somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্লগিংয়ে সাত বছর, অর্জন বিসর্জন এবং কিছু অনর্থক ব্লগরব্লগর- দ্বিতীয় পর্ব

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


প্রথম পর্ব

১৬ই ডিসেম্বর,২০১০। ইনসমনিয়াক গ্রুপের প্রথম গেট টুগেদার। রাত জাগা পক্ষীকূলের প্রায় সবারই তখন অফুরন্ত সময় এবং কর্মচাঞ্চল্য ব্লগিং করার। সারাদিন এর পোস্টে গিয়ে বিটলামি, তো অন্য পোস্টে গিয়ে গুরুগম্ভীর কমেন্ট। তর্ক-বিতর্ক, পচানি-চেচানি-ক্ষ্যাপানি, লেখালেখির কাঁটাছেড়া, বিশ্লেষণ সবই চলছে পুরোদমে। ছন্নছাড়া, সদা উৎফুল্ল একটা গ্রুপ। বেশিরভাগই ছাত্র, আর ভেবু ছাড়া সবাই অবিবাহিত। সে এক মহা আনন্দের সময়। আমার আড্ডা পোস্টে কমেন্ট ১৬০০ হবার পর বাধ্য হয়ে কমেন্ট অপশন বন্ধ করে দেই। নতুন আড্ডা পোস্ট খুলি, সেখানেও দেখতে না দেখতে ১২০০+ কমেন্ট। তখন সামুতে এখনকার মত ভাগ ভাগ করে কমেন্ট লোড হতো না। সব কমেন্ট একসাথে লোড হতো। আড্ডা পোস্ট ওপেন করতে গিয়ে কম্পিউটার হ্যাং হবার যোগাড়! তো তেমনই এক আড্ডায় নির্ধারিত হলো ১৬ই ডিসেম্বর আমরা সবাই চারুকলার ছবির হাটে দেখা করবো। আমি যখন ঘর থেকে বেরুই, তখন কোনভাবেই কোন যানবহন পাচ্ছিলাম না। সব যাত্রীবোঝাই, জ্যামপ্যাকড। ভাবছিলাম যাওয়াটা বাতিল করবো কি না। শেষ পর্যন্ত কোনক্রমে একটা বাসে উঠতে সক্ষম হলাম। সেই বাস আমাকে এমন এক গন্তব্যে নিয়ে গেলো, যা আমার জীবনের গতিপথই পাল্টে দিলো! সে কথায় পরে আসছি। এখন আপাতত ইনসমনিয়াক ক্লাবের প্রতিষ্ঠা,গঠন,এবং কার্যবিবরণী পেশ করা যাক। শব্দগুলো বেশ গুরুগম্ভীর এবং ভারিক্কি শোনাচ্ছে তাই না? হাহাহা!

গ্রেট ইনসমনিয়াক ক্লাব (আমাদের কোথাও কোনো শাখা নেই)-
সাত বছর ব্লগে থাকার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, ব্লগে সবসময়ই একটা প্রাণোচ্ছল গ্রুপ থাকে, যারা ব্লগ দাপিয়ে বেড়ায়। তারা একে অপরের বন্ধু হয়ে যায়, তারপর কর্মজীবন বা বিবাহ প্রভৃতি কারণে ব্লগে আসা কমিয়ে দেয়, এবং একসময় তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। তবে ফেসবুক, ফোন বা অন্যান্য মাধ্যমে ঠিকই যোগাযোগ থাকে একে অপরের সাথে। ইনসমনিয়াক ক্লাব তেমনই একটা ব্যাচ। আমি নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে দৃঢ়ভাবে দাবী করি, ইনসমনিয়াক ক্লাব ব্লগের ইতিহাসের সবচেয়ে বর্ণাঢ্য গ্রুপ। কবিতা, গল্প, সিনেমা রিভিউ, বুক রিভিউ, আড্ডা পোস্ট সবকিছু দিয়ে মাতিয়ে রাখতাম আমরা। একসময় নিজেদের মধ্যে একটা প্রবল টান অনুভব করলাম। আর সেই টানকে চিরস্থায়ী করার অভিপ্রায়ে ফেসবুকে একটা সিক্রেট গ্রুপ খুলে ফেললাম "গ্রেট ইনসমনিয়াক ক্লাব (আমাদের কোথাও কোনো শাখা নেই)" এই নামে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলেন নস্টালজিক(গীতিকার শেখ রানা)। ব্লগের আড্ডা পুনরস্থাপিত হলো ফেসবুকে। এরপর প্রেসিডেন্টের আহবানে বার কয়েক গেট টুগেদার, সেসব নিয়ে ব্লগে পোস্ট,বন্ধুত্ব, প্রেম পীরিতি, বিবাহ, ইত্যাদি। প্রেসিডেন্ট এবং ফার্স্টলেডি(আহাদিল) বর্তমানে প্রবাসে থাকায় ক্লাবের সভ্যরা অনেকটাই বিমর্ষ এবং নিস্প্রভ। তবুও জানি আমি এবং আমার মত অনেকেই পুরোনো পোস্টগুলো ঘেঁটে দেখে নস্টালজিক হয়।
এই ক্লাবের সদস্য কারা? জানানোর জন্যে তিনটি লিংক দিচ্ছি,
উৎসমুখে আসতে হলে... ইনসোমনিয়াক'স আড্ডা
জ্বালিয়ে দাও , পুড়িয়ে দাও X( X(( { আড্ডা পোস্ট অব দ্যা গ্রেট ইনসমনিয়াক ক্লাব } :-/
ফ্রম হোয়্যার দ্য স্পিরিট কামস??

