somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কসমিক সিম্ফোনি... (সায়েন্স-ফিকশান) পর্ব-১৪

২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সেভেন সিস্টার্সের সবচেয়ে বড় বেস স্টেশন অলিম্পাসের কাউন্সিল রুমে বসে আছেন কর্নেলিয়াস আহটামাস। তার সামনের ওক কাঠের বিশাল টেবিলটা হলুদ আলোয় চকচক করছে। টেবিলের একপ্রান্তে বসেছেন তিনি, বাকি কাউন্সিলম্যানরা অন্যপাশে বসবে।

বা হাতের আংটিটা আনমনে মুচরাচ্ছেন তিনি। দুষ্পাপ্য এক উজ্জ্বল পাথরের কাজ করা আংটিটা তার স্ত্রীর একমাত্র স্মৃতি হয়ে আছে তার কাছে। আভারণের চেহাড়াটা একমুহুর্তের জন্যে ভেসে উঠল তার কল্পনায়। জোর করে ভাবনাগুলো ঝেড়ে ফেললেন। দৃষ্টি দিলেন বিশালাকার গ্লাসওইন্ডো গুলোর দিকে। জুপিটারের একাংশ গ্লাসওইন্ডোটার বেশিরভাগ জায়গা দখল করে রেখেছে।

বিজ্ঞান একাডেমির ভাইসরয় ভ্লাদিমির সিরোভ প্রবেশ করলেন রুমটাতে। তার জন্যে রাখা নির্দিষ্ট আসনে বসলেন তিনি। তার পেছন পেছন কাউন্সিলম্যানরা একে একে কক্ষে প্রবেশ করলো।

ভাইসরয় সময় দিলেন তাদের আসন গ্রহণ করার জন্যে। এরপর উঠে দাড়ালেন।

প্রিয় কাউন্সিলম্যানগন! শুরু করলেন তিনি, তার চেহাড়া কেমন ভেঙ্গে পড়েছে ইদানিং। হঠাৎ করেই দশ বছর বয়স বেড়ে গেছে যেন তার। গালের দুপাশের বলিরেখাগুলো ফুটে উঠেছে প্রকটভাবে।

আশা করি আমরা সবাই জানি এই ট্রায়ালের উদ্দেশ্য কি। বলে চললেন তিনি। সুপ্রিম কমান্ডার ও নিরিগিস ওয়াটার রিফিলিং স্টেশনের ইন চার্জ কর্নেলিয়াস আহটামাস বিজ্ঞান একাডেমির করা প্রতিজ্ঞা ভংগ করেছেন। তিনি সকল প্রোটকল আর চেইন অফ কমান্ড বর্জন করে একটা আনঅথরাইজড মিশনের সৃষ্টি করেছেন। তার বিরুদ্ধের অভিযোগগুলো আমরা এখন শুনবো…

বিজ্ঞান একাডেমির নিয়োজিত কম্পিউটারটি যান্ত্রিক স্বরে বলা শুরু করলো, কর্নেলিয়াস আহটামাস তৃতীয় মাত্রার একটা বীকন সৃষ্টির রেকর্ড বিজ্ঞান একাডেমির কোয়ান্টাম সার্ভারে ঢুকিয়েছেন, তিনি চারজন মানুষ ও দশম শ্রেনীর রোবটকে একটি অজ্ঞাত মিশনে পাঠিয়েছেন, তিনি সামরিক বিভাগ থেকে একটি ট্রোজান সিরিজের এন্টিম্যাটার ওয়ারহেড কারো অনুমতি না নিয়ে ঐ মিশনে ব্যবহার করেছেন এবং সর্বোপুরি তিনি এই ওয়ারহেড মিশনটির অভিযাত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে তাদের ধ্বংসের ব্যবস্থা করেছেন… কম্পিউটারের যান্ত্রিক স্বরটা থেমে গেল।

ভারি গুঞ্জন উঠল কাউন্সিলম্যানদের মাঝে। সবাই কর্নেলিয়াসের দিকে ঘৃণাভরে তাকাচ্ছে। ফিসফাসটা যে তার বিরুদ্ধেই হচ্ছে সেটা ভালই বুঝতে পারলেন সুপ্রিম কমান্ডার। মৃদু হাসি ফুটিয়ে রাখলেন তিনি।

