প্রেয়সীর মতো খনখনে জোস্নাকে রেখেও
মরে যেতে হয় জীবনানন্দকে,
মরে যেতে হয় আকাশের পরে আকাশের সন্ধানে।
একটা তুলতুলে শিশুর স্বর্গীয় ঘ্রাণ ফেলেও
মরে যেতে হয়
পিতা নামক অসহায় প্রাণীটির।
মরে যেতে হয়
থকথকে পান্তার থালায়
জলের আয়না রেখে।
একটা শৈশবের জগদ্দল পাথর,
একটা যৌবনের লকলকে আগুন
আর একটা বার্ধক্যের কিলবিলে নষ্টালজিয়া রেখে
মরে যেতে হয়
মানুষের।
মানব জন্ম মানিনা,
আমি মানিনা এ বিষন্ন আকাশের মত
একখন্ড প্রবঞ্চনাকে।
হৃদয়ের তরবারীটা শান দেই প্রতিরাতে
অবিবেচক ঈশ্বরকে বধ করবো বলে।
আমি শুন্যে হাক ছাড়ি
ছেদ করি হাওয়ায়
আমার হৃদয়ের তরবারী।
কোথায় ঈশ্বর,
কোথায় সেই প্রপঞ্চক কূলপতি।
আমি তাকে একটিবার
আমার চোখের জল দেখিয়ে বলতে চাই,
এই টলমলো জীবনের
কি করে মৃত্যু ঘটান আপনি!