কিছুক্ষন আগে "ন্যাশেনাল জিওগ্রাফি" চ্যানেল একটি অনুষ্ঠান দেখছিলাম। অনুষ্ঠানটির নাম "ট্যাবু"। এই অনুষ্ঠানটিতে বিভিন্ন দেশের মানুষের আচার, বিচার, তাদের ধর্মিয় রীতিনীতি প্রভৃতি বিষয়ে মানুষ কে অবগত করা হয়। আজ অনুষ্ঠানটিতে "যৌনকর্মী" দের সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের "যৌনকর্মী"দের এবং উর্মি বলে একজন "যৌনকর্মী" কথা বলা হয়েছে।উর্মি ছাড়াও আরো অনেক যৌনকর্মীদের কথা,তাদের জীবন চর্চা,প্রভৃতি নানা বিষয়ে জানানো হয়েছে। সারা পৃথিবীতে "বেশ্যাবৃত্তি" এখন পেশা।১৮ বছর বয়সী নারীরা স্বইচ্ছায় এই পেশা গ্রহন করতে পারে। কিন্তু বাস্তবেকি ব্যাপার টা এতই সহজ? না মোটেই এটি সহজ নয়। অনেক গরীব কম বয়সী মেয়েরা স্বল্প সময়ে বেশি পয়সা রোজগারের আশায়, অনেকে আবার পরিবারের প্রয়োজন মেটাতে, আবার অনেকে শুধুমাত্র নিরুপায় হয়ে এই পেশায় যুক্ত হয়। কিন্তু এটা ঠিক তারা কোনদিনও স্বইচ্ছায় ""যৌনকর্মী" তকমা নিজেদের গায়ে লাগাতে চায়না। সেটিও তাদের সমাজের কিছু বুদ্ধিজীবীদের জন্য যারা একদিন সেই মেয়েটিকে ধর্ষন করেছিল তারা তার সারা শরীরে নোওড়া মেয়েছেলে তকমা আঠাদিয়ে সেটে দেয়। আজও পৃথিবীতে সামাজিক লোকলজ্জার ভয়ে কোন ধর্ষিতা নারীর নাম সম্মুখে আনা হয় না, তার আসল নাম পরিবর্তন করে অন্য নাম দিয়ে, মুখে কাপড় ঢাকা দিয়ে সমাজের সামনে আনা হয়।আমরা সবাই জানি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রছুর বাঙ্গালী নারী খান সেনাদের হাতে ধর্ষিত হয়েছিলেন, সেই সব দ্যসু্ দের লালোশার থেকে রেহাই মেলেনি ৮,১০বছরের বালিকাদের।তারা চলে যায় তাদের দেশে কিন্তু এদেশের নারীদের শরীরে রেখে যায় তাদের যৌন উদ্দীপনার বীজ। বাংলাদেশ আজ স্বাধীন, কিন্তু মেয়েরা আজও সেই "খান"সেনাদের হাত থেকে রেহাই পাইনি। তাইতো আজও ১০,১২ বছরের মেয়েরা গনধর্ষনের শিকার হয়।যে সব গরীব মেয়েদের সামান্য ভাতের লোভ দেখিয়ে কিছু শয়তান পাষন্ড তাদের শরীরটাকে ছিঁড়ে খুঁড়ে নোংড়া নর্দমায় ছুড়েদেয়। এই সমাজে চিরকাল মেয়েদের পুরুষের আনন্দদায়ক বস্তু ছাড়া অন্য কিছু মনে করা হয়না। তাইত আজও ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীর এম এম এস কে ইন্টারনেটে ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে তার ইন্টারভিউ আদেয়ের চেষ্টা করা হয়। যার ফলস্বরুপ একটি সদ্য ফোঁটা কুঁড়ি তার পরিপূর্নতা পাবার আগেই ডাল থেকে খোসে পরে............................
অনুষ্ঠানে শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের আরো অনেক দেশের যৌনকর্মী ও তাদের দুর্দশার কথা তুলে ধরা হয়েছে। পরিশেষে একটাই কথা তুচ্ছ, অসপৃস্য, নিকৃষ্ট খারাপ মেয়েগুলোর কথা ভাবুন যাদের পেশা হচ্ছে পয়সার বিনীময়ে নিজের শরীরকে অন্যের হাতে তুলে দিয়ে তার কাছ থেকে কষ্ট পাওয়া......এই কষ্ট কি একটি বাচ্চা মেয়ের উপর না করলেই নয়........তাকে কি স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে উঠতে দিলে আপনার কি অনেক দেরি হয়ে যাবে ??????????????????????????????????????
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুন, ২০১২ রাত ৩:২৯