একটা বিভৎস সকালের অপেক্ষায় বিছানায় যাবে বাঙালী মুসলমান। মাত্র এক হাজার বছর বয়সী পুরনো এক জীবন ব্যবস্থার বাণী তারা গ্রহণ করেছিলো তাদের প্রপিতামহের কাছ থেকে যা এসেছিলো বহুদূরের আরব মুলুক থেকে; কানে কানে শোনা গল্পের মত। বুদ্ধ থেকে সনাতন আবারো সনাতন থেকে তারা হয়েছিলো মুসলমান। পুরোপুরি মুসলমান হতে তারা পারেনি। কারণ মুসলমানদের পথপ্রদর্শক মুহাম্মদ তাদের জন্য যা রেখে গিয়েছিলেন তারা সেটিকে দুমড়ে মুচড়ে বেহাল করে ফেলেছে। সকাল হবার সাথে সাথে তাই বাঙালী মুসলমান হয়ে উঠবে কসাই। হাজার হাজার অবলা প্রাণী প্রাণ হারাবে, ধার্মীক মুসলমানের খাদ্য হবে। এ মহাঅপচয় এ মহা হত্যাযজ্ঞ কি প্রকৃতি অনুমোদন করে? না! অ্যানথ্রাক্স নামক অসুখটি হয়তো প্রকৃতির সাথে বিরূপ আচরণেরই ফল। কোরআনের সুরা হাজ্জ্ব এর ২৮ নম্বর পঙক্তিতে বলা আছে, ‘...যাতে তারা উপস্থিত হতে পারে তাদের কল্যানময় স্থানে এবং তারা আল্লাহ্র নাম উচ্চারণ করতে পারে নির্দিষ্ট দিনগুলোতে সেসব চতুষ্পদ জন্তু যবেহ করার সময় যা তাদেরকে রিযিক হিসেবে দান করেছেন।’ এর অর্থ কি এই দাড়ায় না যে চতুষ্পদ জন্তু শুধুমাত্র পবিত্র স্থানেই (কাবা) জবাই করা হবে, বিশেষ সময়ে (হজ্জ্ব)। কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে দৈন্য বাঙালী মুসলমানদেরকে বোঝানো হয়েছে, মুসলমান হবার জন্য অবশ্যই পশু জবাই করতে হবে; এতে সম্মানও বৃদ্ধি পায় বলে বিশ্বাস গড়ে উঠেছে। কত কোমলমতি শিশু কোরবানির ভয়াবহ দৃশ্য দেখবে, শিখবে-- তারাও একসময় হয়ে উঠবে কসাই। মানুষ জবাই করার পদ্ধতিতো এদেশে ইতোমধ্যে সাবলিল হয়েছে। মাদ্রাসার কোমলমতি শিশুরা জবাইয়ের কাজটি বেশ স্বাভাবিকভাবেই করে। এ দৃশ্য একটি শিশুর মগজের দৃশ্য সংরক্ষণাগারে জমা থাকে যা তার বিকাশের প্রক্রিয়ায় বিকৃতির জন্ম দেয়। দেশে গরু উৎপাদনের ব্যবস্থা নেই, ভারত থেকে আনা হচ্ছে গরু, অর্থনৈতকিভাবে লাভবান হচ্ছে অন্য দেশ। আমাদের অর্থ চলে যাচ্ছে তাদের হাতে। গরুর মাংশের হাই কোলেস্টরেলে মুসলমানের শরীর ভারী হয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে গরু দ্রুত মোটাকরার ঔষধ-- ক্ষতিকর অতিরিক্ত গ্রোথ হরমোন ও স্টেরয়েড, এন্টিবায়োটিক, ভিটামিন লিভার ফেইলিওর, টিউমার, ক্যান্সার, বন্ধ্যাত্ব ঘটাতে পারে। হয়তো ঈদের পর এ্যানথ্রাক্স মহামারীর আকার ধারণ করতে পারে। কেন আমরা উন্মাদ হয়ে উঠছি প্রতিনিয়ত। আমরা বুদ্ধের কথা ভুলে গেছি! ‘জীব হত্যা মহা পাপ।’ এতো প্রাণীজ আমিষ আমাদের প্রয়োজন নেই।
আমাদের ঘরের বাথরুমে এতক্ষণ একটা খাসী চেঁচাচ্ছিল। বেশ বুদ্ধিমান মনে হলো ওটাকে। আমি একটুখানি দরজা ফাঁক করে উকি দিচ্ছিলাম, ওটা মুখ দিয়ে পুরো দরজাটা খুলে দিল। আমার কান্না আসতে লাগলো। যে ওটাকে পুষেছে তার কতইনা আদোরের ছিল প্রাণীটা। আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না আমার স্বজনদের এই লোক দেখানো ধর্ম পালন। আমরা একদিন হয়তো হঠাৎ এসব থেকে বেরিয়ে আসবো।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



