somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রঙ, সময় ও মৃত্যু বিষয়ক

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সে ছিলো সবুজ রঙা মেয়ে...

অথবা বলা যায় তার রকমটাই ছিলো সবুজ। যেভাবে বেড়ে ওঠে কার্নিশে গুল্মদল সবার অগোচরে অবহেলায়, সেরকমই অবলীলায় সে সবুজ হয়ে উঠেছিলো। কেউ দেখেছিলো, কেউ দেখেনি। এখানে অবশ্য 'কেউ' শব্দটা বা যাবতীয় বহুবচনকে অনাহুত ধরে নিয়ে অবজ্ঞা করা হবে। কেউ দেখেনি, শুধু আমি দেখেছিলাম। আর কারও দেখার অধিকার ছিলোনা। আমার দৃষ্টি আটকা পড়ে গিয়েছিলো অদৃষ্টের চোরাজালে। আমি কখনও চোখ ফেরাতে পারিনি।

'আমারই চোখ গেল ধরেছে সুন্দর
বুঝিনা এমন মেয়ে কি করে বানালে ঈশ্বর!'

সবুজের আল ধরে হেঁটে যেতে যেতে কত কিছু চোখে পড়ত! সবুজ রঙের পাখি গান শুনিয়ে যেত, শীতের কর্কশ আঁচড়ে রুক্ষ হয়ে যাওয়া গাছগুলোও সবুজ বাতাসের দমকায় উড়িয়ে দিত চুল, সবুজ বনের গোপন অন্ধকারে স্বেচ্ছা কারারূদ্ধ হয়ে কাটিয়ে দিতাম। কতক্ষন ...সময়ের হিসেব রাখিনি। সবুজ নদীর স্রোতে নিজেকে ভাসিয়ে দিয়ে অবশেষে পৌঁছে যেতাম সবুজ লতার মুকুট পড়া সেই মেয়ের কাছে। তার সংস্পর্শে সবকিছুই সবুজ হয়ে উঠেছিলো এমন করে।

সবুজসময়ের স্থায়ীত্ব খুব বেশিদিন হয়না। হন্তারক সময়ের ছুরিকাঘাতে একসময় সবুজের বুক থেকেও লাল রক্ত ঝরে! স্নিগ্ধতার সৌম্যরূপ লাল তিরপল দিয়ে ঢেকে দিয়ে পরক্ষণেই তা উঠিয়ে নিয়ে কেরামতি দেখায় ধুরন্ধর জাদুকর।

"এই দেখো গ্ল্যামার! নতুন করে শেখো সৌন্দর্যের গ্রামার!"


লাল মেয়ে লোলূপ মেয়ে এবং সবুজের স্মৃতি...


আমার দূরবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে তাকে দেখতে পেতাম সে যত হাজার মাইল দূরেই থাকুকনা কেন। সে কখনই আমার খুব কাছে ছিলোনা। অথবা সে কখনও ছিলোইনা। নিয়তিবাদীরা তাকে খুঁজে না পেয়ে হতাশ হয়ে খড়কূটো গুলো উত্তাল সমুদ্রে বিসর্জন দিয়ে এসে কাদামটি দিয়ে দেবী প্রতিমা গড়তে বসে যেত এবং একঘেয়ে লাগলে তা ভেঙেও ফেলত। আবার গড়ত নতুন করে। কিন্তু আমার সবুজ রঙা মেয়ে, যাকে কেউ খুঁজে পায়নি, অথবা পেলেও আমার হুমকিতে সরে দাঁড়িয়েছে সভয়ে, তাকে ভাঙা যেতনা, কাটা যেতনা, দূরত্বের অভিসন্ধিতে স্পর্শ করাও যেতনা, একদিন হঠাৎ তাকে খুব কাছ থেকে দেখে ফেলি।

