somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

থাইল্যান্ড ভ্রমণ (শেষ পর্ব)

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সকাল ১১:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাসে করে দুপুর ১.০০ টায় পাতায়া থেকে রওনা দিই এবং বিকাল ৩.০০ টায় ব্যাংকক এসে পৌছায়। প্রথমেই আমরা বাসষ্টান্ডে যেয়ে হারজাই যাওয়ার টিকিট সংগ্রহ করি। বাস ছাড়বে রাত ৭.০০ টায়। বলে রাখা ভাল আমাদের যে বড়ভাই এসেছেন তিনি বিবাহিত। তাই সময় পেলেই তিনি সপিং করতে হাওয়া হয়ে যান। কিছু সময় যখন হাতে আছে তাই তিনি বীরদর্পে সপিং করতে চলে গেলেন। আমরা আর কি করবো, সিদ্ধান্ত নিলাম আরো কিছুক্ষণ ব্যাংকক শহর ঘুরে দেখার। তাই ট্যাক্সি নিয়ে চললাম ঘুরতে।

ব্যাংকক শহরে বেশ কয়েকটি ব্রীজ আছে। তার একটা দেখতে গেলাম। ব্রীজটা দেখে খুব ভাল লাগল। শহরের মাঝে নদী, তার উপর ব্রীজ। উপর দিয়ে বাস, কার ইত্যাদি যাতায়াত করছে আর নীচে দিয়ে লঞ্চ, ষ্টীমার যাচ্ছে। ব্রীজ দিয়ে নীচে নেমে যাওয়ার রাস্তা আছে এবং নীচে খুব সুন্দর পার্ক তৈরী করা হয়েছে। অপূর্ব লাগছিল দেখতে। সময়ের অভাবে আমরা পার্কে ঢুকতে না পারলেও উপর থেকেই অনেক ছবি তুলেছি। পার্কের পাশে খোলা জায়গায় দেখলাম অনেকে ব্যায়াম করছে, ছোট ছেলে-মেয়েরা বিভিন্ন রকম খেলাধুলা করছে। অনেকে সাইকেল চালাচ্ছে, কেউবা স্কেটিং করছে, মোটকথা যার যা খুশি সে তাই করছে।

সেখান থেকে আমরা ফিরে আসার সময় পড়ি আরেক বিপদে। ট্যাক্সি ড্রাইভার তো ইংরেজি জানে না, আমরাও বাসষ্টান্ডে যাওয়ার রাস্তা ঠিকমত বুঝাতে পাছি না। শেষ পর্যস্ত এক থাই ড্রাইভারকে কি জানি বলল, ড্রাইভারও বলল হ্যা বুঝেছি। তো সে আমাদের নিয়ে রওনা দিল। একে তো প্রচুর জ্যাম তারওপর ড্রাইভার আমাদের শহরের অন্যদিকে নিয়ে গেল। আমরা গেলাম ক্ষেপে, যা-তা বলা আরম্ভ করলাম। কারণ আর মাত্র আধা ঘন্টা আছে বাস ছাড়ার আর টিকিট রয়েছে আমাদের কাছে। সেও বুঝাতে লাগল, এর মধ্যেই সে পৌছে দেবে। যদিও কেউ কারো কথা বুঝতে পারছিলাম না।

শেষ পর্যন্ত সেই ট্যাক্সি ছেড়ে দিয়ে আমরা অন্য ট্যাক্সি নিলাম এক থাইয়ের সাহায্যে। সে ড্রাইভারকে বুঝায়ে দিল। ড্রাইভার কি বুঝল কে জানে। কিছুদূর যেয়ে পথ ভুল করায় আমরা কিছু বলতেই বলে সে যাবে না। গাড়ী মিস করার চিন্তায় মেজাজটা তখন সপ্তমে। কিছুক্ষণ গালাগালি দিয়ে অনেক কষ্ট করে অন্য একটা ট্যাক্সি নিয়ে বাস ছাড়ার ঠিক ১ মিনিট আগে এসে পৌছুলাম। বাস ছেড়ে দিলে আমরা ছবি দেখতে দেখতে আর ঘুমাতে ঘুমাতে সকালে হারজাই এসে পৌছায়।

হারজাই থেকে আমাদের বাস ছাড়লো ১০.৩০ টায় এবং আমরা কুয়ালালামপুর এসে পৌছি রাত ৭.০০ টায়। অবশেষে দীর্ঘ, ক্লান্তিকর ও আনন্দময় ভ্রমণ শেষে আমরা ৮.০০ টায় বাসায় এসে পৌছায়। যদিও অধিকাংশ সময় বাসের ভিতরে কেটেছে, তারপরও থাইল্যান্ড সফরটা আমরা খুব এনজয় করেছি।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সকাল ১১:৫০
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×