অগ্নিরক্তিম কমেন্ট - ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৫৯
comment by: মেঘ বলেছেন: সিগারেট খাইছি....যা যা আছে সব খাইছি...জাত যায় নাই। এখন বয়স হইছে প্রকাশ্যে খাই না। আপনারে কি বিড়ি মুখে স্মার্টলাগে?? লাগে না তো!! তাইলে ঐ মেয়েকে ওভারস্মার্ট বলার ও কোন কারণ নাই। নারী জাতিকে ৭১ এ ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা করতে পারেন নাই। এখনো পারেন না। সো তাদের সামাজিক রক্ষাকর্তা সাজার, বা তারা কোনটা করবে বা করবে না সে সিদ্ধান্তদাতা সাজবার চেষ্টা করবেন না।
শাহবাগের মোড়ে ৯৭তে যখন ব্যাটা পিটাইছি কানের কাছে এসে বাজে মন্তব্য করার জন্য সেদিনও আপনারা আমাকে বলেছেন ওভারস্মার্ট। টাকার অভাবে যখন পাবলিক বাসে ঝুলে বাসায় ফিরছি ব্যাটাদের সাথে টেক্বা দিয়ে সেদিনও বলছেন ওভারস্মার্ট। আপনাদের এসব সমাজপতি সাজার ব্যর্থ চেষ্টার উপর আমি বরাবরই ছুঁড়ে দিয়েছি একমুখ ধোঁয়া। এখনো দেই। আল্লাহ আমাকে সব সময় দেখে রাখছে। আমার রক্ষাকর্তা আমি ই। পাবলিক বাসে ভীড়ের মাঝে গায়ে হাত দিছিলো। আমিও ভীড়ের মাঝে ক্ষুর ধরছি পেটের কোণায় সবার অজান্তেই। কানের কাছে মুখ নিয়া বলছি হাত সরা, জন্মের মতো খোজা কইরা দিমু। তারপর ক্ষুর দিয়া হাল্কা চাপ দিছি। এভাবে নিজেরে বাঁচাইছি। কেউ আগলায় নাই। আমি ওভারস্মার্ট হইলে তাই - আমি টাইফুন, আমি সিডর, আমারে রুখতে চায়, সে কোন কারিগর??

সামুর ইতিহাসে এটা নিঃসন্দেহে অন্যতম সেরা কমেন্ট হিসেবে বিবেচিত হবে। ব্লগার মেঘ, যিনি মূলত একজন কবি,নীলক্ষেত মোড়ে ধূমপায়ী তরুণী; এটাই কি ওভারস্মার্টনেসের নমুনা? এই পোস্টে উক্ত মন্তব্যটি করেন। তিনি সেইসব বিরলপ্রজ নারী ব্লগারদের একজন, যারা নিত্যনিয়ত ছাগুজাতীয় ব্লগারদের রীতিমত হেনস্থা করে ছাড়তেন! অনেকেই মনে করতো যে তিনি আসলে ছেলে। হাহা! ২০১৩'র পরে আর ইনাকে দেখা যায় নি ব্লগে।
এরকম আরো অনেক অসাধারণ কমেন্ট পাবেন আগুন কমেন্ট সংকলন এই পোস্টে।
আবার যদি মনে করেন যে কী দরকার এত সময় নিয়ে কমেন্ট করার! কিছু টেমপ্লেট থাকলে ভালো হত, তারা ফিউশন ফাইভের পোস্ট না পড়ে কিংবা অল্প পড়ে কিভাবে সুন্দর মন্তব্য করবেন? (নতুন ও কর্মজীবী ব্লগারদের জন্য পরামর্শ) এই পোস্টটি পড়তে পারেন। তবে ধরা খাইলে কর্তৃপক্ষকে দায়ী করা যাবে না।
কবিতা নিয়ে ধুন্ধুমার! - লাবণ্য প্রভা গল্পকার নামক একজন কবি ছিলেন। বেশ উচ্চমার্গের কবিতা লিখে ব্লগে এক ধরণের কাল্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। একদিন তিনি একটি কবিতা লিখলেন " কৃষ্ণ সর্পের পোঁদ ও পরমাঙ্কের ভাঁজ" শিরোনামে। ব্যাস! শুরু হয়ে গেলো কবিকে আক্রমণ। শিরোনাম দেখেই বিশিষ্ট কাব্যপাঠক,অপাঠক, ঊণপাঠক সবাই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন। এ নিয়ে কবিকে কটাক্ষ করে আসতে লাগলো একের পর এক পোস্ট। অবশেষে তিনি তা ড্রাফট করে নেন।

