২৫ শে মার্চের আগে বাংলাদেশের হাতে সুযোগ ছিল পাকদের আত্মসর্ম্পণে বাধ্য করতে ৩০ লক্ষ্ না তখন৩০০০ হাজারও হত্যা হত না আমার মতে । সে সময়ে শেখ মুজিবের আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা ও জনতার আমৃত্যু সমর্থন ।সে বাস্তবতায় এই কাজ টি সহজে করা যেত ।
তখন বলতে গেলে পূর্ব পাকিস্তান অরক্ষিত হয়ে পড়ছিল ।পাক শিবিরে যুদ্ধের ধামানা বাঁজছে আমরা সন্ধির ফন্দি খুঁজছিলাম । সেনাবাহিনী সদরদপ্তরে লক্ষ লক্ষ স্বাধীনতাকামী বাঙালিরা ছিল বর্জকন্ঠে মুষ্ঠবদ্ধ। একটি নির্দেশ বা হুকুম ই পারতো টিক্কাখানকে আত্মসর্ম্পণ করতে ।
তখন শত শত সেনারা জীবন আত্মাহুতি দিতে প্রস্তুত ছিল । সেনারা ৩ বার শেখ মুজিবের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেও আশানুরূপ নির্দেশ পায়নি । এ সুযোগ মিস করার ফলাফল রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ । ইয়াহিয়া খান গণহত্যার নির্দেশ দিয়ে চলে যান ..তখন পাকরা গণহত্যার প্রস্তুতি নিচ্ছে অপর দিকে শেখ মুজিব স্বাক্ষরিত ঘোষণাপত্র বিলি করছেন আওয়ামী লীগের এক নেতা যে
‘‘ সরকার মতৈক্যে পৌঁছেছে,আশাকরি প্রেসিডেন্ট ষোষণা দিবেন’’
তাহলে কি তিনি পাক কুকুরদের বুঝতে পারেন নি ! ওদের কূটকৌশলে প্রতারিত হয়েছি ? যদি তাই হয় তাহলে বাঙালির জীবেনর সবচেয়ে বড় ধোঁকা বা বোকামি এটাই । তবে শেষ হাসিটা আমাদের কিন্ত ! ঐ যে সুযোগ হতছাড়ার মাসুল টা এত কঠিন হবে তিনিও জানতেন না ।
। শেখ মুজিব দূরদর্শী নেতা হলেও এই ক্ষেত্রে তার পরিচয় দিতে পারেন নি । বুঝছিলেন তবে তখন ধেরি হয়ে গেছে ।তবু তাঁর অবদান কম নয় । এ ক্ষেত্রে এটাই প্রমাণ হয় যে ‘‘মানুষ মাত্রই ভুল, ভুলের উর্ধ্বে নয় ’’ । মহাপুরুষদের ও ভুল হয় এবং এই ভুল গুলোই ফুলে পরিণত হয়ে শোভাস ছঁড়ায় ।
* আ্যান্থনি মাসকারেণহাস প্রণীত ‘‘ দ্যা রেইপ অব বাংলাদেশ’’ এর আলোকে
বিঃদ্র: আমার এই লেখার উদ্দেশ্য বাঙালি জাতির প্রাণপুরুষ শেখ মুজিবকে ছোটকরা নয় । তাঁর অবদানের কথা আমরা জানি এবং স্বীকৃত । এই বিষয়টা আমার শেয়ার করার মত মনে হলো তাই লিখলাম । আমার ভুল হলে ধরিয়ে দিবেন ,নতুন হিসাবে শিক্ষিয়ে দিলে চিরকৃতজ্ঞ থাকিব ।
** পোস্ট বর্হিভূত --আমি সামুর নোটিফিকেশন জনিত সমস্যা আছি । ক্লিক করলে আসছে না .আসলেও ধেরি হচ্ছে আপনাদের ও কি তা হয় ? সমাধান কি হতে পারে ?