হলো।

রাজামশাই
পোস্ট করেছেন: ৮৬৮টি
মন্তব্য করেছেন: ১৭৯৭০টি
মন্তব্য পেয়েছেন: ১৬৯৮৫টি
ব্লগ লিখেছেন: ৭ বছর ৩ মাস
অনুসরণ করছেন: ১ জন
অনুসরণ করছে: ১৩৫ জন
ব্লগটি ৭০৯১৫৩ বার দেখা হয়েছে


আমার রাজামশাই ভাইয়া। ভাইয়া ২০০৮ সালে এই ব্লগে রাজামশাই নামে এসেছিলেন। সেই প্রিয় ভাইয়াটার পোস্টের সবচাইতে প্রিয় সাবজেক্ট ছিলো ফুল। সেই ফুলওয়ালা ভাইয়া আর কোনোদিন লিখবেন না কোনো পোস্ট। ভাবতেই কি এক অজানা কষ্ট হচ্ছে। ভাইয়াকে যখন প্রথম জানি, একটা রাজার ড্রেস পরা প্রোপিক আর কারো পোস্টে মন্তব্যের ঘরে পোস্ট পড়ে খুশী হলে কিছু স্বর্নমুদ্রার ছবি দিতেন। বলতেন এই নে খুশি হয়ে দিলাম। খুব অল্প কিছু কথা কিন্তু খুব মজা লাগতো সেটা দেখে।

এরপর তার আরও এক নিকের হদিশ খুঁজে বের করেছিলাম। সে ছিলো এক রহস্য আর আমার অনেক আনন্দের একটা দিন। কারণ রুপকথার রাজামশাই এর মতনই সে ছিলো এক রুপকথার গল্প। রাজামশাই ভীষন ভালো একজন মানুষ ছিলেন। বেশ গাম্ভীর্যের সাথে রসিকতা করতেন তিনি। ফুল বিষয়ে অগাধ জ্ঞান। দেশের বাইরে ছিলেন সে সময়টা। বুদ্ধি খাঁটিয়ে বের করেছিলাম তিনি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।

আমি তাকে রাজামশাই ভাইয়া ডাকতাম তাই তিনি রাগ করে বলতেন রাজামশাই ভাইয়া আবার কি শুধু রাজামশাই বল। ভাইয়ার সাথে অনেক আগে মেসেঞ্জারে কথা হত। ভাইয়া আমাকে এ্যাড করেছিলেন আমার নির্ভূল অনুসন্ধানের খবর পেয়ে। খুব জানতে চেয়েছিলেন কি করে আমি এত বড় গোয়েন্দা হলাম। ভাইয়াকে বলেছিলাম এই গোয়েনদাগিরি ছিলো তাকে অনেক অনেক ভালো লাগার কারণ।

যাই হোক,রাজামশাভাইয়া বেশ আবেগী ছিলেন, একটু অভিমানীও বুঝি। একবার তিনি বেশ রাগ করে ব্লগ ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছিলেন।
http://www.somewhereinblog.net/blog/mohdfiendblog/28834883

নিবিড় অভ্র বলেছেন: .
রাজামশাই আপনি চলে গেলে এই অধমদের কি হবে......???

আমি কার কাছে ফুরুস ..... চন্দ্রপ্রভা.... কিংবা..... শারঙ্গ ফুলের খোঁজে যাব!!! প্লিজ.....
নিবিড় ভাইয়ার মত অনেকেই এইভাবে বাঁধা দিয়েছিলো তাকে আর তিনি ফিরেও এসেছিলেন। সবার এত ডাকাডাকি বা অনুরোধ তিনি উপেক্ষা করতে পারেননি।

২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৩ ০
লেখক বলেছেন: আইলাম ফিরে

ভাইয়া ফিরে এসেছিলেন আবারও লিখেছিলেন ফুলেদের গল্প কিন্তু আজ শত ডাকলেও ফিরবেন না তিনি । আমার রাজামশাই ভাইয়া চলে গেছেন অচিনপুরের এক অজানা দেশে। ভাইয়া তোমার জন্য অনেক অনেক দোয়া আর ভালোবাসা। অনেক ভালো থেকো তুমি ঐ অজানার দেশে। একে একে সাগর ভাইয়া গেলেন, ইমন ভাইয়া গেলেন, তুমিও চলে গেলে।

আমরাও আসছি। আমি আসছি...
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:২৯
৭৭টি মন্তব্য ৭৬টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×