somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আনমন...(১১)

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ক্লাশটা শেষ হতেই ঘড়ি দেখলাম। ১২ টা বাজে প্রায়। বাসায় যেতে হবে। সাথীকে নিয়ে যাব আইস্ক্রিম পার্লারে। বেচারির বায়নাটা পূরণ করা উচিৎ! গেইটের সামনে হঠাৎ তানিয়ার সাথে দেখা হলো।
হাই! হাসিমুখে তার দিকে এগিয়ে গেলাম।
তার চোখেও খুশির ঝিলিক দেখা গেল। এমন সময় দেখা গেল রাহাকে। উপর থেকে স্পষ্ট দেখতে পেলাম, পাশ দিয়ে যেতে যেতে ইচ্ছে করে ধাক্কা মারল তানিয়াকে, আর সে তাল সামলাতে না পেরে মেঝেতে পরে গেল। তার খাতা বই আর নোট আসেপাশে ছড়িয়ে গেল।
দৌড়ে নিচে নেমে আসলাম! রাগে শরীর কাপছে আমার!
দেখো, এসব নিচুঘরের মেয়েকে নিচেই মানায়, বুঝলে! বাবাতো একজন সামান্য নিউজপেপারে চাকরী করে, আর তার মেয়ে হয়ে তুই চাদ ছুতে চাস নাকি রে! ঘৃণা ফুটে উঠল তার চেহাড়ায়। দেখ, তোর জায়গা দেখ… বলতে বলতে আমার চেহারা দেখে থমকে দাড়ালো। ভয় পেয়ে গেল সে। আর দাড়ালো না সেখানে।
কোথায় যাচ্ছিস তুই হারাম… রাগে কাপছি আমি। পা বাড়ালাম রাহাকে ধরবো বলে। কিন্তু বাধা পেলাম হঠাৎ। দেখি তানিয়া আমার হাত ধরে রেখেছে।
সাগর! দূর্বল কণ্ঠে বলল সে। যেতে দাও তাকে!
হাত ধরে টেনে তুললাম তাকে। এখনো জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে সে। চোখ দুটো ছ্বলছ্বল করছে।
তুমি ঠিক আছো তো! তার হাতে মৃদু চাপ দিলাম।
মাথা ঝাকালো সে।
উবু হয়ে আশেপাশে থেকে তার খাতাপত্র তুলে দিলাম তার হাতে। তুমি থাকো, আমি দেখছি…
কোথায় যাচ্ছো?
রাহাকে খুজতে…
খবরদার কিছু করবে না তুমি! দোহাই লাগে! করুণ স্বরে বলে উঠল তানিয়া।
কেনো? গলার স্বর চড়ল আমার। দেখলে না সে কি বলল! আমার উপরের রাগ তোমার উপর ঝারছে! তাকে আজ এমন শিক্ষা দিব…
সাগর সে ঠিকই তো বলেছে… ফিসফিস করে বলে উঠল… পাশে ফিরে তাকালাম, কি বললে?
ঠিকই তো! আমি… আমি তো এমন বড় ঘরের… তুমি বোঝো না? সে তোমাকে চায়…
জাহান্নামে যাক… তার হাতটা আলতো করে ছাড়িয়ে নিলাম।
তুমি এমন কিছু করবে না! গলার স্বর চড়ল তার…
কেন? আমার স্বর আরো বেড়ে গেল! কেন তার কিছু করবো না? কেন?
কারণ… ফিসফিসিয়ে বললে উঠল তানিয়া… সে তোমার ক্লাশমেট হতে পারে… কিন্তু আমার অনেক সিনিয়ার আপু… আমি তাকে কখনো… কিছু হতে দিতে পারি না… আমার জন্যে তার কিছু!
তাই না? চিৎকার দিয়ে উঠলাম। তাহলে থাকো তোমরা এমন! আমি আর বলার কে? সে যা খুশি বলে যাক তোমাকে… তাতে আমার কি তাই না? ব্যাগটা কাধে নিয়ে গেইট দিয়ে বের হয়ে গেলাম আমি… পেছনে এক দৃষ্টিতে তানিয়া তাকিয়ে রইল। তার চোখের জল যে গাল বেয়ে পড়ছে… কেউ খেয়াল করল না বোধহয়…

তখনি ঘটল ঘটনাটা। রাগের মাথায় কোন হুশ ছিল না, রাস্তা না দেখেই মাঝে চলে গেলাম। আর একটা বাইক এসে পড়ল আমার উপর!