কাউন্সিলম্যানদের মাঝের একজন দাঁড়িয়ে গেলেন। তার আলখাল্লা অন্যদের চেয়ে গাঢ় লাল বর্নের আর মাথার টুপিটার উচ্চতাও অন্যদের চেয়ে বেশি।

এসব পাগলামোর মানে কি? সামনের রাখা ডিসপ্লে বোর্ডে রাখা ইনফরমেশনগুলো এক পলক দেখলেন। লিও, মিশনের ক্যাপ্টেন, জিম এটমিক রিয়েক্টর ইঞ্জিনিয়ার, ইরা ই৫৫ ভাইরাসের জিনোমের আবিষ্কারক, জেনা কম্পিউটার প্রোগ্রামার… আপনি কি পাগল হয়ে গেছেন? বিজ্ঞান একাডেমির সবচেয়ে বড় বড় মেধাগুলোকে মেরে ফেলেছেন? থমথম করছে কাউন্সিলম্যানের মুখ। সাথে দশম প্রজাতির রোবট, কিরু v ২.০। বিজ্ঞান একাডেমির মিশনে দশম প্রজাতির রোবট কি করছে?

ভ্লাদিমির সিরোভ একটা আঙ্গুল তুললেন, কাউন্সিলম্যান সাথে সাথে মাথা নুইয়ে বসে পড়লেন তার আসনে। আমরা কোন সিদ্ধান্ত নেবার আগে তোমার মুখে সব ঘটনা শুনতে চাই, কর্নেলিয়াস। কেন এসব ঘটনা আমাদের অজান্তে ঘটলো? তুমি শুরু করবে…

উঠে দাড়ালেন কর্নেলিয়াস, সবার দিকে একটু ঝুকে নড করলেন। মহান কাউন্সিলম্যান, আপনার নাম রাসান, যদি আমি ভূল না করে থাকি, নয় কি? মৃদু হাসলেন তিনি। আশা করছি আমি আপনি বিজ্ঞান পরিষদের ইতিহাস সম্পর্কে ভালো খবর রাখেন?

অবশ্যই রাখি। চাপা গলায় বললেন কাউন্সিলম্যান। এর সাথে সম্পর্ক কি?

বলছি, হাত তুললেন কর্নেলিয়াস। বিজ্ঞান পরিষদ অতীতেও অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ভবিষ্যতেও নিয়ে যাবে। এর কোন সন্দেহ নেই। বিজ্ঞানের জয় করার জন্যে বিজ্ঞান একাডেমি সব সময় ছোটবড় ত্যাগ স্বীকার করে আসছে…

তাই বলে বিজ্ঞান একাডেমির একজন উঠতি দলপতি, বিখ্যাত ভাইরাসের আবিষ্কারক সবাই কে মেরে ফেলবেন? ্তরুণ এক কাউন্সিলম্যান উঠে দাড়ালেন। মুখ লাল হয়ে আছে তার! কিন্তু ভড়কালেন না কর্নেলিয়াস।

কেন আপনার কি মনে নেই বিজ্ঞান একাডেমির ইতিহাস? হিসহিস করলেন তিনি। মনে নেই সিন্ড্রা গ্রহে হাজার হাজার যুদ্ধবন্দীদের উপর মারাত্বক সব এক্সপেরিমেন্ট করা হয়েছিল? তারপর এক্সপেরিমেন্টের ফলাফল ভয়াবহ রকমের বিপর্যয় দেখা দিলে তখন নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড ফেলে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল পুরো জাতিকে। তখন কোথায় ছিল আপনার এই মতাদর্শ? এমনকি এই ঘটনা বিজ্ঞান একাডেমি ধামাচাপা দিয়ে রাখে একশো বছর ধরে, বাইরের কেউ ধারণাও করতে পারে না তারা কি করেছিল ওখানে? আপনারা এসব ধ্বংসাত্বক কাজ ঠিকই করে যাবেন আর কেউ আপনাদের গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্যে গুরুত্বপূর্ণ মিশনের সৃষ্টি করলে তাকে ট্রায়ালের সামনে হাজির করাবেন…

কর্নেলিয়াস! কেমন দুর্বল শোনালো ভাইসরয়ের কণ্ঠ, তুমি যা বলছো তা একশো বছর আগের কথা। তখনকার বিজ্ঞান পরিষদ কেন এরকম এক্সপেরিমেন্ট চালিয়েছিল তা দিয়ে আশা করি তোমার অপরাধ ঢাকবার চেষ্টা করবে না!

