somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এটা কি সামজিক অস্থিরতার ফল নাকি কোন বিশেষ মহলের পরিকল্পনার ফসল?

১০ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশের উন্নয়ন বা সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পিছনে যে ব্যাপারটিকে সবচেয়ে দায়ী করা হয় সেটা হল বিভক্তি। আর এই বিভক্তি যেমন রাষ্ট্রের একেবারে শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছে তেমনি রয়েছে একেবারে ব্যক্তিগত পর্যায়ে। আর এই বিভক্তি মাজে মাঝে এমন চরম আকার ধারণ করে যার ফলে তা একসময় সংগাত-সংঘর্ষেও গিয়ে পৌঁছে। আমরা মাঝে মাঝে অন্ধ হয়ে এমন সব বিষয়ে রাজনীতি এবং বিভক্তি ডেকে আনি যা রীতিমত লজ্জাজনক। এমন কিছু ব্যাপার রয়েছে যার ব্যাপারে কোন বিভক্তি-রাজনীতি চলেনা। উদাহরণ স্বরূপ, দেশপ্রেম এবং দেশের সার্বভোউমত্বের সাথে জড়িত কোন বিষয়, সামাজিক আবেদনমুলক বিষয় এবং মানবিক কোন ব্যাপারকে উল্লেখ করা যায়।

এখন মুল বিষয়ে আসি। বিগত কিছুদিন আগে আমি এবং আমার সাথে আর কিছু ব্লগার ও ছাত্ররা ব্যক্তিগতভাবে একেবারে নিজেদের উৎসাহে একটি মানবিক ডাকে সাড়া দিই নিজেদের দায়বদ্ধতা এবং বিবেকের তাড়না থেকে। আর সেটা হল মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার অসহায় স্ত্রীর পাশে গিয়ে দাঁড়ানো। আপনারা সবাই নিশ্চয় ব্যাপারটি সম্পর্কে অবগত আছেন। সেই সংগ্রামী যোদ্ধার বিধবা স্ত্রী ৭৫ বছর বয়সী জীবন সায়াহ্নে পৌঁছানো হৃদরোগে আক্রান্ত নাসেরা বেগম যাকে সবাই "কলমদাদি" নামেই বেশী চিনে তাকে সাহায্য করতে গিয়ে যে তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছিলাম সেটা আমাকে এখনো কুঁড়ে কুঁড়ে মারছে। আর সেই অস্থিরতা কিছুটা হালকা করতে এই লিখা।


আমাদের বিশেষ করে আমার এই মানবিক ব্যাপারটায় কোন রাজনিতিক এবগ ব্যক্তিগত সাফল্য লাভের কোন আশাই যে ছিলনা সেটা আমি আবারো বলছি এই কারনে এই ধরনের উদ্যেগে অনেকের সততা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। শুরুতে ভাল সাড়া এবং সবার আন্তরিক অংশগ্রহণ দেখে ভেবেছিলাম আমাদের চিরদুখি কলমদাদির সুদিন বোধহয় ফিরল। কিন্তু সেই একই সমস্যা। কোথা থেকে কারা এসে ঢুকিয়ে দিল বিভক্তি আর ছড়িয়ে দিল রাজনৈতিক বিষবাস্প। শুরু হল সবার মাঝে অস্থিরতা আর মনে ঢুকে গেল সংশয়। যেটা আমাদের মাথায় ঘুণাক্ষরেও আসেনি একটিবারের মতও। আর সে কারনেই কিনা ক্লাস-নাওয়া খাওয়া ছেড়ে সারাক্ষন পরেছিলাম কিভাবে আমাদের এই সংগ্রামী বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে কিভাবে জীবনের এই শেষ সময়ে একটু হলেও সাহায্য আর কষ্ট লাঘব করা যায়। কিন্তু সমাজের কিছু বখে যাওয়া আর অকর্মন্য যুবক যারা নিজেরা কখনো কোন সামাজিক-মানবিক কাজে আসেনা কিন্তু এমন সব ভাল কাজে সমালোচনা আর বাধার সৃষ্টি করায় যাদের মুল কাজ তারা এখানেও তাদের নগ্ন হতক্ষেপ চালালো। আর সাথে সাথে পন্ড করে দিল কিছু তরুণের মহান উদ্যেগের যাত্রাকে।
এসবের ফল মানে বিভক্তির ফল যে ভয়ংকর নিষ্টুর তা এই মাত্র দুদিন আগে একজন ব্লগারের দেয়া মানবিক আবেদনমূলক পোস্টে আমরা একেবারে হাতেনাতে দেখতে পেলাম। যেখানে লেখক বেঁছে বেঁছে শুধু তার অনুসারি ব্লগারদের কমেন্টস রিপ্লাই করছিলেন। আর অন্য একদল লেখকের এমন একচোখা নীতির প্রতিবাদে ঝাঁপিয়ে পরে পুরো মানবিক আবেদনটির বারোটা বাজিয়ে দেই। যার কারনে মডারেশন পোস্ট স্টিকির ঘন্টাখানেকের মধ্য সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়।