কি, নিরাশ হলেন? কবিতাটি পড়তে ইচ্ছে করছে খুব? কোন সমস্যা নেই, সামুর ডাইহার্ড ব্লগারেরা এসবের ব্যাকআপ নিতে ভুল করতেন না সাধারণত। এখনকার ব্লগারেরা এ থেকে শিক্ষা নিতে পারেন। পড়ে নিন এখান থেকে

শায়লা হকের ব্রা- শায়লা হক ভারি সুন্দর কবিতা লেখেন। একটা ছিমছাম,পরিপাটি, স্নিগ্ধ আমেজ পাওয়া যায় তার কবিতায়।একদিন তিনি লিখলেন পিওবার্টির সময়কে ধারণ করা একটি কবিতা। এখানেও বীর ব্লগারগণ শিরোনাম দেখেই ঝাঁপিয়ে পড়লেন। কবিতাটির নাম ছিলো 'ব্রা'। অবশেষে কবিতাটি মডারেশনের আওতায় নেয়া হয় অথবা তিনি নিজেই মুছে ফেলেন। সমস্যা নেই, এই কবিতারও ব্যাক আপ রয়েছে। শায়লা হকের ব্রা । এটি নিয়ে দুষ্ট ব্লগাররা প্যারোডি করতে ছাড়ে নি।পড়ুন, শায়লা হকের- ব্রা, মানুষের -জাঙগিয়া আর অধম বিলালের -প্যান্টি

হাংরিয়ালিজম; প্রচণ্ড বৈদুতিক ছুতার-মলয় রায় চৌধুরি
-
কেন আমি হারিয়ে যাইনি আমার মায়ের যোনিবর্ত্মে
কেন আমি পিতার আত্মমৈথুনের পর তাঁ পেচেছাপে বয়ে যাইনি
কেন আমি রজঃস্রাবে মিশে যাইনি শ্লেষ্মায়

কী মনে হচ্ছে পাঠক? হাহা! শকড? এই কবিতাটি নিয়ে কথা বলতে গেলে বিশাল একটা পোস্ট দিতে হবে। অত কথায় না যাই। মলয় রায় চৌধুরির এই কবিতাটি অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলো। রীতিমত আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিলো ব্যাপারটা। সেই মলয় রায় আজো আছেন, বিস্মিত হবেন জেনে, এই ব্লগেই আছেন। তার ব্লগ। ব্লগার নৃপ-অনুপ এই কবিতাটি পোস্ট করেন সামুতে।এবং প্রচণ্ড সমালোচনার শিকার হন। কিছু বাদে কবিতাটির পক্ষেও যুক্তি আসতে থাকে। কবিতাটি এবং মন্তব্যগুলো পড়ে দেখতে পারেন। ভালো সময় কাটবে পড়ুন

বিস্মৃতপ্রায় কিছু শব্দ, উক্তি
গত পোস্টে 'জাঝা'র কথা বলেছিলাম। আজ এর সাথে আরো কিছু যোগ করা যাক।
ধৈন্যা/ধনিয়া পাতা- ধন্যবাদ শব্দের ব্লগীয় রূপ।
ডিজিএম- দূরে গিয়া মরেন।
সিটিএন- (এইটা বেশ অশ্লীল হেহে!) এর অর্থ *দার টাইম নাই
আমরা বিজি আছি, আপ্নি একটু পরে আসেন- গুরুত্বপূর্ণ কোন আলোচনায় কেউ অযথা নাক গলাতে এলে বলা হতো।
বুকে আয় বাভুল!- বাভুল/বাবুল হলো বন্ধুর প্রতিশব্দ। কারো আগমনে খুশি হলে ব্লগাররা বলে থাকতেন।
হাদু ট্রিটমেন্ট- এইটা ভয়াবহ অশ্লীল। কইতে পারুম না! নিজ দায়িত্বে জেনে নেন!
ঠেলা - পুরোনো কিন্তু ক্লাসিক কোন পোস্টে 'ঠেলা' কমেন্টটি করে সাম্প্রতিক মন্তব্যের লিস্টে এনে ব্লগারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চমৎকার এক পদ্ধতি।
হরিদাস পাল- ব্লগে কেউ কোনরকম বড় বেকুবি করলে তাকে হরিদাস পাল বলা হতো। একটা কমন কমেন্ট ছিলো "ব্লগ ভরিয়া গেলো হরিদাস পালে"। এই নামটির উৎপত্তি কবি জ্যোতির্ময় নন্দীর একটি কবিতা থেকে,