আচ্ছা তাহলে আপনি বর্তমান কালের কোন ঘটনা শুনতে চান? তবে শুনুন! ই৫৫ ভাইরাসের জিনোম কোড আবিষ্কারের প্রোজেক্ট বিজ্ঞান একাডেমিই অথরাইজ করেছে, এমনকি আমাদের ভাইসরয়ও তাতে সম্মতি প্রকাশ করেছিলেন, সেই ভাইরাস থেকে যখন ই৫৯ নামক ভারসম্যহীন আনস্টেবল একটা ভাইরাস তৈরি করা হলো সেটাও মহামাণ্য ভাইসরয় জানেন! তারপরও তিনি অনুমোদন দিয়েছিলেন ভাইরাসটি তৈরির জন্যে… আপনারা সব জানেন, দেখেন কিন্তু ভান করছেন কিছু বোঝেন না? আপনারা এই প্রোজেক্টটা অনুমোদন না করলে আজ আমাকে এমন একটা সীদ্ধান্ত নিতে হতো না!

সেলাস্টিয়াল বিং, পঞ্চম মাত্রার জীবদের ঘাটাঘাটি শুরু করেছি আমরা, তাদের বশে আনার চেষ্টা করেছি আমরা। আপনারা অবশ্যই জানেন এই যুদ্ধটাতে আমরা মর্মান্তিকভাবে পরাজিত হয়েছি…

পঞ্চম মাত্রার জীবদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া খুবই দরকার হয়ে পরেছিল। তাকে বাধা দিল তরুণ কাউন্সিলম্যান। আপনি অবশ্যই জানেন তারা কেমন জীব, তারা যখন তখন, যেখানে সেখানে মানুষ ধরে নিয়ে যায়, তাদের বিশ্লেষণ করে, বিভিন্ন অঙ্গ বিচ্ছিন্ন করে তাদের খেয়াল খুশি মোতাবেক জুরে দেয়। কারো বডি কখনো খুজে পাওয়া যায় কারো পাওয়া যায় না, কেউ যদি জীবিতও থাকে তাদের সারা জীবন পার হয় মৃত্যুকে বরণ করে নেয়ার জন্যে। কসমিক এনটিটিদের থামানো না গেলে এক সময় মানুষের অস্তিত্ব থাকবে না। বলা চলে সুস্থ্ স্বাভাবিক মানুষ।

বলুন কাউন্সিলম্যান, তার দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসলেন তিনি। বিজ্ঞান একাডেমি কি সাধারণ মানুষকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে তুলে নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করে নি? তাদের দেহে অপ্রয়োজনিয় ভয়ঙ্কর ভাইরাস ঢুকায় নি। আমি এমন একজনকে চিনি যে বিজ্ঞান একাডেমির মানব এক্সপেরিমেন্টের শীকার হয়ে প্রতিদিন মৃত্যুর পথ গুনছে… সেক্ষেত্রে কোথায় গেল তার বিচার? তার বক্তব্য শোনার জন্যে বিজ্ঞান একাডেমি কোথায়?

