somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি কাটপিসযুক্ত গল্প

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


(মূল গল্প)
জেনির জীবনে এত বড় দুঃসময় আর আসে নি। ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা সামনেই, কত পড়া বাকি! গত চার বছরে কঠোর পরিশ্রম করে নিজের পড়ালেখার খরচ চালিয়েছিলো সে, কখনও টিউশনি করে, কখনও পার্টটাইম জব করে। কখনও সে অবুঝ ছাত্রের বোকা বোকা প্রশ্নের সামনে অনেক কষ্টে মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে চশমাটা ঠিক করতে করতে শান্ত স্বভাবের শিক্ষিকা, কখনও ফোনে মধুকণ্ঠে কাস্টমারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যে লাস্যময়ী সেলসগার্ল। কত কিছুই না করলো সে গত চার বছরে! এমন অবস্থা হবার কথা ছিলো না যদি তার বাবা সুস্থ থাকতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার কিছুদিন পরেই তার বাবা স্ট্রোক করে শয্যাশায়ী হলেন। আর সেই সাথে ভেঙে পড়লো টিমটিম করে জ্বলতে থাকা সম্মানিত জীবন যাপন করার চেষ্টায় নিয়োজিত মধ্যবিত্ত পরিবারের অর্থনৈতিক কাঠামো। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েদের অবশ্য এমন অবস্থার জন্যে প্রস্তুত থাকতেই হয় সবসময়। জেনিও নিজের খরচ চালানোর ভারী জোয়ালটাকে কাঁধে নিয়ে অসুস্থ বাবার স্বপ্নপূরণের আচষা রুক্ষ জমিনটা কর্ষণ করে চলছিলো। তাই সে পড়াশোনা করার সময় পেত খুব কম। পরীক্ষার দু সপ্তাহ আগে থেকে যে পড়াটা পড়তো, তাতেই মোটামুটি মানুষকে বলার মতো ফলাফল আসতো। কিন্তু এবার আর তাও হলো না। পরীক্ষার এক সপ্তাহ আগে বাবা মারা গেলেন। বাবাহীন পৃথিবীর কাঠিন্য ভালোমত বোঝাতেই যেন জেনির মৃত্যুর সাথে যুক্ত হলো সর্বশেষ কেতাবী পরীক্ষা।

কাটপিস-১
(এই অংশের সাথে মূল গল্পের কোন সম্পর্ক নেই। পরস্পর সম্পর্কহীন কিছু যৌন বর্ণনা মাত্র। আপনি চাইলেই সাচ্ছ্যন্দের সাথে এটাকে এড়িয়ে যেতে পারেন। পরবর্তী কাটপিস অংশগুলোর জন্যেও একই কথা প্রযোজ্য)
-কী করো জেনি?
-এই তো, কিছু না।
-রুমে কেউ আছে?
-না, নেই। কেন গো?
-দরকার আছে গো!
-উমম! তোমার দরকার তো জানি পাজি কোথাকার!
-তুমি এখন কী পরে আছো?
-সালোয়ার কামিজ।
-কী রঙের?
-সবুজ।
-নিচে কিছু পরোনাই?
-এ্যাই রাসেল, আমি ফোন রেখে দিবো কিন্তু। হিহিহি!
-বলো না, নিচে কিছু পরো নাই?
-উম। হু। পরেছি।
-কোন কালারের ব্রা পরেছো?
-সাদা।
-তোমার কামিজটা খোলো।
-এ্যাই! উহু! হুম! ন্ না!
-খোলো না লক্ষী!
-উম।
-খুলেছো?
-হুম।
-ব্রাটাও খুলে ফেলো।
-খুলেছি।
-তোমার বুকে আমার মৃদু স্পর্শ...
-হু...
-তোমার নিপল চুষছি... আহা! কত তৃষ্ণার জল সেখানে!
-রাসেল...