যদিও বাইকের গতি অনেক কম ছিল তবুও ছিটকে পরলাম রাস্তার মাঝে। হাত উচু করে মাথা ঠেকিয়েছিলাম বলে হাত ছাড়া অন্য কোন যায়গায় তেমন আঘাত লাগল না।
কিছুক্ষণের জন্যে ঘোরের মাঝে চলে গেলাম… চোখ দিয়ে ধোয়াশা দেখছি! চোখ পিটপিট করে দেখার চেষ্টা করছি, কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না… শুধু বা হাতটায় প্রচন্ড ব্যাথা টের পাচ্ছি।
দূর থেকে একটা চিৎকার শুনতে পারছি… আসতে আসতে স্বরটা বেড়ে চলছে!
সাগর! সাগর!! তুমি ঠিক আছো তো!
চোখ মেলে তাকালাম। কিছু ঠিক মত দেখতে পারলাম না। কারো ঘন কালো চুলে চোখ ঢাকা পরেছিল আমার। আলতো করে সরাতেই আমার সবচেয়ে প্রিয় মুখটা ভেসে উঠল।
সত্যিই কি তুমি… দুর্বল স্বরে বললাম…
সাগর! তুমি ঠিক আছো? চোখ দিয়ে অঝোরে পানি পড়ে যাচ্ছে তানিয়ার। কথা বলো! ব্যাথা পেয়েছো? ফোপাতে থাকল সে।
দূর্বলভাবে হাসলাম। কাপা কাপা হাত বাড়িয়ে তার চোখের জমে থাকা পানি মুছে দিলাম। সূর্যের আলোর বিপরীতে তানিয়ার চুলগুলো সোনালী আভা ছড়াচ্ছে। কষ্টের মাঝেও হেসে ফেললাম!
সত্যিই?
তার গাল থেকে হাতটা নামিয়ে ধরল তানিয়া। সাগর! তোমার হাতে তো ব্লিডিং হচ্ছে! তার ভয়েস শুনে মনে হল যেন এক্সিডেন্টটা তার হয়েছে! আমার কাধ ধরে টেনে তুলল তানিয়া। হঠাৎ উঠে দাড়াতে গিয়ে মাথা ঘুরে উঠল, তানিয়ার কাধ ধরে দাড়ালাম।
হাটতে পারবে তো? ফোপাতে ফোপাতে বলল সে। রীতিমত কাপছে।
আলতো করে মাথা ঝাকালাম। নিজে নিজে হেটে দেখতে গেলাম, এমন সময় সে বাধা দিল
আমার কাধে ভর দাও। কিচ্ছু হবে না।
তোমার না ক্লাস আছে এখন?
গোল্লায় যাক ক্লাস! ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এখনি! বলতে বলতে ব্যাগ থেকে রুমাল বের করে হাতে বেধে দিল আমার। অপলক চোখে তার হাত বেধে দেয়া দেখতে থাকলাম… । হঠাৎ চোখাচোখি হল তার সাথে, চোখের মাঝে প্রচন্ড মায়া যেন ঝরে পরছে। এবার আর অন্য দিনের মত চোখ ফিরিয়ে নিল না… বরং ফিসফিসিয়ে একটা নাম ডাকল… সাগর…

কিছুদুরের এক ফার্মেসিতে ড্রেসিং করালাম। পাশে আঠার মত বসে থাকল তানিয়া। অ্যান্টিসেপটিকের জ্বালায় ছড়ে যাওয়া যায়গাটা এখনো জ্বলছে। আঙ্গুল নাড়াতে পারছি না, প্রচন্ড ব্যাথা করতে থাকে।
ভাগ্য ভালো আপনার, কোন হাড় ভাঙ্গেনি! ডাক্তার বলল।
আচ্ছা কবে থেকে আঙ্গুল নাড়াতে পারব? ব্যান্ডেজ কতদিনের জন্য…
অন্তত দুই সপ্তাহ!