তাকে ঘিরে ছিলো স্কুল পালানো বখাটে ছেলে লাল রঙের গোলাপ হাতে নিয়ে,

সেদিন তার প্রত্যন্ত গোপন সবুজ গহবর থেকে লালস্রোতের উদগীরণ হচ্ছিলো, বিস্ফোরক লাভার মত।

সেদিন তাকে ঘিরে ছিলো সুদর্শন এবং প্রতিষ্ঠিত যুবকেরা ভবিষ্যতের স্বপ্নালু সম্ভাব্যতার কথা ভেবে লাল মোড়কে উপহার হাতে নিয়ে।

সে ভয় পাচ্ছিলো বলে,

অভিজ্ঞ গৃহিনীরা সন্তুষ্টির হাসি হেসে তার সবুজ মুকূট খুলে নিয়ে, লতাপাতার আস্তরণ সরিয়ে দিয়ে তার পায়ে পড়িয়ে দেয় লালরঙা শেকল।

একসময় সে হেসে ওঠে সব ভয় জয় করে। প্রাপ্তির আনন্দে আর গর্বে। সারা শহর হাত তালি দিয়ে ওঠে। সারা শহরে রটে যায় বালিকার রূপান্তর পর্বের কাহিনী। কসমেটিকসের বিক্রেতারা খুশী হয়ে ওঠে। তারাও ভীড় জমায় প্রাক্তন সবুজের পাশে। গোঁফে তা দিয়ে পরিতৃপ্তির হাসি হাসে যাদুকর। আর আমার সবুজ পরীর ডানাগুলো মুচড়ে ভেঙে দেয়ার অমানবিক দৃশ্য সহ্য করতে না পেরে আমি ফিরে চলি সবুজের আল ধরে। ইতঃমধ্যে পেইন্টাররা এসে গেছে পথের রঙ পাল্টে দিতে। যার স্পর্শে সব সবুজ হয়ে উঠতো, তার ওপর লালরঙা লোলূপ লৌকিকতা চেপে বসায় এখন আর সবুজের প্রয়োজন নেই। আমি সবুজের স্মৃতি ধারণ করে হাঁটতে থাকি। লালরঙা মদের গেলাসের ভাঙা টুকড়োতে আমার পা কেটে যায়, আমার ঠোঁটে একজোড়া লাল লিপস্টিকড ঠোঁট চেপে ধরে। সে কি প্রাক্তন সবুজ বালিকা, না কি অন্যকেউ আমি বুঝতে পারিনা। কারণ লাল রঙের অজস্র বালিকা, কিশোরী, যুবতী, বেশ্যা, নায়িকা, সংবাদপাঠিকা ইত্যাদি চরাপাশে, কাউকে কারো থেকে আলাদা করা যায়না। সবুজ ছিলো অন্যরকম। এখন অবশ্য তাতে আর কিছু এসে যায়না। লালচে কামোদ্দীপক কাউকে অথবা কোন একটা বস্তুকে বগলদাবা করে আমি ঘরে ফিরি।

আমি ভালোবাসি
ভালোবাসার অভ্যেস করি
অথবা অভিনয় করে চলি!

এইসব অভ্যস্ততা এবং অভিনয়পটুতার কল্যাণে একসময় আমার পাশে ঘুমোনো নারীর মুখটি পরিচিত এবং কোমল হতে থাকে। গভীর রাত্তিরে হঠাৎ জেগে ওঠার পরে তার কেঁপে কেঁপে ওঠা ঘুমন্ত চোখের পাঁপড়িতে চুমু দিই। কখনও সে আমাকে জড়িয়ে ধরে, আবার কখনও বিরক্ত হয়ে পাশ ফিরে শোয়, কখনও আবার ঘরঘর শব্দে নাক ডেকে ওঠে তার!