(মূল গল্প)
খবরটা যখন পেলো, তখন সকালের পিঠে সূর্যটা আলতো করে চাপড় দিয়ে তাকে জাগাচ্ছিলো। মৃদু সূর্যালোক। মিষ্টি তার স্পর্শ। জেনি গভীর ঘুমে নিমগ্ন ছিলো তখন। সারারাত জেগে পড়তে হয়েছে। আধোঘুমে ফোনটা ধরে সে প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারে নি যে বাবা নেই। মনে হচ্ছিলো স্বপ্নলোকের দেবতারা তার সাথে কোন নির্মম রসিকতা করছে। ধাতস্থ হবার পরেও তার মাথা কাজ করছিলো না। বাবা নেই! বাবাবিহীন পৃথিবী সে কল্পনাও করে দেখে নি কোনদিন। দুঃখ-কষ্ট ছাপিয়ে সে আশ্চর্য এক শূন্যতা অনুভব করতে লাগলো। তার মনে হচ্ছিলো মগজের ভেতর কেউ একটা দ্রুত ঘুর্ণায়মান লাটিম ছেড়ে দিয়েছে। সে দাঁড়াতে গিয়ে পাঁক খেয়ে পড়ে গেলো। সে অবস্থায় অনেকক্ষণ বসে থাকলো জড়ভরতের মতো। মাথার মধ্যে ঘুরেছে উদ্ভুত পরিস্থিতির সাথে হাত ধরে আসা নতুন বিপর্যয় গুলো।

টাকা, টিকেট, বাস নাকি ট্রেইন? পাওনা আদায়, কাপড়-চোপড়। ব্যাগ গোছানো। পরীক্ষা, শোকপালন, আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা। পারবে কি সে?

কাটপিস-২
এখানে জেনির গোসল করা নিয়ে কথা বলা যেতে পারে। গোসলখানায় ঢোকার পর সে পুরোপুরি নগ্ন হয়ে যায়। তার পিনোন্নত বক্ষ, ছিপছিপে শরীর আর বাঁক খাওয়ানো শরীরের মধ্যপ্রদেশ সে নিজেই মুগ্ধ হয়ে দেখে। এই তো আরেক সম্পদ তার। মাঝেমধ্যে সাবান দিয়ে গা কচলাতে গিয়ে যখন তার ক্ষুধার্ত বন্য জংলি ত্রিভুজটার কাছে হাত চলে আসে, সেই হাত আরো গভীরে ঢুকতে চায়। সে দুটো আঙুলকে শিশ্ন মনে করে নিজেতেই নিজে প্রবেশ করে। তখন তার রাসেলের কথা মনে পড়ে খুব। রাসেল এত লাজুক কেনো? সে কি বোঝে না তাকে সমস্ত দেয়ার জন্যে সবসময়ই প্রস্তুত থাকে জেনি? রাসেল যদি এখন থাকতো, যদি তার শক্ত দুটো হাত দিয়ে স্তন চেপে ধরতো, যদি তাদের ঠোঁট আর জিভ পরস্পর সংযুক্ত হয়ে শুষে নিতে চাইতো একে অপরের শরীরের অমৃতসুধা! আগ্নেয়গিরির গিরিখাঁদে দ্রুত জেনির আঙ্গুল চলতে থাকে।

মূল গল্প
ধারের টাকাগুলো আদায় করে আর কিছু টাকা ধার করে যাওয়া আসার ভাড়া যোগাড় হলো শেষপর্যন্ত। সে আশ্চর্য বিষণ্নতার সাথে লক্ষ্য করলো যে সদ্য পিতা হারানোর শোককে কীভাবে কবজা করে নিচ্ছে নিষ্ঠুর দৈনন্দিন! বাবা মারা গেছেন, সেই সময়টা সে পাশে থাকতে পারে নি, এই কষ্টের সাথে যোগ হয়েছে বাড়িতে যাবার টাকা যোগাড়ের চিন্তা, করুণ মুখ করে একে একে বন্ধুদের কাছে যাওয়া, আর অশ্রূর বিনিময়ে অর্থ পেয়ে ভারমুক্ত হওয়া। ভারমুক্ত! এই কঠিন পরিস্থিতে কী লাগসই একটা শব্দ! যে শূন্যভার বাবা তার বুকে জমা দিয়ে গেছেন, তা কি কখনও পূরণ হবে? কিছুতেই না। কেন সে বাবার পাশে বসে তার হাত জড়িয়ে ধরে কাঁদতে পারলো না? কেন সে তাকে "কিছু হয়নি বাবা, এই যে আমি তোমার পাশে" বলে সাহস যোগাতে পারলো না? কেন সে এখন বাড়ি যাওয়া আসার ভাড়া ওঠাতে এবং পরীক্ষার কারণে বাড়িতে কয়দিন থাকা যাবে এসব নিঠুর হিসেব কষতে ব্যস্ত? কিন্তু হিসেব না করে উপায়ই বা কী! পরীক্ষা তাকে দিতেই হবে। নিজের জন্যে। সংসারের জন্যে। হিসেবটা না করলেই নয়। বাসায় কিছু বইপত্র নিয়ে যাবে নাকি? এই শোকের পরিবেশে সে বাবার মৃতদেহের গন্ধমাখা ঘরে বসে বসে অর্থনীতির কঠিন সূত্রগুলো মুখস্ত করছে ভাবতেই কেমন গা রি রি করে ওঠে। সুতরাং সেই চিন্তা বাদ দিয়ে দিলো সে। দুঃখিত বাবা, তুমি কেনো ভুল সময়ে চলে গেলে? কিসের এত তাড়া ছিলো তোমার? জেনি ভাবে। ভাবতে ভাবতেই নাঘুমো রাতের ক্লান্তি নিয়ে টলোমলো পায়ে হাঁটতে হাঁটতে বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সকালের বাস মনে হয় না পাওয়া যাবে। দুপুরের বাস অবশ্যই পাওয়া যাবে। এর ফাঁকে একটু সময় ঘুমিয়েও নিতে পারবে! হাহ! ঘুম! জৈবিক প্রয়োজনের কাছে শোকার্ত মন শেষতক পরাজিতই হয়, এমন কঠিন নিয়ম সৃষ্টিকর্তা কেন বানালেন?

