somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

:|বৌ এর চেহারা দেইখা নাকি আমার বন্ধু বারবার কনফিউজড হয়ে যায় ;)

২৯ শে মে, ২০০৯ রাত ৮:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




বছর খানেক আগে এক দিন এক দোস্ত ফুনায়া কইলো -- দোস্ত, বিয়াটা তো কইরাই ফালাইলাম , এখন বৌ এর চাঁদ মুখটা দেখলেই জীবনে কেমন শান্তি শান্তি লাগে ... তোর বউ নাই, জীবনটা এক্কেরে পাইনস্যা কইরা ফালাইসস , জলদি বিয়া কর ...
আমি তারে কইছিলাম -- ধীরে বন্ধু , কয়টা বছর যাক এর পরে বলিস আমারেএই কথা ...

শেষ পর্যন্ত বছর না, কয়েক মাস পরেই সেদিন আমারে ফুনাইয়া কইলো -- দোস্ত এমুন হবে তা তো আগে ভাবিনাই ...
আমি আসকাইলাম -- কেন, কি হইসে ?

দোস্ত কইলো -- হানিমুনে গেছিলাম সমুদ্র সৈকতে, সারা রাত জাগনার পরে সকালে যখন ঘুমাইসি আম্মা ফোন করে বলে কিরে এমন সময় ঘুমাস ক্যান , আমি কইসি আম্মা সারা রাইত ঘুমাই নাই, এখন একটু ঘুমাই পরে কল ব্যাক কর্তাছি .... এই কথা শুইনা আম্মা আবার ফোন দিসে ওর সেলে ... এর পরে কইলো বৌ মা পোলাডা ঠিকমতো ঘুমাইতে পারে নাই সারা রাইত, তুমি কি একটু খেয়াল রাখতে পারো নাই ? এখন থেকে ওর দিকে সবসময় খেয়াল রাখবা ... এই কথা শুনার পরে বৌ এর মুখ দেইখা বুঝতারিনাই সে হাসে না কান্দে ...

আমি কইলাম -- আর কি হইসে?

দোস্ত কইলো -- বৌ আমার মুরগী ফ্রিজ থেকে বের করে রাখসিলো রোষ্ট করবে বলে, কাজের থেকে আসার পরে দেখে আম্মা সেইটা লাউ দিয়া রান্না কইরা ফালাইসে ... আমি ও একসাথে ঢুকসিলাম ঘরে, ঐ মুহুর্তে ওর চেহারা দেইখা বুঝতে পারতেসিলাম না ও কানবো নাকি হাসবো :|

আমি কইলাম -- বিয়ার আগে যার প্রতিটা ম্যুভমেন্টে তুই সব বুইঝা ফালাইতি আজকাল এমন হইতেসে ক্যান ?

দোস্ত কইলো --- বুঝতাসি না রে, ঘটনা কোনখানে প্যাচ খাইতেসে ... সেইদিন তারে রান্নায় সাহায্য করতে গিয়া তরকারিটা মোটামুটি পুড়ায়া ফেলছিলাম, বিয়ার আগে হইলে তো সে এমন অবস্হায় কইতো - থাক যা হওয়ার হইছে, আরেকবার রান্না করুম নে, এখন দেখি কয় এইটা পুড়াইসো নিজে নিজে আবার রান্না করো ... তখনো তার চেহারা দেইখা বুঝি নাই সে রাগ কইরা কইলো নাকি ফান করলো :|

আমি কইলাম -- জটিল অবস্হা দেখি তোর , তা - শুনছি বিয়া করলে নাকি মানুষের ওজন বাড়ে , তোর কি অবস্হা ?

বন্ধু কইলো --- আর কইস না সেই দুঃখের কথা ..... কয়দিন আগে আমরা একলা আছিলাম বাসায়, আব্বা আম্মা গেছিলো গ্রামের বাড়ীতে ...ছুটির দিন আছিলো, তাই দুইদিন দুই জনে মিল্যা খালি রান্না করলাম, খাইলাম, টিভি দেখলাম আর ঘুমাইলাম ...২ দিন পরে বৌ আমারে কইলো তুমি যেমনে খাইতাসো আর ঘুমাইতাসো আম্মা গ্রামের বাড়ী থেকে আইসা তো দেখবো তুমি আর তার পোলা নাই একখান বাচ্চা হাতি হইয়া গেছ ... একটু এক্সারসাইজ করো ... আমি ভাবলাম কথা মন্দ না, আম্মা আসার পরে তারে বুঝাইতে ঝামেলা হইবো ক্যান ওজন বাড়ছে সেই সাথে তার ইন্টারভিউ এর প্রশ্নের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে কি কি খাইসি কতটুকু খাইসি, তেল বেশী খাইসি কি না .... এর চেয়ে ওয়ার্ক আউট করি ... ওয়ার্ক আউট করার আগে ভাবলাম নিজের ওজনটা একটু মেপে নিলে ভাল হয় ... খাটের নিচে থেকে ওজন মেশিনটা বাইর করে ওর উপরে যখন উঠলাম বৌ এর চেহারা দেইখা বুঝতাছিলাম না ও হাসে না কান্দে ....

আমি কইলাম -- ক্যান ?

ও কইলো --- আমি নাকি কয়েক দিন আগে মাপছিলাম আমার ওজন, তখন আছিলাম ৭৬ কিলো আর ঐ সময় মেশিনে কয় আমার ওজন নাকি ৭২ কিলো ...

আমি কই -- হয় তোর মেশিন খারাপ নাইলে ভাবীর চোখ খারাপ হয়ে গেছে ঠিকমতো দেখতারে নাই কত ওজন হইসে ... সারাদিন বাসায় কি হিন্দি চ্যানেল দেখে নাকি ?

বন্ধু কইলো -- যতক্ষন বাসায় থাকে ততক্ষন তো একটানা টিভি (এর পরে একটু চুপ করে বলে ) ... দোস্ত রাখি রে এখন ...

আমি আসকাইলাম --- আবার কি তার চেহারা দেইখা কনফিউজড হইসোস নাকি যে সে কান্দে না হাসে ?

দোস্ত কইলো -- না মানে ... আজকের মতো রাখি রে ...

আমি হাসতে হাসতে কইলাম --- ভাবী কি সামনে দাড়ায়ে আছে নাকি শুনতেসে সবকিছু .... তাইলে তো আইজকা নিশ্চিত তোর কপালে মাইর আছে ...

দোস্ত কইলো --- দোস্ত .....

সেই মুহুর্তে ফোনে শুনলাম ভাবীর গলা -- ঠিকই বলেছ অনন্ত, ভালো থেক

এর পরে একসাথে দুটো ফোন রাখার কড়কড় শব্দ পেয়ে আমিই কনফিউজড হয়ে চিন্তা করতে শুরু করলাম ... কাহিনীটা ঠিক কোন যায়গাতে প্যাচ খাইলো ? :|







১২৭টি মন্তব্য ১২৭টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×