এইসব প্রত্যাখ্যানের রাত্তিরে আমি আমার দূরবীক্ষণ যন্ত্রটা নিয়ে বসি। দেখতে থাকি সুদূরতমাকে। সবুজরঙা মেয়ে, যাকে কখনও আমি ছাড়া আর কেউ কখনও দেখেনি। সবুজরকম মেয়ে, যার রকমটা পাল্টে দিয়েছে সময়গাড়ির নিয়মনিষ্ঠ চালক, যার সতেজ গালে সযত্নে এঁকে দিয়েছে বলিরেখা, ব্রণ। আমি দেখি...সে নিজেকে পুনরায় সবুজ করে তোলায় মোটেও উৎসাহী না, গালে লাল রঙের রুজ মাখিয়ে এই পৃথিবীর অজস্র লাল বস্তু, যেমন নৃত্যমঞ্চের ওপর প্রতিফলিত লাল আলো, বানিজ্যমেলার দামী লাল কার্পেট, প্লাস্টিকের লাল গোলাপ, এবং আরো অনেক গোপন লালের সাথে মিশে যায়। আমার দূরবীক্ষণ যন্ত্রটি তাকে খুঁজে পায়না। আমি টিউনিং করে চলি, করে চলি... মাঝেমধ্যে খুব হঠাৎ দেখতে পাই সেই সবুজ পথ, সবুজ পাখি, তার স্পর্শে সবুজিত হওয়া সবকিছু, এবং তাকে, সবুজ মুকূট পরিহিত বালিকাকে!

একদিন ফ্যাকাশে দিন...

সবুজ-লাল সংক্রান্ত জটিলতায় আমি বিভ্রান্ত, বিরক্ত এবং কখনওবা হতাশ হলেও ,যাহোক, তা ছিলো একটা রঙীন জগৎ। সংক্ষিপ্ত সবুজসময়ের সুখস্মৃতি আর লালচে পাপ-পুণ্যের রীতিনীতি আমাকে কখনও নস্টালজিক কখনও হিংস্র, কখনও কামুক, কখনও শিল্পী করে তুলেছিলো। আমিও নেচেছিলাম লাল ডায়াসে হয়তোবা তার সাথেই, কিন্তু ওটা সে'ই কিনা জানার কোন উপায় নেই। লাল রঙ খুব বিভ্রান্তিকর। তবে মাঝেমধ্যে সবুজের সাথে আলাপন, সবুজ মেয়েকে আপন করে নিচ্ছিলাম ঠিকই গভীর রাতে অথবা সুপ্রভাতে।

মাঝখানে অনেকদিন বিরতি পড়ে গিয়েছিলো। আমার দূরবীক্ষন যন্ত্রটি, বেঢপ আকারের ভারি যন্ত্রটি ঝেড়েমুছে পরিস্কার করার জন্যে তুলতে গিয়ে দেখি পেরে উঠছিনা! কুলিয়ে উঠতে পারছিনা, সে যেন গোঁয়ারের মত মেঝে কামড়ে ধরে আছে। অনেক কসরৎ করে ওটাকে তোলার পরে এবং পরিস্কার করে সাগ্রহে লেন্সে চোখ দেবার পর দেখি সব কেমন যেন ফ্যাকাশে লাগছে। সবকিছু কেমন যেন অস্পষ্ট আর ঝাপসা। টিউনিং করার নবটা খুঁজে ফিরি, কিন্তু পাইনা।
খুঁজে ফিরি
খুঁজে চলি...
খুঁড়ে চলি সময়ের কঠিন জমিন গুপ্তধন প্রাপ্তির আশায়।

এতক্ষণে ঠিকমত টিউন হয়েছে। আমি আবার লেন্সে চোখ রাখি,

কোথায় লাল!
কোথায় সবুজ!

