ছেলেটি আজ রোদ চশমা পরেছে। আকাশে অনেক রোদ। গরম ও পরেছে অনেক।
সে দিকে ছেলেটির খেয়াল নেই।
সে অপেক্ষা করছে। এমন কেউ, যার জন্য সে অনন্তকাল অপেক্ষা করতে রাজি।
মেয়েটি দেখলো, ছেলেটি প্রখর রোদের মাঝে দারিয়ে।
- এখানে রোদের মাঝে দারিয়ে কার জন্য অপেক্ষা করছেন?
- চাঁদের।
- রোদের মাঝে দারিয়ে চাঁদের জন্য অপেক্ষা! পাগল নাকি আপনি?
- একটু একটু।
- কাল রাতে খুব সুন্দর চাঁদ উঠেছিল আকাশে। দেখেছেন?
- ওই আকাশে চাদ থাকলেও আমার আকাশটা শুন্য। আমার পৃথিবী এখনো জোছনার আলোর স্পর্শ পায় নি।
- অদ্ভুত কথা বলেন আপনি। তা এই রোদে যেই চাঁদের অপেক্ষা করছেন সে কোথায়?
- সে ধরা দেয় না। আমার আকাশের চাঁদ হলে তো তার গায়ে কলংক লেগে যেতে পারে। পাগলি বোঝে না, কলংক ছারা কি চাঁদ হয়!! তবে কেন এত কলংকের ভয়?
- কলংকের জালা আপনারা কি বুঝবেন? আমাবস্যা এলেই তো অন্য চাঁদ খুজবেন।
- বিশ্বাস যদি না থাকে মনে।
কিইবা লাভ হবে এসে আমার ভুবনে?
থাক না সে তার মত,
ভালোবাসাটা না হয় রইলো গোপনে।
আসি এখন, ভালো থাকবেন।
ছেলেটির চলে যাওয়ার পথে তাকিয়ে থেকে মেয়েটি মিটি মিটি হাসছে। আজ সে ছেলেটিকে রাগাতে পেরেছে। ওহ! কি শান্তি । বোকাটা রেগেগেলেই পালায়। আচ্ছা রাগলে কি ওর চোখ লাল হয়? দেখা হয় নি কারনটা ঐ রোদ চশমা। যদিও ছেলেটির চোখের দিকে তাকাতে মেয়েটি কেনযেন অনেক লজ্জা পায়।