অই যে চশমাধারী, মারাত্মক সিরিয়াস
চেহারাসুরত, যেন সারা দীন-দুনিয়ার যাবতীয়
দায়ভার তারই বৃষ স্কন্ধে কেউ চাপিয়ে দিয়েছে;
যেন সে পটল তুললে দুনিয়া এতিম হয়ে যাবে।
কিন্তু অই চশমাধারী, মারাত্মক সিরিয়াস
চেহারাসুরত, জানে না যে ওর মতো কত শত
বালস্য বাল / হরিদাস পাল’ পৃথিবীর-প্রকৃতির
প্রগাঢ় প্রস্রাবের ফেনায় ভেসে গেছে……..।
কেপি টেস্ট- পুরো অর্থ কাঁঠালপাতা টেস্ট। ছাগু চিহ্নিত করতে খুবই সরল কিন্তু কার্যকরী একটি পন্থা। কেউ যদি স্বাধীনতা,মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, রাজাকার,জামাত ইত্যাদি নিয়ে ত্যানা প্যাচানো শুরু করে, তাহলে তাকে বলবেন পাঁচটি রাজাকারের নাম বলতে। সে যদি গাঁইগুঁই করে, বা এড়িয়ে যায়, অথবা জামাতের বাছা বাছা রাজাকারদের নাম না বলে, তাহলে সে যে ছাগু এ ব্যাপারে নিঃসন্দেহ হওয়া যায়। এ-টিম কর্তৃক আবিষ্কৃত এই পদ্ধতির মডিফাইড ভার্শন চালু করে সিপিজি। সেটা এরকম, পাঁচটা রাজাকারের নাম বলেন। আমি একটা বলে দেই, শেখ হাসিনার বিয়াই। নেন এবার বাকিগুলা বলেন!

আস্তিক নাস্তিক দ্বন্দ্ব- আমি যখন ব্লগে আসি, তখন নাস্তিকতা নিয়ে ব্যাপক চর্চা হতো। এমনটা এর আগে কোথাও দেখি নি। তাদের পোস্ট পড়ে প্রভাবিত হয়েছিলাম অনেকাংশেই। নতুন নতুন ভাবনার উদ্রেক হত মনে। তবে এ জাতীয় কোন পোস্টে কমেন্ট করতাম না সাধারণত। সেই সময়ে, যখন এত কোপাকুপির ভয় ছিলো না, তখন তাদের বেশিরভাগই ধীরে ধীরে উগ্র হয়ে ওঠেন। একজন ব্লগার তো একবার কোরান শরীফ এর মত একটা বই লেখার চ্যালেঞ্জ দিয়ে পোস্টই করে ফেলেছিলেন। এছাড়া মুহম্মদ(সা)কে পেডোফিলিক, ডাকাত ইত্যাদি বলে পোস্ট আসতো নিয়মিতই। বিশেষ ভাবে সংকট দানা বেঁধে উঠতো কোরবানির ঈদের সময়। নাস্তিকেরা এই উৎসবের অমানবিকতা তুলে ধরে পোস্ট দিতেন, আর আস্তিকেরা প্রতিপক্ষকে জিজ্ঞাসা করতেন তারা মাংস খাবেন কি না। যৌক্তিক প্রশ্ন। এ ব্যাপারে অবশ্য নাস্তিকেরা তেমন একটা ট্যাঁ ফোঁ করতেন না, অথবা এড়িয়ে যেতেন। কেউ কেউ আবার পোস্ট দিতো প্রাণীদের জবেহ করলে তারা কত কম কষ্টে, আরামে মৃত্যুবরণ করতো এ নিয়ে। কড়া আস্তিক ব্লগারদের মধ্যে নানারকম হাস্যকর ধারণা প্রচলিত ছিলো। তাদের মতে, নাস্তিকেরা সবাই হিন্দু। নইলে তারা শুধুমাত্র ইসলামকে নিয়ে পোস্ট দেন কেন? এছাড়াও বলা হতো নাস্তিকরা নাকি পেইড ব্লগার, ইহুদিদের চর ইত্যাদি। বলা হতো আরিফুর রহমান (মোস্ট ডিজগাস্টিং ব্লগার এভার ইন সামু) এর আসল নাম নিতাই ভট্টাচার্য, তার ছবি নিয়ে পোস্টও এসেছিলো কতল করার আহবান জানিয়ে। তবে ওটা আসলেই তার ছবি কি না তার মিমাংসা হয় নি, আরো বলা হতো আসিফ মহিউদ্দিন হলেন হিন্দু, তার নাম বিদ্যুত কুমার ভৌমিক, আরো কত কী! নাস্তিকদের প্রতি বিদ্বেষ বাড়তে থাকে। একসময় তা ভয়াবহ পর্যায়ে উপনীত হয়। কুৎসিত মানসিকতার কিছু ব্লগার নাস্তিকদের লাশ দাফন না করে রাস্তায় আবর্জনার মাঝে ফেলে রেখে শকুন, কুকুরের খাবার হিসেবে দান করার দাবী জানায়। নাস্তিকদের বাবা-মা কি সত্যিই তাদের আসল বাবা-মা এ ব্যাপারে কীভাবে শিওর হওয়া গেলো, তা নিয়ে পোস্টের পর পোস্ট, শুধুই ঘৃণার চাষাবাদ, ওহ! ২০১১'র জুলাই আগস্টের দিকে আস্তিকবৃন্দ নতুন এক যুদ্ধনীতি(হ্যাঁ, ব্লগটা তখন যুদ্ধক্ষেত্রই ছিলো) প্রনয়ন করে। তা হলো, একের পর এক নিক খুলে সমানে গালাগালি করে যাওয়া। যত বেশি সম্ভব, যত কদর্য সম্ভব। পদ্ধতিটা যেমনই হোক, কিছুটা কাজ হয়েছিলো এতে। তবে প্রাথমিক সাফল্যে উদ্বেল হয়ে তারা আরো বেশি কিছু চেয়ে ফেলেন। যে কোন রকম যৌক্তিক নাস্তিক পোস্টও ব্যান করার দাবী জানান। এতটা অবশ্য দেন নি মডারেটররা। অবশেষে...দেশে এলো চাপাতি, ঝরলো রক্ত, গেলো প্রাণ। ২০১৩ তে নিহত রাজীব হায়দার ওরফে থাবা বাবাকে টার্গেট করে একটা পোস্ট এসেছিলো উগ্র ডানপন্থী ব্লগ সাইট সোনার বাঙলা ব্লগে। ব্লগটি নিষিদ্ধ হয়। আর সামুতেও নাস্তিকদের আনাগোনা কমতে থাকে। অনেক জাঁহাবাজ নাস্তিককে দেখেছি সব পোস্ট মুছে হারিয়ে গিয়েছে।
যাক গে! এখন আস্তিক এবং নাস্তিক উভয়পক্ষের জন্যে অতি দরকারী দুটি সংকলন পোস্টের লিংক দেবো।
নাস্তানাবুদ নাস্তিকতা : নাস্তিকতার অসারতা প্রমাণকারী ব্লগ পোষ্ট সঙ্কলন
বাংলা ব্লগ'স্ফেয়ারে মুক্ত'চিন্তার গুরুত্বপূর্ণ লেখা/পোস্ট/ব্লগ সংগ্রহের উদ্যোগঃ সচেতন সকলে'র অংশগ্রহন কাম্য …

