যদি পৃথিবীর সব বিবেক এক সাথে করা যেত ?
যদি পৃথিবীর সব যুক্তিগুলো এক সাথে রাখা হত?
তবে জিজ্ঞেস করতাম ?!?
মানবতা কি শুধুই রংবেরং মকমল চাদরের ভিতর খেলা করে !
নাকি,
বেচে থাকার তাগিদে জীবনের সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করা
শিশুর পেন্টের পকেটের ভেতর দম বন্ধ হয়ে মরে ।
জানি,অনেক ছবি নিজের বিবেককে জাগিয়ে দেয় !
জানি অনেক ঘটনায় চোখের কোনে জলের কনা দৌড়াতে শুরু করে !
তবু আমরা বোবা এবং অন্ধ হয়ে থাকি, চোখের সামনে সব ঘটনাকে এড়িয়ে যায় !
কারন সবাই আজ নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত,
আবার বলি কিসের ভেদাভেদ আমরা সবাই তো মানুষ।
তাহলে এরা কারা,ওদের জীবন কেন রাস্তায় কিংবা পাড়ার অলিতে গলিতে লুঠোপুঠি খায় ।
ওদের কেন এক বেলা খাবার জোটে না ! কেন ওরা শীতের তীব্রতায় কষ্টের গুংগানিতে ছটফট করেও
এই বিবেকহীন মানুষকে বলে না আমাকে এক বেলা ভাত দাও কিংবা একটি শীতের কাপড় দাও ।
ওরা কেন রেললাইনের পরিত্যাক্ত খামরাতে জীবন যাপন করেও, ময়লার স্তুপ কিংবা ড্রেন থেকে কুড়িয়ে পাওয়া খাবার খেয়ে যে সুখের সুন্দর হাসি দেয় তা বড় লোকের ডাইনিংয়ের রসালো খাবার আর আয়েশী আরামখানার স্বার্থপর হাসিকে হার মানিয়ে দেয় ।
তবে কি ওরা মানুষ না আমরা ? কে ?
পৃথিবীর কোন ধর্মে কিংবা কিতাবে কি এরকম ভেদাভেদের কথা বলা আছে ?
তাহলে আজ কেন এতো বৈষম্য ? কেন এতো হাহাকার !?
কেন অবুঝ শিশুটি আজ অবাক চোখে থাকিয়ে পৃথিবীর বিবেকহীন মানুষকে প্রশ্ন ছুড়ে দেয় ?
কোথায় সমান অধিকার ?
কোথায় বিত্তশীল মানুষ ?
কোথায় ধর্মের যথার্থতা ?
কোথায় বিবেক ?
কোথায় মানবতার বই লিখা বিদ্যান আর জ্ঞানী মানুষেরা ?!?
মসজিদ,মন্দির,প্যাগোডা বা গির্জায়, এই অবহেলিত মানুষের পাশে দাড়ানোর কথা কেউ বলেনা ?
যার যার মত শুধু ধর্মের বাণী শুনিয়েই যায়।নিজের জয়গান গায়।
কিন্তু ওদের পাশে দাঁড়ানো কিংবা ওদের জন্য নিজ উদ্যেগে কিছু করার কথা কেউ বলে না ।
অথচ-----
আমাদের প্রিয় নবী(সাঃ) বলেছেন, ৪০ দিন মসজিদে নামাজ পড়ার চেয়ে গরিবের দুঃখ মোচনে ১ ঘন্টা ব্যয় করা উত্তম ।
লিখার শেষ হবে না,বলার শেষ হবে না,যুক্তিরও শেষ হবে না,
দিন শেষে দেখা যাবে সেই বিত্ত্যশীল নামের বিবেকহীন মানুষের কাছেই
একটু সাহায্যের জন্য হাত পেতে দাঁড়িয়ে আছে অসহায় এক মানুষ !
যার চিত্রটা অনেক লজ্জা ও অপমানজনক , তবু আমাদের বিবেক একটুও বদলায় না ।
এমন করুন চিত্র দেখেও আমাদের মনে মমতায় জন্মে না !
অথচ আমরা বুলি আওরায়, মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য !!
তারপরেও , সাহায্যর জন্য সেই মানুষটিকে মুখ ভেংচি কেটে তাড়িয়ে দিয়ে মজা নেই আমরা !
আর অসহায় সেই মানুষ, মন খারাপ করে মানবতাকে ধিক্কার দিয়ে যায় !
দিন শেষে ক্ষুধার্ত পেটের যন্ত্রনার তীব্রতায় মুখ ফোড়ে যখন ব্যদনার গোঙ্গানিও আসেনা ,
তখন রেললাইন ধরে অথবা পরিত্যাক্ত কোন ঘরের কোনে মুখ বুঝে জড়ো হয়ে পরে থাকা ।
আর কখন সেই ময়লাওয়ালার গাড়ি আসবে সেই অপেক্ষায় থাকা,
কিংবা গলির সরু পথ ধরে হেটে যায় অথবা পাশের ড্রেনে খাবার খুজে নেওয়া ।
তবুও যখন ঠিক পেটের ক্ষুধাটা মিঠেনা ।
তখন উপরওয়ালার কাছে করুন চোখে থাকিয়ে প্রশ্ন করে-------
হে আল্লাহ্ এই কি ছিল আমাদের নিয়তী ??
কেউ, কেউ শুনেনা আমাদের আকুতি !!
তাইতো আল্লাহ্ তোমার কাছেই বারবার চাই আশ্রয়,তোমার কাছেই জানাই বারবার মিনতী ।
তুমিতো সঠিক বিচারকারী,তুমিইতো সঠিক রক্ষাকারী ।।
হে আল্লাহ, আমাদের সবাইকে রক্ষা করুন, অসহায়দেরকে সাহায্য করুন ।।
হে আল্লাহ্ তুমি ছাড়া আর কোন মাবুদ নাই ।
তুমি ক্ষমাশীল, তুমি মহান দয়ালু ।।
https://www.facebook.com/shibly.afsary