কী?? বোকা হয়ে গেলাম! আমার শো আছে সামনের সপ্তাহে। আমার গীটার প্রেক্টিস করতে হবে…
গীটার? হাসল ডাক্তার। সামনের দু মাসের মাঝে গীটার বাজানো সম্পূর্ণ নিষেধ! কোন রকমের প্রেসার ফালানো যাবে না! ভাগ্য ভালো কোন ফ্রেকচার হয় নি! কিন্তু আঙ্গুল নাড়ালে মাসলে প্রব্লেম হতে পারে। তখন সারা জীবনের জন্য আঙ্গুল নাড়াতে পারবেন না…
ডাক্তারের কথা কানে ঢুকছে না আমার… গীটার বাজাতে পারব না দুই মাস! ব্যান্ডেজে বাধা হাতটা আসতে করে চোখের সামনে তুলে ধরলাম। দুই মাস! এর মাঝে কত প্র্যাকটিস প্যাড আছে, কত শো… তার উপর এখন পর্যন্ত এক দিনও গীটার না বাজিয়ে থাকতে পারি না… আর দুই মাস কি করে থাকব আমি! ভাবতেই চোখ ছলছল করে উঠল।
পাশে তাকালাম। কিন্তু সাথে সাথে সব চিন্তা থমকে দাড়ালো তানিয়ার রিএকশ্যানে। তার দিকে তাকিয়ে মনে হল তার যেন গীটার বাজানো নিষেধ করেছে কেউ!
আমার জন্যে… কাপা কাপা গলায় বলল সে। আমার জন্যে তোমার এই অবস্থা হল… চোখ দিয়ে পানি তার গোল গাল গড়িয়ে পড়ল। আমি তোমাকে এভাবে রাস্তার মাঝে… আমাকে ক্ষমা করো সাগর! জানি আমি ক্ষমার অযোগ্য…
আলতো করে তার কাধে হাত রাখলাম। ফুপিয়ে উঠল সে।
তোমার জন্য কিচ্ছু হয় নি, তানিয়া। আমি বাইকটা দেখি নি…
না… ফোপাতে থাকল সে…

তানিয়ার ঠিক হতে অনেক সময় লাগল। এতটা সময় সে নিজেকেই দোষ দিয়ে গেছে! যতই বোঝাই আমি বাইকটা দেখি নি, কিভাবে এটা তার দোষ হয়, ততবারই সে ব্যাপারটা বুঝল না!
ধানমন্ডি ৪। লেকের ধারে একটা সিমেন্টের লম্বা চেয়ারে পাশাপাশি বসে আছি আমি আর তানিয়া। নিচের দিকে তাকিয়ে আছে সে।
বুঝলে, এখন খবরদার গীটার বাজানোর চেষ্টা করবে না। চোখ তুলে তাকালো সে। তাহলে আরো ব্যাথা বাড়তে থাকবে। ডাক্তারের কথা মতো কিছু দিন ওয়েইট করো। দেখবে ঠিক হয়ে গেছে…
মোটেও না! আঙ্গুলের ব্যাথা কমলেই গীটার বাজানো শুরু!
কক্ষোনো না! আমার দিকে ঝুকে এল তানিয়া।
গীটার বাজালে কি করবে! হেসে জিজ্ঞেস করলাম।
আমি কান্না শুরু করব! তার গলা সত্যি কেপে উঠল! চোখে পানি প্রায় চলে আসে!
আহা… কি আল্লাদি একটা মেয়ে! আলতো করে তার গাল টিপে দিলাম। বোঝো না কেন বোকা মেয়ে কোনটা সত্যি আর কোনটা ঢং!
হয়েছে! সোজা হয়ে বসল সে। গালে লাল আভা ফুটে উঠল। আমার দিকে তাকাচ্ছে না…
তুমি অনেক ভালো মেয়ে তানিয়া… ধরা গলায় বললাম। জানো ভালো মানুষের কপালে কি হয়?
