somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সেরা মার্শাল আর্ট: প্রসঙ্গ মার্শাল আর্টের ইতিহাস

১৩ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মার্শাল আর্টের প্রতি একটা চোরাগোপ্তা প্রেমের বিষয়ে আমরা সবাই যদিও একই রকম, কিন্তু ঠিক এখানেই হোঁচট খাই সেই শুরু থেকে।

রাস্তাঘাটে চলতি ফিরতি পথে ঠিক কোন মার্শাল আর্টটা আমাকে পুরোপুরি জিতিয়ে দিতে পারে?

হোক না, সিএনজি দিয়ে যাচ্ছি নির্জন কোথাও, বা রাস্তায় জনা দশেক ছিনতাইকারী ধরল! অথবা রীতিমত আমার সাথে কারো শত্রুতা চলছে। অথবা, আপনি ব্লগের কোন মহান বিবেক। এই বিবেককে...
'ছাগু' মওকামত পেয়ে গেল মগবাজারে...
বা 'ভাদা' বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে,
এবং একইভাবে 'আস্তিক' / 'ধর্মগাধা' / 'কমুনিস্ট'/ 'ছাগীয়তাবাদী' বা 'নাস্তিক' যথাক্রমে , বায়তুল মুকাররামের গেইট, চরমোনাই পীর সাহেবের মাহফিল, আজিজ মার্কেট, মতিঝিলের আশপাশ, বইমেলা, অথবা এমনকি সেন্টমার্টিন যাবার পথে জামাতী তরী কেয়ারী সিন্দাবাদে!

তখন সম্মিলিত পাগলাটে শত্রুর সামনে ঠিক কোন মার্শাল আর্টটা জানা থাকলে কতটুকু জুত করতে পারব, এ ভাবনা কি আমাদের মনে নেই?

আছে। বিলক্ষণ আছে। তাইতো এই মার্শাল আর্টের রাঙ্কিঙের আয়োজন!

এ পর্বে একটা চমৎকার অফটপিকে হাঁচড়াপাঁচড়ি করি... এ ছাড়া যে হয় না!



শাওলিন টেম্পল ও বোধিধর্মা



শাওলিন মঠের কাহিনী রীতিমত রোমাঞ্চকর।
বিংশতিতম বুদ্ধের (মহামতি বুদ্ধের পর প্রধানকেও বুদ্ধ বলা হত সে আমলে) পরে আসেন আরেকজন। নাম তার বোধিধর্মা। তিনি কালক্রমে প্রধান হয়ে ওঠেন চৈনিক বৌদ্ধধর্মে। কিন্তু এই ভিক্ষুদের তখন আরো একটা তীব্র অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থার ভিতর দিয়ে যেতে হত। তাঁরা সর্ব অহিংসার আকর। তাতে কী, পৃথিবী তো অহিংস নয়। তাঁরা নিরস্ত্র, আর পৃথিবীর অস্ত্রপাতি বেড়েই চলেছে। বোধিধর্মা দিনের পর দিনের পর দিন ভেবে ঠিক করলেন, এম্নিতেও শরীরচর্চা প্রয়োজন। বৌদ্ধধর্মে ততদিনে শারীরিক সুস্থতার প্রতি একটু বেশিই নজর দেয়া হচ্ছে। সেইসাথে প্রয়োজন নিজেকে রক্ষা করা।



ব্যস, চ্যান বুদ্ধিস্ট বা ধ্যানী নামে পরিচিত বৌদ্ধ ঘরানায় যুক্ত হল খালিহাতে আত্মরক্ষার কৌশল। কারা-তে ও কুংফু নামে যা আরো অনেকদিন পর পরিচিত পাবে, পাবে প্রতিষ্ঠা সারা পৃথিবীতে। এমনকি শাওলিন মঠের ছাত্ররা তো রীতিমত বুদ্ধের কাছে আরাধনা না করে আরাধনা করে বোধিধর্মার কাছে।



আর তাই শাওলিনের দেয়ালে দেয়ালে বোধিধর্মার ছবি। তাঁর মূর্তি। কে এই বোধিধর্মা, যিনি অতি প্রাচীণ কালে পৃথিবীর সবচে জনপ্রিয় ধারার মার্শাল আর্টের সক্রিয় জন্মদাতা ছিলেন? তিনি তো শুধু কারাতে আর কুংফুর জনক নন। সিলাত, উইং চান, আইকিদো, জুদো, সিস্টেমা, জিউজিতসু, নিনজুতসু, এমসি ম্যাপ, ক্রাভ মাগা বা হালের অন্য নব্বই শতাংশ মার্শাল আর্টের জন্ম হয়েছে এই এক বোধিধর্মার মূল মার্শাল আর্ট- কুংফু ও কারাতে থেকে!



বোধিধর্মা শুধু শাওলিন টেম্পলে পূজিত এক মহামানব নন। তিনি শুধু পৃথিবীর সবচে জনপ্রিয় দুই ধারা কুংফু ও কারাতের জনক নন, তিনি তাই মূলধারার সকল মার্শাল আর্টেরই জনক। বোধিধর্মা এক নতুন যুগের প্রবর্তক- অনাক্রমণ রীতির কারণে ভবিষ্যত পৃথিবীতে যা হতে চলেছে সবচে জনপ্রিয় পদ্ধতি। আত্মরক্ষা। পরের পর্বে চলে আসবে কারাতের কথা। আর তাঁকে স্মরণ না করে তো হয় না। বোধিধর্মা চীনে গিয়েছিলেন সুদূর বুদ্ধভূমি থেকে। তিনি কথা বলতেন বুদ্ধভাষায়। তিনি এই বাংলার মানুষ।

বংশপরম্পরা
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৩
৩৩টি মন্তব্য ২৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×