রাজাকার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী
একাত্তরের ঘাতক দালাল ও যুদ্ধপরাধীদের সম্পর্কে জাতীয় গণতদন্ত কমিশনের দ্বিতীয় রিপোর্ট:
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, পিতা-মৃত ফজলুল কাদের চৌধুরী, সাং- গহিরা, থানা- রাউজান, জেলা- চট্টগ্রাম। তিনি পঞ্চম জাতীয় সংসদের সাবেক এমপি এরশাদ সরকারের আমলে মন্ত্রী ছিলেন। বর্তমানে তিনি ন্যাশনাল ডেমোক্রোটিক পার্টির (এনডিপি) নেতা।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ব্যাপক কার্যক্রম পরিচলনা করেন এবং পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চভাবে সহযোগিতা করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর এই অপতৎপরতার ক্ষেত্র ছিল চট্টগ্রাম জেলা। চট্টগ্রাম শহরের গুডস্ হিলস্থ নিজ বাসভবনে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী তাঁর পিতা ফজলুল কাদের চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে ও ভাই গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সহযোগিতায় আরো অনেক স্বাধীনতাবিরোধী লোকজনকে সংগর্ঠিত করে স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকান্ড পরিচালনা করেন।
১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারীর ‘দৈনিক বাংলা’ পত্রিকায় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী গংদের মুক্তিযুদ্ধকালীন কর্মকান্ড সম্পর্কে প্রকাশিত সম্পর্কে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ‘সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও তার পিতা ফজলুল কাদের চৌধুরীর ‘গুড সাহেবের হিলস্থ’ বাসায় মরহুম ডঃ সানাউল্লার এক ছেলে সহ চাটগাঁ- এর কয়েক’শ ছেলেকে ধরে এনে নির্মম অত্যাচার করত। ১৭ই জুলাই ১৯৭১- ছাত্র নেতা ফারুককে ধরে এনে পাক বাহিনীর সহায়তায় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী হত্যা করেন। ২৬ শে মার্চ থেকে আত্মসমর্পণের পূর্ব পর্যন্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাসায় পাক বাহিনীর এক প্লাটুন সৈন্য মোতায়েন থাকত। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, ফজলুল কাদের চৌধুরী সহ তাদের পরিবার প্রায় দেড়মণ সোনা সহ পালানোর সময় মুক্তিবাহিনীর কাছে গত ১৮ই ডিসেম্বর ’৭১ ধরা পড়েন।
চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত, সাখাওয়াত হোসেন মজনু লিখিত ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের শহর চট্টগ্রামের নির্যাতন কেন্দ্র ও বধ্যভূমি’ গ্রন্থে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বাঙালী দালালদের নির্যাতন কেন্দ্রগুলোর বর্ণনা দিতে গিয়ে ‘গুডস হিল’ সম্পর্কে লিখেছেন- ‘মুসলিম লীগের চরমপন্থীদের দ্বারা এ নির্যাতন কেন্দ্র পরিচালিত হতো। এ বাড়িটি ফজলুল কাদের চৌধুরীর বাড়ি। তিনি স্বাধীনতার সূচনাতে তেমন অপরাধের সাথে জড়িত হননি, কিন্তু মে মাস থেকে মুসলিম লীগের চরমপন্থীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পাকিস্তানী সৈন্যদের সহযোগিতা করতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে তার ‘গুডস হিল’ স্বাধীনতার স্বপক্ষের মানুষের নির্যাতন কেন্দ্রে পরিণত হয়। শোনা যায় এ কেন্দ্র পরিচালনার সাথে তার পুত্র সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। শহরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে স্বাধীনতার স্বপক্ষের মানুষজনকে এখানে ধরে এনে লটকিয়ে পেটানো হতো। উল্লেখযোগ্য যে, এ বাড়িতে প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা ওমর ফারুককে হত্যা করা হয়েছে। আল্-বদর বাহিনীর একটি বিশেষ গ্রুপ এ বাড়ির নির্যাতনের প্রত্যক্ষসহযোগী ছিলো।..........’
চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত মাহবুব-উল্-এর ‘বাঙ্গালীর মুক্তিযুদ্ধের ইতিবৃত্ত গ্রন্থের ৬৯ নম্বর পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে ‘নিজামুদ্দিন ১৮ই নবেম্বর চট্টগ্রাম জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে। সে বলেঃ..... আমি ধরা পড়ি ৫ই জুলাই। আমাকে ফজলুল কাদেরের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পিঠ মোড়া করে বেঁধে ফজলুল কাদেরের পুত্র সালাহুদ্দীন, অনুচর খোকা, খলিল ও ইউসুফ বড় লাঠি, বেত প্রভৃতি হাতে আমাকে পিটাতে থাকে। পাঁচ ঘন্টা মারের চোটে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। ৬ই জুলাই রাত্রি সাড়ে ১১টায় আমাকে স্টেডিয়ামে চালান করে দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত আমাকে কিছুই খেতে দেওয়া হয়নি, পানি পর্যন্ত না। পানি খেতে চাইলেই বলা হয়েছে : তুই শালা হিন্দু হয়ে গেছিস, তোকে পানিও দেওয়া হবে না। ১৩ই জুলাই আমাকে জেলেখানায় সোপর্দ করা হয়। এই সময়টা আমাকে পা উপরের দিকে মাথা নীচের দিকে করে লটকিয়ে মারা হতো। যখন নীচের নামানো হতো তখন সারা দিনে দু’খানা রুটি ও পানি দেওয়া হতো বলে, কিন্তু কথায় কথায় লাথি মারা হতো। বিপদে পড়ে আমি আলেমের ছেলে নামাজ শুরু করেছিলুম। কিন্তু নামাজের জন্য দাঁড়ালেই সৈন্যরা পেছন থেকে লাথি মারতো, বলতো : তুই শালা হিন্দু হয়ে গেছিস, তোর আবার কিসের নামাজ।’
একই গ্রন্থে ১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিলের একটি ঘটনা সম্পর্কে বলা হয়েছে- ‘এই তের এপ্রিলই কুন্ডেশ্বরী ভবনে অধ্যক্ষ নতুন চন্দ্র সিংহ নিহত হলেন। গহীরা হাই স্কুলে ছাদে কামান বসিয়ে মিলিটারী সকাল থেকে চারধারে গোলা বর্ষণ করতে থাকে। তার কোন কোনটি এসে কুন্ডেশ্বরী মন্দিরকে আকড়ে পড়ে রইলেন। তবে মিলিটারী আসতে পারে অনুমান করে উঠানে তদের অভ্যর্থনার জন্যে চেয়ার টেবিল সাজিয়ে রেখেছিলেন। মিলিটারী এলো ২ খানি জীপে, এক খানির ভেতর ফজলুল কাদের চৌধুরীর বড় ছেলে সালাউদ্দীনও রয়েছে। পেছনে চারখানি ট্যাঙ্ক কুন্ডেশ্বরীর রাস্তায় দাঁড়িয়ে। অধ্যক্ষ মিলিটারীকে অভ্যর্থনা জানালেন। তিনি তাদের বুঝিয়ে দিলেনঃ আমি এই কাজ করেছি, আরো এই কাজ কর্তে চাই। মিলিটারী সন্তুষ্ট হয়ে চলে গেল। কিন্তু সালাউদ্দীন তাদের ফিরিয়ে আনলেন। তার বাবা বলে দিয়েছেনঃ এই মালাউনকে আস্ত রাখলে চলবেনা। সেদিন বীরত্ব ছিল যাদের হাতে অস্ত্র ছিল তাদের নহে। বীরত্ব ছিল সম্পূর্ণ আত্মস্থ হয়ে দাঁড়ালেন। তারা তাঁকে তিনটি গুলি করে। একটি গুলি একটি চোখের নীচে বিদ্ধ হয়, একটি গুলি তাঁর হাতে লাগে, আর তৃতীয় গুলি তাঁর বক্ষভেদ করে যায়। তিনি মায়ের নাম করে মাটিতে পড়ে যান।...........তাঁর জন্য কেঁদেছে হিন্দু, কেঁদেছে মুসলমান। মুসলমান যখন কেঁদেছে সালাউদ্দীন প্রবোধ দিয়েছে: ‘মালাউন মলো, তোমরা শোক কচ্ছ কেন? ......... ১৩ই এপ্রিল, ১৯৭১ শুধু কুন্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের অধ্যক্ষ নূতন চন্দ্র সিংহের হত্যার জন্য স্মরনীয় নয়, অন্য দুইটি হত্যার জন্য স্মরণীয়। ফজলুল কাদের চৌধুরীর পুত্র সালাউদ্দীনের পরিচালনায় গুন্ডা বাহিনী সকাল সাড়ে দশটায় গহীরার বনেদী বিশ্বাস পরিবারে ঢুকে চিত্তরঞ্জন বিশ্বাসের পুত্র কলেজ ছাত্র ও ছাত্র কর্মী দয়াল হরি বিশ্বাসকে ধরে ফেলে এবং তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে।’ (পৃষ্ঠা ২৫৪-২৫৫)।