একটা পারা খসা আয়নার সামনে নিজের বিকৃত, তোবড়ানো মুখটা দেখি। পেছন থেকে কে যেন হাত রাখে আমার কাঁধে।
"সময় শেষ হয়ে আসছে, অনেক তো রঙ দেখলে জীবনে, আর কত!"
সময়! নিঃশব্দ ঘাতক, আমাকে জ্ঞান দিতে এসেছে!
'খুনীর কাজ খুন করা, জ্ঞান দেয়া না, দূর হ!"
আমার রূঢ় আচরণে সে আহত হবে কি, উল্টো হোহো করে হেসে ওঠে।
"চাইলেই কি আমার কাছ থেকে দূরে সরতে পারবে তেজী প্রৌঢ়! আচ্ছা দাঁড়াও তোমাকে একটা জিনিস দেখাই। যন্ত্রটা আমার কাছে দাওতো"
শেষের দিকে তার কন্ঠ কিছুটা কোমল হয়ে আসে।
সে আমার টেলিস্কোপটা নিয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই টিউনিং করে ফেলে।
"দেখ এবার"
সে বলে।
"কি, চিনতে পারছো?"
আমমি দেখি, হাসপাতালের শয্যায় কঙ্কালসার, চর্মসর্বস্ব একটি আকৃতি। একজন ফ্যাকাশিনী! যার মধ্যে সৌন্দর্যের লেশমাত্র নেই। যার কুঞ্চিত চর্মে বঞ্চিত রঙগুলোর মর্মপীড়ার গল্প লিপিবদ্ধ।
'হেহে! দেখেছো তোমার সবুজরকম মেয়েকে!"
"তুমি শালা মানুষ হবানা। সবার সাথে ফাজলামি...!"
"ফাজলামো না বৃদ্ধ..."
"খবরদার আমাকে বৃদ্ধ বলবিনা! লাথি দিয়ে ভাগায়ে দিবো"
"হাহাহা!"
"খুব গর্ব তোর? ভাবিস যে তোর ইচ্ছামত সবকিছু চলবে?"
"তাই তো এতকাল চলে এসেছে" দম্ভ ভরে বলে সে। "ও আচ্ছা, আমার এক বন্ধুর সাথে তো তোমাকে পরিচয় করে দেয়াই হয়নি।" সে আবার টেলিস্কোপে চোখ রাখে।
"দেখ তো, ওই কুৎসিত চর্মসর্বস্ব অবয়বের পাশে কাউকে দেখতে পাও কিনা?"
আমি দেখতে পাই।
মাথায় শিংঅলা, হাতে গদা হাতে, কালো কুচ্ছিত বিশাল এক জানোয়ার।
"এই জোকারটা কে?"
"ওর নাম মৃত্যু।" মোলায়েম বিদ্রুপে হেসে বলে সে।
এইবার আমার ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে যায়। তবে উত্তেজিত না হয়ে ভাষাটা সংযত রেখেই বলি,
"দেখ, সময় আর মৃত্যু; তুমি আর তোমার পায়াভারি বেকুব বন্ধুকে আমি অস্বীকার করি। মৃত্যু কিছুই কেড়ে নিতে পারেনা। ঐ ক্লাউনটার সে ক্ষমতাই নেই।"
"তাই নাকি! দেখনা, 'সবুজ বালিকা' কেমন ছটফট করছে? ওর হয়ে এল বলে!"
আমি দেখতে পাই, ক্লাউন মৃত্যু তার হাত ধরে টানছে। গদা দিয়ে বাড়ি মারছে।
"দেখেছো?"
বলে সে সাগ্রহে তাকিয়ে থাকে আমার উন্মত্ত প্রতিক্রিয়া অবলোকন করে বিমলানন্দ পাবার আশায়। কিন্তু আমি তাকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে একটা সিগারেট ধরাই।
"যাক না নিয়ে! নিয়ে কোথায় যাবে? পারলে আমার মগজের ধূসর কোষে সঞ্চিত লাল সবুজের ঝাঁঝাল মায়াবী মিশ্রণটাকে ঝাঁকিয়ে বাস্পীভুত করতে পারে কিনা দেখ তোমার ঐ কেলেভূতবন্ধু!"
"একসময় তোমার কাছেও আসবে সে বাছাধন, তখন তাকে কিভাবে কেলেভূত আর ক্লাউন বল দেখা যাবে!"
তার এতক্ষণকার চতুর নির্লিপ্ত কন্ঠে অসহিষ্ণুতা প্রকাশ পায়।
"আমি চলে গেলে কিছু এসে যায়না। আর আমাকে নিয়ে যাওয়া তোমার ঐ ছাপোষা কর্মচারীর দায়িত্বও বটে। বাঁধা দেবনা কোন। কিন্তু ফ্যাকাশে চর্মসার বালিকা বলে যাকে অবিহিত করছ, উপহাস করছ, তাকে নিয়ে যেতে কি পরিশ্রমটাই না করছে মিস্টার ক্লাউন, চেয়ে দেখ!"
আমরা পালাক্রমে টেলিস্কোপের লেন্সে চোখ রাখি। বেচারা মৃত্যুদুত ঘেমে নেয়ে উঠেছে। কিন্তু টেনে হিঁচড়ে, কোনভাবেই ফ্যাকাশে বালিকাকে নিয়ে যেতে পারছেনা।
"তুমি এখানে বসে আঙ্গুল চোষ, আমি তোমার বেতনভূক ছাপোসা কর্মচারীকে সাহায্য করে আসি। টেক কেয়ার!"
আমি সময়কে পাশ কাটিয়ে চলে যাই। তাকে খুবই বিধ্বস্ত এবং পরাজিত দেখায়।