কাটপিস-৩
সেদিন রুমে কেউ ছিলো না, এক বড় আপা সোনিয়া আর জেনি ছাড়া। সোনিয়ার আচরণ বড্ড ক্ষ্যাপাটে। সে মাঝেমধ্যে এমন সব কথা বলে, জেনির মধ্যে একটা আধা আকৃষ্ট আধা বিকর্ষিত সাইকোসেক্সুয়াল অনুভূতির জন্ম নেয়। মাথা ঝিমঝিম করতে থাকে। এই তো সেদিন সোনিয়া বলেছিলো
"জেনি, আমি যদি ছেলে হতাম, তাহলে তোকে তুলে নিয়ে গিয়ে রেপ করতাম। তুই এত সেক্সি কেন রে?"
বলতে বলতে সে জেনিকে জড়িয়ে ধরে। ঠোঁটে চুমু দেয়ার চেষ্টা করে। জেনি প্রথমদিকে খুব বিরক্ত হলেও অভ্যাসবশত, অথবা পুরুষসঙ্গের স্বল্পতায় ভোগা অবদমিত কামনার বশে পরের দিকে অনিচ্ছা স্বত্তেও নিজেকে ছাড়িয়ে নিতো। সেদিন, সেই নির্জন রুমে বর্ষার তুমুল বর্ষণে প্রকৃতি যখন সিক্ত, সোনিয়া আপা পেছন থেকে জড়িয়ে ধরার সময় সে নিজেও সিক্ততা অনুভব করে। জংলি মাংসল ত্রিভুজের প্রারম্ভিক সিক্ততা। সোনিয়া আপা তাকে গলা জড়িয়ে ধরে বলে,
"কী করো জেনিসোনা? কী এত পড়ো?"
সোনিয়া আপার কণ্ঠে মাদকতা। ভারী নিঃশ্বাসের সাথে সর্বগ্রাসী আগুন জ্বলে উঠছে। তার হাত স্থির থাকছে না। পিঠ থেকে কাঁধে, কাঁধ থেকে কামিজের ভেতর স্তনবৃন্তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর সেইসাথে কাঁধে একটা চুমু। খুব মৃদু। যেন এক কোটি কিলোমিটার দূরের সাইক্লোনের হাওয়া একটু ছুঁয়ে গেলো। তারপর আরো এলাকা অধিগ্রহণের সাথে সাথে সাইক্লোনটা ক্রমশ কাছে আসতে থাকলো। জেনি ঝট করে ঘুরে তাকালো সোনিয়ার দিকে। এই সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিলো সে। তাকে জাপটে ধরে জোর করে ঠোঁটে চুমু দিতে লাগলো। ন্যাচারাল রিফ্লেক্সে জেনি প্রথম প্রথম বাধা দিলেও পরে সে সক্রিয় হয়ে ওঠে।
-একটা দুমুখো বড় ডিলডো থাকলে বেশ হতো রে জেনিসোনা, তাই না?
জেনি কোন উত্তর দিতে পারে না। সে তখন তার সংরক্ষিত ত্রিভুজ এলাকা উন্মুক্ত করে দিয়েছে সোনিয়ার জন্যে। সোনিয়া পাকা মেয়ে। ঠিক ঠিক জি স্পট খুঁজে নিয়ে জিভ দিয়ে লিক করতে লাগলো। এই অবস্থায় কামাতুর গোঙ্গানি ছাড়া আর কোন শব্দ বের হতে পারে মুখ থেকে?