কি?
হয় ভালো মানুষেরা অনেক বেশি ভালো থাকে, জীবনে অনেক সুখী হয়… অথবা তারা অনেক কষ্ট পেয়ে থাকে। ভীষণ কষ্টকর জীবন। আশা করি তোমার জীবনটা অনেক সুন্দর হবে…
এভাবে কেন বলছ? দুঃশ্চিন্তা ফুটে উঠল তার গলায়।
কিছু নাহ… এমনি… তোমার মত মায়াময় একটা মেয়ে… তুমি জানো না দুনিয়াটা অনেক কঠিন… নিজেকে শক্ত হতে শিখবে, কেমন?
কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকল মাটির দিকে, ভাবছে।
আচ্ছা সাগর… তুমি নাকি কাউকে অনেক পছন্দ করতে… ফার্স্ট ইয়ারে? রাহা আপু বলেছিল এক দিন…
হুম… করতাম… আনমনে লেকের পানির দিকে তাকিয়ে থাকলাম। বিকেলের রোদ পানিতে পরে চিকচিক করছে। ঢেওয়ের তোরে মাঝে মাঝে সেই আলো প্রতিফলিত হয়ে আমার চোখে পরছে… ব্যাপারটা খারাপ লাগছে না। চুপ করে রইল তানিয়া… সেও এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে…
হ্যা একজনকে অনেক পছন্দ করতাম… আমাদের সাথেই পড়ত। একই সাথে সব ক্লাস নিতাম আমরা… নোটও করতাম একসাথে… অনেক সুন্দর দিন যাচ্ছিল… তবে আমরা সবার দৃষ্টিতে বন্ধুই ছিলাম… এমন কি তার চোখেও তাই…
তারপর? নরম সুরে জানতে চাইল।
তারপর? একদিন বলল সে আমাকে শুধু বন্ধুই ভেবেছিল… এর বেশি কিছু ছিল না। আমি আর কি করবো তখন। অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম। কিন্তু আমার হাতে তো আর কিছু করার ছিল না… সে ভার্সিটি ছেড়ে চলে গেল… পরে শুনেছিলাম আমেরিকা চলে গেছে সে। কিছুদিন যোগাযোগ ছিল… এরপর যা হয় আর কি, দুরত্ব বাড়ার সাথে সাথে যোগাযোগও কমে গেল… এইতো…
এখনো কি কষ্ট পাও… হালকা স্বরে তানিয়া বলল। তানিয়ার দিকে তাকালাম। তার চোখগুলো দেখে মনে হল সেও কষ্ট পাচ্ছে।
নাহ! সে তো বেশ আগের কথা! যাই হোক রাহা এসব বলেছে না? কেন এসব বলল তোমাকে শুনি!
বলছিল আর কি! তোমার সাথে যেন না থাকি… তুমি এক জনের জন্যে এমনি অনেক কষ্ট পেয়েছিলে… রাস্তার দাড়িয়ে নাকি বৃষ্টির মাঝে ভিজতে… হসপিটালে ছিলে বেশ কিছুদিন… তাই এমন যেন না করি যেন তুমি আবার আশা করে নতুন করে কষ্ট না পাও…
তাই না? কুনুই দিয়ে আলতো ধাক্কা দিলাম।
আরো অপ্রস্তুত হয়ে গেল সে। হাত দিয়ে চুল সরালো মুখের উপর থেকে।
তো তোমার কথা বলো! কাউকে কি ভালো লাগত?
নাহ! এমন ভাবে বলল যেন ভালো লাগা অনেক অপরাধের কিছু!
তাহলে এখন কাউকে লাগে নাকি? শয়তানি হাসি দিলাম!
উফ সাগর!
না সিরিয়াসলি…
এমন সময় ফোন বেজে উঠল। সাথি ফোন দিয়েছে! হায় হায় তাকে না আইস্ক্রীম পার্লারে নিয়ে যাবার কথা ছিল!
কি হয়েছে! জানতে চাইল তানিয়া।
সাথিকে নিয়ে আইস্ক্রীম খেতে যাবার কথা ছিল! এখন খবর আছে আমার! বড় করে শ্বাস নিয়ে বললাম হ্যালো!