সর্বোপরি প্রথমবার অর্থাৎ গত ২৬ মার্চ দাদিকে নিয়ে বসার পর যে পরিমানে মৌখিক সারা মিলেছে বাস্তবিক ভাবে তার প্রতিফলন বিন্দু মাত্র পাইনি,এ ঘটনার পরই দাদি অসুস্থ হরে শয্যাসায়ী হন এবং বিভিন্ন জটিলতার কারণে তার ব্যাঙ্ক একাউন্টটি করা হচ্ছিলো না এবং তার কারণেই দাদির জণ্য ফান্ড তোলার ব্যাপরটা মন্থর ছিলোআর তার কারনেই সাময়িক বা কোন রকম সাহায্য করতে আগ্রহীদের দাদির সাভারস্থ অগ্রণী ব্যাঙ্কের একান্তিতে যোগাযোগ খরতে বলা হয়
ষে সময়ই দাদি মাধ্যমে পরিচয় হয় দাদির পুরোনো নাতি জাহাঙ্গীরনগর ভার্সিটির ইতিহাসে ২০তম ব্যাচের ছাত্র তাপসের সাথে,সেই সুবাদে সে আমাদের সাথে যথেস্ঠ লৌকিকতার সুযোগ নেন,
এরই মাঝে দাদিকে সর্বোমোট তিনবার হসপিটালাইজড করতে হয়
এবং সেই সময়ে তোলা প্রায় ৫০০০০টাকার ফান্ড থেকে দাদির চিকিৎসাবাবদ ২৫০০০/- টাকা খরচ হয় আর এবং বাকি টাকাটি সবার ব্যস্ততার কথা বিবেচনা করে আর দাদির সম্মতি ক্রমে তাপসের হাতে তুলে দেওয়া হয় এবং দাদি তাপসকে পরর্তিতে তার জমানো আরো ২০০০০টাকা তার হাতে তুলে দেয়(বিগত দিনে কিছু পোস্টে সাময়িকভাবে তোলা ফান্ডটিকে অনেক বড় অঙ্কে সবার সামনে তুলে ধরা হয়েছে যেটি মোটেও ঠিক নয়)

আর পরবর্তিতে দাদির মধ্যে হতাশা কাজ করে এবং দাদি তার সেই কথাগুলোই ক্যাম্পাসে এসে তা সো কলড নাতিদের সাথে শেয়ার করেন....যাদেরকে দাদির চরম সঙ্কটময় সময়ও কখনও পাশে দেখিনি....
তার সেই দরদি নাতিদের আজ মায়া কান্না দেখে সত্যি অবাক হচ্ছি যাদের কে দাদি র অসুস্থতার সময় পাশে দেখিনি যাদের কে কখনও দেখিনি দাদির ব্যাপারে ভালো মন্দ খোঁজ খবর নিতে....


এবার আসি আমি কি করলাম তার জন্য.....
যেহেতু পুরো ব্যাপারটা আমার মাধ্যমেই সবার সামনে নতুন করে উঠে এসছে তাই এর কোন ব্যর্থতার দায়ভারও আমার দিকে ইঙ্গিত করবে,এটা মেনে নিচ্ছি,
তবে আমি নিজের কাছে কতটা স্বচ্ছ বা সৎ ছিলাম তা ঢোল পিটিয়ে বলবার অভ্যাস আমার নাই,
এতো ঘটনা আর অঘটনের মাঝেও আমি দাদির পাশে ছিলাম এবং আছি,আজ রাতেও তার সাথে কথা হয়েছে,
সর্বশেষ গত মাসের নিজের প্রচেষ্টায় রাজউক কলেজের মাধ্যমে তার হাতে ২৫ হাজার টাকা নগদ তুলে দেই ,
যেটি আমার মাধ্যমে সবার সামনে উত্তরা রাজউক কলেজের অধ্যক্ষ তার হাতে তুলে দেন

তাছাড়া সমাজকল্যান মন্ত্রনালয়ের কর্তৃক একটি স্বল্পমেয়াদী ফান্ডও যোগার করে দেন আমাদের সাথে ঢা.বির আর এক ভাই
ব্লগার অস্তিমিত গন্তব্য....
এরপরও যদি কারো মনে সংশয় কাজ করে তবে দাদির সাথে সরাসরি যোগাযোগের অনুরোধ করা গেল

নাসেরা বেগম
৬/৪,কল্যানপুর বাসস্ট্যান্ড রোড,
ঢাকা
ফোন নাম্বার পাবলিকলি শেয়ার করলাম না,
যার লাগবে সে আমাকে মেইলে নক করলেই পেয়ে যাবেন
[email protected]


অ:ট: হঠাৎ করে পেশাগতভাবে ব্যস্ত হয়ে পরার পর এহেন নোংরা আর তিক্ত অভিজ্ঞতা সবার সাথে শেয়ার করবার ইচ্ছা ছিলো না তাও এখন ব্যপারটা সবার সামনে আনলাম


সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫৪
৫৩টি মন্তব্য ৪০টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×