বিনোদনমূলক ব্লগ এবং ব্লগারগণ
-সামুতে বিনোদনের অভাব কখনই ছিলো না। তবে সেই সোনালী দিন কি আর ফিরে আসবে, যখন গুরুকবি মেহদী রেগেমেগে "ইন্টারনেটে নায়িকা ডেকে এনে রিকশাঅলাদের দ্বারা সংঘটিত ধর্ষণ নিয়ে কবিতা লিখতেন?", অথবা এম ডি জাকারিয়া বস কম্পিউটারকে নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে বলতেন! অতটা নেই, তবে একদমই যে কেউ নেই তা নয়। শুরু করছি নবযুগের মেহদীকে নিয়ে,
পরিবেশ বন্ধু- আপনি কি জানেন, ২০১৩ সালের ২৯শে জুলাইয়ে কী ভয়াবহ এক ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিলো সামুতে? বিশিষ্ট কবি, সম্পাদক, গাতক, রহস্য গল্পকার এবং ঔপন্যাসিক ব্লগার পরিবেশ বন্ধুর একটি পোস্ট সরিয়ে নেবার কারণে তিনি তার ল্যাবের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়ে সামুকে ধ্বংস করে দেবার হুমকি দিয়েছিলেন। ব্লগারদের ভীত অনুরোধে অবশেষে তিনি হুমকি প্রত্যাহার করে নেন। রক্ষা পায় সামু। সেই পোস্টের কনটেন্ট এডিট করে কবিতা আর নিজের পরিচয় দিয়ে রেখেছেন কবি। তাতে কী! মন্তব্যগুলো অবশ্যপাঠ্য। আমি কবি শুধুই ছবি ।।