উপাশের চেচামেচি শুরু হল কিছুক্ষণের জন্যে! মিনিট দুইয়ের পর সে শান্ত হল!
আচ্ছা বাবা আজকে তো প্রব্লেম ছিল! কাল সত্যি…
আবার কিছুক্ষণ চেচামেচি!
তুমি কই!
আমি… এই তো ধানমন্ডীর আশে পাশে…
ঐ আপুটার সাথে তাই না? এ জন্য আমার কথা পুরোপুরি ভুলে গেছ!
ঢোক গিললাম! কোন আপু?
তোমার সাথে কিচ্ছু কথা বলব না! আপুকে ফোন দাও! তার চিৎকারে কান তালা লাগার যোগার!
অগ্যতা তানিয়াকে মিনমিন করে বললাম, সাথি তোমার সাথে কথা বলবে!
এতক্ষণ হাসছিল তানিয়া। হাত বাড়ালো, দেখি ফোন দাও তাহলে!
স্পীকার অন করে তানিয়াকে দিলাম।
হাই আপু! কেমন আছো! তানিয়া মিষ্টি করে বলল
আপাতত ভালো না। এখনো চেচাচ্ছে সাথি। ভেবো না আমি ঝগড়াটে মেয়ে, কিন্তু এখন আমার মুড খারাপ, বুঝেছ! সেই কখন থেকে রেডি হয়ে বসে আছি ভাইয়ার আসার নাম নেই! ভাইয়াকে আমার তরফ থেকে এত্তগুলা বকে দেবে, বুঝেছো?
হাসিতে দাত বেড় হয়ে গেল তানিয়ার। অবশ্যই! এমন সুন্দর মেয়েকে কষ্ট দিয়েছে! অনেক বকে দিব চিন্তা করো না!
তুমি অনেক ভালো! আমার ভাইয়াটা না!
শুনো আপু! তোমাকে আমি দিদি বলে ডাকবো ওকে?
আচ্ছা আপু ওকে! তানিয়া হাসছে… আর আমি ফুলছি!
দিদি তুমি কি সাথ নিভানা সাথিয়া সিরিয়াল দেখো?
না তো? কেমন!
ভালো হয়েছে দেখো নি! খুশি মনে হল সাথিকে। আমি তাহলে তোমাকে পুরো কাহিনী শোনাবো…
সাথি… আমি ইন্টারাপ্ট করলাম… তুমি ওই ফালতু হিন্দি সিরিজের কাহিনী শুরু করো তাহলে সারা দিন চলে যাবে… ফোনের টাকা…
তুমি কি বুঝো হা! ঝাড়ি দিল আমাকে। দিদি! তুমি আমাদের বাসায় আসো একদিন! প্রথম থেকে কাহিনী শুরু করবো! অনেক মজা হবে…
আচ্ছা… কোন দিন! তো আপু ভালো থেকো কেমন?
ফোন রাখল সে। হাসতে হাসতে পরে যাচ্ছে। তোমার বোনটাতো অনেক মজার! আমার যদি কোন ভাই বোন থাকত…!
মজার! আমি তো নাম দিয়েছি ছোট মরিচ! কান ঝালাপালা করে দিয়েছে আমার!
ঠিকই তো আছে! বেচারীকে বলে এসেছ আইস্ক্রীম খাওয়াবে, রাগ করবে না!
এখন হাত ভাঙ্গা নিয়ে তারে আইস্ক্রীম খাওয়াতে নিয়ে যাবো নাকি!
আবার মন খারাপ করে ফেলল। আমার জন্য… মিনমিন করে বলছে!
তো বাসায় যাবে তো কথা দিলে… হেসে বললাম। তো কোন দিন আসছেন আমাদের বাসায়!
কোন দিন! হেসে উঠে দাড়ালো সে… মুচকি হেসে হাটা শুরু করল।
কোথায় যাচ্ছ! হেসে পিছু নিলাম। হাতে ব্যাথা! আসতে যাও…



আগের পোস্ট
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×