somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নটর ডেম কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক জনাব বিদ্যুৎ কুমার ভদ্র স্যারের কিছু ডায়লগ ( পর্ব-২)

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কয়েকদিন অাগে নটর ডেম কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক বিদ্যুৎ স্যারের উক্তিগুলো নিয়ে একটি পোস্ট করেছিলাম । যে উক্তিগুলো ঐ পোস্টে লিখিনি সেগুলো নিয়ে লিখলাম এই পোস্টটি ।

( বিদ্যুৎ কুমার ভদ্র স্যার )

"শোন বন্ধুগণ, আমার বন্ধুরা সব বুড়ো হয়ে একে একে মরে যাচ্ছে । আমাকে নাম ধরে ডাকার লোক খুব কম । তোমরা চাইলে আমাকে নাম ধরে ডাকতে পার ।"

"তোমরা তো এখন স্যারকে নাম ধরেই ডাক । তোমাদের আর কি দোষ বলো, এই আমরা স্যার নিউটনকে, আইনস্টাইনকে নাম ধরে ডাকি । সেরকমভাবে তোমরা শিক্ষকদের নাম ধরে ডাকবে এতে দোষের কি আছে?হে..........হে.............হে...........বুঝেছতো কথাটা? "

"শোন, ঈশ্বর প্রদত্ত খোলসটা ছাড়া সকল ছাত্রের ভেতরটা একই । বুঝেছতো কথাটা? "

"আজকালকার প্রেমিক-প্রেমিকারা যে কি, বিয়ে না দিলেই গাছের সাথে ঝুলে পড়ে ।"

"মনে কর, তুমি তোমার বউ এর সাথে ঝগড়া করে (৬,৪) বিন্দুতে রশি ঝুলিয়ে ঝুলে পড়েছ । রশিটি (১০,৮) বিন্দু পর্যন্ত এলো । এখন এই রশির এক বিন্দু থেকে আরেক বিন্দুর দূরত্ব নির্ণয়ের সূত্র জনগণ পারে । সুতরাং এই অংকটি জনগণ পারলো ।"

"তোমার যদি টাকা না থাকে তবে মেয়ে কেন, মেয়ের নানীও তোমার দিকে ফিরে তাকাবে না বন্ধু"

"আরে বন্ধু, পায়খানা করেও ওটার দিকে ফিরে তাকানো যায় কিন্তু তোমার হাতের লেখার দিকে তো তাকানো যাচ্ছে না ।"

"এই যে পই পই করে বলি বই নিয়ে আসবে কলেজে কিন্তু অনেকেই আনো না । আরে পড়াশোনা করে চাকরি করে তো আর আমাকে খাওয়াবে না, তোমার বাপ-মাকেও খাওয়াবা না । খাওয়াবা চাঁদনীকে আর তার বাপ-মাকে ।"

"আরে বইটাতে একটু দাগ-টাগ দাও । পাশ করে বইগুলো বিক্রি করলে ঠোঙ্গাআলা ভাববে বইয়ের প্রতি তুমি অবিচার করেছ । দাগ-টাগ থাকলে সে ভাববে না জানি তুমি কত মারাত্মক ছাত্র ।"

"শোন বন্ধুগণ, বই কিনে কেউ গরীব হয়ে যায় না । তুমি বই পড় আর নাই পড়, প্রচুর বই কিনে ঘর ভরে ফেলো । যাতে প্রতিবেশীরা ভাবে না জানি তুমি কত মারাত্মক ছাত্র ।"

"এই যে কাপ্তান ভাই, তুমিও কিন্তু অনেক কথা বলো । আর যদি দেখি তাহলে পাছায় লাথি দিয়ে ক্লাস থেকে বের করে দেব ।"

"আমার বউটার জ্বালায় শান্তিতে একটু খবরটাও দেখা যায় না । চ্যানেল তার একটাই, স্টার জলসা ।"

"শোন বন্ধুগণ, কিছুদিন পর তোমরা ঘরে একটা লাল টুকটুকে বউ আনবে । তোমাদের একটা পরামর্শ দেই, তোমার বউকে তুমি সব কিনে দেবা শুধু সোনার গয়না ছাড়া । শোন, সোনার গয়না কিনে আনা মানে হলো টাকা দিয়ে ঘরে টেনশন কিনে আনা । এই যেমন দেখ আমার বউ কিছুদিন ধরে আমাকে জালিয়ে খাচ্ছে তাকে সোনার গয়না কিনে দেয়ার জন্য । আমি তাকে বললাম সোনার গয়না ছাড়া তোমাকে সব কিনে দেব আমি । তাকে আমি এসি কিনে দেলাম, ওয়াশিং মেশিন কিনে দেলাম কিন্তু তারপরেও তার বায়না তাকে সোনার গয়না কিনে দিতেই হবে । শেষে বাধ্য হয়েই তাকে কিনে দেলাম । কারণ আমি আমার বউ হারাতে চাই না । তোমরা আবার তোমাদের বউকে এসব বলো না । শেষে তোমাদের বাড়ি গেলে তোমাদের বউ আমাকে এককাপ চাও খাওয়াবে না ।"

"বন্ধুগণ চলো ১২ নম্বর অংকটা করি । লেখ মনে করি.............. এই যে বন্ধু মনে করতে তো কোন দোষ নেই । মনে কর, হ্যাঁ মনে কর ।"

অংক করার সময় মাঝে মাঝেই এমন ঘটনা ঘটতোঃ
(১)
আমরাঃ "স্যার, আগের লাইনে ভুল হয়েছে ।"
স্যারঃ "এরা যে কি ! অংক পারে না কিছুই কিন্তু ভুল ধরার জন্য ওৎ পেতে বসে থাকে ।"

(২)
আমরাঃ";স্যার, আগের লাইনে ভুল হয়েছে ।"
স্যারঃ"সমস্যা নাইরে বন্ধু, পরের লাইনে ঠিক হয়ে যাবে । এই অংক করানো ভুলে গেলে তো আমার ভাত বন্ধ হয়ে যাবে । হে.......হে......হে..... বুঝেছতো কথাটা?"