মূল গল্প
বাসায় মাত্র একদিন থাকলো জেনি। মরাবাড়িতে মানুষের ভীড়ে সৌজন্য রক্ষা করে চা-নাস্তার ব্যবস্থা করার মতো কাজ করতে করতে জেনির উপলদ্ধ জীবনে কঠিন বাস্তবতার প্রলেপ শোককে কিছুটা হলেও হালকা করলো। আর ফাঁক পেয়ে নিজের ঘরে একা কাঁদতে কাঁদতে তার নতুন উপলদ্ধি হলো যে, বাবা ছাড়া জীবনও সম্ভব। কষ্টকর, তবুও সম্ভব। শোকের শকুন তারদিকে আড়চোখে চেয়ে থাকলে জেনি তাকে ধাওয়া দিয়ে উড়িয়ে দেয়। জেনি আবার উঠে দাঁড়াবে। পরীক্ষা দেবে। সংসারের খরচ চালাবে। পরদিন সকালের বাসেই সে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

কাটপিস-৪
জেনি স্বপ্ন দেখছে। রাসেল তার বলশালী দু হাত দিয়ে নিষ্ঠুরভাবে জেমির সবুজ শাড়ি খুলে ফেলছে। তার পরনে এখন ব্লাউজ আর পেটিকোট। ব্লাউজের বোতাম খুলবার সময় রাসেল কোন তাড়াহুড়ো করলো না। ধীরতার সাথে একটা একটা করে বোতাম খুলছে। আবার সেই বক্ষবন্ধনী কেনো! রাসেল এবার আর ধৈর্য্য ধরে রাখতে পারলো না। টান দিয়ে ছিড়েই ফেললো। জেনি থরথর করে কাঁপছে। তার স্তন আর স্তনবৃন্তে অজস্র চুমুর চুমুক। আর এক হাত পেটিকোটের ভেতর দিয়ে রসসিক্ত যোনীতে নিবিড়ভাবে আঙলি করছে। জেনি আর পারছে না। উত্তেজনার বশে মারাই যাবে যেন...

মূল গল্প
গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে নেমে সাত নাম্বার লোকাল বাসে চড়ে বসলো জেনি। সিএনজিতে গেলে ভালো হতো, তবে অত টাকা তার নেই এই মুহূর্তে। এখন সন্ধ্যা সাতটা। বাসের কন্ডাক্টর যাত্রীদের গালিগালাজ আর কটুক্তি উপেক্ষা করে এখনও ডেকেই চলেছে "এই শ্যামলী, কলাবাগান, সাইন্সল্যাব, আজিমপুর..." "ভাই একটু চাইপা দাঁড়ান না"
জেনি মনে মনে বড়ই অস্থির বোধ করছে। সাড়ে আটটায় হলের গেট বন্ধ করে দেয়। সে কি সময়মত পৌঁছুতে পারবে?
" একটু তাড়াতাড়ি করেন না ভাই"
মিনতিভরা কণ্ঠে সে আবেদন জানায় কন্ডাক্টর আর ড্রাইভারের কাছে। কিন্তু কে শোনে কার কথা! সবাই শুধু নিজ প্রয়োজনটাই বোঝে। জেনির হলে কখন গেট বন্ধ হবে এটা তাদের জ্ঞাতব্য বিষয় হতে পারে না। অবশেষে একটি পিঁপড়াও ঢুকতে পারবে না, এমন অবস্থার সৃষ্টি হলে ড্রাইভার গাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। জ্যাম ঠেলে অবশ্য এগুতে পারে খুব সামান্যই। পৌনে আটটার সময় কেবল শ্যামলীতে পৌঁছুলো বাসটি।
জেনির শোকের ঘায়ে নুনের ছিটার মতো জড়ো হয়েছে হোস্টেলে সময়মতো পৌঁছোনোর চিন্তা। সাড়ে আটটার মধ্যে পারবে তো? রাস্তার ভাবচক্কড় খুব একটু সুবিধের মনে হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে এখন হলের লিডারগোষ্ঠীর দ্বারস্থ হতে হবে। গত চার বছরে জেনি এ কাজটি একবারও করে নি। নেতৃস্থানীয় সুকন্যারা উপকার করেন ঠিকই, কিন্তু তার বদলে অনেকসময় বিশাল খেসারত দিতে হয় বেশিরভাগকেই। কিন্তু জেনির অতশত ভাবলে তো চলবে না! আর মাত্র পাঁচদিন পর পরীক্ষা শুরু। আর আজ রাতে সময়মত যদি হলে পৌঁছুতে না পারে, থাকবে কোথায় সে? এই শহরে রাত্রি যতই নিঝুম হয়, তার সাথে সাথে পাশবিক যৌন দুর্বৃত্তপনা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। বাসটা এইবার কিছুটা জোরে চলছে। জ্যাম ফিকে হয়ে এসেছে শ্যামলী পার হবার পর। আরো ৩৫ মিনিট সময় বাকি আছে। এর মধ্যে কি যেতে পারবে সে? বাধ্য হয়ে জেনিকে ফোন করতেই হয়,
-হ্যালো! সুমাইয়া আপা? আমি জেনি বলছি। ফোর্থ ইয়ার ফাইনালের জেনি। জ্বী খুলনার। হ্যাঁ বাড়ি গিয়েছিলাম। আমার বাবা মারা গেছেন তো। আজকে আমার পৌঁছুতে দেরী হতে পারে। একটু দেখেন না বিষয়টা! জ্বী? কেয়া আপার কাছে ফোন করবো? উনার নাম্বারতো আমার কাছে নেই। কষ্ট করে যদি মেসেজ করে দেন... ওকে আপা। অনেক ধন্যবাদ। খোদা হাফেজ।
কেয়া আপার কাছে ফোন করে জেনি। ফোন বাজছে, কেউ ধরছে না। জেনি উৎকন্ঠিত হয়ে বারবার ফোন করেই যায়। ওদিকে সোয়া আটটা বেজে গেছে। সায়েন্স ল্যাবের কাছে আবার সিগন্যাল পড়লো একটা। কী যে হবে!