হাবিব মহাজনের ধ্রুপদী পোস্ট-
আপনি কি জানেন, "যৌনাকাঙ্খাই অসহনীয় মাথাব্যথার কারন"? জ্বী ইহা রিসার্চে প্রমাণিত। অন্তত হাবিব মহাজন তাই বলেন। তাই মাথাব্যথা হলে ভুলেও প্যরাসিটামল খাবেন না, সেক্স কমে যাবে! অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই পোস্টে দুষ্ট ব্লগাররা নানাবিধ রসময় কমেন্টে পোস্টটিকে সিক্ত, ফলশ্রূতিতে অন্য অনেক ক্লাসিক পোস্টের মত এটাও ড্রাফট করে ফেলেন লেখক। তবে এটার মন্তব্য সহ ব্যাকআপ নিতে ভোলেন নি ব্লগার জ্ঞানপাপী। না পড়লে মিস
তোমরা সকলে কম্প্উটার নিয়ে চিন্তা কর ।- "কম্প্উটার একটি বিশ্বয় জনক সৃষ্টি । এ নিয়ে মোটেই চিন্তা করা জায় না । মাঝে মাঝে চিন্তা করে আমি একদম ক্লান্ত হইয়া যাই । এখন আমি কি যে করি , ভেবে পাচ্ছি না । কম্প্উটার একটি অত্যাধুনিক যন্ত্র । এর যে কত ক্ষমতা তা চিন্তার বিষয় । তোমরা সকলে কম্প্উটার নিয়ে চিন্তা কর "
বিশিষ্ট চিন্তাশীল ব্লগার এম ডি জাকারিয়া বসের অমর পোস্ট। কী অমূল্য এক উপদেশ উপহার দিয়েছেন তিনি, ভাবতে গেলেই মাথা নুইয়ে আসে। চিন্তা করতে গেলে মাথা হ্যাং হয়ে যায়। তাড় ছিড়ে যায়। আপনিও কম্পিউটার নিয়ে ভাবতে শুরু করে দিন!
এখানে অবশ্য একটা ফ্যাকড়া আছে। পোস্টদাতা এম ডি জাকারিয়া একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার। তাকে নিয়ে মজা করার জন্যে তার অধীনস্ত কেউ নাকি এমন ক্লাসিক পোস্টগুলি লিখতেন। সে যাই হোক, আমাদের জ্ঞান পেলেই হলো! জাকারিয়া স্যারের সব পোস্ট, উইথ কমেন্টস।
বাংলার অহংকার- একজন মানুষ ঠিক কতটা প্রতিভাধর হতে পারে? আইনাস্টাইন বলেছেন মানুষের মূর্খামি অসীম। তিনি বলেন নি মানুষের প্রতিভাও অসীম হতে পারে। কীভাবে বলবেন? তিনি তো আর সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু স্যারকে দেখে যান নি! তার প্রতিভার পূর্ণ বিবরণ এখানে।
অপি আক্তার- পৃথিবী অদ্ভুত। এখানে নানারকম ঘটনা ঘটে, যে সবের কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। অদ্ভুত এই গ্রহের মানুষেরাও। অদ্ভুত এই ব্লগ। নইলে কি ২০০৯ এ দেয়া দুই লাইনের একটি পোস্টে হাজার দুয়েক কমেন্ট আসে? এবং এখনও কমেন্ট আসছেই। খুব জানার ইচ্ছা কে এই অপি আক্তার। কিন্তু তা রহস্যই থেকে গেলো! গত পোস্টে এর নাম না দেয়ায় অনেকেই গোস্বা করেছেন। এবার আর সে ভুল করছি না। সবাইকে শুভেচ্ছা
নিক ম্যালফাংশন- মাল্টিনিক চালাতে গেলে খুব সাবধান। নইলে অবস্থা হবে এই লোকের মত
জটিল প্রশ্নের সহজ উত্তর- - আরো একটি দুই লাইনের পোস্ট। ইকরাম উল হক নামক একজন ব্যক্তি সরল মনে জানতে চাইলেন ফেসবুকে কীভাবে একাউন্ট খুলতে হয়। ফলাফল? দেখুন এর পরিণতি। সামুর ব্লগারদের রসবোধ অসাধারণ, সন্দেহ নেই।
পেটে ড্রাই জিন ব্লগে হাই জ্বীন!- জ্বীন নিয়ে নানারকম মতভেদ আছে। কেউ বিশ্বাস করেন, কেউ করেন না। কেউ জ্বীন দেখার জন্যে পীর ধরেন, কেউ ল্যাবরেটরিতে গবেষণা করেন, কেউ ধর্মগ্রন্থ ঘাঁটেন। কতরকম তত্ত্ব, কত তর্ক! আদতে ব্যাপারটা যে এত সরল, তা ইয়াজিদ সিকান্দার পোস্ট না দিলে জানাই যেতো না! কী, জানতে চান? পড়ুন জ্বিনের অস্তিত্বের পক্ষে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা

