ওস্তাদের মাইর শেষ রাইতে-২
আছিল আন্টি এক বিচিত্র গঠন,
দেহ দিছেন বিধি তারে দেয়নি সাথে মন...।
ডায়বেটিসে নুয়ে পড়া উত্তরার সেই শেহেলী আন্টি। যাকে দেখলে স্বয়ং ডায়বেটিস ই ভয় পায়। মোঘল বাদশাদের রাণীদের মত তার খাওয়ার স্টাইল। হাটতেন হাতির মত। তো সেই আন্টির ডাবল সাইলেন্সারের এক ধুমসা(ধুমসীর পুং লিংগ আর কি) কে পড়াতাম। তো সেই আন্টি আমার পড়ানোয়, আচরণে বিরাট খুশি। আমারও দিনকাল নাস্তা পানি খেয়ে ভালই যাচ্ছিল। হঠাত ভাগ্যাকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা। সে আমাকে একদিন বলা কওয়া ছাড়াই হঠাত ছাটাই করে দিলেন। কারন হল ছেলেকে কোচিং এ দিবেন। আগামী মাসের পাচ তারিখ এসে বেতন নিয়ে যেতে বললেন। আমি পরের মাসের পাচ তারিখে গেলাম।এবার ডেট পরিবর্তন। বিশ তারিখ। বিশ ও চলে গেল। এবার পরের মাস। পরের মাসে গিয়ে দেখি আরেক শিক্ষক। বুঝলাম, কোচিং একটা উছিলা মাত্র। ঐদিন আমাকে বলল যে ওটা টিচার না, ছাত্রের কাজিন। এমনি দেখাচ্ছে। তবে নতুন মাস্টারের মুখের হাসিই বলে দিল সব। সব বুঝতে পেরে সিদ্ধান্ত নিলাম, আইন নিজের হাতেই তুলে নিতে হবে।আন্টির ছোট ভাই আমেরিকা থেকে একটা দামি টেবিল ঘড়ি পাঠিয়েছিল। ওটা নিয়ে আন্টি প্রায়ই গল্প করতো। ব্যাস, ওটা পকেটে ঢুকিয়ে হাটা দিলাম আরেক ডেট নিয়ে। এবারও আমি ওস্তাদ। শেষ রাইতের মাইরটা দেয়ার জন্য আন্টিকে কল দিলাম, আন্টি, আপনি যে আমাকে সেলারি দিবেন না এটা আপনিও জানেন, আমিও জানি। তাই কি আর করার, আপনার ভাইয়ের দেয়া ঘড়িটা আসার সময় পকেটস্থ করেছি। দেখলেন তো, ওস্তাদের মাইর শেষ রাইতে। আন্টি তখন মুচকি হেসে বললেন, রাত তো এত তাড়াতাড়ি ফুরালে হবেনা বাবা, ঘড়িটা আমার ভাই আমাকে দিয়েছে। ভা্ইয়ের একটা দোকান আছে গুলিস্তার এ। ঘড়িটা ঐখানকার। আমেরিকার ব্যাপারটা হল মহিলাদের বাড়িয়ে বলা স্বভাবের একটা অংশ। তবে ওটার দাম ষাট টাকা হলেও ভাল এলার্ম দেয়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