কাটপিস-৫

জেনির পরনে সবুজ রঙের কামিজ। নীল সালোয়ার। আকাশী রঙের ওড়না। তার বুকের মাপ ৩৬ ডি। নিপলের রঙ খয়েরি। ব্রা পরেছে কালো রঙের। তার ফর্সা চেহারার সাথে এই রঙ খুব মানায়। জেনির মুখোমুখি বসা ছেলেটা উঁকিঝুকি মেরে দেখার চেষ্টা করছে। ষোল বছররের ছেলেরা আইন অনুযায়ী শিশু। আসলে তাদের মতো লম্পট কমই থাকে। ছেলেটা এক দৃষ্টিতে জেনির কাঁধের দিকে তাকিয়ে থাকে। কালো রঙের ব্রায়ের স্ট্র্যা প দেখা যাচ্ছে। শরীরের ভেতরটা আরো না জানি কত সুন্দর! আজকে একে ভেবে হাত না মারলেই না!
#পাঠক, জেনি গন্তব্যে সঠিকসময়ে পৌঁছুতে পেরেছে কী না তা জেনে আপনার, আমার লাভ কী! কাটপিসগুলো কেউ এড়িয়ে যায় নি আমি বাজী ধরে বলতে পারি। কাটপিসগুলো জোড়া লাগিয়ে আমরা বরং জেনির যৌন অভিজ্ঞতা এবং ভাবনাকে সম্বল করে ঘুমোনোর আগে একবার হস্তমৈথুন করে নেই, কী বলেন? আমাদের কাছে হয়তো এটাই মূল গল্প। পিতৃশোকে কাতর এবং নানা ঝঞ্ঝায় পর্যুদস্ত জেনিকে নিজ বাসায় একরাত রাখলে যে আপনি তার ওপর মাঝরাতে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না তার নিশ্চয়তা কী? তাই জেনির গন্তব্য নিস্প্রয়োজন। ওহ, শেষ করার আগে জেনি সম্পর্কে আসল কথাটাই তো বলা হলো না! তার ভাইটাল স্ট্যাট ৩৬-২৬-৩৬।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৩
৮৬টি মন্তব্য ৮৬টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছায়ানটের ‘বটমূল’ নামকরণ নিয়ে মৌলবাদীদের ব্যঙ্গোক্তি

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



পহেলা বৈশাখ পালনের বিরোধীতাকারী কূপমণ্ডুক মৌলবাদীগোষ্ঠী তাদের ফেইসবুক পেইজগুলোতে এই ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ব্যঙ্গোক্তি, হাসাহাসি করছে। কেন করছে? এতদিনে তারা উদঘাটন করতে পেরেছে রমনার যে বৃক্ষতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কটের সাথে ধর্মের সম্পর্কে নাই, আছে সম্পর্ক ব্যবসার।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫০


ভারতীয় প্রোডাক্ট বয়কটটা আসলে মুখ্য না, তারা চায় সব প্রোডাক্ট বয়কট করে শুধু তাদের নতুন প্রোডাক্ট দিয়ে বাজার দখলে নিতে। তাই তারা দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ড্রিংককেও বয়কট করছে। কোকাকোলা, সেভেন আপ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×