চুপ হয়ে গেল তরুণ কাউন্সিলম্যান। গাল লাল হয়ে গেছে তার। মাথা নাড়ছে দুদিকে।

তো যা বলছিলাম আমি, পুনরায় শুরু করলেন তিনি। কসমিক এনটিটি ই৫৫ ভাইরাসের আবিষ্কারককে খুজছে, যদি আমরা তাকে দিতে ব্যর্থ হই তাহলে যে কোন মুহুর্তে তারা যে কাউকে নিয়ে যেতে পারে, মহাকাশের দোহাই! তাই ইরাকে তাদের হাতে তুলে দেওয়াই যুক্তিসংগত।

লিওনার্ড, ক্যাপ্টেনের কথায় আসা যাক! সে আর জিম তারা দুজনকে সিন্ড্রাতে আবারো পাঠানো হয়েছিল জরিপ চালানোর জন্যে। সেখানে কোন জীবনের অস্তিত্ব আছে কি না এখনো তা খুজে বের করার জন্যে। কাউন্সিলম্যানেরা এসব তথ্য সবই জানেন। পরে তাদের স্মৃতি মুছে দিয়ে তাদেরকে আবার বিজ্ঞান একাডেমির মিশনে পুনর্বহাল রাখা হয়। কাউন্সিলম্যানেরা, আপনারা কি তার আসল স্মৃতির মেমোরি ডিস্কটি দেখেছেন? কেউ?

মুচকি হাসছেন বা-পাশে বসা কাউন্সিলম্যান জশোনি। ব্যপারটা নতুন করে ভাবছেন তিনি। কর্নেলিয়াসের যে দুরদর্শি পরিকল্পনা আছে তা বুঝতে তার সময় লাগল না। এখন কথা হলো তার সাথে থাকলে তার সুবিধা আরো বাড়বে কিনা? বুড়ো সব কাউন্সিলম্যানদের মাঝে বিশাল সব ধাপ পার করে কম বয়সেই কাউন্সিল পদটা জুটিয়ে নিয়েছেন সহজেই। কিন্তু এখানেই থেমে থাকনে চান না তিনি। দেখা যাক মহাবিশ্বটা কি জয় করা যায় কি না?

হ্যা আমি দেখেছি, হাত তুললেন জশোনি। একথা আনছেন কেন সুপ্রিম কমান্ডার?

কারণ আসল স্মৃতি যেটা তারা মিশন শেষ করে নিয়ে এসেছিল… থামলেন তিনি। সেই স্মৃতি পুরোপুরি বানানো ছিল।

পুরো রুমটা হঠাৎ স্তব্ধ হয়ে গেল। সবাই কর্নেলিয়াসের দিকে তাকিয়ে আছে। এমনকি মহান ভ্লাদিমির সিরোভও তার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।

মানে? লাফিয়ে উঠলেন তিনি। কর্নেলিয়াস তোমার মাথা তো ঠিক আছে?

হ্যা মহামান্য, তুচ্ছার্থে মাথাটা নোয়ালেন তিনি। যে স্মৃতি লিও আর জিম নিয়ে এসেছিলো গ্রহটা থেকে, যেটা আমরা তাদের মাথা থেকে সরিয়ে মেমোরি ডিস্কে স্থানান্তর করেছি সেটাই নকল ছিল! আমার অধিনস্থ ল্যাবে ডিস্কটা বারবার পরীক্ষা করা হয়েছে… স্মৃতিগুলোর সামাঞ্জস্যতা অনেক কম, একটা ঘটনার সাথে আরেকটা ঘটনা হুট করে জোরা দেওয়া হয়েছে। যেমনটা আমরা স্বপ্নের মাঝে দেখে থাকি। এমনকি তাদের দুজনের একই ঘটনার স্মৃতি দুই রকমের!

আমরা তাদের নকল মেমোরি সরিয়ে আমাদের বানানো আরেকটা আর্টিফিশিয়াল মেমোরি ঢুকিয়ে দিয়েছি! আর সেই গ্রহে কি ঘটেছিল তা আমরা কেউই জানি না!

অপ্রত্যাশিত ঘটনায় সবাই বোবা হয়ে গেল। সৎবিত ফিরে পেলেন তরুণ কাউন্সিলম্যান। তো তাদের দু’জনকে ধরে আসল ঘটনা বের করার বদলে মেরে ফেলা কি যুক্তি সংগত?

