somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্বাসের U - টার্ন.......................১

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১০:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছোট বেলা থেকেই নিজ ধর্মের প্রতি অগাধ ভক্তি ছিল, আর ভক্তি থাকা তো অস্বাভাবিক ছিল না কারন পৃথিবীর সবচেয়ে মহত এবং সেরা ধর্ম হল
আমার ধর্ম " ইসলাম "।এবং আমি নিজেকে এ কারনে খুবই সোভাগ্যবান
মনে করতাম।ছোটবেলা থেকেই ধর্মপরায়ন থাকলেও কোন গোরামি আমার মাঝে ছিল না। ছোট বেলায় আমার দুজন বরই ঘনিস্ট বন্ধু ছিল
হিন্দু এবং বৌধ্ব ।ক্লাস ফাইভে তাদের সাথে ঘনিস্টতা বেশী ছিল।

U - টার্নের শুরু>>

ক্লাস ফাইভে থাকার সময় আমরা তিনজন সবসময় একসাথে থাকতাম আর সব সময় ভাবতাম কিভাবে ভাল কাজ করা যায়।এ সময় একদিন হরতালের সময় খবর পেলাম আমাদের স্কুলের সামনে একটা বোমা পাওয়া
গেছে।তখনি আমরা তিন জন ঠিক করলাম আমরাই এি বোমা ধ্বংশ করব।
আমরা যখন বীর বিক্রমে যাচ্ছিলাম তখনি আমার হিন্দু বন্ধু থেমে গিয়ে আমাদের বাকি দুজনকে বলল সে একাই োখানে যাবে কারন বোমা ধংশ
কারার সময় ও যদি মারা যায় ও তো সোজা স্বর্গে যাবে কিন্তু আমরা বাকি দুজন এই অল্প বয়সে নরকের শাস্তি ভোগ করব।এ কথা শুনে আমি ওরা বলছিলাম ওরে গাধা , আমি মরলে ত হব শহীদ আর তোরা এট ভাল কাজ করেও দোজখে যাবি তখন আমার বৈধ্ব বন্ধু ও েমন কিছুই বলল।তখন আমি পরিস্হিতি হালকা করার জন্য বললাম আমি মরলে যাব বেহেস্ত হিন্দু বেটা মরলে যাবে স্বর্গে আর তুই মরলে বেহেস্ত আর স্বর্গের মাঝে ট্রাফিক কন্টোল করবি।

সেদিন মজা করলেও এই ঘটনা আমার মনে অনেক প্রশ্ন সৃষ্টি করল।আমি ভাবতে লাগলাম যে আমরা তিন জনই প্রায় একইরকম ছিলাম কিন্তু আমি শুধু মুসলমান ঘরে জন্ম নিয়েছিলাম বলে আমি আজ মুসলিম আর তাই আমি ওদের দুইজন থেকে সেরা।আমাদের জন্মের উপর আমাদের নিজের যেমন হাত নাই তেমনি হাত নাই আমি কি ধর্ম পালন করব তার উপর
কারন আজ যদি আমার জন্ম কোন হিনদু পরিবারে হত তবে হ্য়ত আমি আজ নামাজ না পরে পুজাই করতাম।তাহলে আমার অন্য ধর্মের বন্ধুদের দোষ কি? কেনওরা কোন খারাপ কাজ না করেও দোযখে যাবে।আবার হিন্দু দৃষ্টি কোন থেকে দেখলে কোন মন্দ কাজ না করার পরও কেন আমি স্বর্গে যেতে পারব না? এভাবেই আমার এতদিনের বিশ্বাস ইউ টার্ন মারা শুরু করল.........।
১৫টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেসবুক বিপ্লবে সেভেন সিস্টার্স দখল—গুগল ম্যাপ আপডেট বাকি

লিখেছেন মহিউদ্দিন হায়দার, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩০




কিছু তথাকথিত “বাংলাদেশি বিপ্লবী” নাকি ঘোষণা দিয়েছে—ভারতের সেভেন সিস্টার্স বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে! সহযোগী হিসেবে থাকবে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী আর পাকিস্তানি স্বপ্ন।শুনে মনে হয়—ট্যাংক আসবে ইনবক্সে। ড্রোন নামবে লাইভ কমেন্টে। আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×