(৩)
স্যারঃ "গতদিন বৃত্তের থিয়োরিটা দেখে আসতে বলেছিলাম । যারা দেখে এসেছ তারা জায়গায় দাঁড়িয়ে যাও ।................( ক্লাসের কেউ দাঁড়ালো না).......................... আরে একি! এযে হুমায়ুন আহমেদের নাটক কোথাও কেউ নেই ।"

(৪)
স্যারঃ "গতদিন একটা অংক বাড়ির কাজ দিয়েছিলাম । যারা করেছ জায়গায় দাঁড়িয়ে যাও ।...........................( ক্লাসের কেউ দাঁড়ালো না).......................... আরে একি! এযে হুমায়ুন আহমেদের নাটক কোথাও কেউ নেই ।"

(৫)
জনৈক ছাত্রঃ "স্যার ১৩ নম্বর অংকটা পারিনি । একটু করে দেবেন?"

স্যারঃ "(বই দেখে) আরে ১৩ নম্বর তো কোন অংকই না । তুমি বাড়িতে চেষ্টা করেছ তো?"

ছাত্রঃ "জ্বী স্যার ।"

স্যারঃ "ঠিকাছে । তুমি বোর্ডে এসে অংকটা করে প্রমাণ কর যে তুমি অঙকটা পারোনা । যদি তুমি অংকটা করতে পার তাহলে তোমাকে তিন তলা থেকে ধরে ফেলে দেব ।হে.............হে.........হে........বুঝেছতো কথাটা?"

(৬)
স্যারঃ"এই যে বন্ধু তুমি দাঁড়াও । গতকাল সারা বিকেল প্রেমিকার সাথে ঘুরে ক্লান্ত হয়ে ক্লাসে ঘুমাচ্ছ । হুম? "

ছাত্রঃ "না স্যার ।"

স্যারঃ "মিথ্যে বলো না বন্ধু । আমি নিজে তোমাকে দেখেছি । মলি না তোমার প্রেমিকা?"

(৭)
স্যারঃ "তোমাদেরকে সবগুলো অংকই আমি করে দেই বন্ধু । তারপরেও তোমরা যে রেজাল্ট করলে তাতে কষ্টে তো আমারই হৃদয় ফেটে যাচ্ছে । তোমার বাপ-মা এই রেজাল্ট দেখে তো হৃদয় ফেটে মরে যাবে ।

(৮)
ছাত্রঃ স্যার, গ্রাফটা ক্যামন হতে পারে?
স্যারঃ শোন, তোমার যখন হাগা আসবে তখন আর মাকে বলার দরকার নাই যে, "মা, হাগা আসলে আমারে জাগায় দিও।" হাগা আসলে তুমি এমনিতেই জেগে যাবা। :P :-B =p~

পর্ব-১ এর লিংক এখানে ক্লিক করুন
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২০
১৯টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঘরে ফেরার টান

লিখেছেন স্প্যানকড, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ ভোর ৬:৩১

ছবি নেট।

তুমি মানে
সমস্ত দিনের ক্লান্তি শেষে
নতুন করে বেঁচে থাকার নাম।

তুমি মানে
আড্ডা,কবিতা,গান
তুমি মানে দুঃখ মুছে
হেসে ওঠে প্রাণ।

তুমি মানে
বুক ভরা ভালোবাসা
পূর্ণ সমস্ত শূন্যস্থান।

তুমি মানে ভেঙ্গে ফেলা
রাতের নিস্তব্ধতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বজলুল হুদাকে জবাই করে হাসিনা : কর্নেল (অব.) এম এ হক

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৯

মেজর বজলুল হুদাকে শেখ হাসিনা জবাই করেছিলেন।

(ছবি ডিলিট করা হলো)

শেখ মুজিবকে হত্যার অপরাধে ২৮শে জানুয়ারী ২০১০ এ মেজর (অব.) বজলুল হুদা সহ মোট ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। রাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

মি. চুপ্পুর পক্ষ নিয়েছে বিএনপি-জামাত; কারণ কী?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৬


বিএনপি গত ১৬ বছর আম্লিগের এগুচ্ছ কেশও ছিড়তে পারেনি অথচ যখন ছাত্ররা গণহত্যাকারীদের হটিয়েছে তখন কেন বিএনপি চু্প্পুর পক্ষ নিচ্ছে? অনেকেই বলছে সাংবিধানিক শুন্যতা সৃষ্টি হবে তার সংগে বিএনপিও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগারেরা প্রেসিডেন্ট চুপ্পুমিয়াকে চান না, কিন্তু বিএনপি কেন চায়?

লিখেছেন সোনাগাজী, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৪



**** এখন থেকে ১৯ মিনিট পরে (বৃহ: রাত ১২'টায় ) আমার সেমিব্যান তুলে নেয়া হবে; সামুটিককে ধন্যবাদ। ****

***** আমাকে সেমিব্যান থেকে "জেনারেল" করা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিকাহের পরিবর্তে আল্লাহর হাদিসও মানা যায় না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪




সূরা: ৪ নিসা, ৮৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৮৭। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নাই। তিনি তোমাদেরকে কেয়ামতের দিন একত্র করবেন, তাতে কোন সন্দেহ নাই। হাদিসে কে আল্লাহ থেকে বেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×