গতকাল নটর ডেম কলেজের শ্রদ্ধেয় বিদ্যুৎ স্যারের ডায়লগ নিয়ে একটি পোস্ট করেছিলাম ।কয়েকজন বলেছিলেন মুখতার স্যারকে নিয়ে লিখতে । তাই স্যারের কিছু স্মরণীয় ক্লাসের ঘটনাবলি নিয়ে আজ লিখলাম । যারা মুখতার স্যারের নাম শোনেননি তাদের বলছি, মুখতার আহমেদ ছিলেন নটর ডেম কলেজে বাংলা বিভাগের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক । কয়েকবার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন । তিনি নটরডেম কলেজের কিংবদন্তীতুল্য একজন শিক্ষক । স্যারের এক বিখ্যাত ডায়লগ হলো, "সর্বনাশ করে ছেড়ে দেব ।" তবে পোস্টটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে বল আমি মনে করি । আর নটরডেমিয়ান ভাইদের তো কিছু বলার প্রয়োজনই নেই ।
যারা মুখতার স্যারকে চেনেন না তাদের বলছি, এই পোস্টের অনেকগুলো অংশই প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য । স্যারের স্মৃতিগুলো আবার সবাইকে মনে করিয়ে দিতে স্যার ক্লাসে যেভাবে কথা বলেছেন হুবহু সেভাবে আমি তুলে দিয়েছি । বিষয়টি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল ।
মুখতার স্যারের সোনালি দুপুরের ক্লাসের ঘটনাবলি :
সেদিন ছিল কোন এক "সোনালী" মধ্যদুপুর ।নটর ডেম কলেজের আকাশে বাতাসে শুধু একটাই গুঞ্জন। গ্রুপ ১ এ মুখতার স্যার নাকি আজ "অপরাহ্ণের গল্প" শুরু করবেন। টিফিন পিরিয়ড শেষ হতে আরও অনেক সময় বাকি। কিন্তু কেমনে কী ? গ্রুপ ১ এ এখন মানুষের ঢল। এমনকি পা রাখার জায়গাটাও আর নাই। ঘণ্টা বাজলো । ছাত্র জনতার ধ্বনিতে মুখরিত হল আকাশ-বাতাস," ওওওওওওওওওও ..............................
উইইইইই "
স্যার আসবেন এখন। আমাদের ক্যাপ্টেন স্যার কে আনতে গেলো।কিছুক্ষণ পরেই , স্যার ওর কাঁধে "ভর" দিয়ে এলেন । মুখ গম্ভীর। খেয়াল করলেন যে, ১৮০ জনের ক্লাসে আজ কমপক্ষে ২৫০টা ছেলেপেলে। কেও দাঁড়িয়ে, কেও বসে, আর যারা তাও পায় নি, তারা একেবারে মেঝেতে চিতপটাং।হুম, স্যার এর মুখ কিন্তু তখনও গম্ভীর।
এরপর স্যার চেয়ারে বসার জন্য যেই গেলেন, দেখলেন "ওটা" নেই ।
স্যারঃ " ক্যাপ্টেন, (-_-) , ওখানে ওটা নেই কেন ? যাও এক্ষুনি নিয়ে আসো। " (ওটা মানে কিন্তু চেয়ার)
আমরা চিন্তায় পড়লাম, স্যার কি আজকে আমাদেরকে নিরাশ করবেন ? যথারীতি "ওটা" নিয়ে আসা হল।
স্যার চেয়ারে বসতে গেলেন, পারলেন না, ক্যাপ্টেনের দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ দিয়ে বললেন,"ক্যাপ্টেন, সোফাটা আমার পাছায় সেট করে দাও তো :V "
আর আমরাও হাসিতে ফেটে পরলাম ।যাক, আজকে কিছু না কিছু তো হবেই ।
স্যার বসলেন , দীর্ঘক্ষণ মাথার ঘন কালো রেশমি চুল আঁচরালেন। তারপর খুললেন, সেই রহস্যঘেরা "লালখাতা" ।
মুখতার আহমেদঃ "আমি আজগে তোমাদের এটেন্দেন্স দেবো না ।"
আমরাঃ " ইয়েএএএএএ .....................(^_^) "
স্যারঃ " হুম, এবার থামো । আজগে আমি শুরু করছি, অপরাহ্ণের গল্প। যদিও চ্যাপটার টা অনেক "ছোট" কিন্তু এর ভাববস্তু অনেক "বড়" আমি এক ক্লাসে এটা শেষ করতে পাড়ব না। অনেকগুলো ক্লাস লাগবে হুম, আমি বলছি............, তোমরা শুনবে .................. আমি..................লক্ষ্য করেছি,তোমাদের মাঝে........... অনেকেইআছে, যারা জানে না,...............কী দিয়ে কি করতে হয় ।আমার পক্ষে.............. এখন সম্ভব হলে, আমি তোমাদের প্র্যাকটিকালি সব দেখাতাম ,কিন্তু, কলেজ কতৃপক্ষ ,
বিষয়টা মেনে নেবে না। তাই বলে............ হতাশ হবে না, আমি............ তোমাদের কে হাতে কলমে সব
শিখিয়ে দো বো । [স্যারের চোখ টিপ]
লক্ষ্য কর, ............সৃষ্টির............. আদিলগ্নে, .........নরনারী দিগম্বর হয়ে ঘুরে বেড়াতো।তখন তাদের.................. লজ্জা-শরমের বালাই ছিল না। যে যার ইচ্ছে মতন, কাম-কাজ করত।(আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেখিয়ে )কেও,............ এটা নিয়ে মজে থাকত, কেও,............. ওটা নিয়ে নারাচারা করত আবার কেওবা,...........এটা ওটা সেটা , সবগুল একসাথে নিয়ে খেলা করত। কিন্তু ............তখন তাদের
মাঝে এইডস রোগ ছিল না। কারণ ,.............. ওঁরা জানতো ,কী দিয়ে কী করতে হয় । "
জনৈক কিউরিয়াস মাইন্ডঃ "আচ্ছা স্যার, আমার একটা প্রশ্ন ছিল। সমকামীদের মাঝে নাকি এই রোগ
বেশী হয়। কথাটাকি সত্য ? "
স্যারঃ " তুমি............., খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা বলেছ।হুম,............. আমি বুঝতে পারছি, তুমি কী চাও
ক্যাপ্টেন,................. ওর নাম্বারটা নাও তো, হুম।আর তুমি .............,তুমি রাতে আমাকে কল দেবে,
আমি সব শিখিয়ে দো বো "
পুরো ক্লাস তখন হাসির চোটে তুলকালাম । এমন সময় ছুটির ঘণ্টা। (>...
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