এবং কন্যার বুকের সমুদ্রে অবগাহন- শুরু করেছিলাম ২০১০ এর ১৬ই ডিসেম্বরে ইনসমনিয়াক ক্লাবের গেট টুগেদারের কথা দিয়ে। আরো একটু পেছনে যাই, একদিন ফেসবুকে মায়া মায়া চেহারার টিকালো নাকের এক তরুণী ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠাল। আমার মনের মধ্যে উড়ূউড়ু ভাব সৃষ্টি হলো। কিন্তু যে কেউ চাইলেই কি আর ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করবো নাকি হ্যাঁ? হুহু, অত সস্তা না। মনের দুঃখ চাপা দিয়ে রিকুয়েস্ট ইগনর করে দিলাম। কিছুক্ষণ পর মেয়েটি মেসেজ পাঠালো, "স্যরি আপনি আমাকে চিনতে পারেন নি বোধ হয়। আমি ব্লগার সমুদ্রকন্যা"। ওহ তাই! খুশি মনে রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করলাম। ব্লগে অবশ্য তার সাথে তেমন ইন্টারএ্যাকশন ছিলো না। দুজনের লেখালেখির জগৎ ছিলো দুরকম। পরবর্তীতে আমরা একে অপরের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বদলে গিয়েছি অনেক। কাছাকাছি এসেছি।
ও, হ্যাঁ গেট টুগেদারের কথা বলছিলাম। সেদিনটা মনে রাখার মতই ছিলো। ছবির হাটের আড্ডা, বইমেলায় ঘোরাঘুরি, বই কেনা, এবং অবশেষে হোটেল মৃগয়ায় ভরপেট ভোজন। সেদিন যারা এসেছিলো তাদের সবার সাথেই আগে দেখা হয়েছিলো, শুধু একজন বাদে। তিনি হলেন সমুদ্রকন্যা ওরফে তিথি। হলুদ শাড়ী পরে এসেছিলেন। আমার সাথে কিঞ্চিৎ বাক্যালাপ হয়েছিলো। বেশ আদুরে, মিষ্টি করে কথা বলে সে।
২১শে ফেব্রুয়ারি ২০১১। রাত ১২টার দিকে একটা ফোন এলো। অপরিচিত নাম্বার থেকে। মেয়েকণ্ঠ। আমি তো খুশিতে ডগমগ! অল্প সময়ের মধ্যেই নানারকম সুখকল্পনায় মজে গেলাম। কে হতে পারে? আমার লেখার কোন ভক্ত(!)? মুগ্ধ পাঠক? সিক্রেট এ্যাডমায়ারার? কী বলবে সে? আমার লেখা পড়ে প্রেমে মজে গেছে? সিঙ্গল যুবকের টিপিক্যাল ভাবনা আর কী! সে ততক্ষণে নাম না বলে আমাকে অনুমান করতে বলার মেয়েলী খেলাটা উপভোগ করছে। অবশেষে সে তার নাম বললো। তিথি। সমুদ্রকন্যা। আর আমি কী বলবো ভেবে না পেয়ে লম্বা এক সালাম দিলাম।আসসালামুআলাইকুম (বিয়ান সাব)! শুনলাম সোহানের কাছ থেকে আমার নম্বর নিয়ে ফোন করেছে। না, কোন প্রেম-ট্রেম না, খাঁটি করুণ বাস্তবতা। কাজ খুঁজে পাচ্ছিলো না বলে কথা বলার জন্যে কাউকে বেছে নেয়া আর কী। ইয়ার্কি নাকি! আমি হালকা পাতলা টাংকি মারা শুরু করলাম। আলাপ বেশ ভালোই জমে গেলো। একসময় আমরা একে অপরকে তুমি করে বলা শুরু করলাম। মানুষের মন অদ্ভুত। সম্পর্কগুলো অদ্ভুত। কীভাবে যে সৃষ্টি হয় তার থৈ পাওয়া যায় না। তখন কি ছাই জানতাম যে আমার ঘরের ঘুলঘুলি দিয়ে সতর্ক চোখে পরখ করছে তীরন্দাজ কিউপিড! অবশেষে তীরবিদ্ধ হলাম। ঘটনাগুলো এত দ্রুত ঘটেছিলো যে এখনও মনে পড়লে অবাক লাগে। পরদিন মিরপুর দুইয়ের এক রেস্তোরায় আমাদের প্রথম ডেটিং। আমার স্মৃতিশক্তি খুব একটু ভালো না। কিন্তু সেদিনের সবকিছু মনে আছে। তার লাজনম্র চাহনি, সসংকোচে হাত ধরে বিব্রত হাসি, রিকশার বদৌলতে প্রাপ্ত ঘনিষ্ঠতা...সব। শুধু মনে নেই রেস্টুরেন্টের নামটা আর কত টাকা বিল এসেছিলো! এরপর আর কী, দুজনেই পোড় খাওয়া মানুষ, টিনএজ সুলভ লাজ, সম্পর্কের ধীর পরিক্রমা সব স্কিপ করে দ্রুতই সম্পর্কের নাগরদোলায় চড়ে বসলাম। দিনগুলো কাটছিলো থরোথরো আবেগে মথিত হয়ে, ভয়ানক ঝুঁকিপূর্ণ রোলার কোস্টারে চড়ে। ছিলো নানা চড়াই উৎরাই। সে কথা এখন থাক।
একটা ব্যাপার বেশ মজার, আমাদের সম্পর্কের বিশেষ মুহূর্তগুলোর সাথে বিশেষ বিশেষ দিন জড়িত আছে। যেমন, ১৬ই ডিসেম্বরে প্রথম দেখা, ২১শে ফেব্রুয়ারিতে প্রথম ফোনে কথা এবং প্রেমের সূচনা, আর পহেলা বৈশাখে...হাহা, মতিকণ্ঠের ভাষায় বলতে হয় "কিছু কথা থাক না গুপন!"। চেয়েছিলাম বিয়েটাও করে ফেলবো এক বিশেষ দিনে। ১৬ই ডিসেম্বরে। অভিভাবকেরা অবশ্য এই আবদারে কর্ণপাত করেন নি। শেষতক বিয়ে হলো ১২'এর ১২ই জানুয়ারি।
হ্যাঁ, আজ আমাদের এ্যানিভার্সারি। দেখতে দেখতে চারটি বছর কেটে গেলো। এই সময়ের মধ্যে তার খবরদারিতে ভাতে আলগা লবণ নেয়া ছেড়েছি, রাতে ঘুমোনোর আগে দাঁতব্রাশ করি এখন। খাওয়া শেষ হলে প্লেটটা ধুয়ে রান্নাঘরে রেখে আসি। আর তেমন কী! খুব বদলাই নি।
আমার লেখার সবচেয়ে বড় সমালোচক সে। খুব কাঠখোট্টা নম্বরিং করে! বিয়ে করে এই এক সুবিধে হয়েছে। হাতের কাছেই একজন বিদগ্ধ পাঠক, যার সাথে লেখা নিয়ে আলোচনা করা যায়। আমার অনেক গল্পের কাঠামো ঠিকঠাক দাঁড় করাতে তার পরামর্শ আমার কাজে লেগেছে।
ব্লগিংয়ের মাধ্যমেই আমাদের পরিচয়, আমি চালিয়ে যাচ্ছি এখনও। কিন্তু চাকুরি, বাচ্চা সামলিয়ে সে পারছে না। এ ব্যাপারটা ভারাক্রান্ত করে আমাকে। আমাদের বিয়ের আগে আগে সে লেখালেখি চালাচ্ছিলো দুর্দান্ত গতিতে।নিজেকে ভাঙছিলো ক্রমশ। চর্চাটা বজায় রাখলে আরো কত ভালো ভালো লেখা উপহার পেতাম তার কাছ থেকে! আশা করি সে সময় আবার ফিরে পাবে সে। একটু গুছিয়ে নিয়ে।
আমার ব্লগে তার প্রথম কমেন্টটা মনে আছে এখনো। আমার একটি ফানপোস্টে সে মন্তব্য করেছিলো,

