১৯৭৭ সালে এক ব্যর্থ অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়েছিল। অনেকেরই হয়তো মনে আছে ৭৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জাপান এয়ারলাইনস এর একটি বিমান হাইজ্যাক করে ঢাকায় নিয়ে এসেছিল রেড আর্মি নামের একটি সশস্ত্র গ্রুপ। এই সময় বিমানবন্দরে ব্যস্ত ছিল সবাই এই ঘটনা নিয়ে। আর এর মধ্যেই ঘটে এক অভ্যুত্থানের ঘটনা। ১ অক্টোবর রাত থেকে শুরু হয়েছিল। বিমান বাহিনীর সার্জেন্ট আফিসারকে এই অভ্যুত্থানের মূল লোক বলা জানা যায়। যদিও সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কেউ কেউ এর সাথে ছিলেন। প্রমান্য চিত্রে একজন বললেন যে মে.জে, মীর শওকত তাদের সাথে থাকবেন বলে তারা জানতেন। এই ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর ঠিক কতজনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল তার কোনো হিসেব নেই। বলা হয় সংখ্যাটি কমপে ১১শ থেকে ১৪শ পর্যন্ত হবে। মাত্র দুই দিনের বিচারে এতো লোকের ফাঁসি হয়েছিল। বিচারের নামে হয়েছিল বড় ধরণের প্রহসন।
পুরো বিষয়টি খুব ভালো ভাবে বোঝা যায় প্রমান্য চিত্রটিতে। শুরুতে একজনের দীর্ঘ বয়ান। তিনি জানান পুরো ঘটনাটি। এতোটা নৃশংস আচরণ করেছিল সেনাবাহিনীর সদস্যরা যা বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে। জড়িত ছিল কিনা সে প্রমান কেউ নেইনি। যারা যারা কাছাকাছি ছিল সকলকেই মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছে। এমনকি পিটিয়ে মারার ঘটনাও আছে বলে একজন জানালেন। এদের দেওয়াও হয়েছে গণ কবর। নানা ধরণের মানুষের বর্ননায় পুরো বিষয়টি চলে আসে। একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর যিনি একটি ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি জানান যে, প্রেসিডেন্ট জিয়া তাদের ডেকে বলে দিয়েছিল, শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে সবাইকে জবাই করো। সেটাই করা হয়েছিল।
তাইতো বলি খারাপ ভবিষ্যতে পঁচে যাবে এটা অনুমান করতে পন্ডিত হওয়ার দরকার নাই। আচ্ছা একটা প্রশ্ন করি ? বাংলাদেশ সেনাবাহীনি যদি কাল থেকে চায় অপেক্ষাকৃত লো গ্রেডের ছেলেদের অফিসার হিসাবে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দিতে হবে। তাহলে আইএসএসবির জন্য কাজটা কি কঠিন হবে ? মোটেই না। তাই না ? তবে দু-একটা ভালো মিস করে অবশ্যই ঢুকে যেতে পারে।
ঠিক একই ভাবে পাকিস্তান তৈরীর সাথে সাথেই পশ্চিম পাকিস্তানীরা অন্য সব কিছুর মত এদেশের ভালো একটা সেনাবাহিনী গড়ে উঠুক সেটা স্বাভাবিক ভাবেই চায়নি। সেই চাওয়াটা সাতচল্লিশে শুরু হয়ে সত্তুরে সবচেয়ে প্রকট হবে তাউ সাধারন হিসাব। তো সে সময় পাকিস্তানিদে কি রকম ছেলেপেলে অফিসার হিসাবে পছন্দ হতো ? (উল্লেখ্য একই বিষয় পাওয়া যাবে সিভিল প্রশাসনে মানে অধিকাংশ সিএসপি অফিসারদের ক্ষেত্রে)
১. পরিবারে জামাত মুসলিমলীগ থাকলে স্কোর ভালো।
২. বাঙালী চেতনার চেয়ে ইসলামের সমার্থক বিবেচনায় পাকিস্তান চেতনার প্রকট উপস্থিতী।
৩. সহজেই মোটিভেট করার মত অপেক্ষাকৃত নিচু নৈতিকতার ছেলেপেলে।
মূলত এই লজিকেই গত চল্লিশ বছরের বাংলার চরিত্রের সঠিক ব্যাখ্যা প্রকাশ পায়। আমাদের যুদ্ধে মাত্র কয়েক হাজার সেনা কর্মকর্তা অংশ নিয়ে ছিল বাকি লাখ লাখ ছিল সাধারন মানুষ অথচ যুদ্ধের শুরুতেই জিয়ার ঘোষনা থেকে আজ পর্যন্ত এরা যুদ্ধ জয়ি দেশটাকে গনিমতের মাল হিসাবে নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারার জন্য বারবার বের হয়ে এসেছে। মুজিব সহ হাজার হাজার মানুষ হত্যা করেছে। (বিষয়টি সিভিল প্রশাসনের নতুন প্রজন্মের দেশী অফিসারদের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেলেও নতুন প্রজন্মের সেনাকর্মকর্তাদের মাঝে আজও হয়নি। জাতি তাদের পথচেয়ে আছে। )
আর জিয়াই ছিল সেনাবাহীনির এই চরিত্রের মহানখল নায়ক। একাজ তিনি শুরু করেন এই প্রথম ঘোষনাটির মাধ্যমে। এই ঘোষনায় তিনি হঠাৎ করে উড়ে এসে জুরে বসে নিজেকে রাষ্ট্রপধান পরিচয় দেন।(পরে ঠিক করলেও শয়তানির বীজটি সচেতন ভাবে বপন করে যান)
জিয়ার প্রথম থেকেই মেলইনটেনশন মানে খারাপ উদ্দেশ্যছিল। কারন জিয়া কোন ভাবেই এই ঘোষনা দিতে পারে না। আসলে ছোট খাটো ঘটনা থেকে শুরু যে কোন কেওজে-এই দেখা যায় কিছু লোক সবচেয়ে মুল্যবান সম্পদটি লুট করার ধান্দায় থাকেন। জিয়া ছিলেন সেরকমই একজন।
তাই বলবো গতকাল জনৈক টাউট ব্যাক্তি যে চিৎকার করিয়া বলিলেন জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক এটা যারা না মানে তারা যুদ্ধাপরাধী। ভালোই কইছেন, আমিও যুদ্ধাপরাধী ? তবে আম জনতার একজন নগন্য আম হিসাবে আামি বলবো রাজাকারের বিছানা থেকে উঠে দেখেন সকাল হয়েগেছে।বাঁচার জন্য রাজাকারদের বিছানা গরম না করে দেখেন দেশ স্বাধীন হইয়া গেছে।
তাই আমরা বলি যে বলে জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক সে সোজা বাংলায় ফোরটুয়ান্টি মানে ৪২০
এই এধরনের কিছু অফিসার এই ভিডিওতে দেখেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