তারা হয়তো আসল ঘটনাটাই জানে না। জানে যা তাদের মাথায় ভরে দেওয়া হয়েছিল।

কম্পিউটার প্রোগ্রামার ইরার ঘটনা হচ্ছে সবচেয়ে সহজ! বিজ্ঞান একাডেমির আইন অনুযায়ী কেউ প্রথম ধারার গোপনীয়তা যদি অথরাইজ ছাড়া জানতে চেষ্টা করে তবে তার শাস্তি মৃত্যু। ইরা বেশ কয়েকবার গোপনীয় ফাইলে ঢুকে অনেক স্পর্শকাতর খবর বের করে ফেলে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বেআইনীভাবে সে আবারো কোয়ান্টার সার্ভারে প্রবেশ করে চলমান মিশনগুলোর লিস্ট হ্যাক করে…

তাই, আমার বিচার বুদ্ধিতে, বিজ্ঞান একাডেমির মঙ্গলের জন্যে যে সব পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ ছিল তা আমি নিয়েছি। জোর দিয়ে একথাগুলো বললেন তিনি। যেন এরকম অরাজক পরিস্থিতি আর উদ্ভব না হয় তা প্রার্থনা করি। বসে পরলেন তিনি। আপাতত তিনি জিতে গেছেন। কাউন্সিলম্যানেরা দ্বিধান্বিত হয়ে গেছে। মৃদু ফিসফাস চলছে তাদের মাঝে।

মহান কাউন্সিলম্যান রাসান দাঁড়িয়ে গেলেন। এই ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করে স্বীদ্ধান্ত গ্রহণ করা আমাদের কাজ, আপনার নয়। আপনি নিজের হাতে সকল ক্ষমতা তুলে নিয়ে প্রয়োগ করতে পারেন না।

মাফ করবেন মহান কাউন্সিলম্যান রাসান, ফেসফেসে গলায় বলল জশোনি। আমাদের আইনে উল্লেখ আছে পরিস্থিতি প্রতিকুলে গেলে আমরা বিজ্ঞান একাডেমির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে নিজের হাতে ক্ষমতা তুলে নিতে পারি! হাসিতে বিগলিত হয়ে উঠল তার মুখ। তাই সংকট মুহুর্তে কাজটা বেআইনী হতে পারে না। অন্তত আইনের সূত্রে তা বলে। একান থেকে ওকান ছড়িয়ে গেল তার হাসি। আমার অবাধ্যতাকে মাফ করবেন আশা করছি।

জশোনির দিকে তাকালেন সুপ্রিম কমান্ডার। এই লোকটা পাশা উলটে দিয়েছে। জয় যে তারই ঘটতে যাচ্ছে তার কোন আর সন্দেহ নেই। জশোনিকে দেখলে বিনিয়ের অবতার বলে মনে হয় বাইরে থেকে। কিন্তু তার মতো ধূর্ত ব্যক্তি এই কাউন্সিলে আর একজনও নেই…
আসন থেকে উঠে দাড়ালেন ভাইসরয় ভ্লাদিমির সিরোভ। কাউন্সিলম্যানেরা, যারা সুপ্রিম কমান্ডারের কর্মকান্ডের পক্ষে আছেন হাত তুলুন!

সাতটা হাত উঠে গেল তার পক্ষে।

আর যারা সুপ্রিম কমান্ডারের বিরোধিতা করছেন তারা হাত তুলুন।

চারটা হাত উঠলো তার বিপক্ষে। এর মাঝে উর্ধ্বতন কাউন্সিলম্যান রাসান আর তরুণ কাউন্সিলম্যান রয়েছে।

দীর্ঘশ্বাস ফেললেন ভাইসরয়। সুপ্রম কমান্ডার, আপনি আপনার নির্দিষ্ট পদে পুনর্বহাল থাকছেন। আপনাকে ঝামেলায় ফেলার জন্যে বিজ্ঞান একাডেমির পক্ষ থেকে আমি দুঃখিত!

একে একে সব কাউন্সিলম্যান তাকে সাধুবাদ জানিয়ে বের হয়ে গেলেন। মুচকি হাসলেন কর্নেলিয়াস আহটামাস। এযাত্রা যুদ্ধে তিনি জিতে গেছেন।

আগের পর্ব
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:২১
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×