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ১২ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৮

লেখক বলেছেন: হাইসেননা। ঘটনা সিরিয়াস। সেই ফেব্রুয়ারিতে যেই অবস্থা ছিলো, এখনও সেই অবস্থাই আছে :((

তাইলেতো ভাই আপনার রিকভার করার চান্স আছে। নইলে তো অক্টোবরে আইসা আরো বাড়ার কথা।

১৮ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৪৮

লেখক বলেছেন: নভেম্বরে অবস্থার আরো অবনতি হৈসে গো আফা। দুআ রাইখ্যেন!


হাহা! আফা, আপনি তাপনি, দুআ।

শিরোনামে উল্লেখ করেছিলাম ব্লগ থেকে অর্জন এবং বিসর্জনের কথা। লেখালেখি করে অনেক শুভানুধ্যায়ী পেয়েছি, বইও বের হয়েছে ব্লগে লেখার সুবাদেই। পেয়েছি তিথিকে। আর সে আমাকে উপহার দিয়েছে দুই দেবশিশু মিতিন আর রুহিন। লোকে বলে,ভার্চুয়াল জগতে ডুবে থাকলে রিয়াল লাইফের সাথে সম্পৃক্ত সূতোটি কেটে যায়। মানুষ বাস্তবতাবিমুখ হয়ে যায়। আমি সৌভাগ্যবান, ভার্চুয়াল লাইফ থেকেই পেলাম সংসার,সন্তান। আমি একা না, লিস্টে আরো বেশ কজন আছে। যেমন,
আকাশ অম্বর এবং সাদা কালো ধূসর
উদাসী স্বপ্ন এবং ফারা তন্বী
জিকসেস এবং অগ্নিলা
ত্রাতুল এবং কি নাম দিব
নস্টালজিক এবং আহাদিল
সবাই ইয়ে করে বিয়ে করে সুখেই আছেন।

অতঃপর, তুমি কীভাবে ব্লগের নেয়ামত অস্বীকার করিবে?
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৭
১৩২টি মন্তব্য ১৩২টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×