আবার সবুজ

সবুজের আল ধরে হেঁটে চলি আমি। সবুজের আল ধরে হেঁটে যেতে যেতে কত কিছু চোখে পড়ে! সবুজ রঙের পাখি গান শুনিয়ে যায়, শীতের কর্কশ আঁচড়ে রুক্ষ হয়ে যাওয়া গাছগুলোও সবুজ বাতাসের দমকায় উড়িয়ে দেয় চুল, সবুজ নদীর স্রোতে নিজেকে ভাসিয়ে দিয়ে অবশেষে পৌঁছে যাই তার কাছে। বর্তমানে যে ফ্যাকাশে। তার জন্যে একটা সবুজ লতার মুকুট কিনেছিলাম পথে। ওটা পরিয়ে দিই। তার সবুজ হাসির স্নিগ্ধতায় টিকতে না পেরে বিদায় নেয় ফ্যাকাশে রঙ, কুঞ্চিত চর্ম, বলিরেখা, পাকাচুল, নোংরা বিছানায় লেপটে থাকা ইউরিন আর স্টুল।
"এগুলি নিয়ে বিদেয় হও তো দেখি!" আমি উজবুক কাল্লুটাকে নির্দেশ দেই। অবশেষে কার্যোদ্ধার হয়েছে ভেবে সে সাফল্যের বোকাহাসি হেসে তার গাট্টি বোঁচকাতে ভরে নিয়ে যায়, যা কিছু দেহজ।
তারপর আমরা দুজনে মিলে সেই সবুজ নদীতে স্নান করতে যাই...

এবং একটি কৌতুক

সময় আর মৃত্যুকে আঁটকে রেখেছি খাঁচায়। বন্দী!
"দুজনকে বেশ মানিয়েছে এখানে। যেন টু লাভবার্ডস!"
"টু মানে তো দুই, বুঝলাম!" সময় বলে।
"বার্ড মানে তো জানি, কত পাখিকে কতল করলাম!" মৃত্যু বলে।
"কিন্তু 'লাভ' মানে কি?" দুজন সমস্বরে জিজ্ঞেস করে।
দুজনের কাঁচুমাচু জিজ্ঞাসু মুখ দেখে হাসিই পায় আমার। অথচ ওরা ভাবে যে ওরা পুরো বিশ্বকে, মানুষকে, যাবতীয় রঙকে নিয়ন্ত্রণ করছে। জ্ঞানের এই সীমাবদ্ধতা নিয়ে!

হা হা হা!!






২১০টি মন্তব্য ১৯৮টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×