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী গংদের বিরুদ্ধে ২৫/৪/৯১ইং তারিখে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল-হারুন কর্তৃক একটি নির্বাচনী মামলা করা হয় নির্বাচন কমিশন বরাবর। এই মামলায় সাতজন বিবাদীর মধ্যে এক নম্বরেই রয়েছেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। মামলার মুক্তিযুদ্ধের সময় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর কুকীর্তির কথা উল্লেখ করে আব্দুল্লাহ আল-হারুন জানিয়েছেন, ‘১নং বিবাদী শক্তি প্রয়োগ, হিংস্রতা ও সস্ত্রাসে বিশ্বাসী। তিনি আইন কানুনের ধার ধারেন না। নির্বাচন আচরণ বিধিতে কোন কাছে তাহার কোন আস্তা ছিলনা। জনগণের ভোটেও তাহার কোন বিশ্বাস নাই। ১নং বিবাদী ১৯৭১ ইং সনে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তৎকালীন পাকিস্তানের পক্ষে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরুদ্ধে ন্যাক্কারজনক নারকীয় ভূমিকা পালন করিয়াছিলেন। তিনি বহু হত্যাযজ্ঞে ও লুঠতরাজের অংশগ্রহণ করিয়াছিলেন। বলিয়া বলিয়া প্রকাশ। .......... তাহার বিরুদ্ধে ১৯৭২ ইংরেজী সনে দালাল আইনে চট্টগ্রাম জেলার হাট হাজারী থানায় ১৩/৪/৭২ ইং তারিখে ১৭ নং মামলা দায়ের করা হয়। ............ দানবীয় নতুন চন্দ্র সিংহের নিষ্ঠুরতম হত্যাকান্ডের জন্য ১নং বিবাদীর বিরেুদ্ধে রাউজান থানায় ৪১ (১) ৭২ নং এবং ৪৩ (১) ৭২ নং মামলা দায়ের করা হয়। বাংলাদেশ অভ্যূদ্বয়ের পূর্বে আতœরক্ষার জন্য ১নং বিবাদী দেশ ত্যাগ করিয়া বিদেশে পালাইয়া যান। স্বভাবসিদ্ধ কায়দায় ও সুকৌশলে ১নং বিবাদী এরশাদের মন্ত্রী সভায়ও কিছু দিনের জন্য ঠাই করিয়া নিয়াছিলেন।’
নূতন চন্দ্র সিংহ হত্যা মামলা হয়েছি ১৯৭২ সালে। নূতন চন্দ্রের পুত্র সত্য রঞ্জন সিংহ সহ মোট ১২ জন স্বাক্ষী ছিলেন এই মামলার। মামলার এফ আই আর নং ইউ/এস/৩০২/১২০ (১৩)/২৯৮ বিপিসি। এই মামলা ১৯৭২ সালের ২৯ জানুয়ারী শুরু হয়। মামলার আসামীদের মধ্যে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী সহ পাঁচজন পলাতক ছিলেন। অন্যদিকে তার পিতা ফজলুল কাদের চৌধুরী গসহ পাঁজন ছিলেন। জেলহাজতে। এই মামলার চার্জশীটে সালাউদ্দিন কদের চৌধুরী সহ আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রামের একজন শহীদের সন্তান শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর গণতদন্ত কমিশনকে জানান, তাঁর পিতা শহীদ শেখ মুজাফফর আহমদ ও ভাই শহীদ শেখ আলগীরকে সালাউদ্দি কাদের চৌধুরী ও তার সহযোগীরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ১৯৭১ সালে ১৭ এপ্রিল হাটহাজারীর পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের কাছাকাছি সড়ক থেকে ধরে নিয়ে যায় হাটহাজারী ক্যাম্পে এবং পরে তাদের মেরে ফেলা হয়। স্বাধীনতার পর শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে একটি মামলা করেছিল সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরূ গংদের বিরুদ্ধে।
হারুন-অর-রশীদ খা, চট্টগ্রামে লিয়াজোঁ অফিসার ছিলেন। (১নং সেক্টরের অধিনায়ক মেজ অবঃ) রফিকুল ইসলাম তাঁকে এই দায়িত্ব প্রদান করেছিলেন।) তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি একটি পাবলিসিটি সেল গঠন করেন এবং ইনফরমারদে দ্বারা তথ্য সংগ্রহ করে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী তাঁর হত্যা, লুন্ঠন সহ বিভিন্ন কর্মতৎপরতা সম্পর্কে লিখিত প্রতিবেদন তৈরী করে তার কপি ১নং সেক্টরের অধিনায়ক মেজর রকিবুল ইসলাম ও রাজনৈতিক নেতাদের কাছে পাঠাতেন। সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি জেনেছিলেন যে, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, তাঁর পিতা ফজলুল কাদের চৌধুরী ও তাঁর সহযোগীরা চট্টগ্রামে তাদের গুডস হিলস্থ বাসভবনে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধের পক্ষের মানুষকে ধরে এনে নির্যাতন এবং হত্যা করেছেন। এমন কি মেয়েদেরও তারা ধরে এনে পাকিস্তানী সৈন্যদের হাতে তুলে দিয়েছেন তাদের মনোতুষ্টির জন্য তিনি বলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী স্বাধীনতার ঠিক আগে দেশ থেকে পালিয়ে যান। মুক্তিযোদ্ধরা তাঁকে মারার জন্য উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছিলেন। তবে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী পায়ে গুলি লেগেছিল।
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী দেশে ফিরে স্বাধীনতার চব্বিশ বছর পরও চট্টগ্রামে বিশেষ করে রাউজানে মানুষ হত্যা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনা করে চলেছেন। এর সমর্থন পাওয়া যাবে সরকারের গোয়েন্দা বিভাগের প্রতিবেদনে। বর্তমানে এনডিপি নেতা সালাউদ্দিণ কাদের চৌধুরী চট্টগ্রামে তিনটি মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী।
তথ্যসূত্র:
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবাযন ও একাত্তরের ঘাতদক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি কর্তৃক ৩৫-৩৬ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
প্রকাশকাল ২৬ মার্চ ১৯৯৫।
আলোচিত ব্লগ
ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...
ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।
মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন
হার জিত চ্যাপ্টার ৩০
তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন
জীবনাস্ত
ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন
যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে
প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন
জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?
আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন